ধানবাদ
ধানবাদ धनबाद | |
---|---|
মহানগর | |
![]() | |
ডাকনাম: ভারতের কয়লার রাজধানী | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৮′ উত্তর ৮৬°২৭′ পূর্ব / ২৩.৮° উত্তর ৮৬.৪৫° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
অঞ্চল | পূর্ব ভারত |
রাজ্য | ঝাড়খন্ড |
জেলা | ধানবাদ জেলা |
সরকার | |
• শাসক | পৌরসংস্থা |
• মেয়র | চন্দ্রশেখর আগারয়াল |
উচ্চতা | ২২২ মিটার (৭২৮ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১১,৯৫,২৯৮ |
ভাষা | |
• সরকারি ভাষা | হিন্দি, ইংরেজি |
ধানবাদ হল ভারত এর ঝাড়খন্ড রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগর ও শিল্প শহর। এটি "ভারতের কয়লার রাজধানী" হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত। ধানবাদ পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খন্ড সীমান্তের কাছে অবস্থিত। এটি ভারতের ৪২ তম মহানগর এবং পূর্ব ভারত এর একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর।
ভূগোল উপাত্ত[সম্পাদনা]
শহরটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ২২২ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই শহর ২৩.৮ উত্তর ও ৮৬.৪৫ পূর্বে অবস্থিত। ধানবাদ ছোটনাগপুর মালভূমির উপর অবস্থিত।
জনসংখ্যা[সম্পাদনা]
২০১১ সালের জনগণনায় জানা গেছে এই মহানগরের মোট জনসংখ্যা ১১,৯৫,২৯৮ জন।[১] মোট জনসংখ্যার ৫৩% পুরুষ ও ৪৭% নারী। এই শহরে ১০০০ জন পুরুষ প্রতি নারীর সংখ্যা ৯০৪ জন যা জাতীয় হার (৯৩৩) এর কম। এই শহরে ৫ বছরে কম বয়সের জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১০.৫৭%।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]
মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়[সম্পাদনা]
- ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউড অফ টেকনোলজি, ধানবাদ
- বিরসা ইন্সটিটিউড ওফ টেকনোলজি, সিন্ধি
- গুরু নানক কলেজ
- লয় কলেজ ওফ ধানবাদ
- পাটলিপুত্র মেডিকেল কলেজ হসপিটাল
- রাজা সিভা প্রসাদ কলেজ
বিদ্যালয়[সম্পাদনা]
- টাটা ডি.এ.ভি স্কুল
- দিল্লি পাবলিক স্কুল, ধানবাদ
- ঝরিয়া রাজ উচ্চ বিদ্যালয়
- ঝরিয়া গুজরাটি হিন্দি উচ্চ বিদ্যালয়
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
ধানবাদ শহরের অর্থনীতি গড়ে উঠেছে প্রধানত শহরের পার্শবর্তী এলাকার খনি ও খনিজ শিল্পকে কেন্দ্র করে। এখানে উৎপাদিত খনিজ দ্রবের মধ্যে প্রধান হল কয়লা। এই পদার্থটিই এই শহরের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। এই শহরের কয়লা খনি গুলি থেকে কয়লা উৎপাদনে যুক্ত রয়েছে টাটা স্টিল, ভারত কোকিং কোল লিমিটেড (বিসিসিএল), ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেড এবং ইন্ডিয়া আয়রন এন্ড স্টিল কোম্পানি (আইআইএসও)। খনি শিল্পই এখানকার কর্মসংস্থান যোগায়। এছাড়া এখানে আবাসন শিল্পও গড়ে উঠছে ধীরে ধীরে।
পরিবহন[সম্পাদনা]
সড়ক পথ[সম্পাদনা]
এই শহরের মধ্য দিয়ে চলে গেছে ১৯ নং জাতীয় সড়ক (পূর্ব নাম এনএইচ২) ও ১৮ নং জাতীয় সড়ক (পূর্ব নাম এনএইচ৩২)। এই দুই জাতীয় সড়ক ধানবাদকে রাজ্যের রাজধানী রাঁচি ও শিল্প শহর জামশেদপুর এর সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়েছে। এই জাতীয় সড়ক দ্বারা আসানসোল, কলকাতা, দিল্লি, পাটনা প্রভৃতি শহরের সঙ্গে ধানবাদ শহর যুক্ত রয়েছে।এছাড়া রাজ্য সড়ক দ্বারা শহরটি পুরুলিয়া, হাজারিবাগ প্রভৃতি শক্ষরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। এই শহরের মধ্য দিয়ে চলে গেছে কলকাতা ও দিল্লিকে যুক্তকারী স্বর্ণ চতুর্ভুজ নামক মহাসড়ক।
রেলপথ[সম্পাদনা]
এই শহরের প্রধান রেল স্টেশন হল ধানবাদ রেলওয়ে স্টেশন। এই রেল স্টেশনটি পূর্ব ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন। এই শহরের মধ্য দিয়ে চলে গেছে হাওড়া-দিল্লি মূখ্য রেলপথ আর এই লাইনের উপর অবস্থিত ধানবাদ রেলওয়ে স্টেশন। এই রেলওয়ে স্টেশনে মোট ৯ টি প্লাটফর্ম রয়েছে। এই শহরে রয়েছে ধানবাদ রেলওয়ে বিভাগ। এই রেলওয়ে বিভাগটি মুম্বাই রেলওয়ে বিভাগ এর পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেলওয়ে বিভাগ। ধানবাদের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রন্তের রেল যোগাযোগ রয়েছে।
বিমানবন্দর[সম্পাদনা]
এই শহরে একটি বেসরকারি বিমানবন্দর রয়েছে। এছাড়া রাঁচি বিমানবন্দর, দুর্গাপুর বিমানবন্দর ও কলকাতা বিমানবন্দর দ্বারা এই শহরের বিমান যোগাযোগ সম্পন্ন হয়।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ / "২০১১ সালের আদম শুমারি (২০১১)"
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। সংগ্রহের তারিখ ০১-০৮-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)