আমেদাবাদ জংশন রেলওয়ে স্টেশন
আহমেদাবাদ জংশন | |
---|---|
এক্সপ্রেস ট্রেন এবং যাত্রীবাহী ট্রেন স্টেশন | |
![]() | |
অবস্থান | কালুপুর, আহমেদাবাদ, গুজরাত ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২৩°০১′৩১″ উত্তর ৭২°৩৬′০৪″ পূর্ব / ২৩.০২৫১৭৫° উত্তর ৭২.৬০০৯৭৫° পূর্ব |
উচ্চতা | ৫২.৫০০ মিটার (১৭২.২৪ ফুট) |
মালিকানাধীন | ভারতীয় রেল |
পরিচালিত | পশ্চিম রেল |
লাইন | আহমেদাবাদ-মুম্বই প্রধান রেলপথ আহমেদাবাদ-বোটাড মিটার গেজ রেলপথ আহমেদাবাদ-মেহসানা মিটার গেজ রেলপথ আহমেদাবাদ-গান্ধিধাম প্রধান রেলপথ জয়পুর-আহমেদাবাদ রেলপথ আহমেদাবাদ-উদয়পুর রেলপথ |
প্ল্যাটফর্ম | ১২ |
রেলপথ | ১৬ |
সংযোগসমূহ | বিআরটিএস, এএমটিএস বাস স্টপ, ট্যাক্সিক্যাব স্ট্যান্ড, অটোরিকশা স্ট্যান্ড |
নির্মাণ | |
গঠনের ধরন | আদর্শ (ভূমিগত) |
পার্কিং | হ্যাঁ |
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকার | হ্যাঁ |
অন্য তথ্য | |
অবস্থা | পরিচালনাগত (ওয়াইফাই সক্ষম) |
স্টেশন কোড | এডিআই[১] |
অঞ্চল | পশ্চিম রেল |
বিভাগ | আহমেদাবাদ |
বৈদ্যুতীকরণ | হ্যাঁ |
অবস্থান | |
আহমেদাবাদ জংশন (স্টেশন কোড: এডিআই) হল ভারতের গুজরাত রাজ্যের আহমেদাবাদ শহররে প্রধান রেল স্টেশন। এটি গুজরাতের মধ্যে বৃহত্তম রেল স্টেশন। স্টেশনটি মুম্বই স্টেশনের পরে পশ্চিম রেলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় প্রদানকারী এবং আহমেদাবাদ রেলওয়ে বিভাগের অন্তর্গত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ভারত বিভাগের আগে সিন্ধু মেল সিন্ধু প্রদেশের হায়দ্রাবাদ সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এবং হায়দরাবাদ - মিরপুর খাস - খোকরপাড় - মুনাবাও - বার্মার - লুনি - যোধপুর - পালি - মারোয়ার - পালনপুর - আহমেদাবাদ রুটে যাত্রা করত। এটি গোকুলদাস কন্ট্রাক্টের এন্ড এসোসিয়েটস (গোকুলদাস ঠিকাদার এবং সহযোগী) দ্বারা নির্মিত হয়।[২][৩][৪]
স্টেশনের উত্তরের দিকে আহমেদাবাদে দুটি দীর্ঘতম মিনার রয়েছে, যা সিদি বশির মসজিদের একমাত্র অবশিষ্টাংশ।
পটভূমি
[সম্পাদনা]আহমেদাবাদ জংশন, ভারতের গুজরাত রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরের জন্য রেল পরিবহনের প্রাথমিক স্টেশন এবং ভারতীয় রেলের পশ্চিম রেল জোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। স্থানীয়ভাবে লোকেরা এটিকে কালুপুর স্টেশন (কারণ এটি প্রাচীরের শহরের কালুপুর অঞ্চলে অবস্থিত) হিসাবে উল্লেখ করে, শহরের অন্যান্য স্টেশন যেমন গান্ধীগ্রাম, আসার্বা, সরখেজ, বাস্তুরপুর, চান্দলদিয়া, ভাত্বা, মণিনগর এবং সাবারমতী জংশন থেকে আলাদা করার জন্য। এটি ট্রেনের দ্বারা আহমেদাবাদকে গুজরাতের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করে, সেইসাথে ভারতের প্রধান শহরগুলি যেমন মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, কলকাতা, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ, বিশাখাপত্তনম, ত্রিভান্দ্রাম, আজমের, ধানবাদ, ডাল্টনগঞ্জ, গোয়ালিয়র, জয়পুর, ইন্দোর এবং হাওড়ার সঙ্গে যুক্ত করে।
অবকাঠামো
[সম্পাদনা]স্টেশনটিতে ১২ টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এখানে প্রচুর পরিমাণে চায়ের দোকান, স্নাক বার, ঔষধ সম্পর্কিত দোকান এবং অনুসন্ধান কেন্দ্র রয়েছে। স্টেশনটিতে একটি সাইবারকাফেও রয়েছে, যা টাটা ইন্ডিকোম দ্বারা চালিত এবং বর্তমানে গুগল স্টেশন ও রেলটেল ওয়াই-ফাই দিয়ে সজ্জিত। স্টেশনটিকে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত স্টেশন হিসাবে গড়ে তোলার জন্য বৃহত আকারের স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা চালু রয়েছে এবং আইসিআইসিআই ব্যাংক, ক্যানারা ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, ডেনা ব্যাংক, ব্যাংক অফ বরোদা, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া এবং অন্যান্য বড় ব্যাংকগুলির নতুন এটিএম আউটলেটগুলি স্টেশনে স্থাপন করা হয়েছে। রেলটেল আহমেদাবাদ স্টেশনে একটি সাইবার ক্যাফে পরিচালনা করে।
সু্যোগ-সুবিধা
[সম্পাদনা]আহমেদাবাদ রেলওয়ে স্টেশন হ্যান্ড-পুশ লাগেজ ট্রলি পরিষেবা শুরু করেছে স্টেশনে। এ জাতীয় ট্রলি সবসময় বিমানবন্দরগুলিতে পাওয়া যায়, তবে রেল স্টেশনগুলির জন্য এটি একটি নতুন উদ্যোগ। রেলওয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে প্রথমে লাগেজ ট্রলি প্রতি পাঁচ টাকা করে নেবে। ২০১০ সালের হিসাবে, পরিষেবাটি কেবল প্ল্যাটফর্ম নং -১ এর জন্য উপলব্ধ ছিল, তবে নতুন লিফট এবং এসকেলেটারগুলি ২০১০-এর শেষের দিকে কার্যকরী হওয়ার পরে, ট্রলি পরিষেবাটি আহমেদাবাদ রেলস্টেশনের সমস্ত প্ল্যাটফর্মে চালু করার কথা বলা হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Indian railway codes"। Indian Railways। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ Murray, John (১৯৪৯)। Hearn, Sir Gordon Risley, সম্পাদক। A handbook for Travellers in India and Pakistan, Burma and Ceylon: Including the Portuguese and French Possessions and the Indian States। পৃষ্ঠা 211 – Google Books-এর মাধ্যমে।
- ↑ Gandhi, Mahatma (১৯২৯)। Young India। Vol. 11। Navajivan Publishing House। পৃষ্ঠা 50 – Google Books; University of Virginia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Indian Railways FAQ: Geography : International"। irfca.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-৩০।