নেপচুনিয়াম পর্যায় সারণীর অ্যাক্টিনাইড সিরিজের তথা গ্রুপ 3B এর অন্তর্গত একটি তেজস্ক্রিয় মৌল। প্রথম কৃত্রিমভাবে প্রস্তুতকৃত ট্রান্সইউরেনিয়াম মৌল হিসেবেও এর পরিচিতি রয়েছে। এটি রৌপ্য বর্ণের ধাতব পদার্থ।
এডুইন ম্যাটিসন ম্যাকমিলান (Edwin Mattison McMillan) এবং ফিলিপ হগ অ্যাবেলসন (Philip Hauge Abelson) নামক দুজন বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম ১৯৪০ সালে নেপচুনিয়াম তৈরি করেন। তারা ইউরেনিয়ামের আকরিকের নিউট্রন আবেশিত ট্রান্সমিউটেশন বিক্রিয়ার (Neutron-induced Transmutation Reaction) মাধ্যমে এটি প্রস্তুত করেন। মূলত সাইক্লোট্রন নামক যন্ত্র থেকে উচ্চ দ্রুতিসম্পন্ন নিউট্রন দ্বারা ইউরেনিয়ামকে আঘাত করার ফলে এটি উদ্ভাবনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।
ব্রিডার চুল্লীর মাধ্যমে ইউরেনিয়াম-২৩৮ থেকে প্লুটোনিয়াম তৈরির সময় উপজাত হিসেবে নেপচুনিয়াম উৎপাদিত হয়। এ ক্ষেত্রে সাধারণত প্লুটোনিয়ামের ১০০০ ভাগের ১ ভাগ নেপচুনিয়াম উৎপাদিত হয়।
এটি সাধারণত তিনটি কেলাস গঠন প্রদান করে। তবে কক্ষ তাপমাত্রায় আলফা-অর্থোরম্বিক গঠন দেখায়। রাসায়নিকভাবে সক্রিয় এ মৌলটির ধর্ম অনেকটা ইউরেনিয়াসের মতই। জলীয় দ্রবনে এটি বিভিন্ন আয়নের জন্য বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যমূলক বর্ণ প্রদান করে। যেমন :
Np3+ = হালকা পার্পল
Np4+ = হালকা হলুদাভ সবুজ
(NpO2)+ = সবুজাভ নীল
NpO2+ = অ্যানায়নের উপর নির্ভর করে বর্ণহীন থেকে গোলাপী অথবা হলুদাভ সবুজের মধ্যে পরিবর্তনশীল
নেপচুনিয়ামের সকল আইসোটোপই তেজম্ক্রিয়। সবচেয়ে স্থিতিশীল আইসোটোপ হচ্ছে নেপচুনিয়াম-২৩৭ যার অর্ধায়ুকাল ২,১৪০,০০০ বছর। আর সবচেয়ে অস্থিতিশীল আইসোটোপ হচ্ছে নেপচুনিয়াম-২৩২ যার অর্ধায়ুকাল ১৩ মিনিট।
↑Sanchez, Rene G.; Loaiza, David J.; Kimpland, Robert H.; Hayes, David K.; Cappiello, Charlene C.; Myers, William L.; Jaegers, Peter J.; Clement, Steven D.; Butterfield, Kenneth B.। "Criticality of a 237Np Sphere"(পিডিএফ)। Japanese Atomic Energy Agency। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-০৬।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)