জার্মানি জাতীয় ফুটবল দল
ডাকনাম | ন্যাশনালএলফ (জাতীয় একাদশ) ডিএফবি-এলফ (ডিএফবি একাদশ) ডি মানশাফট (দল)[ক] | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন | ||
কনফেডারেশন | উয়েফা (ইউরোপ) | ||
প্রধান কোচ | হান্স-ডিটার ফ্লিক | ||
অধিনায়ক | মানুয়েল নয়ার | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | লোথার মাথেউস (১৫০) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | মিরোস্লাভ ক্লোসা (১১২) | ||
মাঠ | আলিয়ানৎস আরেনা | ||
ফিফা কোড | GER | ||
ওয়েবসাইট | www | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | 01 | ||
সর্বোচ্চ | ১ (ডিসেম্বর ১৯৯২– আগস্ট ১৯৯৩, ডিসেম্বর ১৯৯৩– মার্চ ১৯৯৪, জুন ১৯৯৪, জুলাই ২০১৪– জুন ২০১৫, জুলাই ২০১৭, সেপ্টেম্বর ২০১৭– জুন ২০১৮) | ||
সর্বনিম্ন | ০১ (মার্চ ২০০৬) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | 01 | ||
সর্বোচ্চ | ১ (১৯৯০–৯২, ১৯৯৩–৯৪, ১৯৯৬–৯৭, জুলাই ২০১৪– মে ২০১৬, অক্টোবর ২০১৭– নভেম্বর ২০১৭) | ||
সর্বনিম্ন | ১ (সেপ্টেম্বর ১৯২৪ – অক্টোবর ১৯২৫) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
সুইজারল্যান্ড ৫–৩ জার্মানি (বাজেল, সুইজারল্যান্ড; ৫ এপ্রিল ১৯০৮)[৩] | |||
বৃহত্তম জয় | |||
জার্মানি ১৬–০ রুশ সাম্রাজ্য (স্টকহোম, সুইডেন; ১ জুলাই ১৯১২) সান মারিনো ০–১৩ জার্মানি (সেরাভাল্লে, সান মারিনো; ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ [৪] | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
ইংল্যান্ড ৪–৩ জার্মানি (অক্সফোর্ড, আর্জেন্টিনা; ১৩ মার্চ ১৯০৯)[৫] | |||
বিশ্বকাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১৯ (১৯৩৪-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | চ্যাম্পিয়ন (১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০, ২০১৪) | ||
উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ | |||
অংশগ্রহণ | ১৩ (১৯৭২-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | চ্যাম্পিয়ন (১৯৭২, ১৯৮০, ১৯৯৬) | ||
কনফেডারেশন্স কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ৩ (১৯৯৯-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | চ্যাম্পিয়ন (২০১৭) |
জার্মানি জাতীয় ফুটবল দল (জার্মান: Deutsche Fußballnationalmannschaft) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে জার্মানির প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম জার্মানির ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯০৪ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯০৮ সালের ৫ই এপ্রিল তারিখে, জার্মানি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; সুইজারল্যান্ডের বাজেলের অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে জার্মানি সুইজারল্যান্ডের কাছে ৫–৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। জার্মানি হচ্ছে ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের শেষ চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০১৭ সালে চিলিকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।
৭০,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট আলিয়ানৎস আরেনায় ডি মানশাফট নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় জার্মানির রাজধানী ফ্রাঙ্কফুর্টে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন হান্স-ডিটার ফ্লিক এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন বায়ার্ন মিউনিখের গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার।
জার্মানি ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম সফল দল, যারা এপর্যন্ত ৪ বার (১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০ এবং ২০১৪) বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছে। এছাড়া উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও জার্মানি অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ৩টি (১৯৭২, ১৯৮০ এবং ১৯৯৬) শিরোপা জয়লাভ করেছে।
লোথার মাথেউস, মিরোস্লাভ ক্লোসা, লুকাস পোডলস্কি, গের্ড ম্যুলার এবং রুডি ফোলারের মতো খেলোয়াড়গণ জার্মানির জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
র্যাঙ্কিং
[সম্পাদনা]ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯২ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে জার্মানি তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (১ম) অর্জন করে এবং ২০০৬ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ২২তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে জার্মানির সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১ম (যা তারা সর্বপ্রথম ১৯৯০ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ২৪। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
- ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
১৪ | ১ | কলম্বিয়া | ১৬৫৫.২৯ |
১৫ | ১ | মেক্সিকো | ১৬৫২.৭ |
১৬ | জার্মানি | ১৬৩১.২২ | |
১৭ | জাপান | ১৬২০.১৯ | |
১৮ | সুইজারল্যান্ড | ১৬১৩.৪৪ |
- বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
১২ | ৫ | ইতালি | ১৯৩৮ |
১৩ | ৫ | জাপান | ১৯০৯ |
১৪ | ৫ | জার্মানি | ১৮৮৬ |
১৫ | ৪ | ইকুয়েডর | ১৮৮৩ |
১৬ | ৬ | ইউক্রেন | ১৮৫০ |
প্রতিযোগিতামূলক তথ্য
[সম্পাদনা]ফিফা বিশ্বকাপ
[সম্পাদনা]ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | |||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ||
১৯৩০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | ||||||||||||||
১৯৩৪ | ৩য় স্থান নির্ধারণী | ৩য় | ৪ | ৩ | ০ | ১ | ১১ | ৮ | ১ | ১ | ০ | ০ | ৯ | ১ | ||
১৯৩৮ | প্রথম পর্ব | ১০ম | ২ | ০ | ১ | ১ | ৩ | ৫ | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ১১ | ১ | ||
১৯৫০ | নিষিদ্ধ | |||||||||||||||
১৯৫৪ | ফাইনাল | ১ম | ৬ | ৫ | ০ | ১ | ২৫ | ১৪ | ৪ | ৩ | ১ | ০ | ১২ | ৩ | ||
১৯৫৮ | ৩য় স্থান নির্ধারণী | ৪র্থ | ৬ | ২ | ২ | ২ | ১২ | ১৪ | পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উত্তীর্ণ | |||||||
১৯৬২ | কোয়ার্টার-ফাইনাল | ৭ম | ৪ | ২ | ১ | ১ | ৪ | ২ | ৪ | ৪ | ০ | ০ | ১১ | ৫ | ||
১৯৬৬ | ফাইনাল | ২য় | ৬ | ৪ | ১ | ১ | ১৫ | ৬ | ৪ | ৩ | ১ | ০ | ১৪ | ২ | ||
১৯৭০ | ৩য় স্থান নির্ধারণী | ৩য় | ৬ | ৫ | ০ | ১ | ১৭ | ১০ | ৬ | ৫ | ১ | ০ | ২০ | ৩ | ||
১৯৭৪ | ফাইনাল | ১ম | ৭ | ৬ | ০ | ১ | ১৩ | ৪ | আয়োজক হিসেবে উত্তীর্ণ | |||||||
১৯৭৮ | দ্বিতীয় গ্রুপ পর্ব | ৬ষ্ঠ | ৬ | ১ | ৪ | ১ | ১০ | ৫ | পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উত্তীর্ণ | |||||||
১৯৮২ | ফাইনাল | ২য় | ৭ | ৩ | ২ | ২ | ১২ | ১০ | ৮ | ৮ | ০ | ০ | ৩৩ | ৩ | ||
১৯৮৬ | ফাইনাল | ২য় | ৭ | ৩ | ২ | ২ | ৮ | ৭ | ৮ | ৫ | ২ | ১ | ২২ | ৯ | ||
১৯৯০ | ফাইনাল | ১ম | ৭ | ৫ | ২ | ০ | ১৫ | ৫ | ৬ | ৩ | ৩ | ০ | ১৩ | ৩ | ||
১৯৯৪ | কোয়ার্টার-ফাইনাল | ৫ম | ৫ | ৩ | ১ | ১ | ৯ | ৭ | পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উত্তীর্ণ | |||||||
১৯৯৮ | কোয়ার্টার-ফাইনাল | ৭ম | ৫ | ৩ | ১ | ১ | ৮ | ৬ | ১০ | ৬ | ৪ | ০ | ২৩ | ৯ | ||
২০০২ | ফাইনাল | ২য় | ৭ | ৫ | ১ | ১ | ১৪ | ৩ | ১০ | ৬ | ৩ | ১ | ১৯ | ১২ | ||
২০০৬ | ৩য় স্থান নির্ধারণী | ৩য় | ৭ | ৫ | ১ | ১ | ১৪ | ৬ | আয়োজক হিসেবে উত্তীর্ণ | |||||||
২০১০ | ৩য় স্থান নির্ধারণী | ৩য় | ৭ | ৫ | ০ | ২ | ১৬ | ৫ | ১০ | ৮ | ২ | ০ | ২৬ | ৫ | ||
২০১৪ | ফাইনাল | ১ম | ৭ | ৬ | ১ | ০ | ১৮ | ৪ | ১০ | ৯ | ১ | ০ | ৩৬ | ১০ | ||
২০১৮ | গ্রুপ পর্ব | ২২তম | ৩ | ১ | ০ | ২ | ২ | ৪ | ১০ | ১০ | ০ | ০ | ৪৩ | ৪ | ||
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | ||||||||||||||
মোট | ৪টি শিরোপা | ১৯/২১ | ১০৯ | ৬৭ | ২০ | ২২ | ২২৬ | ১২৫ | ৯৪ | ৭৪ | ১৮ | ২ | ২৯২ | ৭০ |
অর্জন
[সম্পাদনা]
শিরোপা[সম্পাদনা]
|
পুরস্কার[সম্পাদনা]
|
টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ জার্মানিতে, এই দলটি সাধারণত ডি ন্যাশনালমানশাফট (জাতীয় দল), ডিএফবি-এলফ (ডিএফবি), ডিএফবি-আউসওয়াহল (ডিএফবি নির্বাচিত) অথবা ন্যাশনালএলফ (জাতীয় একাদশ) নামে পরিচিত। বিদেশী গণমাধ্যমে, এই দলটিকে সাধারণত ডি মানশাফট (দল) হিসেবেই অভিহিত করা হয়।[১] ২০১৫ সালের জুন মাস হতে, এগুলো ডিএফবি দ্বারা এই দলের আনুষ্ঠানিক ডাকনাম হিসেবে স্বীকৃত।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "The "Mannschaft" :: National Teams :: DFB – Deutscher Fußball-Bund e.V."। dfb.de। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৮।
- ↑ "DFB unveil new 'Die Mannschaft' branding"। DFB। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৫।
- ↑ "All matches of The National Team in 1908"। DFB। ২৩ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০০৮।
- ↑ "All matches of The National Team in 1912"। DFB। ২২ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০০৮।
- ↑ "All matches of The National Team in 1909"। DFB। ১০ জুন ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০০৮।
- ↑ "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র্যাঙ্কিং"। ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩।
- ↑ গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"। eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি) (জার্মান)
- ফিফা-এ জার্মানি জাতীয় ফুটবল দল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ জুন ২০১৮ তারিখে (ইংরেজি)
- উয়েফা-এ জার্মানি জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি)