বৃহত্তর বাংলাদেশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৩ নং লাইন: ২৩ নং লাইন:
{| class="wikitable"
{| class="wikitable"
|-
|-
! ক্রমিক নং !! দেশ/রাজ্যের নাম ( ব. কি মি ) !! আয়তন !! জনসংখ্যা (কোটি) !! মুসলিম হার (%) !! হিন্দু হার (%)|| রাজধানী
! ক্রমিক নং !! দেশ/রাজ্যের নাম !! আয়তন (ব. কি.মি.) !! জনসংখ্যা (কোটি) !! মুসলিম হার (%) !! হিন্দু হার (%)|| রাজধানী
|-
|-
| ১ || [[বাংলাদেশ]] || ১৪৭,৬৬৮ || ১৫.১৫ || ৯০.৪০% || ৮.৫০% || [[ঢাকা]]
| ১ || [[বাংলাদেশ]] || ১৪৭,৬৬৮ || ১৫.১৫ || ৯০.৪০% || ৮.৫০% || [[ঢাকা]]

০৪:৫১, ১৫ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বৃহৎ বঙ্গ[১] বা বৃহৎ বাংলাদেশ[২] বা মহাবাংলাদেশ[৩]) বা বিশাল বাংলা[৪] হল বাংলাভাষী এলাকাসমূহের বিশেষত বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য, পূর্ব ভারতের বিহারঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, অরুণাচল এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের মনিপুর, নাগাল্যান্ড, সিক্কিম রাজ্য এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জমিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের (প্রাক্তন আরাকান) ও চিন রাজ্য এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড হিসেবে অন্তর্ভুক্তির একটি আনুমানিক তত্ত্ব।

পটভূমি

১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ হয়ে গঠিত বাংলা এবং পূর্ব বাংলা ও আসাম নামক দুইটি প্রদেশ

বাংলার ভূরাজনৈতিক অঞ্চল সর্বপ্রথম স্বাধীন রাজা শশাঙ্কের অধীনে একীভূত হয় যিনি বর্তমান বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড, দক্ষিণ আসামের অংশবিশেষ এবং মধ্য ও পূর্ব বিহার দখল করে বাংলার ভূ-রাজনৈতিক এলাকাসমূহকে একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে একত্রিত করেছিলেন। পরবর্তীতে বাঙালি বৌদ্ধ পাল শাসকগণ এই অঞ্চলগুলোকে একত্রিত করে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন যাদের ক্ষমতা এই অঞ্চল জুড়েই কেন্দ্রীভূত ছিল, তবে পালদের সাম্রাজ্য কাশ্মীরি পাহাড় থেকে বর্তমান অন্ধ্র প্রদেশ পর্যন্তও বিস্তৃতি লাভ করেছিল। এর পরে বাংলায় হিন্দু সেন রাজবংশের সময়ে ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয় এবং বাংলা যেখানে বিহারঝাড়খণ্ডও যুক্ত ছিল (যদিও এখন অ-বাংলা রাজ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়) - এই সকল অঞ্চলের বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীকে একত্রিত করে অবিভক্ত বাংলার ধারণা প্রথম উন্মোচিত হয়।[৫] সেন রাজবংশের পতনের পর এই অঞ্চলটি ইসলামী সংস্কৃতির কেন্দ্র হয়ে ওঠে এবং ইসলামের পূর্বাঞ্চলীয় বিস্তারের একটি অভিক্ষিপ্ত অঞ্চল হয়ে ওঠে। অঞ্চলটি অর্থনৈতিক পরাশক্তিতে পরিণত হয়। রাজমহলের যুদ্ধের পর বাংলা সালতানাত মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে চলে যায় এবং মুঘল সাম্রাজ্যের যুবরাজগণ (ক্রাউন প্রিন্স) এই অঞ্চলের রাজপ্রতিনিধি নিযুক্ত হতেন।

উত্তর ভারতের মারাঠা বিদ্রোহের পর বাংলা প্রদশ স্বাধীন হয়ে যায় এবং বাংলার নবাবদের দ্বারাই বাংলা অঞ্চল শাসিত হত। কিন্তু পলাশীর যুদ্ধের পর এই অঞ্চলটি ব্রিটিশ ভারতের প্রশাসনিক অঞ্চলে পরিণত হয়, এবং বাংলার রাজধানী কলকাতা হয় ভারতের রাজধানী। ১৭৬৫ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি গঠিত হয়। ১৯০৫ সালে এই প্রেসিডেন্সি দ্বিখণ্ডিত হয়ে বাংলা প্রদেশ এবং পূর্ববঙ্গ ও আসাম রাজ্যে ভাগ হয়ে যায়। ১৯১১ সালে বাংলা একীভূত হয়। আসাম মেঘালয়া ও সিলেট নিয়ে ১৮৭৪ সালে প্রেসিডেন্সি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ১৯১২ সালে আসাম লুসাই পাহাড় অঞ্চল নিয়ে আসাম প্রদেশে পরিণত হয়। চাঞ্চল্যকর ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের পর ১৯১২ সালে বাংলা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিভিন্ন রাজ্যে বিভক্ত ছিল। এই নতুন প্রদেশগুলো ছিল বিহার ও উড়িশ্যা প্রদেশ এবং পূর্ববঙ্গ ও আসাম, যদিও বিহার ও উড়িশ্যা প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল এবং পূর্ববঙ্গ একীভূত হয়ে একটি ক্ষুদ্র অবিভক্ত বাংলা গঠন করেছিল। এই প্রদেশটি ১৯৪৭ সালে আবার বিভক্ত হয়ে হিন্দুপ্রধান পশ্চিমবঙ্গ ও মুসলিম প্রধান পূর্ববঙ্গ (বর্তমান বাংলাদেশ) গঠন করেছিল আলাদা মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান তৈরির জন্য, যেখানে পূর্ববঙ্গ একটি প্রদেশ ছিল।[৬]

অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা

১৯৪৭ সালের জানুয়ারিতে, শরৎ চন্দ্র বসু আংশিকভাবে বাংলা ভাগের প্রতিবাদ হিসেবে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি ভারত ও পাকিস্তান উভয় রাষ্ট্র থেকে স্বাধীন বাংলার জন্য আহ্বান করেন, এবং একটি নিজস্ব রাজনৈতিক দল তৈরি করেন যার নাম ছিল সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান পার্টি[৭][৮] এই সময়ে, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি এবং আবুল হাসেম, মুসলিম লীগের দুই বাঙ্গালী নেতাও একটি স্বাধীন বাংলার পক্ষে আসেন যা পূর্ববঙ্গ (বর্তমান বাংলাদেশ) ও পশ্চিমবঙ্গ (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ) উভয় অঞ্চল নিয়েই গঠিত হবে।[৭][৯] অন্যদিকে মুসলিম লীগের অন্য দুই নেতা মোহাম্মদ আকরাম খান এবং খাজা নাজিমুদ্দিন যুক্ত বঙ্গকে পাকিস্তানের একটি অংশ হিসেবে চাইতেন। অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা এবং ভারতীয় জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা (যা পরবর্তীতে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি-তে রূপান্তরিত হয়) শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি স্বাধীন বাংলা বা যুক্ত বঙ্গের ধারণার বিরোধিতা করেন।[৭] হিন্দু মহাসভা এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখারজি শরৎচন্দ্র বসু ও সোহরাওয়ার্দির সার্বভৌম বাংলা এর আলোচনার বিষয় উদ্বিগ্ন ছিলেন, যেখানে যুক্তবঙ্গকে ভারতের অংশ হিসেবে দেখার বিরোধিতা করা হয়। কংগ্রেসের সর্ববৃহৎ ভগ্নাংশের নেতা জহরলাল নেহেরু যুক্তবঙ্গের বিরোধিতা করেন যদিনা এটি ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হয়।[১০]

চিত্র:বাংলাদেশ.png
300 px ‎
চিত্র:বৃহত্তর.gif
300 px ‎

অন্তর্ভূক্ত অঞ্চল সমূহ

ক্রমিক নং দেশ/রাজ্যের নাম আয়তন (ব. কি.মি.) জনসংখ্যা (কোটি) মুসলিম হার (%) হিন্দু হার (%) রাজধানী
বাংলাদেশ ১৪৭,৬৬৮ ১৫.১৫ ৯০.৪০% ৮.৫০% ঢাকা
পশ্চিম বঙ্গ ৮৮,৭৯৭ ৯.১৩ ২৭.২% ৭০.৫৪% কলকাতা
আসাম ৭৮,৪৩৮ ৩.২৩ ৩৪.২২% ৬১.৪৭% গুয়াহাটি
অরুণাচল প্রদেশ ৮৩,৭৪৩ .১৪ ১.৯% ২৯.০৪% ইটানগর
ঝাড়খন্ড (৪ টি বাংলা ভাষাভাষী জেলা - ধানবাদ , সরাইকেলা, পূর্ব সিংভুমপশ্চিম সিংভূম) ১৩,৬৮৩ .৭৫ ১৪.৫০% ৬৭.৮০% চাইবাসা
মণিপুর ২২,৩২৭ .২৯ ৮.৪০% ৪১.৩৯% ইম্ফল
মেঘালয় ২২,৪২৯ .৩০ ৪.৩৯% ১১.৫২% শিলং
মিজোরাম ২১,০২১ .২০ ১.৩৫% ২.৭৫% আইজল
নাগাল্যান্ড ১৬,৫৭৯ .১১ ২.৪৪% ৮.৭৪% কোহিমা
১০ সিকিম ৭,০৯৬ .০৬ ১.৪০% ৫৭.৮০% গ্যাংটক
১১ ত্রিপুরা ১০,৪৯২ .৩৭ ৮.৬০% ৮৩.৪০% আগরতলা
১২ চিন রাজ্য ৩৬,০১৯ .০৫ .১০% ০.০২% হাক্কা
১৩ রাখাইন রাজ্য ৩৬,৭৭৮ .৬০ ( রোহিঙ্গা সহ ) ৫৮% ০.৫০% সিত্বে
১৪ ভূটান ৩৮,৩৯৪ .০৮ .২০% ২২.৬০% থিম্পু
মোট ৬২৩,৫২৪ ৩০.৪৬ ৫৮%

তথ্যসূত্র

  1. Col. Ved Prakash, Terrorism in India's north-east: a gathering storm (Volume 1), Kalpaz Publications, 2008, আইএসবিএন ৮১-৭৮৩৫-৬৬০-০
  2. Mahendra Gaur, Indian affairs annual (Volume 2), 2007, আইএসবিএন ৮১-৭৮৩৫-৪৩৪-৯
  3. James Warner Björkman, Fundamentalism, revivalists, and violence in South Asia, page 38, Riverdale Company, 1988, আইএসবিএন ০-৯১৩২১৫-০৬-৬
  4. Venkata Siddharthacharry, Jambudwipa, a blueprint for a South Asian community, page 256, Radiant Publishers, 1985, আইএসবিএন ৮১-৭০২৭-০৮৮-X
  5. Mikey Leung and Belinda Meggitt, Bangladesh, page 7-8, Bradt Travel Guides, 2009, আইএসবিএন ১-৮৪১৬২-২৯৩-১
  6. Soumyendra Nath Mukherjee (১৯৮৭)। Sir William Jones: A Study in Eighteenth-century British Attitudes to India। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 230। আইএসবিএন 978-0-86131-581-9 
  7. Bashabi Fraser, Bengal Partition Stories: An Unclosed Chapter, page 24-25, Anthem Press, 2008, আইএসবিএন ১-৮৪৩৩১-২৯৯-৯
  8. Anton Pelinka and Renée Schell, Democracy Indian style, page 79, Transaction Publishers, 2003, আইএসবিএন ০-৭৬৫৮-০১৮৬-৮
  9. M. Bhaskaran Nair, Politics in Bangladesh: a study of Awami League, 1949-58, page 46, Northern Book Centre, 1990, আইএসবিএন ৮১-৮৫১১৯-৭৯-১
  10. Benjamin Zachariah, Nehru, page 136, Routledge, 2004, আইএসবিএন ০-৪১৫-২৫০১৭-X