সৌদ বিন আবদুল আজিজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
নতুন পৃষ্ঠা: {{Infobox royalty|monarch |name = সৌদ বিন আবদুল আজিজ |image = Saud of Saudi Arabia.jpg | caption = ১৯৫২... |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{Infobox royalty|monarch |
{{Infobox royalty|monarch |
||
|name = সৌদ বিন আবদুল আজিজ |
|name = সৌদ বিন আবদুল আজিজ |
||
|image = Saud |
|image = King Saud.jpg |
||
| caption = |
|||
| caption = ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে সৌদ বিন আবদুল আজিজ |
|||
|full name = সৌদ বিন আবদুল আজিজ বিন আবদুর রহমান বিন ফয়সাল বিন তুর্কি বিন আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মদ বিন সৌদ |
|full name = সৌদ বিন আবদুল আজিজ বিন আবদুর রহমান বিন ফয়সাল বিন তুর্কি বিন আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মদ বিন সৌদ |
||
|native name = {{lang|ar|[[الملك سعود]]}} |
|native name = {{lang|ar|[[الملك سعود]]}} |
||
২৪ নং লাইন: | ২৪ নং লাইন: | ||
'''সৌদ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ''' ({{IPAc-en|s|ɑː|ˈ|uː|d}};<ref>[http://dictionary.reference.com/browse/saud "Saud"]. ''[[Random House Webster's Unabridged Dictionary]]''.</ref> {{lang-ar|سعود بن عبد العزيز آل سعود}} {{transl|ar|''Su'ūd ibn 'Abd al-'Azīz Āl Su'ūd''}}; ১৫ জানুয়ারি ১৯০২ –২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯) ছিলেন [[সৌদি আরব|সৌদি আরবের]] বাদশাহ। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বপালন করেন। তার বাবা [[আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ|আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের]] মৃত্যুর পর তিনি সৌদি আরবের বাদশাহ হন। |
'''সৌদ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ''' ({{IPAc-en|s|ɑː|ˈ|uː|d}};<ref>[http://dictionary.reference.com/browse/saud "Saud"]. ''[[Random House Webster's Unabridged Dictionary]]''.</ref> {{lang-ar|سعود بن عبد العزيز آل سعود}} {{transl|ar|''Su'ūd ibn 'Abd al-'Azīz Āl Su'ūd''}}; ১৫ জানুয়ারি ১৯০২ –২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯) ছিলেন [[সৌদি আরব|সৌদি আরবের]] বাদশাহ। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বপালন করেন। তার বাবা [[আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ|আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের]] মৃত্যুর পর তিনি সৌদি আরবের বাদশাহ হন। |
||
{| class="infobox" align="right" width="25%" style="border:1px solid #ddd; margin:0 0 1em 1em; padding:0 0 1em 1em; vertical-align:right; font-size:80%;" |
|||
!colspan="2" align="center"|<big>গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা</big> |
|||
|- |
|||
|align="right" |১৯৫৬ |
|||
|[[সুয়েজ সংকট|সুয়েজ সংকটের]] কারণে সৌদি আরব ব্রিটেন ও ফ্রান্সে তেল রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। |
|||
|- |
|||
|align="right" |১৯৫৭ |
|||
| আইসেনহাওয়ারের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সফর। |
|||
|- |
|||
|align="right" |১৯৫৭ |
|||
| সৌদি আরব [[আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল|আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের]] সদস্য হয়। |
|||
|- |
|||
|align="right" |১৯৬১ |
|||
| জনপ্রশাসন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য রাজকীয় ফরমান জারি। |
|||
|- |
|||
|align="right" |১৯৬১ |
|||
| সৌদ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যান। |
|||
|- |
|||
|align="right" |১৯৬২ |
|||
| সৌদি টেলিভিশন প্রতিষ্ঠা। |
|||
|- |
|||
|align="right" |১৯৬৩ |
|||
| ইরাকি-কুয়েতি সংঘর্ষের পর [[সৌদি আরব]] [[কুয়েত]] থেকে সেনা ফিরিয়ে নেয়। |
|||
|} |
|||
==প্রারম্ভিক জীবন== |
|||
যুবরাজ সৌদ ১৯০২ সালের ১৫ জানুয়ারি [[কুয়েত সিটি|কুয়েত সিটিতে]] জন্মগ্রহণ করেন।<ref name=kingsaudnet>{{cite web|title=Chronological events of the history of King Saud|url=http://www.kingsaud.net/at/pdf.php?a=1120|work=King Saud|accessdate=2 June 2012}}</ref><ref name=cralls62>{{cite news|last=Ralls|first=Charles|title=King Saud arrives here for convelescence stay|url=http://news.google.com/newspapers?id=7nItAAAAIBAJ&sjid=lIwFAAAAIBAJ&pg=1661,3283777&dq=king+abdulaziz's+wife&hl=en|accessdate=9 February 2013|newspaper=Palm Beach Daily News|date=25 January 1962}}</ref><ref name=bfg>{{cite journal|title=Riyadh. The capital of monotheism|journal=Business and Finance Group|url=http://www.bfg-global.com/pdfnw/pdf/eng/1-ensalman.pdf|accessdate=22 July 2013}}</ref> আমির আবদুর রহমান বিন ফয়সালের ঘরে তার জন্ম হয়। [[রিয়াদ]] থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর তার পরিবার সাক্কাত আনাজা জেলায় অবস্থান করছিল। ১৯০২ সালে তার বাবা আবদুল আজিজ [[রিয়াদ]] জয় করার পর সৌদ তার মা ও ভাইদের সাথে সেখানে চলে যান। |
|||
যুবরাজ সৌদের একমাত্র আপন ভাই ছিলেন তুর্কি বিন আবদুল আজিজ।<ref name=infsource/> তার মা ওয়াদাহ বিনতে মুহাম্মদ বিন আকাব ছিলেন আবদুল আজিজের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং কাহতান গোত্রীয়।<ref name=infsource>{{cite web|title=Ibn Saud marries for a second time|url=http://www.ibnsaud.info/main/1015.htm|publisher=Information Source|accessdate=3 April 2013}}</ref><ref>{{cite journal|last=Yamani|first=Mai|title=From fragility to stability: a survival strategy for the Saudi monarchy|journal=Contemporary Arab Affairs|date=March 2009|volume=2|issue=1|pages=90–105|doi=10.1080/17550910802576114|url=http://www.maiyamani.com/pdf/From%20Fragility%20to%20stability.pdf|accessdate=5 April 2012}}</ref><ref name=Chai2005>{{cite book|author=Winberg Chai|title=Saudi Arabia: A Modern Reader|url=http://books.google.com/books?id=lh4bENPP_HEC&pg=PA193|accessdate=26 February 2013|date=22 September 2005|publisher=University Press|isbn=978-0-88093-859-4|page=193}}</ref> |
|||
পাঁচ বছর বয়সে তাকে শেখ আবদুর রহমান মুফাইরিজের কাছে পাঠানো হয়। তিনি কুরআন ও শরিয়া বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন। তীরনিক্ষেপ ও অশ্বারোহণও তিনি শিক্ষালাভ করেন। রাজনৈতিক দক্ষতার উন্নয়নের জন্য আবদুল আজিজ তাকে বিভিন্ন মিটিঙে উপস্থিত রাখতেন।<ref name=kingsaud.net/>{{dead link|date=মার্চ ২০১৫}}{{citation needed|date=মার্চ ২০১৫}} |
|||
১৩ বছর বয়সে সৌদের প্রথম রাজনৈতিক মিশন শুরু হয়। তিনি [[কাতার|কাতারে]] একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। ১৯২১ সালে তিনি হাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ইয়েমেনে লড়াই করা সৌদি সেনাদের প্রধান হয়ে উঠেন। বাদশাহ হওয়ার আগে তিনি আটটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।<ref name="kingsaud.net"/>{{dead link|date=June 2013}}{{citation needed|date=June 2013}} |
|||
১৯৩৩ সালের ১১ মে তিনি তার পিতা কর্তৃক যুবরাজ ঘোষিত হন।<ref name=geor>{{cite book|author=George Kheirallah|title=Arabia Reborn|date=1952|publisher=University of New Mexico Press|location=Albuquerque|page=254|url=https://www.questia.com/read/682471/arabia-reborn|accessdate=14 March 2015}}{{Subscription required|via=Questia}}</ref> ১৯৩৭ সালে তিনি ও তার ভাই মুহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ লন্ডনে রাজা [[ষষ্ঠ জর্জ|ষষ্ঠ জর্জের]] সিংহাসন আরোহণ অনুষ্ঠানে তাদের বাবা [[ইবনে সৌদ|ইবনে সৌদের]] প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন।<ref name=sem2001>{{cite web|title=Saudi Foreign Policy|url=http://www.saudiembassy.net/files/PDF/Publications/Magazine/2001-Fall/Working.htm|work=Saudi Embassy Magazine|accessdate=18 July 2013|date=Fall 2001}}</ref> বাদশাহ আবদুল আজিজের মৃত্যুর পূর্বে ১৯৫৩ সালের ১১ অক্টোবর যুবরাজ সৌদকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।<ref name=chrono>{{cite web|title=Chronography of King Abdulaziz period|url=http://sacmclubs.org/king_abdulaziz/main/3700.htm|publisher=King Abdulaziz Information Source|accessdate=9 August 2012}}</ref> সৌদ তার বাবার খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর তিনি বলেন, “আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি...এবং আমার বন্ধুকে”।<ref name="kingsaud.net">[http://www.kingsaud.net/inside/brown/index4.html kingsaud.net] {{dead link|date=মার্চ ২০১৫}}</ref>{{citation needed|date=মার্চ ২০১৫}} |
|||
==শাসন== |
|||
১৯৫৩ সালের ৯ নভেম্বর সৌদ তার বাবার উত্তরসুরি হিসেবে সৌদি আরবের বাদশাহ হন।<ref name=cralls62/> তিনি তার বাবার তুলনায় কম যোগ্য ছিলেন। রাষ্ট্র দেওলিয়া হওয়ার দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল।<ref>{{cite web|last=van Eijk|first=Esther|title=Sharia and national law in Saudi Arabia|url=http://dare.uva.nl/document/221087#page=140|publisher=Leiden University|accessdate=8 April 2012}}</ref> সেসময় সৌদি আরব অর্থনৈতিকভাবে সংগ্রামরত হলেও তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগার নিজের পারিবারিক কাজে ব্যবহার করেন। |
|||
===জাতীয় নীতি=== |
|||
বাদশাহ সৌদ বেশ কিছু সরকারি মন্ত্রণালয় স্থাপন করেছেন। ১৯৫৭ সালে তিনি রিয়াদে [[কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি]] প্রতিষ্ঠা করেন। |
|||
সৌদ তার ছেলেদেরকে দায়িত্বপূর্ণ পদ দেয়ার পক্ষে ছিলেন। তাদের তিনি বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের সরকারি পদে বসান। ১৯৫৭ সাল নাগাদ তার ছেলে ফাহাদ প্রতিরক্ষামন্ত্রী, মুসাইদ রয়েল গার্ডের প্রধান, খালিদ ন্যাশনাল গার্ডের দায়িত্ব ও সাদকে স্পেশাল গার্ডে নিয়োগ দেয়া হয়।<ref>{{cite web|last=Kapoor|first=Talal|title=The Kingdom: Succession in Saudi Arabia (part two)|url=http://www.datarabia.com/royals/viewCommentary.do?id=2777|publisher=Datarabia|accessdate=11 May 2012|date=1 November 2007}}</ref><ref name=alrasheed02>Alrasheed M. (2002) A History of Saudi Arabia Cambridge University Press; pp. 108–9</ref> অন্যান্য ছেলেরা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদ লাভঁ করেন, এদের মধ্যে ছিলেন দ্বিতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুহাম্মদ, রিয়াদ প্রদেশের গভর্নর বদর ও মক্কা প্রদেশের গভর্নর আবদুল্লাহ যিনি “ছোট রাজা” বলে পরিচিত হন। তার এসকল নিয়োগ তার সৎভাইদের অসন্তুষ্ট করে। তাদের মত ছিল যে সৌদের সন্তানরা এখনো অনভিজ্ঞ। সৌদ তার সন্তানদের কাউকে উত্তরসুরি করবেন বলে তাদের আশংকা ছিল।<ref name=succ/> |
|||
বাদশাহ সৌদ ব্যক্তিগতভাবে ও দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত নিতেন। ব্যক্তির উপর সংগঠনের ধারণা তিনি পোষণ করতেন না। তিনি প্রাচীন আরবের ধারণার অনুবর্তী হলেও সৌদি আরব এসময় বিভিন্ন শক্তি ও নতুন প্রবণতার মুখোমুখি হতে থাকে। অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের তুলনায় বেশি বিদেশি শ্রমিকের আগমন শহরের সৌদি নাগরিকদের প্রভাবিত করে এবং বিভিন্ন নতুন মূল্যবোধের সম্মুখীন করে তোলে। [[আরামকো|আরামকোর]] কর্মীরা দুইবার ধর্মঘট করেছিল। প্রথমবার ১৯৫৩ সালে যখন অভিবাসী কর্মীদের নেতৃত্বে সৌদি কর্মীরা উন্নততর কাজের পরিবেশ দাবি করে এবং দ্বিতীয়বার ১৯৫৬ সালে যখন [[আরামকো|আরামকোর]] কর্মীরা সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল করে যার উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রকে দাহরান বিমানঘাটি ব্যবহারের জন্য প্রদত্ত লিজ নবায়ন করা।<ref name=nehme94>{{cite journal|last=Nehme|first=Michel G.|title=Saudi Arabia 1950–80: Between Nationalism and Religion|journal=Middle Eastern Studies,|year=1994|volume=30|issue=4|pages=930–943|url=http://www.jstor.org/stable/4283682|accessdate=11 April 2012|doi=10.1080/00263209408701030}}</ref> |
|||
বাদশাহ সৌদ [[মুসলিম ব্রাদারহুড|মুসলিম ব্রাদারহুডের]] কর্মীদের সৌদি আরবের স্বাগত জানান। মিশর থেকে ব্রাদারহুড কর্মীরা পালাচ্ছিল।<ref>{{cite journal|last=Bronson|first=Racher|title=Rethinking Religion: The Legacy of the US-Saudi Relations|journal=The Washington Quarterly|year=2005|volume=28|issue=4|pages=121–137|url=http://www.mafhoum.com/press8/249P5.pdf|accessdate=8 April 2012|doi=10.1162/0163660054798672}}</ref> |
|||
===বৈদেশিক সম্পর্ক=== |
|||
[[File:Arab Defense Pact Signing 1957.jpg|thumb|right|[[মিশর]], [[সিরিয়া]], [[জর্ডান]] ও [[সৌদি আরব|সৌদি আরবের]] মধ্যে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর, জানুয়ারি ১৯৫৭। সামনে বাম থেকে ডানে, জর্ডানের প্রধানমন্ত্রী সুলাইমান আল নাবুলসি, জর্ডানের বাদশাহ [[হুসাইন বিন তালাল]], সৌদি আরবের বাদশাহ সৌদ বিন আবদুল আজিজ, মিশরের রাষ্ট্রপতি [[জামাল আবদেল নাসের]], সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী [[সাবরি আল আসালি]]।]] |
|||
বাদশাহ সৌদ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তার বাবার মত জড়িত না হওয়ার নীতি থেকে সরে আসেন।<ref name=nehme94/> প্রথমে তিনি নিরপেক্ষ থাকার জন্য মিশর ও সিরিয়ার জোটে ভূমিকা রাখেন। পশ্চিমা সাহায্যপ্রাপ্ত আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা চুক্তি [[বাগদাদ চুক্তি|বাগদাদ চুক্তির]] প্রতিবাদের উদ্দেশ্যে এই নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল। ১৯৫৫ সালে [[মিশর]], [[সিরিয়া]] ও [[সৌদি আরব|সৌদি আরবের]] মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একইসময় সৌদ [[সুয়েজ খাল|সুয়েজ খালের]] গ্রহণ বিষয়ে [[জামাল আবদেল নাসের|জামাল আবদেল নাসেরের]] পদক্ষেপে সমর্থন করেন। ফ্রান্স ও ব্রিটেনের সাথে তিনি কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখেন এবং তাদের তেল সরবরাহ স্থগিত করেছিলেন। দ্বিতীয়ত, ১৯৫৭ সালে তিনি [[আইজেনহাওয়ার ডকট্রিন]] সমর্থন করেন। সুয়েজ সংকটের পর মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক শূণ্যতা পূরণের জন্য এর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল [[সোভিয়েত ইউনিয়ন|সোভিয়েত ইউনিয়নকে]] যেকোনো মূল্যে এই অঞ্চল থেকে বাইরে রাখা। ধারণা করা হয়েছিল যে সৌদি সমর্থনের ফলে সব আরব নেতা তা মেনে নেবে। সৌদকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এসময় প্রতিরক্ষা মূল্যের জন্য ২৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ দেয়া হয়।<ref name=nehme94/> |
|||
দুইদিক থেকে সৌদকে হারতে হয়। সুয়েজ সংকটের সময় মিশরের পাশে দাড়ানোয় তেল রপ্তানি কমে যায়। অন্যদিকে আইজেনহাওয়ার ডকট্রিন গ্রহণ করায় উদীয়মান [[আরব জাতীয়তাবাদ|আরব জাতীয়তাবাদি]] ও [[নাসেরবাদ|নাসেরবাদিরা]] তার বিপক্ষে চলে যায়। নাসেরের উত্থানের কারণে সৌদ চিন্তিত ছিলেন। মিশরে সামরিক অভ্যুত্থানের পর আরব বিশ্ব থেকে রাজতন্ত্র উৎখাতের প্রচারণা শুরু হয়। [[জর্ডান]], [[ইরাক]], [[কুয়েত]], [[ইয়েমেন]], [[সৌদি আরব]] ও [[লিবিয়া|লিবিয়ায়]] এসময় রাজতন্ত্র ছিল। সিরিয়ায় রাজা [[হুসাইন বিন তালাল|হুসাইন বিন তালালকে]] ক্ষমতচ্যুত করার পরিকল্পনা করা হলে তিনি সৌদি সরকারের কাছে সাহায্য চান। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে আম্মানে বেদুইন সেনা ও পাঁচ লক্ষ স্টারলিং অর্থ পাঠানো হয়। এর ফলশ্রুতিতে জর্ডান ও ইরাক পারস্পরিক নিরাপত্তার জন্য [[আরব ফেডারেশন]] নামক ইউনিয়ন গঠন করে। এতে সৌদের সমর্থন ছিল। তিনি জর্ডানের বাদশাহ হুসাইনের ক্ষমতার পক্ষে ছিলেন। একই সময় তিনি [[ইউনাইটেড আরব রিপাবলিক]] ভাঙার চেষ্টা করেন। [[জামাল আবদেল নাসের|জামাল আবদেল নাসেরকে]] হত্যা পরিকল্পনার পেছনে তিনি ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।<ref name=nehme94/> |
|||
১৯৫০ এর দশকের মধ্যভাগ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবের সাথে [[সোভিয়েত ইউনিয়ন|সোভিয়েত ইউনিয়নের]] সমর্থনপ্রাপ্ত মিশরের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক চলছিল। |
|||
==ফয়সালের সাথে দ্বন্দ্ব== |
|||
[[আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ|আবদুল আজিজের]] মৃত্যুর পর সৌদ ও [[ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ|ফয়সালের]] মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। তেল থেকে অর্জিত মুনাফা বৃদ্ধি পেলেও তা রাষ্ট্রের ঋণ সংক্রান্ত অর্থনৈতিক সমস্যা দূর করতে যথেষ্ট ছিল না। ১৯৫৩ সালে এর পরিমাণ ছিল প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১৯৫৮ সালে তা দ্বিগুণ হয়ে যায়। মার্কিন ডলারের বিপরীতে সৌদি রিয়ালের মূল্য অর্ধেক নেমে যায়। আরামকো ও আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলো ঋণের জন্য সৌদি আবেদন ফিরিয়ে দেয়। সৌদ তার শুরু করা সরকারি নির্মাণগুলো স্থগিত করেন কিন্তু তার প্রাসাদ নির্মাণ অব্যাহত রাখেন।<ref name=alrasheed02/> |
|||
রাজনৈতিক দায়িত্ববোধ ও সরকারের স্তর নিয়ে সৌদ ও ফয়সালের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। সৌদকে প্রায় তেলের মুনাফার অপব্যয়, বিলাসবহুল প্রাসাদ ও সৌদি আরবের ভেতরে বাইরে ষড়যন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত করা হয়। অন্যদিকে ফয়সালকে সম্পর্কিত করা হয় মিতব্যয়ীতা, দয়া, আধুনিকতা ইত্যাদির সাথে। এছাড়াও ভাইয়ের খরচের লাগাম টেনে ধরা ও সৌদি আরবের অর্থনৈতিক সংকট দূর করার জন্য ফয়সালের ইচ্ছাকেও দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বের সাথে সম্পর্কিত করা হয়। |
|||
সৌদ একটি ফরমানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত করেন ফলে বাদশাহ পদাধিকারবলে প্রধানমন্ত্রীর পদ লাভ করেন। অন্যদিকে ফয়সাল যুবরাজ হিসেবে আরো বেশি ক্ষমতার রাখার পক্ষপাতি ছিলেন।<ref name=alrasheed02/> |
|||
==ক্ষমতাচ্যুতি== |
|||
[[File:Mashhoor bin Saud.jpg|thumbnail|বাদশাহ সৌদ ও তার ছেলে মাশহুর বিন সৌদ]] |
|||
বাদশাহ সৌদের অমিতব্যয়িতা ও [[জামাল আবদেল নাসের|জামাল আবদেল নাসেরের]] সমাজতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জগুলো প্রতিহত করতে না পারায় পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত ছিলেন। দুর্নীতি ও পিছিয়ে থাকার ফলে শাসন দুর্বল হয়ে পড়ছিল। এছাড়া রেডিও কায়রোর সৌদি বিরোধী প্রচারণার চালাচ্ছিল। |
|||
১৯৬২ সাল নাগাদ বাদশাহ সৌদ ও যুবরাজ ফয়সালের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। এসময় সৌদ চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলে ফয়সাল বাদশাহর অনুপস্থিতিতে মন্ত্রীসভা গঠন করেন। [[ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ|ফাহাদ]] ও [[সুলতান বিন আবদুল আজিজ|সুলতানের]] সাথে [[ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ|ফয়সাল]] মিত্রতা গঠন করেন। ফয়সালের নতুন সরকার সৌদের সন্তানদের বাদ দিয়ে দেয়। তিনি দশ দফা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন যার মধ্যে মৌলিক আইনের প্রণয়ন, দাস প্রথার বিলুপ্তি ও বিচারিক কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ ছিল। |
|||
বাদশাহ সৌদ যুবরাজ ফয়সালের নতুন ব্যবস্থা প্রত্যাখ্যান করেন এবং রয়েল গার্ডকে ব্যবহারের হুমকি দেন। যুবরাজ ফয়সাল ন্যাশনাল গার্ডকে সৌদের বিরুদ্ধে অগ্রসর করেন। [[উলামা|উলামাদের]] মত ও রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্যদের চাপের কারণে সৌদ পিছু হটেন ও ক্ষমতা ত্যাগে রাজি হন। |
|||
বাদশাহ সৌদ প্রথমে [[সুইজারল্যান্ড|সুইজারল্যান্ডের]] [[জেনেভা|জেনেভায়]] ও পরে ইউরোপের অন্যান্য শহরে নির্বাসিত হন। ১৯৬৬ সালে [[জামাল আবদেল নাসের]] তাকে মিশরে বসবাস করার জন্য আবেদন জানান। অন্য একটি সূত্র মতে নাসেরের আশ্রয় প্রতিশ্রুতির কারণে সৌদ মিশরে যান এবং সেখানে ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন।<ref name=succ>{{cite book|last=Kechichian|first=Joseph A.|title=Succession in Saudi Arabia|year=2001|publisher=Palgrave|location=New York|url=http://books.google.com.tr/books?id=79Fs5bLPgBYC&pg=PA9&lpg=PA9&dq=succession+in+saudi+arabia&source=bl&ots=YFljq6DjSQ&sig=jUyMCiI4Fo3DWpozWA8fR6pC9jY&hl=en&sa=X&ei=CuZ-T7bEK9Gp0AWAuoGTBw&redir_esc=y#v=onepage&q=succession%20in%20saudi%20arabia&f=false|accessdate=6 April 2012}}</ref> তাকে রেডিও কায়রো থেকে প্রচারণা চালাতে অনুমতি দেয়া হয়।<ref name=succ/> তার ছেলেদের কয়েকজন খালিদ, বদর, সুলতান ও মনসুর তার সাথে যোগ দেয় এবং তার ক্ষমতালাভের চেষ্টায় সমর্থন দেয়। তবে ১৯৬৭ সালে [[ছয়দিনের যুদ্ধ|ছয়দিনের যুদ্ধের]] পর তিনি মিশরের সমর্থন হারান এবং গ্রীসে চলে যান।<ref name=succ/> |
|||
==ব্যক্তিগত জীবন== |
|||
সৌদ বেশ কয়েকটি বিয়ে করেছিলেন। তার ১১৫জন সন্তান ছিল।<ref name=acton>{{cite news|title=The Acton princess calling for reform in Saudi Arabia: Royal runs campaign for change in her homeland from a suburb in west London|url=http://www.independent.co.uk/news/people/news/the-acton-princess-calling-for-reform-in-saudi-arabia-6284225.html|newspaper=The Independent|last=Milmo|first=Cahal|date=3 January 2012|accessdate=21 June 2012}}</ref> তবে তাদের মধ্যে অল্প কয়েকজন জনসম্পর্কিত দায়িত্ব পালন করেছেন।<ref name=shen>{{cite web|last=Henderson|first=Simon|title=The Next Generation of Saudi Princes: Who Are They?|url=http://www.thecuttingedgenews.com/index.php?article=52963&pageid=&pagename=|work=The Cutting Edge|accessdate=26 May 2012|date=26 October 2011}}</ref> তারা মন্ত্রী ও বিভিন্ন প্রদেশের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান। তার মেয়ে হাসাহ সৌদি আরবের বিদ্যালয়ে প্রথম নারী প্রধান শিক্ষক।<ref>{{cite news|title=Speaking of King Saud|url=http://www.arabnews.com/node/293145|accessdate=23 April 2013|year=2007|newspaper=Arab News}}</ref> |
|||
==মৃত্যু ও জানাজা== |
|||
১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সৌদ মারা যান। তিনি ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার লাশ মক্কায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং [[মসজিদুল হারাম|মসজিদুল হারামে]] তার জানাজা হয়। [[রিয়াদ|রিয়াদের]] আল আউদ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।<ref name=kingsofk>{{cite web|title=The kings of the Kingdom|url=http://beta.mci.gov.sa/English/AboutKingdom/Pages/KingdomKings.aspx|publisher=Ministry of Commerce and Industry|accessdate=28 July 2012}}</ref><ref name=gnews11>{{cite news|last=Shaheen|first=Abdul Nabi|title=Sultan will have simple burial at Al Oud cemetery|url=http://gulfnews.com/news/gulf/saudi-arabia/sultan-will-have-simple-burial-at-al-oud-cemetery-1.916706|accessdate=29 July 2012|newspaper=Gulf News|date=23 October 2011}}</ref> |
|||
{{-}} |
|||
==তথ্যসূত্র== |
==তথ্যসূত্র== |
||
{{Reflist|colwidth=33em}} |
{{Reflist|colwidth=33em}} |
১৫:০০, ২৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
সৌদ বিন আবদুল আজিজ | |||||
---|---|---|---|---|---|
সৌদি আরবের বাদশাহ | |||||
রাজত্ব | ৯ নভেম্বর ১৯৫৩ – ২ নভেম্বর ১৯৬৪ | ||||
পূর্বসূরি | আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ | ||||
উত্তরসূরি | ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ | ||||
জন্ম | কুয়েত সিটি | ১৫ জানুয়ারি ১৯০২||||
মৃত্যু | ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ এথেন্স, গ্রীস | (বয়স ৬৭)||||
সমাধি | আল আউদ কবরস্থান, রিয়াদ | ||||
| |||||
রাজবংশ | আল সৌদ | ||||
পিতা | আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ | ||||
মাতা | ওয়াদাহ বিনতে মুহাম্মদ বিন আকাব | ||||
ধর্ম | ইসলাম |
সৌদ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ (/sɑːˈuːd/;[১] আরবি: سعود بن عبد العزيز آل سعود Su'ūd ibn 'Abd al-'Azīz Āl Su'ūd; ১৫ জানুয়ারি ১৯০২ –২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯) ছিলেন সৌদি আরবের বাদশাহ। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বপালন করেন। তার বাবা আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের মৃত্যুর পর তিনি সৌদি আরবের বাদশাহ হন।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা | |
---|---|
১৯৫৬ | সুয়েজ সংকটের কারণে সৌদি আরব ব্রিটেন ও ফ্রান্সে তেল রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। |
১৯৫৭ | আইসেনহাওয়ারের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সফর। |
১৯৫৭ | সৌদি আরব আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সদস্য হয়। |
১৯৬১ | জনপ্রশাসন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য রাজকীয় ফরমান জারি। |
১৯৬১ | সৌদ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যান। |
১৯৬২ | সৌদি টেলিভিশন প্রতিষ্ঠা। |
১৯৬৩ | ইরাকি-কুয়েতি সংঘর্ষের পর সৌদি আরব কুয়েত থেকে সেনা ফিরিয়ে নেয়। |
প্রারম্ভিক জীবন
যুবরাজ সৌদ ১৯০২ সালের ১৫ জানুয়ারি কুয়েত সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন।[২][৩][৪] আমির আবদুর রহমান বিন ফয়সালের ঘরে তার জন্ম হয়। রিয়াদ থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর তার পরিবার সাক্কাত আনাজা জেলায় অবস্থান করছিল। ১৯০২ সালে তার বাবা আবদুল আজিজ রিয়াদ জয় করার পর সৌদ তার মা ও ভাইদের সাথে সেখানে চলে যান।
যুবরাজ সৌদের একমাত্র আপন ভাই ছিলেন তুর্কি বিন আবদুল আজিজ।[৫] তার মা ওয়াদাহ বিনতে মুহাম্মদ বিন আকাব ছিলেন আবদুল আজিজের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং কাহতান গোত্রীয়।[৫][৬][৭]
পাঁচ বছর বয়সে তাকে শেখ আবদুর রহমান মুফাইরিজের কাছে পাঠানো হয়। তিনি কুরআন ও শরিয়া বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন। তীরনিক্ষেপ ও অশ্বারোহণও তিনি শিক্ষালাভ করেন। রাজনৈতিক দক্ষতার উন্নয়নের জন্য আবদুল আজিজ তাকে বিভিন্ন মিটিঙে উপস্থিত রাখতেন।[৮][অকার্যকর সংযোগ][তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৩ বছর বয়সে সৌদের প্রথম রাজনৈতিক মিশন শুরু হয়। তিনি কাতারে একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। ১৯২১ সালে তিনি হাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ইয়েমেনে লড়াই করা সৌদি সেনাদের প্রধান হয়ে উঠেন। বাদশাহ হওয়ার আগে তিনি আটটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।[৮][অকার্যকর সংযোগ][তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯৩৩ সালের ১১ মে তিনি তার পিতা কর্তৃক যুবরাজ ঘোষিত হন।[৯] ১৯৩৭ সালে তিনি ও তার ভাই মুহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ লন্ডনে রাজা ষষ্ঠ জর্জের সিংহাসন আরোহণ অনুষ্ঠানে তাদের বাবা ইবনে সৌদের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন।[১০] বাদশাহ আবদুল আজিজের মৃত্যুর পূর্বে ১৯৫৩ সালের ১১ অক্টোবর যুবরাজ সৌদকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[১১] সৌদ তার বাবার খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর তিনি বলেন, “আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি...এবং আমার বন্ধুকে”।[৮][তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
শাসন
১৯৫৩ সালের ৯ নভেম্বর সৌদ তার বাবার উত্তরসুরি হিসেবে সৌদি আরবের বাদশাহ হন।[৩] তিনি তার বাবার তুলনায় কম যোগ্য ছিলেন। রাষ্ট্র দেওলিয়া হওয়ার দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল।[১২] সেসময় সৌদি আরব অর্থনৈতিকভাবে সংগ্রামরত হলেও তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগার নিজের পারিবারিক কাজে ব্যবহার করেন।
জাতীয় নীতি
বাদশাহ সৌদ বেশ কিছু সরকারি মন্ত্রণালয় স্থাপন করেছেন। ১৯৫৭ সালে তিনি রিয়াদে কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন।
সৌদ তার ছেলেদেরকে দায়িত্বপূর্ণ পদ দেয়ার পক্ষে ছিলেন। তাদের তিনি বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের সরকারি পদে বসান। ১৯৫৭ সাল নাগাদ তার ছেলে ফাহাদ প্রতিরক্ষামন্ত্রী, মুসাইদ রয়েল গার্ডের প্রধান, খালিদ ন্যাশনাল গার্ডের দায়িত্ব ও সাদকে স্পেশাল গার্ডে নিয়োগ দেয়া হয়।[১৩][১৪] অন্যান্য ছেলেরা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদ লাভঁ করেন, এদের মধ্যে ছিলেন দ্বিতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুহাম্মদ, রিয়াদ প্রদেশের গভর্নর বদর ও মক্কা প্রদেশের গভর্নর আবদুল্লাহ যিনি “ছোট রাজা” বলে পরিচিত হন। তার এসকল নিয়োগ তার সৎভাইদের অসন্তুষ্ট করে। তাদের মত ছিল যে সৌদের সন্তানরা এখনো অনভিজ্ঞ। সৌদ তার সন্তানদের কাউকে উত্তরসুরি করবেন বলে তাদের আশংকা ছিল।[১৫]
বাদশাহ সৌদ ব্যক্তিগতভাবে ও দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত নিতেন। ব্যক্তির উপর সংগঠনের ধারণা তিনি পোষণ করতেন না। তিনি প্রাচীন আরবের ধারণার অনুবর্তী হলেও সৌদি আরব এসময় বিভিন্ন শক্তি ও নতুন প্রবণতার মুখোমুখি হতে থাকে। অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের তুলনায় বেশি বিদেশি শ্রমিকের আগমন শহরের সৌদি নাগরিকদের প্রভাবিত করে এবং বিভিন্ন নতুন মূল্যবোধের সম্মুখীন করে তোলে। আরামকোর কর্মীরা দুইবার ধর্মঘট করেছিল। প্রথমবার ১৯৫৩ সালে যখন অভিবাসী কর্মীদের নেতৃত্বে সৌদি কর্মীরা উন্নততর কাজের পরিবেশ দাবি করে এবং দ্বিতীয়বার ১৯৫৬ সালে যখন আরামকোর কর্মীরা সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল করে যার উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রকে দাহরান বিমানঘাটি ব্যবহারের জন্য প্রদত্ত লিজ নবায়ন করা।[১৬]
বাদশাহ সৌদ মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মীদের সৌদি আরবের স্বাগত জানান। মিশর থেকে ব্রাদারহুড কর্মীরা পালাচ্ছিল।[১৭]
বৈদেশিক সম্পর্ক
বাদশাহ সৌদ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তার বাবার মত জড়িত না হওয়ার নীতি থেকে সরে আসেন।[১৬] প্রথমে তিনি নিরপেক্ষ থাকার জন্য মিশর ও সিরিয়ার জোটে ভূমিকা রাখেন। পশ্চিমা সাহায্যপ্রাপ্ত আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা চুক্তি বাগদাদ চুক্তির প্রতিবাদের উদ্দেশ্যে এই নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল। ১৯৫৫ সালে মিশর, সিরিয়া ও সৌদি আরবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একইসময় সৌদ সুয়েজ খালের গ্রহণ বিষয়ে জামাল আবদেল নাসেরের পদক্ষেপে সমর্থন করেন। ফ্রান্স ও ব্রিটেনের সাথে তিনি কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখেন এবং তাদের তেল সরবরাহ স্থগিত করেছিলেন। দ্বিতীয়ত, ১৯৫৭ সালে তিনি আইজেনহাওয়ার ডকট্রিন সমর্থন করেন। সুয়েজ সংকটের পর মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক শূণ্যতা পূরণের জন্য এর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নকে যেকোনো মূল্যে এই অঞ্চল থেকে বাইরে রাখা। ধারণা করা হয়েছিল যে সৌদি সমর্থনের ফলে সব আরব নেতা তা মেনে নেবে। সৌদকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এসময় প্রতিরক্ষা মূল্যের জন্য ২৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ দেয়া হয়।[১৬]
দুইদিক থেকে সৌদকে হারতে হয়। সুয়েজ সংকটের সময় মিশরের পাশে দাড়ানোয় তেল রপ্তানি কমে যায়। অন্যদিকে আইজেনহাওয়ার ডকট্রিন গ্রহণ করায় উদীয়মান আরব জাতীয়তাবাদি ও নাসেরবাদিরা তার বিপক্ষে চলে যায়। নাসেরের উত্থানের কারণে সৌদ চিন্তিত ছিলেন। মিশরে সামরিক অভ্যুত্থানের পর আরব বিশ্ব থেকে রাজতন্ত্র উৎখাতের প্রচারণা শুরু হয়। জর্ডান, ইরাক, কুয়েত, ইয়েমেন, সৌদি আরব ও লিবিয়ায় এসময় রাজতন্ত্র ছিল। সিরিয়ায় রাজা হুসাইন বিন তালালকে ক্ষমতচ্যুত করার পরিকল্পনা করা হলে তিনি সৌদি সরকারের কাছে সাহায্য চান। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে আম্মানে বেদুইন সেনা ও পাঁচ লক্ষ স্টারলিং অর্থ পাঠানো হয়। এর ফলশ্রুতিতে জর্ডান ও ইরাক পারস্পরিক নিরাপত্তার জন্য আরব ফেডারেশন নামক ইউনিয়ন গঠন করে। এতে সৌদের সমর্থন ছিল। তিনি জর্ডানের বাদশাহ হুসাইনের ক্ষমতার পক্ষে ছিলেন। একই সময় তিনি ইউনাইটেড আরব রিপাবলিক ভাঙার চেষ্টা করেন। জামাল আবদেল নাসেরকে হত্যা পরিকল্পনার পেছনে তিনি ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।[১৬]
১৯৫০ এর দশকের মধ্যভাগ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবের সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থনপ্রাপ্ত মিশরের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক চলছিল।
ফয়সালের সাথে দ্বন্দ্ব
আবদুল আজিজের মৃত্যুর পর সৌদ ও ফয়সালের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। তেল থেকে অর্জিত মুনাফা বৃদ্ধি পেলেও তা রাষ্ট্রের ঋণ সংক্রান্ত অর্থনৈতিক সমস্যা দূর করতে যথেষ্ট ছিল না। ১৯৫৩ সালে এর পরিমাণ ছিল প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১৯৫৮ সালে তা দ্বিগুণ হয়ে যায়। মার্কিন ডলারের বিপরীতে সৌদি রিয়ালের মূল্য অর্ধেক নেমে যায়। আরামকো ও আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলো ঋণের জন্য সৌদি আবেদন ফিরিয়ে দেয়। সৌদ তার শুরু করা সরকারি নির্মাণগুলো স্থগিত করেন কিন্তু তার প্রাসাদ নির্মাণ অব্যাহত রাখেন।[১৪]
রাজনৈতিক দায়িত্ববোধ ও সরকারের স্তর নিয়ে সৌদ ও ফয়সালের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। সৌদকে প্রায় তেলের মুনাফার অপব্যয়, বিলাসবহুল প্রাসাদ ও সৌদি আরবের ভেতরে বাইরে ষড়যন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত করা হয়। অন্যদিকে ফয়সালকে সম্পর্কিত করা হয় মিতব্যয়ীতা, দয়া, আধুনিকতা ইত্যাদির সাথে। এছাড়াও ভাইয়ের খরচের লাগাম টেনে ধরা ও সৌদি আরবের অর্থনৈতিক সংকট দূর করার জন্য ফয়সালের ইচ্ছাকেও দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বের সাথে সম্পর্কিত করা হয়।
সৌদ একটি ফরমানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত করেন ফলে বাদশাহ পদাধিকারবলে প্রধানমন্ত্রীর পদ লাভ করেন। অন্যদিকে ফয়সাল যুবরাজ হিসেবে আরো বেশি ক্ষমতার রাখার পক্ষপাতি ছিলেন।[১৪]
ক্ষমতাচ্যুতি
বাদশাহ সৌদের অমিতব্যয়িতা ও জামাল আবদেল নাসেরের সমাজতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জগুলো প্রতিহত করতে না পারায় পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত ছিলেন। দুর্নীতি ও পিছিয়ে থাকার ফলে শাসন দুর্বল হয়ে পড়ছিল। এছাড়া রেডিও কায়রোর সৌদি বিরোধী প্রচারণার চালাচ্ছিল।
১৯৬২ সাল নাগাদ বাদশাহ সৌদ ও যুবরাজ ফয়সালের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। এসময় সৌদ চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলে ফয়সাল বাদশাহর অনুপস্থিতিতে মন্ত্রীসভা গঠন করেন। ফাহাদ ও সুলতানের সাথে ফয়সাল মিত্রতা গঠন করেন। ফয়সালের নতুন সরকার সৌদের সন্তানদের বাদ দিয়ে দেয়। তিনি দশ দফা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন যার মধ্যে মৌলিক আইনের প্রণয়ন, দাস প্রথার বিলুপ্তি ও বিচারিক কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ ছিল।
বাদশাহ সৌদ যুবরাজ ফয়সালের নতুন ব্যবস্থা প্রত্যাখ্যান করেন এবং রয়েল গার্ডকে ব্যবহারের হুমকি দেন। যুবরাজ ফয়সাল ন্যাশনাল গার্ডকে সৌদের বিরুদ্ধে অগ্রসর করেন। উলামাদের মত ও রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্যদের চাপের কারণে সৌদ পিছু হটেন ও ক্ষমতা ত্যাগে রাজি হন।
বাদশাহ সৌদ প্রথমে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ও পরে ইউরোপের অন্যান্য শহরে নির্বাসিত হন। ১৯৬৬ সালে জামাল আবদেল নাসের তাকে মিশরে বসবাস করার জন্য আবেদন জানান। অন্য একটি সূত্র মতে নাসেরের আশ্রয় প্রতিশ্রুতির কারণে সৌদ মিশরে যান এবং সেখানে ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন।[১৫] তাকে রেডিও কায়রো থেকে প্রচারণা চালাতে অনুমতি দেয়া হয়।[১৫] তার ছেলেদের কয়েকজন খালিদ, বদর, সুলতান ও মনসুর তার সাথে যোগ দেয় এবং তার ক্ষমতালাভের চেষ্টায় সমর্থন দেয়। তবে ১৯৬৭ সালে ছয়দিনের যুদ্ধের পর তিনি মিশরের সমর্থন হারান এবং গ্রীসে চলে যান।[১৫]
ব্যক্তিগত জীবন
সৌদ বেশ কয়েকটি বিয়ে করেছিলেন। তার ১১৫জন সন্তান ছিল।[১৮] তবে তাদের মধ্যে অল্প কয়েকজন জনসম্পর্কিত দায়িত্ব পালন করেছেন।[১৯] তারা মন্ত্রী ও বিভিন্ন প্রদেশের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান। তার মেয়ে হাসাহ সৌদি আরবের বিদ্যালয়ে প্রথম নারী প্রধান শিক্ষক।[২০]
মৃত্যু ও জানাজা
১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সৌদ মারা যান। তিনি ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার লাশ মক্কায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং মসজিদুল হারামে তার জানাজা হয়। রিয়াদের আল আউদ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।[২১][২২]
তথ্যসূত্র
- ↑ "Saud". Random House Webster's Unabridged Dictionary.
- ↑ "Chronological events of the history of King Saud"। King Saud। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১২।
- ↑ ক খ Ralls, Charles (২৫ জানুয়ারি ১৯৬২)। "King Saud arrives here for convelescence stay"। Palm Beach Daily News। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "Riyadh. The capital of monotheism" (পিডিএফ)। Business and Finance Group। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৩।
- ↑ ক খ "Ibn Saud marries for a second time"। Information Source। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ Yamani, Mai (মার্চ ২০০৯)। "From fragility to stability: a survival strategy for the Saudi monarchy" (পিডিএফ)। Contemporary Arab Affairs। 2 (1): 90–105। ডিওআই:10.1080/17550910802576114। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ Winberg Chai (২২ সেপ্টেম্বর ২০০৫)। Saudi Arabia: A Modern Reader। University Press। পৃষ্ঠা 193। আইএসবিএন 978-0-88093-859-4। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ ক খ গ kingsaud.net [অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ George Kheirallah (১৯৫২)। Arabia Reborn। Albuquerque: University of New Mexico Press। পৃষ্ঠা 254। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৫। – via Questia (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
- ↑ "Saudi Foreign Policy"। Saudi Embassy Magazine। Fall ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৩।
- ↑ "Chronography of King Abdulaziz period"। King Abdulaziz Information Source। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১২।
- ↑ van Eijk, Esther। "Sharia and national law in Saudi Arabia"। Leiden University। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ Kapoor, Talal (১ নভেম্বর ২০০৭)। "The Kingdom: Succession in Saudi Arabia (part two)"। Datarabia। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১২।
- ↑ ক খ গ Alrasheed M. (2002) A History of Saudi Arabia Cambridge University Press; pp. 108–9
- ↑ ক খ গ ঘ Kechichian, Joseph A. (২০০১)। Succession in Saudi Arabia। New York: Palgrave। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ ক খ গ ঘ Nehme, Michel G. (১৯৯৪)। "Saudi Arabia 1950–80: Between Nationalism and Religion"। Middle Eastern Studies,। 30 (4): 930–943। ডিওআই:10.1080/00263209408701030। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ Bronson, Racher (২০০৫)। "Rethinking Religion: The Legacy of the US-Saudi Relations" (পিডিএফ)। The Washington Quarterly। 28 (4): 121–137। ডিওআই:10.1162/0163660054798672। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ Milmo, Cahal (৩ জানুয়ারি ২০১২)। "The Acton princess calling for reform in Saudi Arabia: Royal runs campaign for change in her homeland from a suburb in west London"। The Independent। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১২।
- ↑ Henderson, Simon (২৬ অক্টোবর ২০১১)। "The Next Generation of Saudi Princes: Who Are They?"। The Cutting Edge। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১২।
- ↑ "Speaking of King Saud"। Arab News। ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "The kings of the Kingdom"। Ministry of Commerce and Industry। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১২।
- ↑ Shaheen, Abdul Nabi (২৩ অক্টোবর ২০১১)। "Sultan will have simple burial at Al Oud cemetery"। Gulf News। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১২।
বহিঃসংযোগ
সৌদ বিন আবদুল আজিজ জন্ম: ১৯০২ মৃত্যু: ১৯৬৯
| ||
রাজত্বকাল শিরোনাম | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ |
সৌদি আরবের বাদশাহ ৯ নভেম্বর ১৯৫৩ – ২ নভেম্বর ১৯৬৪ |
উত্তরসূরী ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ |
Saudi Arabian royalty | ||
পূর্বসূরী নেই |
সৌদি আরবের যুবরাজ ১১ মে ১৯৩৩ – ৯ নভেম্বর ১৯৫৩ |
উত্তরসূরী ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ |
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
পূর্বসূরী নতুন পদ |
সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী | উত্তরসূরী ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ |
পূর্বসূরী ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ |
সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী | উত্তরসূরী খালিদ বিন আবদুল আজিজ |