বিষয়বস্তুতে চলুন

ইট্রিয়াম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Yttrium থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ইট্রিয়াম   ৩৯Y
উচ্চারণ/ˈɪtriəm/ (IT-ree-əm)
উপস্থিতিsilvery white
আদর্শ পারমাণবিক ভরAr°(Y)
পর্যায় সারণিতে ইট্রিয়াম
হাইড্রোজেন হিলিয়াম
লিথিয়াম বেরিলিয়াম বোরন কার্বন নাইট্রোজেন অক্সিজেন ফ্লোরিন নিয়ন
সোডিয়াম ম্যাগনেসিয়াম অ্যালুমিনিয়াম সিলিকন ফসফরাস সালফার ক্লোরিন আর্গন
পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম স্ক্যান্ডিয়াম টাইটেনিয়াম ভ্যানাডিয়াম ক্রোমিয়াম ম্যাঙ্গানিজ আয়রন Cobalt Nickel Copper Zinc Gallium Germanium Arsenic Selenium Bromine Krypton
Rubidium Strontium Yttrium Zirconium Niobium Molybdenum Technetium Ruthenium Rhodium Palladium Silver Cadmium Indium Tin Antimony Tellurium Iodine Xenon
Caesium Barium Lanthanum Cerium Praseodymium Neodymium Promethium Samarium Europium Gadolinium Terbium Dysprosium Holmium Erbium Thulium Ytterbium Lutetium Hafnium Tantalum Tungsten Rhenium Osmium Iridium Platinum Gold Mercury (element) Thallium Lead Bismuth Polonium Astatine Radon
Francium Radium Actinium Thorium Protactinium Uranium Neptunium Plutonium Americium Curium Berkelium Californium Einsteinium Fermium Mendelevium Nobelium Lawrencium Rutherfordium Dubnium Seaborgium Bohrium Hassium Meitnerium Darmstadtium Roentgenium Copernicium Nihonium Flerovium Moscovium Livermorium Tennessine Oganesson
Sc

Y

La
স্ট্রনসিয়ামইট্রিয়ামজিরকোনিয়াম
পারমাণবিক সংখ্যা৩৯
গ্রুপগ্রুপ ৩
পর্যায়পর্যায় ৫
ব্লক  ডি-ব্লক
ইলেকট্রন বিন্যাস[Kr] ৪d ৫s
প্রতিটি কক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা2, 8, 18, 9, 2
ভৌত বৈশিষ্ট্য
গলনাঙ্ক1799 কে (1526 °সে, 2779 °ফা)
স্ফুটনাঙ্ক3203 K (2930 °সে, 5306 °ফা)
ঘনত্ব (ক.তা.-র কাছে)4.472 g·cm−৩ (০ °সে-এ, ১০১.৩২৫ kPa)
তরলের ঘনত্বm.p.: 4.24 g·cm−৩
ফিউশনের এনথালপি11.42 kJ·mol−১
বাষ্পীভবনের এনথালপি363 kJ·mol−১
তাপ ধারকত্ব26.53 J·mol−১·K−১
বাষ্প চাপ
P (Pa) ১০ ১০০  k ১০ k ১০ k
at T (K) 1883 2075 (2320) (2627) (3036) (3607)
পারমাণবিক বৈশিষ্ট্য
জারণ অবস্থা3, 2, 1 (a weakly basic oxide)
তড়িৎ-চুম্বকত্ব1.22 (পলিং স্কেল)
আয়নীকরণ বিভব১ম: 600 kJ·mol−১
২য়: 1180 kJ·mol−১
৩য়: 1980 kJ·mol−১
পারমাণবিক ব্যাসার্ধempirical: 180 pm
সমযোজী ব্যাসার্ধ190±7 pm
বিবিধ
কেলাসের গঠন hexagonal close-packed (hcp)
Hexagonal close packed  জন্য কেলাসের গঠন{{{name}}}
শব্দের দ্রুতিপাতলা রডে: 3300 m·s−১ (at 20 °সে)
তাপীয় প্রসারাঙ্কα, poly: 10.6 µm·m−১·K−১ (at r.t.)
তাপীয় পরিবাহিতা17.2 W·m−১·K−১
তড়িৎ রোধকত্ব ও পরিবাহিতাα, poly: 596 nΩ·m (at r.t.)
চুম্বকত্বparamagnetic[]
ইয়ংয়ের গুণাঙ্ক63.5 GPa
কৃন্তন গুণাঙ্ক25.6 GPa
আয়তন গুণাঙ্ক41.2 GPa
পোয়াসোঁর অনুপাত0.243
ব্রিনেল কাঠিন্য200–589 MPa
ক্যাস নিবন্ধন সংখ্যা7440-65-5
ইট্রিয়ামের আইসোটোপ
প্রধান আইসোটোপ ক্ষয়
প্রাচুর্যতা অর্ধায়ু (t১/২) মোড পণ্য
৮৭Y সিন্থ ৩.৪ d ε ৮৭Sr
γ
৮৮Y সিন্থ ১০৬.৬ d ε ৮৮Sr
γ
৮৯Y 100% স্থিতিশীল
৯০Y সিন্থ ২.৭ d β ৯০Zr
γ
৯১Y সিন্থ ৫৮.৫ d β ৯১Zr
γ
বিষয়শ্রেণী বিষয়শ্রেণী: ইট্রিয়াম
| তথ্যসূত্র

ইট্রিয়াম একটি রাসায়নিক মৌল, এর প্রতীক Y ও পারমাণবিক সংখ্যা ৩৯। এটি রুপার মত দেখতে একটি অবস্থান্তর ধাতু যার রাসয়নিকধর্ম ল্যান্থানাইড মৌলগুলোর মত এবং এটি একটি বিরল মৃত্তিকা ধাতু। এটি প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না কিন্তু খনিতে অন্যান্য ল্যান্থানাইড মৌলের সাথে আকরিক অবস্থায় পাওয়া যায় []। এর একমাত্র সক্রিয় আইসোটোপ 89Y, যা ভুগর্ভে পাওয়া যায়।

ইট্রিয়ামের সংস্পর্শে ফুসফুসের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু জীবদেহে এর ভূমিকা এখনো অজানা []

আবিষ্কারের ইতিহাস

[সম্পাদনা]

১৭৮৭ সালে সুইডিশ রসায়নবিদ, কার্ল আক্সেল এরিনাস সুইডেনের ইট্রারবায়ে একটি নতুন খনিজ আকরিকের সন্ধান পান। তিনি গ্রামের নামানুসারে এর নাম দেন ইটারবাইট []। পরবর্তিতে ১৭৮৯ সালে জন গাডোলিন আবিষ্কার করেন আকরিকটি মূলত ইট্রিয়াম অক্সাইড। ১৮২৮ সালে ইট্রিয়াম ধাতু প্রথম পৃথকিকরণ করেন ফ্রেডরিখ ভোলার []

প্রাচুর্যতা

[সম্পাদনা]

ইট্রিয়াম বিরল খনিজ যা আকরিক অবস্থায় পাওয়া যায় []। এটি ইউরেনিয়ামের আকরিকে ও পাওয়া যায় কিন্তু ভূগর্ভে মুক্ত অবস্থায় কখনো পাওয়া যায় না[]। প্রাচুর্যতার দিক থেকে ইট্রিয়াম ভূগর্ভের ২৮ তম ধাতু। এটি ভূগর্ভে ৩১ প্রতি-অংশ অঙ্কানুপাত হারে পাওয়া যায় যা রুপার তুলনায় ৪০০ গুন বেশি [১০]। এটি মাটিতে ১০-১৫০ প্রতি-অংশ অঙ্কানুপাত ( শুকনো ভরে ২৩ প্রতি-অংশ অঙ্কানুপাত ) এবং সমূদ্রের পানিতে ২৩ প্রতি-অংশ অঙ্কানুপাত হারে পাওয়া যায় [১০]অ্যাপোলো মহাশূন্য অভিযানে সংগ্রহকৃত চন্দ্র পাথর নমুনায় অতি উচ্চ মাত্রায় ইট্রিয়ামের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় [১১]

ইট্রিয়াম প্রায় সকল জীবদেহে পাওয়া যায় তথাপি জীবে এর ভূমিকা এখনো অজানা। মানবদেহের যকৃত, বৃক্ক, প্লীহা, ফুসফুস এবং হাড়ে এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়[১২]। সাধারণত, সমগ্র মানবদেহে মাত্র ০.৫ মিলিগ্রাম ইট্রিয়াম পাওয়া যায়। বুকের দুধে ৪ পিপএম ইট্রিয়াম পাওয়া যায়। গাছপালায় ২০ পিপিএম পর্যন্ত ইট্রিয়াম পাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি ১০০ পিপিএম পাওয়া যায় বাধাকপিতে। গাছের বীজে সবচেয়ে বেশি ৭০০ পিপিএম পর্যন্ত ইট্রিয়াম পাওয়া গেছে [১৩]

ইট্রিয়াম এর দৃশ্যমান বর্ণালী

২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে জাপানের ছোট একটি দ্বীপে বিশাল পরিমাণ বিরল মৃত্তিকা ধাতুর মজুদ আবিষ্কৃত হয়। মিনামি-তরি-সিমা দ্বীপটি মারকাস দ্বীপ নামেও পরিচিত যেখানে বিরল মৃত্রিকা ধাতু এবং ইট্রিয়ামের বিশাল মজুদ রয়েছে। সাইন্টিফিক রিপোর্ট প্রকশিত এক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে বলা হয় বিরল মৃত্তিকা ধাতু এবং ইট্রিয়াম যুক্ত কাদার প্রচুর সম্ভাবনা আছে। প্রবন্ধটিতে আরও বলা হয় নিকট ভবিষ্যতে ১৬ মিলিয়ন টনের অধিক ইট্রিয়াম সহ অন্যান্য বিরল মৃত্তিকা উপাদান আহরণ করা সম্ভব, যা ক্যামরা লেন্স এবং মোবাইল ফোনের পর্দায় ব্যবহার হবে[১৪]

বৈশিষ্ট্য

[সম্পাদনা]

ভৌত ধর্ম

[সম্পাদনা]

ইট্রিয়াম নরম, রুপ্য বর্ণের, খুবই উজ্জ্বল এবং স্ফটিক বিরল মৃত্তিকা ধাতু। প্রাকৃতিকভাবে এটি অন্যান্য বিরল মৃত্তিকা ধাতু সাথে যৌগ গঠন করে থাকে। [১৫]। বিশুদ্ধ ইট্রিয়াম খুবই অস্থিতিশীল ধাতু। এদের আঘাত করা হলে প্রজ্জলিত হয় যা ৪০০ °C পর্যন্ত তাপমাত্রা সৃষ্টি করতে পারে []

রাসায়নিক ধর্ম

[সম্পাদনা]

ইট্রিয়ামের রাসয়নিকধর্ম ল্যান্থানাইড মৌলগুলোর সাথে খুবই সদৃশ। মুক্ত অবস্থায় বাতাসে এদের গায়ে ইট্রিয়াম অক্সাইডের (Y2O3) প্রলেপ পড়ে যা ৭৫০ °C তাপমাত্রায় ১০µm পুরু হতে পারে। অতি উচ্চ (১০০০ °C) তাপমাত্রায় এরা ইট্রিয়াম নাইট্রাইড (YN) তৈরি করে []

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Standard Atomic Weights: ইট্রিয়াম"CIAAW। ২০২১।
  2. Prohaska, Thomas; Irrgeher, Johanna; Benefield, Jacqueline; Böhlke, John K.; Chesson, Lesley A.; Coplen, Tyler B.; Ding, Tiping; Dunn, Philip J. H.; Gröning, Manfred; Holden, Norman E.; Meijer, Harro A. J. (৪ মে ২০২২)। "Standard atomic weights of the elements 2021 (IUPAC Technical Report)"Pure and Applied Chemistry (ইংরেজি ভাষায়)। ডিওআই:10.1515/pac-2019-0603আইএসএসএন 1365-3075
  3. Lide, D. R., সম্পাদক (২০০৫)। "Magnetic susceptibility of the elements and inorganic compounds"। CRC Handbook of Chemistry and Physics (পিডিএফ) (86th সংস্করণ)। Boca Raton (FL): CRC Press। আইএসবিএন ০-৮৪৯৩-০৪৮৬-৫
  4. IUPAC contributors (2005). Connelly N G; Damhus T; Hartshorn R M; Hutton A T (eds.). Nomenclature of Inorganic Chemistry: IUPAC Recommendations 2005 (PDF). RSC Publishing. p. 51. ISBN 978-0-85404-438-2. Archived from the original on 2009-03-04. Retrieved 2007-12-17
  5. Occupational Safety and Health। Routledge। ৯ মে ২০১৭। পৃ. ২২৭–২৩৪। আইএসবিএন ৯৭৮১১৩৮০৩৫০৫৮
  6. van der Krogt, Peter (2005-05-05). "39 Yttrium". Elementymology & Elements Multidict. Retrieved 2008-08-06
  7. 1 2 3 CRC contributors (2007–2008). "Yttrium". In Lide, David R. (ed.). CRC Handbook of Chemistry and Physics. 4. New York: CRC Press. p. 41. ISBN 978-0-8493-0488-0
  8. Whynne-Hammond, Charles. (১৯৮৫)। Elements of human geography (2nd ed সংস্করণ)। London: Allen & Unwin। আইএসবিএন ০০৪৯১০০৮১৫ {{বই উদ্ধৃতি}}: |edition=-এ অতিরিক্ত লেখা রয়েছে (সাহায্য)
  9. "Contributors"Social Text২৬ (2): np–np। ২০০৮। ডিওআই:10.1215/01642472-26-2_95-npআইএসএসএন 0164-2472
  10. 1 2 Emsley, John (সেপ্টেম্বর ২০০১)। "Good news is no news"Nature৪১৩ (6852): ১১৩–১১৩। ডিওআই:10.1038/35093175আইএসএসএন 0028-0836
  11. "Population Growth, Change, and Impact Eve Stwertka Albert Stwertka"The American Biology Teacher৪৬ (6): ৩৪৯–৩৪৯। সেপ্টেম্বর ১৯৮৪। ডিওআই:10.2307/4447866আইএসএসএন 0002-7685
  12. Alexander, G. V.; Nusbaum, R. E. (মে ১৯৫২)। "Emission Spectrographic Analysis of Organic Solids for Inorganic Constituents"Analytical Chemistry২৪ (5): ৭৯৩–৭৯৫। ডিওআই:10.1021/ac60065a009আইএসএসএন 0003-2700
  13. Emsley, John (অগাস্ট ২০০১)। "Good news is no news"Nature৪১৩ (6852): ১১৩–১১৩। ডিওআই:10.1038/35093175আইএসএসএন 0028-0836 {{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: |তারিখ= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)
  14. "Imports, billions of US dollars"dx.doi.org। ১১ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৯
  15. Greenwood, N. N.; Earnshaw, A. (1997). Chemistry of the Elements (2nd ed.). Oxford: Butterworth-Heinemann. ISBN 978-0-7506-3365-9.

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]