যিনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১২০ নং লাইন: ১২০ নং লাইন:
==শিয়া রীতি==
==শিয়া রীতি==
== মানবাধিকার সংগঠনসমূহের সমালোচনা==
== মানবাধিকার সংগঠনসমূহের সমালোচনা==
ইসলামে অধিকারভুক্ত দাসীদের সাথে যৌনসংগম করার অনুমতি ধর্ম হিসেবে ইসলামের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
কোরানের (( ৪::২৪)) এবং ((৭০::৩০)) আয়াতে অধিকারভুক্ত দাসীদের সাথে যৌনসংগম করার অনুমতি দেওয়া আছে। একেই কি বলে ধর্ম। আর একজন পরুষের বিপরীতে দুইজন নারী সাক্ষী। এটাই কি মানবতা।
মূলত ইসলামের উচিত ছিল দাসপ্রথা সমূলে উৎপাটন করা। কিন্তু তা তো করেনি উল্ঠো অধিকারভুক্ত দাসীদের সাথে যৌনসংগমের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

==আরও দেখুন==
==আরও দেখুন==
* [[তওবা]]
* [[তওবা]]

১৪:০৪, ৩০ মার্চ ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বিবাহপূর্ব ও বিবাহোত্তর যৌনতার বিরুদ্ধে জিনা আইন বিশিষ্ট মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকা[১][২]

যিনাʾ (زِنَاء) বা জিনা (زِنًى বা زِنًا) হল ইসলামী বৈবাহিক নিয়ম অনুযায়ী পরস্পর অবিবাহিত একাধিক মুসলিমের মাঝে অবৈধ যৌন সম্পর্ক বিষয়ক একটি ইসলামী আইন।[৩] বিবাহোত্তর যৌনতা এবং বিবাহপূর্ব যৌনতা,[৪][৫] যেমনঃ পরকীয়া (পারস্পারিক সম্মতিতে বিবাহিতের অবৈবাহিক যৌন সম্পর্ক),[৬][৭] ব্যভিচার (দুজন অবিবাহিতের পারস্পারিক সম্মতিতে যৌনসঙ্গম)[৮], সমকামিতা (সমলিঙ্গীয় ব্যক্তিদ্বয়ের পারস্পারিক সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক)[৯], অজাচার (পরিবারের সদস্য বা অবিবাহযোগ্য রক্তসম্পর্কের ব্যক্তির সঙ্গে যৌনসঙ্গম), পশুকামিতা (অমানব পশুর সঙ্গে যৌনসঙ্গম) এবং ধর্ষণ (জোরপূর্বক অবৈবাহিক যৌনসঙ্গম)[১০] এর অন্তর্ভুক্ত। ইসলামের প্রাথমিক যুগের নিয়মানুযায়ী, একজন বিবাহিত বা অবিবাহিত মুসলিম পুরুষ তার নিজ মালিকানাধীন কোন ক্রীতদাসীর সাথে উক্ত কৃতদাসীর সম্মতিতে অথবা সম্মতি ব্যতিরেকে তার সাথে যৌন ক্রিয়াকলাপ করতে পারত এবং এ ধরনের যৌনতা জিনা হিসেবে গণ্য হত না।[১১][১২][১৩]

সুন্নি ফিকহের চার মাজহাবে (ইসলামী আইনশাস্ত্রে), এবং শিয়া ফিকহের দুটি মাজহাবে, জিনা পরিভাষাটি হল শরিয়ায় (ইসলামী আইনে) বৈধ নয় এমন যৌনসঙ্গমের পাপ এবং তা হুদুদ(ইসলামী শাস্তির একটি প্রকার, যা আল্লাহ কর্তৃক বাছাইকৃত কিছু নির্দিষ্ট অপরাধের জন্য নির্ধারিত) অপরাধের অন্তর্ভুক্ত।[১৪] জিনার ক্রিয়াকলাপ প্রমাণ করার জন্য, শরিয়া আদালতের একজন কাজি (ধর্মীয় বিচারক) যেসব বিষয়ের উপর নির্ভর করেন সেগুলো হল একজন অবিবাহিত মহিলার গর্ভধারণ, আল্লাহর নামে দোষ স্বীকার, অথবা যৌনকর্মের চারজন প্রত্যক্ষদর্শী। শেষ দুই প্রকারের পদ্ধতি সেভাবে প্রচলিত নয়, ইসলামের ইতিহাসে জিনার সবচেয়ে চলমান মামলাসমূহ হল অবিবাহিত গর্ভবতী মহিলা সম্পর্কিত।[১৫][১৬] ইসলামিক প্রদত্ত শিক্ষা ধর্ষণের মকাদ্দমা প্রমাণ করতে কোন পরিষ্কার নিয়ম প্রদান করে নি, এবং এ কারণে ধর্ষণ প্রমাণ করতে চারজন সাক্ষী পেশ করার কোন আবশ্যিক প্রয়োজন নেই;[১৭][১৮] তা সত্ত্বেও ইসলামী আইনের কিছু গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের নিয়ম আছে যে, জিনার অভিযোগে অভিযুক্ত একজন গর্ভবতী মহিলা যিনি দাবি করেন যে যৌনকর্মটি তার সম্মতিক্রমে ঘটেনি তাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে সে চারজন প্রত্যক্ষদর্শীর সম্মুখে ধর্ষিত হয়েছে এবং আদালতে সেই চারজনকে হাজির করে তাদের সাক্ষ্য পেশ করতে হবে। এই নিয়মের কারণে এ পর্যন্ত বহু মামলায় ধর্ষণে নির্যাতিত মহিলাদেরকে জিনার শাস্তি দেয়া হয়েছে।[১৯][২০] উপযুক্ত প্রত্যক্ষদর্শী ব্যতীত জিনার অভিযোগ ইসলামে মিথ্যা অপবাদ (কাজফ, القذف) হিসেবে গণ্য হয়, যা হল একটি হুদুদের শাস্তিযোগ্য অপরাধ।[২১][২২]

অনৈসলামিক কাজ জিনার সাথে নারীবাচক নাম 'জিনা' বা 'জেইনা' (زينة)'র কোন সম্পর্ক নেই। উক্ত শব্দদ্বয়ের ভাষাগত বুৎপত্তিস্থল, অর্থ (অতিথি, আগন্তুক), উচ্চারণ (জিনাহ বা জয়নাহ) এবং বানান পৃথক ও ভিন্ন।[২৩]

প্রাথমিক ইসলামী শাস্ত্রলিপিসমূহ

ইসলামে জিনা একটি হুদুদ আইনের শাস্তিযোগ্য পাপ অথবা আল্লাহর বিরুদ্ধাচারকারী একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।[২৪] কুরআন এবং হাদিসসমূহে এটি উল্লেখিত রয়েছে। কুরআনের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, যে কোন প্রকারের যৌন ক্রিয়াকলাপ যা বৈধ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ব্যতীত সম্পাদিত হয় সেগুলো জিনা বলে গণ্য হবে, এবং তা পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য সমানভাবে শাস্তিযোগ্য।

কুরআন

কুরআনের বেশ কয়েকটি জায়গায় জিনা সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রথমটি হল কুরআনের সাধারণ নিয়ম যেখানে মুসলিমদের জিনায় লিপ্ত না হতে আদেশ দেয়া হয়েছে:

“ব্যভিচার/পরকীয়ার ধারে কাছেও যেয়ো না: কারণ এটি একটি লজ্জাজনক ও নিকৃষ্ট কর্ম, যা অন্যান্য নিকৃষ্ট কর্মের পথ খুলে দেয়।”

— কুরআন, সূরা ১৭ (আল-ইসরা/বনি ইস্রাঈল), আয়াত ৩২[২৫]

কুরআনে সর্বপ্রথম সূরা নিসায় জিনার শাস্তি সম্পর্কিত সাময়িক অস্থায়ী নির্দেশনা অবতীর্ণ করা হয়।

“আর নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারিণী তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চার জন পুরুষকে সাক্ষী হিসেবে তলব কর। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ করে রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোন পথ নির্দেশ না করেন। তোমাদের মধ্যে যে দুজন সেই কুকর্মে (ব্যভিচারে) লিপ্ত হয়, তাদেরকে শাস্তি প্রদান কর, অতঃপর তারা যদি উভয়ে তওবা (অনুশোচনা,অনুতাপ) করে এবং নিজেদের সংশোধন করে, তবে তাদের থেকে হাত গুটিয়ে নাও। নিশ্চই আল্লাহ তওবা কবুলকারী, দয়ালু।”

— সূরা: নিসা, আয়াত: ১৫-১৬[২৬]

কিন্তু পরবর্তীতে সূরা নূরে নবায়িত নির্দেশনা অবতীর্ণ হওয়ার পর পূর্বোক্ত আয়াতের নির্দেশনা রহিত হয়ে যায়। এছাড়াও, অধিকাংশ নিয়মকানুন যেগুলো জিনা (ব্যভিচার/পরকীয়া), স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর উপর বা সমাজের সদস্যগণ কর্তৃক সতী সাধ্বী নারীর উপর আরোপিত অভিযোগ সম্পর্কিত, সেগুলো সূরা নূর (আলো) এ পাওয়া যায়। এই সূরাটি শুরু হয়েছে জিনার শাস্তি সম্পর্কিত বেশ কিছু বিশেষ নির্দিষ্ট নিয়মকানুন প্রদানের মধ্য দিয়েঃ

"ব্যভিচারের দায়ে অভিযুক্ত পুরুষ ও নারী যারা,- তাদের প্রত্যেককে একশত বেত্রাঘাত প্রদান কর: তাদের বিষয়ে করুণা যেন তোমাদেরকে দুর্বল না করে, এমন একটি বিষয়ে যা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত হয়েছে, যদি তোমরা আল্লাহ এবং মহাপ্রলয় দিবসের উপর বিশ্বাস রাখো: এবং বিশ্বাসীদের একদলকে তাদের শাস্তির সাক্ষী করে রাখো।"

— কুরআন, সূরা ২৪ (আন-নুর), আয়াত[২৭]

“এবং যারা নিরপরাধ নারীদের উপর অভিযোগ আরোপ করে এরপর চারজন সাক্ষী উপস্থিত করতে পারে না, তাদের বেত্রাঘাত কর, আঁশিটি করে, এবং এরপর কখনই তাদের কাছ থেকে কোন সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ করো না; এবং এটি একারণে যে তারা সীমালঙ্ঘনকারী। তারা ব্যতীত যারা অনুতপ্ত হয় এবং সংশোধিত হয়, কারণ নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।”

— কুরআন, সূরা ২৪ (আন-নুর), আয়াত ৪-৫[২৮]

হাদিস

কুরআনের পর ইসলামের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পাণ্ডুলিপি উৎস হাদিসে বলা হয়েছে, শুধু যৌনাঙ্গ প্রবেশের মাধ্যমেই জিনা সঙ্ঘটিত হয় না, অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মাধ্যমেও জিনা সঙ্ঘটিত হয় যদি তা নিষিদ্ধ যৌনকর্মের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।[২৯]

আবূ হুরায়রা সুত্রে নবী মুহাম্মাদ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আদম সন্তানের উপর যিনার যে অংশ লিপিবদ্ধ আছে তা অবশ্যই সে প্রাপ্ত হবে। দু-চোখের যিনা হল (নিষিদ্ধ যৌনতার প্রতি) দৃষ্টিপাত করা, দু’কানের যিনা হল শ্রবণ করা, রসনার যিনা হল কথোপকথন করা, হাতের যিনা হল স্পর্শ করা, পায়ের যিনা হল হেঁটে যাওযা, অন্তরের যিনা হচ্ছে আকাংখা ও কামনা করা। আর যৌনাঙ্গ অবশেষে তা বাস্তবায়িত করে অথবা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে।

কেউ যদি জিনা করে ফেলে (ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে), তার জন্য হাদিসে প্রাথমিক পরামর্শ হল তা গোপন রাখা এবং গোপনে নিজেকে সংশোধন করা। কিন্তু যদি তা প্রকাশিত হয় অথবা কেও তা প্রকাশ্যে স্বীকার করে তবে ইসলামের বিধান অনুযায়ী তাকে হুদুদ আইনে শাস্তি দিতে হবে। আল মুয়াত্তায় উল্লেখিত নিম্নোক্ত হাদিসটিতে এটি উল্লেখ করা হয়েছে:

জায়িদ ইবনে আসলাম থেকে বর্ণিত, “আল্লাহ্‌র রাসূল (সা) এর সময়ে এক লোক যখন স্বীকার করল যে, সে ব্যভিচার করেছে, তখন আল্লাহ্‌র রাসূল (সা) একটি চাবুক চাইলেন। যখন তাকে একটি ছেঁড়া/পুরানো চাবুক দেওয়া হল তিনি বললেন, “এটার চেয়ে ভাল নেই?” তখন একটি নতুন চাবুক আনা হলে তিনি বললেন, “এটার চাইতে একটু পুরাতন দেখে নিয়ে আস”। এরপর এমন একটা চাবুক আনা হল যেটা ছিল (ব্যবহারের ফলে) একটু পুরানো/নরম। তখন তিনি ওটা দিয়ে ওই ব্যক্তিকে একশো দোর্‌রা মারার নির্দেশ দিলেন। এরপর তিনি বললেন, “হে লোকেরা! তোমরা আল্লাহ্‌র সীমা অতিক্রম করোনা। কেউ এই ধরনের ঘৃণিত কোন অপরাধ (যেমন ব্যভিচার) করে বসলে, সে যেন তা গোপন রাখে, কারন কেউ যদি তা প্রকাশ করে বসে, তবে আমরা তার ব্যাপারে বর্ণিত শাস্তি প্রয়োগের মাধ্যমে আল্লাহ্‌র কিতাবের বিধান কার্যকর করব”"

হাদিসে যৌনাঙ্গের মাধ্যমে সঙ্ঘটিত জিনার শাস্তির বর্ণনা এসেছে জনসম্মুখে বেত্রাঘাত এবং পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড হিসেবে, এটি পাওয়া যায় মূলত হাদিসের "কিতাব-আল হুদুদ" নামক সংকলিত খণ্ডাংশে।[৩০][৩১]

'উবাদা বিন আস-সামিত বর্ণনা করেন: আমি আল্লাহর রাসূলকে বলতে শুনেছি: আমার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ কর। আল্লাহ সেসব মহিলাদের জন্য আদেশ জারি করেছেন। যখন একজন অবিবাহিত পুরুষ একজন অবিবাহিত নারীর সাথে ব্যভিচার করে, তাদেরকে একশত বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য নির্বাসন পেতে হবে। আর বিবাহিত পুরুষের সাথে বিবাহিত নারীর ব্যভিচারের ক্ষেত্রে, তাদেরকে একশত বেত্রাঘাত এবং পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করতে হবে।

আল্লাহর রাসূল বিবাহিত ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণীকে পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি প্রদান করতেন এবং, তাঁর পরে, আমরাও পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি প্রদান করতাম, আমি ভয় করি যে কালের অতিক্রমের সাথে সাথে, মানুষ হয়তবা এটি ভুলে যাবে এবং হয়তো বলবে: আমরা আল্লাহর কিতাবে পাথর নিক্ষেপের শাস্তি খুঁজে পাই নি, এবং আল্লাহর নির্দেশিত এই কর্তব্য পরিত্যাগ করে বিপথে যাবে। পাথর নিক্ষেপ হল আল্লাহর কিতাবে দেয়া ব্যভিচারী বিবাহিত পুরুষ ও নারীদের জন্য ধার্যকৃত একটি দায়িত্ব যখন তা নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়, অথবা যদি গর্ভধারণ ঘটে, অথবা যদি দোষ স্বীকার করা হয়।

মা'য়িয নবীর কাছে এলো এবং তাঁর উপস্থিতিতে নিজের ব্যভিচার করার কথা চারবার স্বীকার করল, তাই নবী তাকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করার আদেশ দিলেন। কিন্তু হুজ্জালকে বললেন: "তুমি যদি তাকে তোমার কাপড় দ্বারা ঢেকে দিতে, তাহলে তা তোমার জন্য ভাল হত।"

আরেক বিশুদ্ধ নির্ভরযোগ্য হাদিস গ্রন্থ সহিহ বুখারীতে কয়েকটি ঘটনা পাওয়া যায় যেখানে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যার কথা উল্লেখ রয়েছে।[৩২] উদাহরণস্বরূপ,

আয়েশা কর্তৃক বর্ণিত: 'উতবা বিন আবি ওয়াক্কাস তাঁর ভাই সা'দ বিন আবি ওয়াক্কাসকে বললেন, "জা'মার দাসীর পুত্রটি আমার থেকে আগত, তাই একে তোমার তত্ত্বাবধানে রাখো।" তাই মক্কা বিজয়ের বছরে, সা'দ তাকে নিয়ে নিলেন এবং বললেন, "(এ হল) আমার ভাইয়ের পুত্র যাকে আমার ভাই আমার তত্ত্বাবধানে রাখতে বলেছেন।" 'আব্দ বিন জা'মা তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে গেলো এবং বললো, "(সে) আমার ভাই, আমার বাবার দাসীর পুত্র, এবং আমার পিতার বিছানায় তাঁর জন্ম হয়েছিল।" তাই তারা উভয়েই আল্লাহর রাসূলের সামনে তাদের মোকাদ্দমা পেশ করলেন। সা'দ বললেন, "হে আল্লাহর রাসূল! এই বালক আমার ভাইয়ের পুত্র আর তিনি একে আমার দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।" 'আব্দ বিন জা'মা বলল, "এই বালক আমার ভাই এবং আমার পিতার দাসীর ছেলে, এবং আমার পিতার বিছানায় তাঁর জন্ম হয়েছিল।" আল্লাহর রাসূল বললেন, "এই বালকটি তোমার, হে 'আব্দ বিন জা'মা!" এরপর আল্লাহর রাসূল আরও বললেন, "উক্ত সন্তানটি বিছানার মালিকের, এবং উক্ত ব্যভিচারকারীকে পাথর নিক্ষেপ করা হোক।" যখন তিনি উতবার সাথে বাচ্চাটির সাদৃশ্য দেখলেন, তখন সাওদা বিন জা'মাকে বললেন, "তোমার পর্দা তাঁর সামনে নামিয়ে দাও।" বালকটি মৃত্যুর পূর্বে আর কখনই ওই মহিলাকে দেখতে পায় নি।

পুরুষ ও নারীর মধ্যে জিনা সম্পর্কিত আরও যে সকল হাদিস রয়েছে সেগুলো হল:

  • অবৈধ যৌন কর্মে লিপ্ত হওয়ার জন্য এক ইহুদি মহিলাকে পাথর নিক্ষেপ(রজম)।[৩৩]
  • আবু হুরায়রা বর্ণনা করেন যে নবীজি একজন যুবক এবং একজন বিবাহিত মহিলার দৈহিক মিলনের অভিযোগে মহিলাটিকে পাথর নিক্ষেপ করার আদেশ দিলেন[৩৪] এবং যুবকটিকে চাবুক মারতে ও এক বছরের জন্য নির্বাসন দিতে নির্দেশ দিলেন;
  • ওমর ইবন আল-খাত্তাব নিশ্চিত করেন যে, একটি নির্দেশ নাযিল হয়েছিল এই বিষয়ে যে, কোন মুহসান ব্যক্তি (একজন প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন, মুসলিম যে পূর্বে বৈধভাবে বৈবাহিক যৌন সম্পর্কে অংশ নিয়েছে, এবং তাঁর বিবাহ এখনো নিশ্চিতভাবে বহাল রয়েছে) যদি অবৈধ যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয় তবে তাকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করতে হবে।

ধর্ষণ

আরবি ভাষায়, ইগতিসাব (বলপূর্বক কোন কিছু আদায় করা) বা জিনা-আল-জিবর শব্দটি ধর্ষণ অর্থে ব্যবহৃত হয়।[১০] ইসলাম ধর্ষণ বা বলপূর্বক যৌন হয়রানিকে অনুমোদন করে না। এ সম্পর্কে আবু দাউদে নবী মুহাম্মাদের সময়কালের একটি ঘটনা[৩৫] এবং মুয়াত্তা ইমাম মালিক গ্রন্থে প্রাথমিক সময়ের দুজন খলিফার দুটি বিচারকার্যের ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। [৩৬] এগুলো হল:

আলকামা তাঁর পিতা ওয়াযেল থেকে বর্ণনা করেন যে, নরী করীম (সা) এর যুগে জনৈক মহিলা সালাত আদায়ের জন্য গমনকালে পথিমধ্যে তার সাথে একজন পুরুষের দেখা হলে, সে ব্যক্তি জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। সে মহিলা চিৎকার দিলে, তার পাশ দিয়ে গমনকালে জনৈক ব্যক্তি এর কারণ জানতে চায়। তখন সে মহিলা বলেঃ অমুক ব্যক্তি আমার সাথে এরূপ অপকর্ম করেছে। পরে তার পাশ দিয়ে মুহাজিরদের একটি দল গমনকালে সে মহিলা তাদের বলেঃ অমুক ব্যক্তি আমার সাথে এরূপ কাজ করেছে। তারপর তারা গিয়ে এক ব্যক্তিকে ধরে আনে, যার সম্পর্কে তাদের ধারণা ছিল যে, সে-ই এরূপ করেছে। এরপর তারা সে ব্যক্তিকে উক্ত মহিলার কাছে উপস্থিত করলে, সেও বলেঃ হ্যাঁ। এই ব্যক্তিই এ অপকর্ম করেছে। তখন তাঁরা সে ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ এর নিকট নিয়ে যায়। নবী করীম (সা) যখন সে ব্যক্তির উপর শরীআতের নির্দেশ জারী করার মনস্থ করেন, তখন মহিলার সাথে অপকর্মকারী ব্যক্তি দাঁড়িয়ে যায় এবং বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমি -ই অপকর্ম করেছি। তখন নরী করীম (সা) সে মহিলাকে বলেনঃ তুমি চলে যাও, আল্লাহ তোমার অপরাধ মাফ করে দিয়েছেন। এরপর তিনি (সা) ভুলভাবে ধরে আনা লোকটির সাথে উত্তম ব্যবহার করেন এবং ধর্ষক ব্যক্তিটির জন্য বলেনঃ একে পাথর মেরে হত্যা কর। তিনি (সা) আরও বলেনঃ লোকটি এমন তাওবা করেছে যে, সমস্ত মদীনাবাসী এরূপ তাওবা করলে, তা কবূল হতো।

মালিক নাফির কাছ থেকে আমাকে বর্ণনা করেন যে, খুমুসের ক্রীতদাসদের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে একজন ক্রীতদাস নিযুক্ত ছিল এবং সে একজন কৃতদাসীর উপর ঐ নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করল এবং তাঁর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হল। ওমর ইবনুল খাত্তাব তাকে চাবুকপেটা করলেন এবং তাকে বহিষ্কার করলেন, এবং তিনি দাসীটিকে চাবুকপেটা করলেন না কারণ ঐ নারীর উপর বল প্রয়োগ করে জোর খাটান হয়েছিল।

মালিক শিহাবের কাছ থেকে আমাকে বর্ণনা করেন যে আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান ধর্ষণের একটি বিচারে রায় দিলেন যে ধর্ষককে ধর্ষিত মহিলার জন্য মোহর দিতে হবে। ইয়াহিয়া বললেন যে তিনি মালিককে বলতে শুনেছেন, "আমাদের সম্প্রদায় যা করা হয় একজন পুরুষকে যে একজন নারীকে ধর্ষণ করে, হোক সে কুমারী বা অকুমারী, যদি সে মুক্ত হয়, তাহলে অবশ্যই ঐ পুরুষকে ঐ মহিলার জন্য মহিলাটির চাহিদা অনুযায়ী মোহর দিতে হবে। যদি সে একজন দাসী হয়, তাহলে অবশ্যই ঐ নারীকে এমন সমতুল্য কিছু দিতে হবে যা তাঁর অপমানিত মূল্যকে লাঘব করে। এরকম মামলায় হদ বা হুদুদ শাস্তি প্রয়োগ করা হবে, এবং ধর্ষিত মহিলাটির উপর কোন শাস্তি প্রয়োগ করা হবে না। যদি ধর্ষকটি একজন কৃতদাস হয়, তাহলে উক্ত দ্বায় তাঁর মালিকের উপর বর্তাবে যদি না ঐ মালিক ঐ ক্রীতদাসটিকে আদালতের কাছে অর্পণ করে।"

ইসলামে ধর্ষণের শাস্তি জিনার শাস্তির অনুরূপ, আর তা হল যদি ধর্ষক বিবাহিত হয় তাহলে পাথর নিক্ষেপ , আর যদি অবিবাহিত হয় তবে একশত বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য নির্বাসন।[১০]

ইমাম মালিক সহ বেশ কিছু ইসলামী পণ্ডিত আরও বলেন যে ঐ ব্যক্তির উক্ত মহিলাকে মোহর দিতে হবে। :

ইমাম মালিক বলেন, আমাদের মতে যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে ধর্ষণ করে, হোক সে মহিলা কুমারী অথবা না, যদি সে একজন মুক্ত মহিলা হয় তাকে অবশ্যই দাবি অনুযায়ী অর্থ দিতে হবে, আর যদি ঐ মহিলা কোন দাসী হয়, তবে তাকে অবশ্যই এমন কিছু দিতে হবে যা দ্বারা সে নিজর উপর সংঘটিত উক্ত দুর্ঘটনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে। ধার্য শাস্তি ধর্ষকের উপর প্রযুক্ত হবে এবং যে মহিলা ধর্ষিত হয়েছে তাঁর জন্য কোন শাস্তি ঙেই, মামলা যাই হোক না কেন।

আল-শাফায়ি, আল-লায়িস উক্ত দৃষ্টিভঙ্গিরর সঙ্গে ঐক্যমত্য দেখিয়েছেন এবং আলী ইবনে আবি তালিবও একই রকম মতামত দিয়েছেন। আবু হানিফা এবং আস-সাওরি দাবি করেন যে, হুদুদ শাস্তি দিতে হবে কিন্তু ধর্ষক মোহর দিতে বাধ্য নয়। যাই হোক, আলেমগণ সকলেই এ বিষয় একমত যে, ধর্ষককে হুদুদ আইনের অধীনে শাস্তি দিতে হবে, যদি তাঁর বিরুদ্ধে পরিষ্কার তথ্য প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায় অথবা যদি সে অপরাধ স্বীকার করে এবং ধর্ষিত মহিলাকে কোন শাস্তি দেয়া হবে না।[৩৮] ধর্ষণের মামলায়, চারজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু সেটি সকল পরিস্থতিতিতে প্রযোজ্য নয়। যদি কোন ব্যক্তি তাঁর অপরাধ স্বীকার করে, তখন প্রত্যক্ষদর্শীর প্রয়োজন হবে না।[৩৯] কোন কোন ক্ষেত্রে এধরনের অপরাধ স্বীকার বাতিল বলে গণ্য হয় এবং সাক্ষীর আবশ্যকতা আবার পুনর্বহাল হতে পারে। যদি কোন প্রমাণ নাই পাওয়া যায় অথবা আসামী যদি দোষ নাই স্বীকার করে অথবা চারজন সাক্ষী না পাওয়া যায়, তখন বিচারক ধর্ষককে এমন কোন শাস্তি দিতে পারেন যেটি তাকে এবং তাঁর মত অন্যান্যদেরকে এধরনের কাজে লিপ্ত হওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করবে এবং বিরত রাখবে।[১০] ধর্ষণের অভিযোগকারী মহিলা থেকে যদি, ধর্ষণের সময় আর্তনাদ বা সাহায্যের জন্য চিৎকারের শব্দ শুনতে পাওয়া যায়, তবে নিযুক্ত কাজি উক্ত ঘটনাকে একটি শক্ত প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন যা নির্দেশ করে যে, পুরুষটি উক্ত মহিলাকে জোর করেছিল বা তাঁর উপর শক্তি প্রয়োগ করেছিল।[১০] ধর্ষণের অভিযোগকারী যদি অভিযোগটি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়, তবে তা মিথ্যা অভিযোগ বলে গ্রহণ করা হবে, যার শাস্তি হল বেত্রাঘাত।[৪০]

সমকাম

কুরআন সমলিঙ্গীয় যৌন সম্পর্ককে নিষিদ্ধ করেছে, সূরা আন-নিসা, সূরা আল-আরাফ (লূতের জনগণের ঘটনার মাধ্যমে), এবং অন্যান্য সূরায়। উদাহরণস্বরূপ,[৯][৪১]

“যদি তোমাদের মধ্যে দুইজন (পুরুষ) কুকর্মের জন্য দোষী প্রমাণিত হয়, তবে তাদের উভয়কে শাস্তি দাও। যদি তারা অনুতপ্ত হয় এবং সংশোধিত হয়, তবে তাদেরকে ছেড়ে দাও; কারণ নিশ্চয় আল্লাহ অনুতাপ-গ্রহণকারী, পরম দয়ালু।”

— কুর'আন, সূরা ৪ (আন-নিসা), আয়াত ১৬[৪২]

তবে অনেক পণ্ডিত উক্ত আয়াতের "তোমাদের মধ্যে দুইজন" বলতে ব্যাভিচারী নারী ও পুরুষ হিসেবে ব্যখা করেছেন।

হাদিসে সমলিঙ্গীয় যৌনকর্মকে জিনা বলে গণ্য করা হয়েছে, এবং শাস্তি হিসেবে হত্যা করতে বলা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আবু দাউদে বর্ণিত হয়েছে,[৪১][৪৩]

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেন: নবীজি বলেছেন: তোমরা যদি লূতের সম্প্রদায়ের কর্মে লিপ্ত কাওকে খুঁজে পাও,[৪৪] হত্যা কর তাকে যে এটি করে, এবং তাকে যার উপর এটি করা হয়।

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেন: কোন অবিবাহিত পুরুষ যদি সডোমিতে (পায়ুমৈথুনে) লিপ্ত অবস্থায় ধরা পড়ে, তাকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা হবে।

ইসলামে সমকামিতার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে পুরুষদের মধ্যকার কর্মকাণ্ড নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে । তবে যদিও নারী সমকামিতা বিষয়েও অল্প কিছু হাদিস রয়েছে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]; ফুকাহাগণ (ইসলামী আইনবিদ) এব্যাপারে সম্মত হয়েছেন যে "নারী সমকামিতার জন্য কোন হুদুদ শাস্তি নেই, কারণ এটি জিনা নয়। তবে একটি তাজির শাস্তি অবশ্যই প্রয়োগ করতে হবে, কারণ এটি একটি পাপ..'".[৪৫] যদিও নারীদের সমকামিতার কথা ইসলামের ইতিহাসে পাওয়া যায় না বলেই চলে, আল-তাবারি আল হাদির শাসনকালে তার কার্যক্রম নিয়ে ব্যপকভাবে সমালোচিত লোকমুখে প্রচলিত কাহিনীর সংকলনে উক্ত খলিফার হেরেমে একজোড়া সমকামী দাসীর অপ্রচলিত শাস্তির কথা উদ্ধৃত করেন।[৪৬] কিছু আইনবিদ মনে করেন যৌন সঙ্গম একমাত্র সে ব্যক্তির পক্ষেই সম্ভব যার শিশ্ন বা শিশ্নের ন্যায় নিম্নাঙ্গ আছে;[৪৭] তাই যৌনমিলনের উক্ত সংজ্ঞানুযায়ী এটি সঙ্গীর ছিদ্রপথে ন্যূনতম পরিমাণ হিসেবে অন্ততপক্ষে শিশ্নাঙ্গের অগ্রভাগ প্রবেশ করানোর উপর নির্ভরশীল।[৪৭] যেহেতু নারীদের শিশ্ন বা অনুরূপ কোন নিম্নাঙ্গ নেই এবং একে অপরের ছিদ্রপথে অঙ্গ সঞ্চালনে সক্ষম নয়, তাই উক্ত সংজ্ঞানুযায়ী তারা একে অপরের সঙ্গে শারীরিকভাবে জিনায় লিপ্ত হতে অক্ষম বলে গণ্য হয়।[৪৭]

অজাচার

হাদিসে অজাচারকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং আজচারীকে হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ইবনে আবাস হতে বর্ণিত: যে নবী বলেছেন: "যদি কোন লোক আরেক লোককে বলে: 'ওহে ইহুদী' তবে তাকে বিশটি বেত্রাঘাত করো। যদি সে বলে: 'ওহে হিজড়া' তাহলে তাকে বিশটি বেত্রাঘাত করো। আর কেও যদি মাহরাম (আপন পরিবারে সদস্য বা রক্ত সম্পর্কের অবিবাহযোগ্য আত্মীয়) ব্যক্তির সাথে যৌন সম্পর্ক করে তবে তাকে হত্যা কর।"

পশুকাম

পশুর সঙ্গে সঙ্গম করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং এই কাজে লিপ্ত ব্যক্তি ও ব্যবহৃত পশু উভয়কে হাদিসে হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিত: আল্লাহর রাসুল বলেছেন: "তোমরা যদি পশুর সাথে সঙ্গমরত কাওকে খুঁজে পাও তবে তাকে এবং ওই পশুকে হত্যা করবে।" ইবনে আব্বাসকে প্রশ্ন করা হল: "পশুটির কি দোষ?" তিনি বললেন: "আমি আল্লাহর রাসূলকে এ সম্পর্কে কিছু বলতে শুনিনি , কিন্তু আমার মতে ওই পশুর সাথে এহেন জঘন্য অপকর্ম সঙ্ঘটিত হওয়ার কারণে আল্লাহর রাসুল উক্ত পশুর মাংস খেতে বা তা ব্যাবহার করা পছন্দ করেননি।"

জিনার সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্তিসমূহ

জিনার অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হল বিবাহোত্তর যৌনকর্ম (বিবাহিত মুসলিম পুরুষ এবং বিবাহিত মুসলিম নারীর মাঝে সঙ্ঘটিত, যারা একে ওপরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ নয়), এবং বিবাহপূর্ব যৌনকর্ম (অবিবাহিত মুসলিম পুরুষ এবং অবিবাহিত মুসলিম নারীর মাঝে সঙ্ঘটিত)। ইসলামের ইতিহাসে, মুসলিম পুরুষের সাথে কোন দাসীর যৌনকর্মও জিনার অন্তর্ভুক্ত, যদি ওই দাসীটি ওই মুসলিম পুরুষের নিজের সম্পত্তি না হয়ে থাকে।[১৫][৪৮]

সমকামিতা, পায়ুমৈথুন (লিওয়াত), পশুকামিতা এবং নারী ও পুরুষের মধ্যে সঙ্ঘটিত যে কোন প্রকারের যৌনকর্ম যাতে জরায়ুতে শিশ্নের প্রবেশ ঘটে না সেগুলোও জিনার অন্তর্ভুক্ত। শরিয়া জিনাকে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে একজন অবিবাহিত মুসলিম, একজন বিবাহিত মুসলিম ("মুহসান") এবং একজন দাস/দাসীকে (মা মালাকাত আইমানুকুম) পৃথকভাবে বিচার করে। এক্ষেত্রে বিবাহিত মুসলিমকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে পাঁথর নিক্ষেপ করতে হবে (রজম), যেখানে একজন অবিবাহিত মুসলিমকে বাধ্যগতভাবে ১০০ বেত্রাঘাত পেতে হবে এবং একজন অধিভুক্ত-দাস/দাসীকে ৫০ বেত্রাঘাত পেতে হবে।[৯][৪৯] দৈহিক মর্দন, চুম্বন, প্রেমময় আদর ও আলিঙ্গন, হস্তমৈথুন এবং পরস্পর অবিবাহিত একাধিক ব্যক্তির মাঝে যে কোন প্রকারের যৌন ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া জিনার একটি প্রকার হিসেবে গণ্য হয়।[৫০][৫১]

ইসলামী পণ্ডিতদের মধ্যে মতবিরোধ আছে যে, স্বামী এবং স্ত্রীর মাঝে সঙ্ঘটিত ইসলামে নিষিদ্ধ এবং অনুল্লেখিত যৌনকর্মসমূহের সম্পর্কে জিনার প্রকরণের প্রকৃতি এবং শারিয়া-নির্ধারিত শাস্তি কি হবে, যেমন মুখমৈথুন, পারস্পারিক হস্তমৈথুন এবং শরিয়া নিষিদ্ধ করে এমন সময়গুলোতে যৌনকর্ম, যেমনঃ বাধ্যতামূলক ধর্মীয় উপবাস বা ফরজ সাওমের সময়, হজ্বের সময় এবং স্ত্রীর মাসিক চলাকালীন সময়।[৫২] আবু হানিফা এবং মালিক, এবং তাদের নামের প্রধান দুটি ফিকহ, অনিয়মিত যৌনকর্মের নিয়ম নির্ধারণের ক্ষেত্রে "নাজাসাহ নীতি" ব্যবহার করে, যেমনঃ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মুখমৈথুন বর্জনীয় এবং অননুমোদিত (মাকরুহ), কারণ এটি অপবিত্রতা(হাদাছ-আকবর, حدث أکبر)'র দিকে পরিচালিত করে।

অভিযোগ যাচাই প্রক্রিয়া এবং শাস্তি

ইসলামে কোন পুরুষ বা কোন নারীকে জিনার শাস্তি দেয়ার জন্য বিশ্বস্ত তথ্যপ্রমাণ উপস্থিত করা প্রয়োজন। এগুলো হল:[৩০][১৫][৫৩]

  1. একজন মুসলিম কর্তৃক জিনার দোষ স্বীকার। তবে, উক্ত ব্যক্তি যে কোন সময়ে দোষ স্বীকারকে প্রত্যাহার করার অধিকার পাবে; উক্ত ব্যক্তি যদি দোষ স্বীকার প্রত্যাহার করে, তখন তাকে আর জিনার শাস্তি দেয়া যাবে না। (৪ জন মুসলিম পুরুষ সাক্ষী ব্যতিরেকে), অথবা
  2. কোন নারী যদি গর্ভবতী হয় কিন্তু বিবাহিত না হয়, অথবা
  3. নির্ভরযোগ্য ৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম পুরুষ প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য, তাদের প্রত্যেকেই একই সময়ে সঙ্গমরত (লিঙ্গ প্রবেশকৃত) সময়ে বা অবস্থায় দেখে থাকতে হবে।

“তোমাদের মধ্যে কোন নারী যদি কুকর্মের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়, তোমাদের মধ্য থেকে তাদের বিরুদ্ধে চার জন (নির্ভরযোগ্য) সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করো ; আর যদি তারা সাক্ষ্য দেয়, তাদেরকে গৃহে বন্দী করে রাখ যতদিন না মৃত্যু এসে তাদেরকে তুলে না নেয় , অথবা আল্লাহ তাদের জন্য (অন্য) কোন আদেশ জারি করেন।”

— কুর'আন, সূরা ৪ (আন-নিসা), আয়াত ১৫[৫৪]

জিনার জন্য চারজন সাক্ষীর আবশ্যকতা, যেটি পুরুষ বা নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগকৃত মামলায় প্রয়োগ করা হয়, সেটিও কুরআনের আয়াত ২৪:১১ থেকে ২৪:১৩ এর মধ্যে এবং বিভিন্ন হাদিস এ উল্লেখ করা হয়েছে।[৫৫][৫৬] কিছু ইসলামী পণ্ডিত দাবি করেন যে চার জন পুরুষ প্রত্যক্ষদর্শীর আবশ্যকতা ছিল সেসব জিনার ক্ষেত্রে যেগুলো প্রকাশ্য স্থানে বা জনসম্মুখে ঘটে থাকে। এনিয়ে ইসলামী পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক আছে যে, নারী প্রত্যক্ষদর্শী জিনার ক্ষেত্রে সাক্ষী হিসেবে অনুমোদনযোগ্য কিনা।(অন্যান্য অপরাধসমূহের ক্ষেত্রে, শরিয়া দুই জন নারী সাক্ষীকে একজন পুরুষ সাক্ষীর সমতুল্য হিসেবে গণ্য করে।)।[৫৭] ইসলামের সুন্নি ফিকহ মতে, নারী মুসলিম, শিশু এবং অমুসলিম সাক্ষীরা জিনার ক্ষেত্রে অনুমোদনযোগ্য নয়।

যে কোন অসম্পৃক্ত সাক্ষী, পারস্পারিক সম্মতিবিহীন যৌনসংগমের ভুক্তভোগী, যে কোন মুসলিমকে জিনার দায়ে অভিযুক্ত করে, কিন্তু শরিয়া আদালতের সামনে চারজন প্রাপ্তবয়স্ক, ধার্মিক পুরুষ প্রত্যক্ষদর্শী (তাযিকিয়াহ-আল-শুহুদ) উপস্থিত করতে ব্যর্থ হয়, সে মিথ্যা অভিযোগের অপরাধ (কাজফ, القذف) করে, এবং তাকে জনসম্মুখে আশিটি বেত্রাঘাত প্রদান করতে হবে।[৫৮][৫৯]

জিনার চার সাক্ষী বিশিষ্ট বিচারকার্যের অভিযোগ খুবই বিরল। বর্তমানকালে, অধিকাংশ মামলার বিচারকার্য তখন হয় যখন কোন মহিলা গর্ভবতী হয়, অথবা যখন তাকে ধর্ষণ করা হয় এবং সে শাস্তির দাবি জানায় এবং শরিয়া কর্তৃপক্ষ ধর্ষককে যথাযথভাবে তদন্ত করার পরিবর্তে মহিলাটিকে জিনার শাস্তি প্রদান করে থাকে।[১৯][৬০]

কিছু ফিকহ (ইসলামী আইনশাস্ত্রের পাঠশালা) শুবা (সন্দেহ) নীতি সৃষ্টি করেছিল, যেখানে জিনার জন্য কোন শাস্তি দেয়া হত না যদি কোন মুসলিম পুরুষ দাবি করত যে, সে মনে করেছিল যে সে তাঁর বিবাহিত স্ত্রীর সাথে অথবা তাঁর অধিকৃত দাসীর সাথে মৈথুন করছিল।[৩০]

সুন্নি রীতি

শিয়া রীতি

মানবাধিকার সংগঠনসমূহের সমালোচনা

ইসলামে অধিকারভুক্ত দাসীদের সাথে যৌনসংগম করার অনুমতি ধর্ম হিসেবে ইসলামের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কোরানের (( ৪::২৪)) এবং ((৭০::৩০)) আয়াতে অধিকারভুক্ত দাসীদের সাথে যৌনসংগম করার অনুমতি দেওয়া আছে। একেই কি বলে ধর্ম। আর একজন পরুষের বিপরীতে দুইজন নারী সাক্ষী। এটাই কি মানবতা। মূলত ইসলামের উচিত ছিল দাসপ্রথা সমূলে উৎপাটন করা। কিন্তু তা তো করেনি উল্ঠো অধিকারভুক্ত দাসীদের সাথে যৌনসংগমের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Ziba Mir-Hosseini (2011), Criminalizing sexuality: zina laws as violence against women in Muslim contexts, SUR - Int'l Journal on Human Rights, 15, pp. 7-31
  2. Haideh Moghissi (2005), Women and Islam: Part 4 Women, sexuality and sexual politics in Islamic cultures, Taylor & Francis, ISBN 0-415-32420-3
  3. R. Peters, Encyclopaedia of Islam, 2nd Edition, Edited by: P. Bearman et al., Brill, ISBN 978-9004161214, see article on Zinā
  4. Muḥammad Salīm ʻAwwā (1982), Punishment in Islamic Law: A Comparative Study, American Trust Publications, ISBN 978-0892590155
  5. Sakah Saidu Mahmud (2013), Sharia or Shura: Contending Approaches to Muslim Politics in Nigeria and Senegal, Lexington, ISBN 978-0739175644, Chapter 3
  6. Ursula Smartt, Honour Killings Justice of the Peace, Vol. 170, January 2006, pp. 4-6
  7. Ursula Sillings] Justice of the Peace, Vol. 170, January 2006, pp. 4-6
  8. Z. Mir-Hosseini (2011), Criminalizing sexuality: zina laws as violence against women in Muslim contexts, Int'l Journal on Human Rights, 15, 7-16
  9. Camilla Adang (2003), Ibn Hazam on Homosexuality, Al Qantara, Vol. 25, No. 1, pp. 5-31
  10. "Ruling on the crime of rape."IslamQA.info। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫ 
  11. Z. Mir-Hosseini (2011), Criminalizing sexuality: zina laws as violence against women in Muslim contexts, SUR-Int'l Journal on Human Rights, 8(15), pp 7-33
  12. M. S. Sujimon (2003), Istilḥāq and Its Role in Islamic Law, Arab Law Quarterly, Vol. 18, No. 2, pp 117-143
    • Ali, Kecia (২০১০)। Marriage and slavery in early Islam। USA: Harvard University Press। পৃষ্ঠা 161–172। ;
    • Haeri, Shahla (১৯৮৯)। Law of Desire: Temporary Marriage in Shi'i Iran। Syracuse University Press। পৃষ্ঠা 24–32। আইএসবিএন 978-0815624837Quote: Sexual intercourse with one's own slave girl continued to be legitimate until recently in most Islamic societies. Slave ownership should not be confused with slave marriage. Slave marriage involves marriage of a slave with another person, with the permission of the slave master. Marriage is not necessary between a male slave owner and his female slaves. His ownership entitles him to a right of intercourse. 
  13. Julie Chadbourne (1999), Never wear your shoes after midnight: Legal trends under the Pakistan Zina Ordinance, Wisconsin International Law Journal, Vol. 17, pp. 179-234
  14. Kecia Ali (2006), Sexual Ethics and Islam, ISBN 978-1851684564, Chapter 4
  15. M. Tamadonfar (2001), Islam, law, and political control in contemporary Iran, Journal for the Scientific Study of Religion, 40(2): 205-220
  16. "The Requirement of Four Witnesses to Prove a Case of Rape"Amjad, Moiz। understanding-islam.com। ৩ আগস্ট ২০০০। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৫ 
  17. Elfie Nieshaem Juferi, Muhammad (৯ ডিসেম্বর ২০০৬)। "Does Islam require four witnesses for rape?"। bismikaallahuma.org। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৫ 
  18. A. Quraishi (1999), Her honour: an Islamic critique of the rape provisions in Pakistan's ordinance on zina, Islamic studies, Vol. 38, No. 3, pp. 403-431
  19. Joseph Schacht, An Introduction to Islamic Law (Oxford: Clarendon Press, 1973), pp. 176-183
  20. Peters, Rudolph (২০০৬)। Crime and Punishment in Islamic Law: : Theory and Practice from the Sixteenth to the Twenty-First Century। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 63। আইএসবিএন 978-0521796705 
  21. DeLong-Bas, Wahhabi Islam, 2004: 89-90
  22. "Zina meaning and name origin"thinkbabynames.com। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  23. Reza Aslan (2004), "The Problem of Stoning in the Islamic Penal Code: An Argument for Reform", UCLA Journal of Islamic and Near East Law, Vol 3, No. 1, pp. 91-119
  24. কুরআন ১৭:৩২
  25. কুরআন ২৪:১৫–১৬
  26. কুরআন ২৪:২
  27. কুরআন ২৪:৪–৫
  28. "Ruling on the things that lead to zina – kissing, touching and being alone together"Muhammad Saalih al-Munajjidislamqa.info। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৫ 
  29. Z. Mir-Hosseini (2011), Criminalizing sexuality: zina laws as violence against women in Muslim contexts, Int'l Journal on Human Rights, 15, 7-16
  30. Ziba Mir-Hosseini (2001), Marriage on Trial: A Study of Islamic Family Law, ISBN 978-1860646089, pp. 140-223
  31. Hina Azam (2012), Rape as a Variant of Fornication (Zina) in Islamic Law: An Examination of the Early Legal Reports, Journal of Law & Religion, Volume 28, 441-459
  32. সহীহ বুখারী, ২:২৩:৪১৩ (ইংরেজি)
  33. Understanding Islamic Law By Raj Bhala, LexisNexis, May 24, 2011
  34. "প্রশ্নোত্তর আত-তাহরীক অক্টোবর ২০১৪, প্রশ্ন (৪০/৪০) : কোন নারী ধর্ষণের শিকার হ'লে সে কি অপরাধী হিসাবে গণ্য হবে?"দারুল ইফতা, হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। মাসিক আত-তাহরীক। অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  35. "Islam on rape"। Discover the truth। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫ 
  36. "Bukhari , Book: 89 - Statements made under Coercion, Chapter 6: If a woman is compelled to commit illegal sexual intercourse against her will"। sunnah.com। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৫ 
  37. Uzma Mazhar (২০০২)। "Rape in Islam"। Muslimaccess.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-০৭ 
  38. সুনান আবু দাউদ, ৩৮:৪৩৬৬ (ইংরেজি)
  39. Peters, R, "Zinā or Zināʾ" in the Encyclopaedia of Islam (second edition) edited by P. Bearman, Th. Bianquis, C.E. Bosworth, E. van Donzel, W.P. Heinrichs (Brill Online).
  40. Stephen O. Murray and Will Roscoe (1997), Islamic Homosexualities: Culture, History, and Literature, ISBN 978-0814774687, New York University Press, pp. 88-94
  41. কুরআন ৪:১৬
  42. Mohamed S. El-Awa (1993), Punishment In Islamic Law, American Trust Publications, ISBN 978-0892591428
  43. কুরআনহাদিস-এ লুতের সম্প্রদায়কে সমকামী ও পায়ুমৈথুনকারী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
  44. Islamqa.com
  45. Bosworth, C.E. (১৯৮৯)। The History of al-Tabari Vol. 30: The 'Abbasid Caliphate in Equilibrium: The Caliphates of Musa al-Hadi and Harun al-Rashid A.D. 785-809/A.H. 169-193। SUNY Press। 
  46. Omar, Sara। "The Oxford Encyclopedia of Islam and Law"। Oxford Islamic Studies Online। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৩ 
  47. Sharia allows sex between married or unmarried Muslim man and any slaves he owns, without the slave's consent.
  48. Jan Otto, Sharia Incorporated, Leiden University Press, ISBN 978-9087280574
  49. What constitutes Zina? Universiti Sains Isam Malaysia (2002)
  50. কুরআন ২৩:৫–৭
  51. কুরআন ২:২২২
  52. সহীহ মুসলিম, ১৭:৪১৯৪ (ইংরেজি)
  53. কুরআন ৪:১৫
  54. কুরআন ২৪:১৩, Kerby Anderson (2007), Islam, Harvest House ISBN 978-0736921176, pp. 87-88
  55. আল-মুয়াত্তা, ৩৬ ১৯.১৭ (ইংরেজি), আল-মুয়াত্তা, ৩৬ ১৯.১৮ (ইংরেজি), আল-মুয়াত্তা, ৪১ ১.৭ (ইংরেজি)
  56. A. Engineer (2004), The Rights of Women in Islam, 3rd Edition, ISBN 978-8120739338, pp. 80-86
  57. J. Campo (2009), Encyclopedia of Islam, ISBN 978-0816054541, pp. 13-14
  58. R. Mehdi (1997), The offence of rape in the Islamic law of Pakistan, Women Living under Muslim Laws:Dossier, 18, pp. 98-108
  59. A.S. Sidahmed (2001), Problems in contemporary applications of Islamic criminal sanctions: The penalty for adultery in relation to women, British journal of middle eastern studies, 28(2): 187-204

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ