জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ
وفاق المدارس الدينية بنغلاديش
অফিসিয়াল লোগো
সংক্ষেপেজাতীয় বেফাক
প্রতিষ্ঠাকাল৭ অক্টোবর ২০১৬
প্রতিষ্ঠাতাফরীদ উদ্দীন মাসঊদ
প্রতিষ্ঠাস্থানঢাকা
ধরনকওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড
সদরদপ্তর1/বি পশ্চিম হাজিপাড়া, ডিআইটি রোড, রামপুরা, ঢাকা-1219
অবস্থান
  • বাংলাদেশ
  • ঢাকা
পরিষেবাকওমি শিক্ষা ব্যবস্থার উৎকর্ষ সাধন।
সভাপতি
ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ
মহাসচিব
মোহাম্মদ আলী
সহ-সভাপতি
ড. মুশতাক আহমদ
সহ-সভাপতি
ইয়াহইয়া মাহমুদ
প্রধান অঙ্গ
দারুল উলুম দেওবন্দ
প্রধান প্রতিষ্ঠান
আল হাইআতুল উলয়া
স্টাফ
মুফতি আবুল কাসেম [মহাপরিচালক] মুহাম্মাদ মুহিব্বুল্লাহ [অফিস সম্পাদক] মাওলানা এহসানুল্লাহ [হিসাব রক্ষক]

জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ (আরবি: وفاق المدارس الدينية بنغلاديش) বাংলাদেশে অবস্থিত সরকার স্বীকৃত একটি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।[১] বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড সমূহের মধ্যে এটি সর্বাপেক্ষা নতুন।[২] ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের নেতৃত্বে এই বোর্ডটি গঠিত হয় এবং ১৫ অক্টোবর এটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে।[৩] এই বোর্ডের অধীনে ৮০০+ মাদ্রাসা রয়েছে।[৪]

শিক্ষা ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

বোর্ডের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

  • প্রথম পর্যায়ঃ এ পর্যায়ে রয়েছে ২টি স্তর।
    • প্রথম স্তরঃ প্রাথমিক শিক্ষা। কুরআন তেলওয়াত ও ইসলামিয়াতসহ গণিত, বাংলা, ইংরেজি ও সমাজ বিজ্ঞান প্রভৃতি ৫ম শ্রেণির মান পর্যন্ত। একে বলা হয় আল মারহালাতুল ইবতিদাইয়্যাহ বা কওমী প্রাথমিক মাদ্রাসা।
    • দ্বিতীয় স্তরঃ এতে রয়েছে সাধারণ শিক্ষা সহ ইসলামিক শিক্ষা। অর্থাৎ আরবি ভাষা, আরবি ব্যকরণ ও ফিকাহশাস্ত্র, গণিত, বাংলা, ইংরেজি ও সমাজ বিজ্ঞান। একে বলা হয় আল মারহালাতুল মুতাওয়াসসিতাহ। এর মেয়াদ ৩ বছর। ( ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম )
  • দ্বিতীয় পর্যায়ঃ এপর্যায়ে রয়েছে ৪টি স্তর।
    • ১ম স্তরঃ আল মারহালাতুস সানাবিয়্যাহ (মাধ্যমিক স্তর), যার মেয়াদ ২ বছর (৯ম-১০ম)।
    • ২য় স্তরঃ আল মারহালাতুস সানাবিয়্যাতুল উলইয়া (উচ্চ মাধ্যমিক স্তর), যার মেয়াদ ২ বছর (১১শ - ১২শ)।
    • ৩য় স্তরঃ আল মারহালাতুল ফজিলত (স্নাতক ডিগ্রি)। এর মেয়াদ ২ বছর (১৩শ - ১৪শ)।
    • ৪র্থ স্তরঃ আল মারহালাতুল তাকমিল (মাস্টার্স ডিগ্রি)। এর মেয়াদ ২ বছর। এ স্তরকে দাওরায়ে হাদিস বলা হয়।
  • তৃতীয় পর্যায়ঃ এ পর্যায়ে রয়েছে বিষয়ভিত্তিক ডিপ্লোমা ও গবেষণামূলক শিক্ষা কোর্স। যথাঃ হাদিস, তাফসির, ফিকহ, ফতওয়া, তাজবিদ, আরবি সাহিত্য, বাংলা সাহিত্য, ইংরেজি, উর্দু ও ফারসি ভাষা, ইসলামের ইতিহাস, সীরাত, ইলমুল কালাম, ইসলামি দর্শন, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, পৌর বিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ের গবেষণামূলক শিক্ষা।

কেন্দ্রীয় পরীক্ষা[সম্পাদনা]

বর্তমানে বোর্ডের অধীনে নিম্নোক্ত কেন্দ্রীয় পরীক্ষা সমূহ অনুষ্ঠিত হয় :[৫]

  • হিফজ ও নাযেরা
  • ইলমুল কিরাত ও তাজবীদ
  • ইবতিদাইয়্যাহ ( পঞ্চম শ্রেণি)
  • মুতাওয়াসসিতা (অষ্টম শ্রেণি)
  • সানাবিয়া (উলইয়া উচ্চ মাধ্যমিক)
  • ফযীলত (স্নাতক পাস, দুই বছর মেয়াদী)
  • ইফতা (স্নাতক সম্মান, চার বছর মেয়াদি অনার্স)

উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]

বোর্ডের অধীনে এক সহস্রাধিক মাদ্রাসা রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য :[৫]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "'আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ' এর অধীন 'কওমি মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮'"bdlaws.minlaw.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-৩০ 
  2. "ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের নেতৃত্বে আসছে নতুন কওমি বোর্ড | banglatribune.com"Bangla Tribune। ২০১৯-১০-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১১ 
  3. "বোর্ডের খবর নেই, পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা | banglatribune.com"Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-৩০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে"দৈনিক ইনকিলাব। ২ অক্টোবর ২০২১। 
  5. "জাতীয় বেফাকে মেধা তালিকায় যারা"Patheo24। ২০১৯-০৫-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-৩০  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]