বিষয়বস্তুতে চলুন

১৯৭৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১৯৭৫ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল
প্রতিযোগিতা১৯৭৫ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অস্ট্রেলিয়া
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ অস্ট্রেলিয়া
২৯১/৮ ২৭৪/১০
৬০ ওভার ৫৮.৪ ওভার
তারিখ২১ জুন, ১৯৭৫
মাঠলর্ড’স ক্রিকেট গ্রাউন্ড, লন্ডন, ইংল্যান্ড
আম্পায়ারডিকি বার্ডটম স্পেন্সার
← প্রযোজ্য নয়

১৯৭৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল (ইংরেজি: 1975 ICC Cricket World Cup Final) ২১ জুন, ১৯৭৫ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত হয়। গ্রুপ পর্যায়ে বি গ্রুপের দুইটি দল - ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং অস্ট্রেলিয়া একে-অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ক্লাইভ লয়েড ওয়েস্ট ইন্ডিজের এবং ইয়ান চ্যাপেল অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দলকে নেতৃত্ব দেন। এতে অস্ট্রেলিয়াকে ১৭ রানের স্বল্প ব্যবধানে পরাজিত করে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চ্যাম্পিয়ন হয় ও প্রুডেনশিয়াল কাপ জয় করে।

১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় কাউকে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার প্রদান করা হয় নাই।

উত্তরণ

[সম্পাদনা]

সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার গ্যারি গিলমোর বোলার হিসেবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। তিনি মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট লাভ করেন। ফলে, ইংল্যান্ড ৩৬.২ ওভারে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় ও তাদের ফাইনালে খেলার সাধ তিরোহিত হয়। এক পর্যায়ের তারা ৭ উইকেটের বিনিময়ে ৩৭ রান করেছিল। অস্ট্রেলিয়াও নাটকীয়ভাবে ৬ উইকেটে ৩৯ রান সংগ্রহ করে। কিন্তু গিলমোরের ৫টি চার ও ২৮ বলে ২৮ রানে করা অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়।

অন্য সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জয়ী হয়ে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। বোলিং আক্রমণ ঠেকিয়ে নিউজিল্যান্ডের রান এক উইকেটে ৯৮ হয়। কিন্তু অধিনায়ক গ্লেন টার্নার এবং জিওফ হাওয়ার্থ আউট হয়ে ফিরে গেলে নিউজিল্যান্ডের বাকী ৯ উইকেটে আর মাত্র ৬০ রান সংগ্রহ করতে পারে। ১৫৮ রানের জবাবে আলভিন কালীচরণগর্ডন গ্রীনিজের ২য় উইকেট জুটিতে ১২৫ রান করে সহজ জয় তুলে নেয়। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফাইনালে চলে যায়।

বিবরণ

[সম্পাদনা]

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্লাইভ লয়েডের অধিনায়কোচিত সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়াকে ১৭ রানে পরাভূত করে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে। ৮৫ বলে ১০২ রানে করা তার এ ইনিংসে তিনি সর্বমোট ১২টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। অসাধারণ এ ইনিংসের জন্যে তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার অর্জন করেন।[] অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল শীর্ষস্তরের ব্যাটসম্যানদের রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যাওয়া। দ্রুত রান নিতে গিয়েই দলের সর্বমোট পাঁচজন ব্যাটসম্যান এভাবে আউট হন; তন্মধ্যে ভিভ রিচার্ডস একাই তিনটি রান আউট করেন।

অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল টসে জয়ী হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদেরকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান। ৫০ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট পতনের পর রোহন কানহাই এবং ক্লাইভ লয়েড ক্রীজে নামেন। ৪র্থ উইকেটে এ জুটি ১৪৯ রান করে দলকে খেলায় ফিরিয়ে আনে। লয়েড আউট হবার সময় দলের রান হয় ৪/১৯৯। এরপর দলের সংগ্রহ এক পর্যায়ে দাড়ায় ৬/২০৯। তারপর নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের কল্যাণে দলটি সর্বমোট ২৯১ রান করে। এ রানের প্রত্যুত্তরে অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ চ্যাপেল ও ইয়ান চ্যাপেল ভ্রাতৃদ্বয় দলকে ২/১১৫ নিয়ে যান। কিন্তু ভিভ রিচার্ডসের সহায়তায় লয়েড কর্তৃক ইয়ান চ্যাপেলের রান আউট এবং ডগ ওয়াল্টার্সের উইকেট হারালে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙ্গে পড়ে। এরফলে অস্ট্রেলিয়া ২৭৪ রানে অল-আউট হয়ে যায় ও ১৭ রানে পরাজিত হয়।[]

সংক্ষিপ্ত ফলাফল

[সম্পাদনা]
২১ জুন, ১৯৭৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজ 
২৯১/৮ (৬০ ওভার)
 অস্ট্রেলিয়া
২৭৪ (৫৮.৪ ওভার)
ক্লাইভ লয়েড ১০২ (৮৫)
গ্যারি গিলমোর ৫/৪৮ (১২ ওভার)
ইয়ান চ্যাপেল (৬২ (৯৩)
কিথ বয়েস ৪/৫০ (১২ ওভার)

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]