পুলস্তি গুণরত্নে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পুলস্তি গুণরত্নে
පුලස්ති ගුණරත්න
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামপুলস্তি বরুণ গুণরত্নে
জন্ম (1973-09-27) ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ (বয়স ৫০)
কলম্বো, শ্রীলঙ্কা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১১২)
৭ আগস্ট ২০০২ বনাম বাংলাদেশ
শেষ ওডিআই১৮ মার্চ ২০০৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ২৩
রানের সংখ্যা ৩৬
ব্যাটিং গড় ৭.২০
১০০/৫০ -/-
সর্বোচ্চ রান ১৫*
বল করেছে ৯৫৯
উইকেট ২৭
বোলিং গড় ৩৩.৬২
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৪/৪৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ মে ২০২০

পুলস্তি বরুণ গুণরত্নে (সিংহলি: පුලස්ති ගුණරත්න; জন্ম: ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩) কলম্বো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০২ থেকে ২০০৩ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে অ্যান্টোনিয়ান্স স্পোর্টস ক্লাব, ব্লুমফিল্ড ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব, নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাব এবং তামিল ইউনিয়ন ও অ্যাথলেটিক ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন পুলস্তি গুণরত্নে

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৯৩-৯৪ মৌসুম থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত পুলস্তি গুণরত্নে’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ব্যাট ও বল হাতে দূর্দান্ত খেলা উপহার দিয়েছিলেন তিনি। ধারাভাষ্যকারদের কাছ থেকে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তেমন দর্শনীয় ব্যাটিং করতে না পারলেও বেশ কার্যকর ছিল। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি মাত্র দুইটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলতে পেরেছিলেন।

২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণকালীন ইতোমধ্যেই অভিজ্ঞতার ঝুলি পুড়েছিলেন পুলস্তি গুণরত্নে। ১৯৯৩ সালে ব্লুমফিল্ডের পক্ষে খেলতে শুরু করেন। ধূর্ততার সাথে সিম বোলিং করতেন। এছাড়াও, সিংহলভিত্তিক ক্রিকেট দলগুলোয় দক্ষ ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় নিজেকে আবির্ভূত করেছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তেইশটি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন পুলস্তি গুণরত্নে। ২৮ বছর বয়সে ৭ আগস্ট, ২০০২ তারিখে কলম্বোয় সফরকারী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। পরপর দুই বলে তুষার ইমরানের মাঝের স্ট্যাম্প ইয়র্কারে ভেঙে ফেলাসহ দুই উইকেট পান। ১৮ মার্চ, ২০০৩ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথে অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি। তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।

২০০২ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেন। ভারতের সাথে যৌথভাবে শিরোপা জয় করে তার দল। এছাড়াও, ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে সনাথ জয়াসুরিয়া’র নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কা দলের সদস্য ছিলেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তার দল সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পেরেছিল।

কিছুসময় দলের বাইরে থাকার পর কেনিয়ার বিপক্ষে অনানুষ্ঠানিক টেস্ট সিরিজে দারুণ খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০২ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Players / Sri Lanka / ODI caps"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০২০ 
  2. "Sri Lanka ODI Batting Averages"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০২০ 
  3. "Sri Lanka ODI Bowling Averages"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০২০ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]