উদারতাবাদী নারীবাদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Liberal feminism থেকে পুনর্নির্দেশিত)

উদারতাবাদী নারীবাদ, যা সাধারণ নারীবাদ নামেও অভিহিত হলো যা নারীবাদের একটি প্রধান শাখা।[ক] এটি উদারতাবাদী গণতন্ত্র কাঠামোর মধ্যে রাজনেতিক এবং আইনী সংশোধনের মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা অর্জন করা এর লক্ষ্য। এটি নারীবাদী চিন্তার “তিনটি বড়” বিদ্যালয়ের একটি।[১] এটি ১৯ শতকের উদারনীতিবাদ এবং প্রগতিবাদের সাথে জড়িত ১৯ শতকের নারীবাদের প্রথম তরঙ্গ থেকে উদ্ভুত, যার (নারীবাদের প্রথম তরঙ্গের) কেন্দ্রে ছিল নারীর ভোটাধিকার এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অধিকার। উদারতাবাদী নারীবাদ “প্রচলিত সমাজের কাঠামোতে নারীদের অন্তর্ভূক্ত করতে কাঠামোটির মধ্যে কাজ করে।”[২] উদারতাবাদী নারীবাদ আইন, রাজনৈতিক সংস্থা, শিক্ষা এবং কর্মজীবনের সহ মানুষের বাস্তব জীবনের দিকগুলোর উপর বিশেষ গুরুত্ব সমান রাজনৈতিক ও আইনী অধিকার অস্বীকার করাই সমানতার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা। উদারতাবাদী নারীবাদীরা নারীদের রাজনীতির মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করেছেন। উদারতাবাদী নারীবাদ প্রসারিত এবং সামাজিকভাবে প্রগতিশীল ছিল। উদারতাবাদী নারীবাদ উদারতাবাদী গণতান্ত্রিক সমাজে থাকা ক্ষমতার গঠনকে সমর্থন দেয় এবং এটি সংস্কারবাদ এবং কেন্দ্রপন্থীতার সাথে সংযুক্ত। উদারতাবাদী নারীবাদ “‘সাধারণ’ (যেমন: মধ্যবিত্ত শ্রেণি) নারীদের দ্বারা গৃহীত হয়, যারা বিদ্যমান সামাজিক গঠনের সাথে একমত।[৩]” ঝেং এবং রাইয়োস এর মতে, উদারতাবাদী নারীবাদ সমতার প্রতি মনযোগ দেওয়ায় এটিকে নারীবাদের আসল বা প্রধান ধরন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[৩] উদারতাবাদী নারীবাদ নারীবাদের ক্ষেত্রে পুরুষের অংশগ্রহণ সমর্থন করে এবং এই আন্দোলনে নারী-পুরুষ উভয়ই সংযুক্ত আছে। ১৯ শতাকে আন্দোলনটির শুরু থেকে প্রগতিশীল পুরুষেরা নারীদের সাথে সমান রাজনৈতিক অধিকারের সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।[৪]

ঐতিহাসিকভাবে, উদারতাবাদী নারীবাদ সামাজিক উদারনীতিবাদের সাথে সম্পর্কিত এবং তা থেকে অনেকটা বিকাশ লাভ করেছে। আধূনিক উদারতাবাদী নারীবাদী ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: সামাজিক উদারনীতিবাদ, সামাজিক গণতান্ত্রিক ধারা এবং সমতা নারীবাদ, সামাজিক নারীবাদ, ন্যায্যতা নারীবাদ, পার্থক্য নারীবাদ ও সেবা-নৈতিক নারীবাদের মতো বিভিন্ন বিষয়।[৫] কয়েক ধরনের উদারতাবাদী নারীবাদকে নব্যউদারনীতিবাদী নারীবাদ বা “বোর্ডরুম নারীবাদ” বলে আখ্যা করা হয়েছে।[৬][৭] পশ্চিমা দেশ এবং উন্নয়নশীল ধর্মনিরপেক্ষে অনেক দেশে উদারতাবাদী নারীবাদ রাষ্ট্র নারীবাদের সাথে সম্পর্কিত। উদারতাবাদী নারীবাদ সরকারকে গঠনমূলক সহযোগিতা এবং এবং পুনর্গঠনের জন্য সংসদীয় এবং আইনী প্রক্রিয়ায় জড়িত হওয়ার দিকে গুরুত্ব দেয়।[৪] উদারতাবাদী নারীবাদকে “সমতাবাদী নারীবাদ”, “গঠনমূলক নারীবাদ”, “সাধারণ নারীবাদ” এবং “সংরক্ষণশীল নারীবাদ” নামেও অভিহিত।[৮][৯] উদারতাবাদী নারীবাদকে অনেক সময়ে সমাজতান্ত্রিক নারীবাদ, মার্ক্সীয় নারীবাদ, চরমপন্থী নারীবাদের সাথে তুলনা করা হয়, কিন্তু সেগুলোর মতো উদারতাবাদী নারীবাদ বিপ্লব বা চরমপ্রন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে সমাজ পুনর্গঠনের চেষ্টা করে না, বরং উদারতাবাদী গণতন্ত্রের মাধ্যমে ক্রমশ সামাজিক প্রগতিশীলতা অর্জণের চেষ্টা করে।[১][১][৯][১০][১১][১২][১৩] উদারতাবাদী নারীবাদ এবং সাধারণ নারীবাদ দুটি বিস্তৃত কথা, যা যেসকল নারীবাদ বৈপ্লবিক, সমাজতান্ত্রিক, মার্ক্সবাদী বা চরমপ্রন্থী নয়, বরং উদারতাবাদী গণতান্ত্রিক কাঠামোতে রাজনৈতিক, আইনী এবং সামাজিক পুনর্গঠনের মাধ্যমে সেগুলোকে নির্দেশ করতে এই দুটি শব্দ ব্যবহার করা হয়। তাই, উদারতাাদী নারীবাদীরা অন্যান্য নারীবাদের অনেক বিশ্বাস এবং মধ্য-বাম থেকে মধ্য ডান গণতান্ত্রিক পরিসীমার মধ্যে রাজনৈতিক আদর্শের সাথে যুক্ত থাকতে পারেন।

উদারতাবাদী নারীবাদ প্রথম থেকেই দরকারবাদী এবং নারী ও পুরুষ এবং রাজনৈতিক কেন্দ্র, সরকার এবং আইনসভায় নারীবাদী উদ্দেশ্যের প্রতি সুদূরপ্রসারী সমর্থন তৈরিতে মনযোগ প্রদান করে। ২১ শতকের উদারতাবাদী নারীবাদীরা কমাগত সামাজিক লিঙ্গের একটি আন্তঃবিভাগীয় ব্যাখ্যাকে সমর্থন দেন এবং আধূনিক উদারতাবাদী নারীবাদীরা এলজিবিটি অধিকারকে নারীবাদের একটি প্রধান বিষয় হিসেবে সমর্থন করেন।[১৪][১৫] উদারতাবাদী নারীবাদীরা যেসব আইন লিঙ্গ সমতা সমর্থন করে এবং নারীদের প্রতি বৈষম্য করে এ রকম প্রথাগুলোকে নিষিদ্ধ করেন। সাধারণ উদারতাবাদী নারীবাদীরা, বিশেষ করে, সামাজিক গণতান্ত্রিক ক্ষেত্রের নারীবাদীরা কোনো উদারতাবাদী গণতান্ত্রিকি সমাজে বস্তুগত বৈষম্য হ্রাস করতে গৃহীত সামাজিক পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন দেন। নারীবাদের প্রথম তরঙ্গ থেকে উদ্ভুত এবং ঐতিহ্যগতভাবে রাজনৈতিক এবং আইনি পুনর্গঠনের উপর মনযোগ প্রদান করা এই নারীবাদের আরো বিস্তৃতে ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে নারীবাদের তৃতীয় ও চতুর্থ তরঙ্গ সহ পরবর্তী তরঙ্গগুলোর কিছু অংশ। সূর্যমুখী ফুল এবং সোনালী রং জ্ঞানার্জনকে নির্দেশ করে, যা ১৮৬০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে এবং পরবর্তীতে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারণ নারীবাদীদের এবং নারীর ভোটাধিকার আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্রতীক।[১৬]

পরিভাষা[সম্পাদনা]

“উদারতাবাদী নারীবাদ” নামটি তুলনামূলক আধূনিক, তবে এর রাজনৈতিক ঐতিহ্য অনেক পুরানো। উদারতাবাদী নারী অধিকার আন্দোলনের ১০০ বছর পর ২০ শতকে “নারীবাদ” শব্দটি নারীদের অধিকারের সংগ্রামকে নির্দেশ করতে সবচেয়ে ব্যবহৃত হওয়া শব্দে পরিণত হয়। তবে নারীবাদী ইতিহাসবিদদের মতে, নারী অধিকার অর্জনের জন্য যেকোনো আন্দোলনকে নারীবাদী আন্দোলন হিসেবে বিবেচনা করা উচিত, এমনকি যদি সেগুলো নিজের থেকে এ শব্দটি না করলেও।[১৭] ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দশকে কিছু উদারতাবাদী নারীবাদীরা “নারীবাদ” শব্দটির প্রদি সন্দেহ প্রকাশ করলেও, অনেকে শব্দটি সমর্থন করেন। উদাহরণস্বরূপ, উদারতাবাদী নারীবাদী সংস্থা, নরওয়েজীয নারী অধিকার সংগঠন “নারীবাদ” শব্দটির প্রতি ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, এটি পুরুষের প্রতি “অপ্রয়োজনীয় শত্রুতা” সৃষ্টি করতে পারে।[১৮] কিন্তু শব্দটি পশ্চিমা বিশ্বে নারী অধিকার আন্দোলনে প্রচলিত হয়ে যাওয়ায় সংগঠনটি সেটি পরবর্তীতে গ্রহণ করে নেয়।[৪]

দর্শন[সম্পাদনা]

অ্যানথোনি গিডেনস এর মতে, উদারতাবাদী নারীবাদ “বিশ্বাস করে যে নারীদের অধিকারের অভাবে এবং মেয়েদের নাগরিক অধিকার এবং শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে অধিকারের মতো সামাজিক সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার কারণে লিঙ্গ বৈষম্যতা সৃষ্টি হয়েছ।”[১৯] ক্যাথরিন রোটেনবার্গ উল্লেখ করেন যে, প্রচলিত উদারতাবাদী নারীবাদের উদ্দেশ্য ছিল “সার্বজনীন সাম্যতা ঘোষণার মধ্যে থাকা আইন, সাংগাঠনিক অধিকার এবং নারীদের সার্বজনীন পরিবেশে সম্পূর্ণ অংশগ্রহণে লিঙ্গ সংক্রান্ত বাধাগুলো প্রকাশ করার মাধ্যমে উদারতাবাদের অন্তর্নিহিত সমালোচনা প্রকাশ করা।” রোটেনবার্গ প্রচলিত উদারতাবাদী নারীবাদকে নব্য-উদারতাবাদী নারীবাদের সাথে তুলনা করেন, যেখানে উদারতাবাদ নারীবাদ নব্য-উদারতাবাদ নারীবাদের সাথে “নিখুঁতভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ।”[৬]

উদারতাবাদী নারীবাদ তার মূল থেকে “আইন এবং শর্তাবলীর সাথে জড়িত হয়ে সাম্যতা নিশ্চিত করতে এমন আইন এবং শর্তাবলী তৈরির মাধ্যমে সমান অধিকারকে সমর্থন করে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে পুনর্গঠিত হওয়াতে” বিশ্বাস করে।[২০] উদরতাবাদী নারীবাদীদের মতে, নারীরা পুরুষের তুলনায় কম বুদ্ধি সম্পন্ন এবং শারীরিকভাবে সক্ষম সমাজ এই ভূল ধারণায় বিশ্বাস করে। আর এ কারণে সমাজ নারীদের প্রতি শিক্ষাক্ষেত্রে, ফোরামে এবং বাজারে বৈষম্য করে। উদারতাবাদী নারীবাদীরা বিশ্বাস করেন যে, “নারীদের অধীনতা গতানুগতিকতা এবং আইনী সীমাবদ্ধতার কারণে সৃষ্টি হয়েছে, যা ‘প্রকাশ্য বিশ্ব’ নামে পরিচিত স্থানে নারীদের প্রবেশাধিকার এবং সফলতাকে বাধা প্রদান করে।”[২১][২২] এবং রাজনৈতিক ও আইনী পুনর্গঠনের মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা অর্জনের চেষ্ট করেন। ক্যাথরিন উল্লেখ করেন যে, মধ্যবিত্ত নারী অধিকার আন্দোলন উদারতাবাদ এবং উদারতাবাদী নারীবাদ। মধ্যবিত্ত নারী অধিকার আন্দোলনের সমর্থকরা নারীর নাকরিগকাধিকার এবং স্বাধীনতা পক্ষে সংগ্রাম করেন, যার মধ্যে ছিল বাকস্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, সম্মিলিত হওয়ার স্বাধীনতা, উত্তরাধিকার অধিকার, ভূমি অধিকার ও বাণিজ্যের অধিকার এবং নারীদের শিক্ষা এবং কর্মজীবনের অধীকার। সংক্ষিপ্তভাবে, নারীর পুরুষের সমান অধিকার এবং স্বাধীনতা পাওয়া উচিত।[২৩]

তাদের পুনর্গঠন “বিদ্যমান আইনের অন্তর্ভূক্ত হতে পারবে এবং হওয়া উচিত”- এটি প্রচারের জন্য রাজনৈতিক উদারতাবাদ নারীবাদকে সাদৃশ্যপূর্ণ প্রচার মাধ্যম দেয়।[২৪] উদারতবাদী নারীবাদীদের মতে, পুরুষের মতো, নারীরাও স্বায়ত্তশাসিত ব্যাক্তি হিসেবে বিবেচিত, আর তাই সেই অধিকার পাবে।[২৪] উদারতাবাদী নারীবাদ প্রথম থেকেই ব্যবহারিক হওয়ায় এটি সমতার অর্জনের জন্য আইন এবং নীতির ব্যবহারিক পুনর্গঠনের দিকে মনযোগ দেয়। সমাজবাদী বা চরমপন্থি নারীবাদের বামপন্থি নারীবাদের শাখাগুলোর চেয়ে উদারতাবাদী নারীবাদে আরো ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে আরো সতন্ত্র প্রথা ব্যবহৃত হয়।[২৫] সুজান ওয়েন্ডেল এর মতে, একটি আধূনিক এবং দল-রাজনৈতিক দিক থেকে “উদারতাবাদী নারীবাদ উদারতাবাদ থেকে সৃষ্ট একটি ঐতিহাসিক সংস্কৃতি, যা মেরি ওয়ালস্টোনক্রাফ্ট এভং জন স্মিথ মিল এর মতো নারীবাদীদের কীর্তিগুলোতে স্পষ্ট দেখা যায়, তবে যেসব নারীবাদীরা সেই সংস্কৃতি থেকে নীতি গ্রহণ করেছেন, তাদের অনেকে এমন লক্ষ্য এবং বিশ্লেষণ সৃষ্টি করেছেন, যা ১৯ এবং ২০ শতকের নারীবাদকে অতিক্রম করে যায় এবং আরো অনেক নারীবাদীদের, যাদের লক্ষ এবং পরিকল্পনা ছিল তাদেরকে উদারতাবাদী নারীবাদী বলে অভিহিত করা হতো।...উদারতাবাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রত্যাখ্যান করেন।” তিনি উদারতাবাদী নারীবাদের মৌলিক অংশ হিসেবে “সুযোগের সমতা”- কথাটি উল্লেখ করেন।[২৫] হেলগা হার্নস উল্লেখ করেন যে, উদারতাবাদী নারীবাদ প্রায়ই উদারপন্থীদের রাজনৈতিক অবস্থানের সমালোচনা করে এবং উদারতাবাদী নারীবাদ এবং উদারতাবাদ একই নয়।[২৬]

এলজিবিটি অধিকার[সম্পাদনা]

উদারতাবাদী নারীবাদী সংগঠনগুলো অনেক বিষয়কে অন্তর্ভূক্ত, আর এ কারণে তারা আধূনিক সময়ে এলজিবিটি অধিকার সমর্থন দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান দুটি নারীবাদী সংগঠন, জাতীয় নারী সংগঠন (এনওডাবলিউ) এবং লীগ অব উইমেন ভোটারস (এলডাবলিউভি) এলজিবিটি অধিকারকে নারীবাদের একটি মৌলিক বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে। এছাড়াও তারা রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের অধিকারকে সমর্থন দেয় এবং ট্রান্সফোবিয়ার বিরোধিতা করে।[২৭] এনওডাবলিউ এর সভাপতি বলেন যে, ট্রান্সফোবিয়ার বিরুদ্ধে সংগ্রাম একটি নারীবাদী বিষয়।[২৮] জাতীয় নারী সংগঠনের মতে, “রূপান্তরকামী নারীরাও নারী এবং রূপান্তর মেয়েরাও মেয়ে।[২৯] তাদেরও সমান সুযোগ, স্বাস্থসেবা, সূরক্ষিত সম্প্রদায় এবং কর্মক্ষেত্র পাওয়ার এবং খেলাধুলা করার অধিকার আছে। লিঙ্গ এবং সামাজিক লিঙ্গের মতো পরিচিতি নির্ধারকগুলো ছাড়াও, তাদের পরিচিতির সম্মান পাওয়ার অধিকার আছে। আমরা আপনাদের সাথে আছি।”[৩০]

ঐতিহ্যগতভাবে, উদারতাবাদী নারীবাদী সংঘটন, আন্তর্জাতিক বেসরকারী সংগঠন এবং আন্তর্জাতিক নারী জোট (আইএডাবলিউ) এবং তাদের শাখাগুলোতেও রূপান্তরকামীদের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত। আন্তর্জাতিক নারী জোটের একটি আইসল্যান্ড শাখা, আইসল্যান্ডিক নারী অধিকার সংগঠন নারী অধিকারের উদ্দেশ্যে আইডাবলিউআরএ কর্মসূচি শুরু করে। রূপান্তরকামীদের ছাড়া নারীবাদ কোনো নারীবাদই নয়।[৩১] ২০২০ সালের, নারী দিবসে, আইসল্যান্ডিক নারী অধিকার সংগঠন ট্রান্স আইল্যান্ড এর সাথে একটি আয়োজন করে, যেখানে দেশের বিভিন্ন নারীবাদী সংগঠন রুপান্তরকামী-বিরোধী আবেগ আইসল্যান্ডে যাতে প্রভাব বৃদ্ধি না করতে পারে সে সংক্রান্ত পরিকল্পনা আলোচনা করে।[৩২] সেই বছরেই পরবর্তীতে, ট্রান্স আইল্যান্ড সর্বসম্মতভাবে আইসল্যান্ডিক নারী অধিকার সংগঠন এর সদস্যপদ লাভ করে।[৩৩] ২০২১ সালে, “রুপান্তরকামী-বিরোধী ধ্বনিগুলো, যা শক্ত হয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী নারীবাদীদের একতাকে ভীতির সম্মখীন করছে” সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার উপায় নিয়ে আন্তর্জাতিক নারী জোট এবং আইসল্যান্ডিক নারী অধিকার সংগঠন যৌথভাবে একটি আয়োজন করে।[৩৪] ডেনিস নারী সোসাইটি এলজিবিটিকিউএ অধিকারকে সমর্থন দেয় এবং বলে যে, সংগঠনটি সমকামভীতিকে এবং ট্রান্সফোবিয়াকে খুব গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। সংঘটনটি আরো বলে যে, “আমরা সমকামী এবং রূপান্তারকামীদের সমর্থন করে এমন সকল উদ্যোগকেই আমরা সমর্থন করি।”[৩৫] নরওয়েজীয় নারী অধিকার সংগঠনেও রূপান্তরকামীরা অন্তর্ভূক্ত এবং তারা যৌন আকর্ষণ এবং লিঙ্গ পরিচয়ের ভিত্তিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আইনী সুরক্ষাকে সমর্থন দেয়।[৩৬][৩৭] ডয়চে ফ্রাউনরিং ইন্টারসেকসনাল একটি সংগঠন, যা ট্রান্সফোবিয়ার বিরোধিতা করে।[৩৮] ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের স্মরণীয় রূপান্তরকামী দিনে আয়ারল্যান্ডের জাতীয় নারী পরিষদ এবং অ্যামনেস্টি আন্তর্জাতিক আয়ারল্যান্ড রুপান্তরকামীদের অন্তর্ভূক্ত না করা নারীবাদের প্রতি নিন্দা প্রকাশ করতে কয়েকটি এলজিবিটি এবং মানবাধিকার দলের সাথে একটি পত্রে সাক্ষর করে। পত্রটি গণমাধ্যম এবং রাজনীতিবিদদের “ডান পন্থি আদর্শ সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ এবং ক্ষতি ও ধ্বংসের উদ্দেশ্য বিশিষ্ট এ ধরনের প্রচলিত ধর্মান্ধ বিশ্বাসের উপর যৌক্তিক কোনো উপস্থাপনা না করতে বলা হয়েছে।” পত্রটিতে আরো বলা হয়েছে, “এই সংখ্যাগরিষ্ঠ্য ইন্টারনেট অ্যাকাউন্টগুলো রুপান্তরকামীদের ইতিবাচক স্বাস্থ সেবার বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে এবং তারা দেশে রুপান্তরকামীদের নিজেদের পরিচয় বেছে নেওয়ার অধিকারের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে। তারা ডানপন্থি বাহিনী এবং অবস্থানে যোগদানের মাধ্যমে তারা রূপান্তরকামী, সমকামী এবং নারীদের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে।”[৩৯]

ইউএন ওমেন লিঙ্গ সমতা এবং এলজিবিটিকিউ+ মানুষদের অধিকারের সমর্থনে কাজ করে এবং বিভিন্ন দেশের সরকার সম্প্রদায়কে জরুরিভাবে এলজিবিটিকিউ+ অধিকারের পক্ষে দাড়াতে বলে।[৪০][৪১][৪২] নারী অধিকার উন্নয়ন সংগঠন এলজিবিটিকিউ অধিকারকে সমর্থন করে এবং লিঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করে। তারা যেসব নারীবাদীরা রুপান্তরকামীদের বাদ দেয় তাদের মানবাধিকার ছোট করতে চাওয়া “মানবাধিকার ক্ষেত্রে ট্রোজেন হর্স” বলে আখ্যা দিয়েছে। এডাবলিউআইডি বলে যে, রুপান্তরকামী-বিরোধী কার্যক্রম একটি “উদ্বেগজনক”, কারণ লিঙ্গ-ভিত্তিক বক্তব্যগুলো লিঙ্গ এবং সামাজিক লিঙ্গের ধারণার অপব্যবহার করে খুবই বৈষম্যমূলক উদ্দেশ্য প্রচার করা হচ্ছে। তারা আরো বলেন যে, “রূপান্তরকামীদের যে নারীবাদীরা অন্তর্ভূক্ত করে না, তারা লিঙ্গ, যৌনতা এবং বঞ্চিতদের অধিকার সংরক্ষণের প্রগতিশীলতা হ্রাস করে।”[৪৩]

ই‌তিহাস[সম্পাদনা]

প্রচ‌লিত নারীবাদ থে‌কে চূড়ান্তভা‌বে উদ‌ারতাবাদী নারীবা‌দের উৎপ‌ত্তি ঘ‌টে এবং ১৯ শত‌কের শে‌ষের দিক থে‌কে এ‌টি সামা‌জিক নারীবা‌দের সা‌থে জ‌ড়িত হয়। ১৮ শত‌কের শে‌ষের দি‌কে উদারতাবাদী ন‌ারীবাদের প্রথম লক্ষ‌্য ছিল নারী‌দের ভোটা‌ধিকার অর্জন, কারণ তা‌দের ধারণা অনুসা‌রে, সে‌টি তা‌দের ব‌্যক্তি স্বাধীনতা দিবে। সাম‌্যতা, নারীর প্রতি পুরু‌ষের নিষ্ঠুরতা হ্রাস এবং পূর্ণাঙ্গ ব‌্যক্তি‌ত্ব লা‌ভের সু‌যোগ অর্জনের মাধ‌্যমে স্বাধীনতা অর্জন করা নি‌য়ে তারা চি‌ন্তিত ছি‌লেন। তা‌দের বিশ্বাস অনুযায়ী, কো‌নো সরকার বা প্রথা তা‌দের নিজস্ব স্বাধীনতা‌কে বাধা দি‌তে পা‌রে না। প্রথম‌দি‌কের উদারতাবাদী ন‌ারীবাদীদের শুধ‌ুমাত্র সাদা ব‌র্ণের পুরুষই পূর্ণাঙ্গ নাগ‌রিক হ‌তে পা‌রে এই ধারণার প্রতিহত কর‌তে হয়।[৪৪] ম্যারি ওলস্টোনক্র্যাফ্‌ট, জু‌দিথ সার‌জেন্ট মু‌রে এবং ফ্রা‌ন্সেস রাইট এর ম‌তো অগ্রগামীরা নারী‌দের পূর্ণাঙ্গ রাজ‌নৈ‌তিক অন্তর্ভূ‌ক্তিকে সমর্থন দেন।[৪৪] ১৯২০ সালে, ৫০ বছ‌রের চেষ্টার পর, অব‌শে‌ষে যুক্তরা‌ষ্ট্রে এবং এর ক‌য়েক দশক আ‌গে বা প‌রে অন‌্যান‌্য প‌শ্চিমা বি‌শ্বের দে‌শে নারী‌দের ভো‌টের এবং সরকারি দফতর প‌রিচালনার অ‌ধিকার দেওয়া হয়।

ভোটাধিকার লাভের পর যুক্তরাষ্ট্রে উদারতাবাদী নারীবাদীরা প্রায় চার দশক নিরব ছিল এবং ১৯৬০ সালের, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সময়ে, প্রচলিত জাতিগত বৈষম্য এবং লিঙ্গ বৈষম্যের মধ্যে তারা একটি সম্পর্ক প্রদর্শন করে।[২১] জাতীয় নারী সংগঠন, জাতীয় নারী রাজনৈতিক সমিতি এবং নারী ইক্যুইটি অ্যাকশন লীগ এর মতো দলগুলো যুক্তরাষ্ট্রে নারী অধিকার বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে গঠিত হয়। এই দলগুলো আইনের অধীনে পুরুষ এবং নারী সমান হিসেবে বিবেচিত হবে সেই উদ্দেশ্যে সমান অধিকার সংস্করণ বা “সাংবিধানিক ন্যায়বিচার সংস্করণ” এর ক্ষেত্রে তেমন অনেকটা ব্যার্থ। উদারতাবাদী নারীবাদের বিশেষ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে (কিন্তু এগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়): প্রজনন এবং গর্ভপাতের অধিকার, যৌন হয়রানি, নির্বাচন, শিক্ষা, কাজের জন্য ন্যায্য পারিশ্রমিক, সাশ্রয়ী শিশুসেবা, সাশ্রয়ী স্বাস্থসেবা এবং নারীদের উপর যৌন এবং গার্হস্থ নির্যাতনের মাত্রার উপর মনযোগ প্রদান করা।[৪৫]

ঐতিহাসিকভাবে, উদারতাবাদী নারীবাদকে “মধ্যবিত্ত নারীবাদ” বলেও অভিহিত করা হতো এবং মধ্যবিত্ত “সর্বহারা” নারীদের আন্দোলনের সাথে তুলনা করা হতো, যা পরবর্তীতে মার্ক্সীয় নারীবাদ এবং সমাজতান্ত্রিক নারীবাদে পরিণত হয়। ১৯৬০ এর দশক থেকে উদারতাবাদী নারীবাদ এবং “সর্বহারা” বা সমাজতান্ত্রিক/মার্ক্সীয় নারীবাদ উভয়কেই চরমপন্থি নারীবাদের সাথে তুলনা করা হয়। উদারতাবাদী নারীবাদকে নারীবাদের ইতিহাসে ২-৪টি প্রধান প্রথার একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[৪৬][৯]

নারীবাদের একটি বড় ক্ষেত্র এবং প্রধান প্রথা, উদারতাবাদী নারীবাদের মধ্যে থাকা অন্যান্য নারীবাদগুলোর মধ্যে রয়েছে: সামাজিক নারীবাদ, ন্যায়বিচার নারীবাদ, সাম্য নারীবাদ এবং পার্থক্য নারীবাদ। রাষ্ট্রীয় নারীবাদ বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোতে উদারতাবাদী নারীবাদের সাথে সম্পর্কিত। এক ধরনের উদারতাবাদী নারীবাদকে নব্য উদারবাদী নারীবাদ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।[৬]

উদারতাবাদী নারীবাদ থেকে সৃষ্ট, ব্যক্তিবাদী বা স্বাধীনতাবাদী নারীবাদকে প্রায়ই সাধারণ নারীবাদ হিসেবে শ্রেণিভূক্ত করা হয়, যদিও অনেক ক্ষেত্রে এর সাথে সাধারণ নারীবাদের বৈসাদৃশ্য আছে। উদাহরণস্বরূপ, স্বাধীনতাবাদী নারীবাদ বস্তুবাদী বৈষম্যতা হ্রাস করতে কোনো পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই। এমনকি এটি সেই ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে। বিপরীতভাবে, উদারতাবাদী নারীবাদ এবং সমতাবাদী নারীবাদকে সমর্থন করে বা চাপিয়ে দেয়।[৪৭] স্বাধীনতাবাদী নারীবাদ যৌনতা সম্পর্কিত বিষয়গুলোর উপর অধিক মনযোগ প্রদান করে। জাতীয় নারী সংগঠনের মতো সাধারণ উদারতাবাদী নারীবাদী সংগঠনগুলো স্বাধীনতাবাদী এবং চরমপন্থি নারীবাদীদের বিপরীতে, উদারতাবাদী নারীবাদ যৌনকর্মী সংক্রান্ত রাজনীতির বিরোধিতা করে, তবে এক্ষেত্রে উদারতাবাদী নারীবাদীদের মধ্যে কিছুটা মতবিরোধ রয়েছে।[৪৮]

আন্তর্জাতিক নারী সংঘের মতো উদারতাবাদী নারীবাদী সংগঠনগুলো স্নায়ু যুদ্ধ জড়ে উদারতাবাদী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দেশের কুটনৈতিক এবং নিরাপত্তা নীতিগুলোকে সমর্থন করে এবং একটি স্বচ্ছ পশ্চিমা পন্থি অবস্থান বজায় রাখে।[৪৯] ২০ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে, উন্নয়নে নারী উদারতাবাদী নারীবাদ সংগঠনগুলোর কাছে একটি ক্রমাগত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিণত হয়।

“কোনো ব্যক্তি যিনি সমান অধিকারে বিশ্বাস করেন” -উদারতাবাদী নারীবাদীর এই সঙ্গা অনুসারে, হিলারি ক্লিনটন একজন উদারতাবাদী নারীবাদী হিসেবে প্রায়ই বিবেচিত।[৫০]

ঝেং এবং রায়য়োস এর মতে, “উদারতাবাদী নারীবাদ সাধারণ নারীদের দ্বারা গৃহীত হয়, যারা সমাজের বিদ্যমান কাঠামোর সাথে দ্বিমত পোষন করেন না।”[৩]

প্রতীক[সম্পাদনা]

সূর্যমুখী ফুল (এবং কখনো সূর্য) এবং হলুদ/সোনালী রং (অথবা আভিজাতিক চিহ্নে) জ্ঞানার্জনকে নির্দেশ করে, যা ১৮৬০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে এবং পরবর্তীতে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে নারী অধিকার এবং নারী ভোটাধিকার আন্দোলনে বহুল ব্যবহৃত হয়। ১৮৬৭ সালে, কেনসাসে নারী ভোটাধিকার আন্দোলনের নেত্রী, উদারতাবাদী নারীবাদী, এলিজাবেথ ক্যাডি স্টেনটন এবং সুজান বি. অ্যানথোনী সূর্যমুখী পিন ব্যবহারের মাধ্যমে সূর্যমুখী প্রতীকের ব্যবহারে উৎসাহ দিন। তবে, এ সময়ে, হলুদ এবং সাদা রং আন্তর্জাতিক ভোটাধিকার আন্দোলনের প্রধান রঙে পরিণত হয় এবং আন্তর্জাতিক নারী ভোটাধিকার সংঘ রং দুটিকে উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যবহার করে। ইতিহাসবিদ, ক্রিস ক্রেমে এবং পউলা এ. ট্রেসলার উল্লেখ করেন যে,

ভোটাধিকার আন্দোলনের প্রতীকীকরণে রং গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এলিজাবেথ ক্যাডি স্টেনটন এবং সুজান বি. অ্যানথোনী এর আন্দোলন থেকে সোনালী রং ব্যবহার করা শুরু হয়, যা কেনসাস স্টেট এর প্রতীক, সূর্যমুখী ফুল থেকে এসেছে। ভোটাধিকারের জন্য আন্দোলনকারীরা তাদের উদ্দেশ্য প্রকাশ করতে সোনালী রঙের ফিতা, সেশে, পিন এবং হলুদ রঙের গোলাপ ব্যবহার করতেন। ১৮৭৬ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের শতবর্ষপূর্তিতে নারীরা হলুদ রঙের ফিতা পরিধান করেন এবং “দ্য ইয়েলো রিবন” নামক একটি গান গেয়েছিল। ১৯১৬ সালে, ভোটাধিকারের জন্য আন্দোলনকারীরা জাতীয় গণতান্ত্রিক সম্মেলনে “দ্য গল্ডেন লেন” প্রদর্শন করে। সম্মেলন হলে প্রবেশ করার জন্য সকল প্রতিনিধিদের কয়েক ব্লক জুড়ে নারীদের সারির মধ্যে দিয়ে হেটে যেতে হয়, যারা সাদা পোশাক এবং হলুদ ফিতা পরিধান করেছিলেন এবং তাদের হাতে ছিল শত শত গজ জুড়ে স্থানটি সোনালী রঙের কাপড় দিয়ে সাজানো ছিল। সোনালী রং দিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাধিকার আন্দোলনের ঘোষিত লক্ষ্য, জ্ঞানার্জনকে নির্দেশ করা হয়।

-ক্রিস ক্রেমে এবং পউলা এ. ট্রেসলার[৫১]

নরওয়েজীয় নারী অধিকার সংগঠন এবং আন্তর্জাতিক নারী সংঘের মতো ভোটাধিকার আন্দোলনের সময়ে গঠিত হওয়া পুরানো উদারতাবাদী (মধ্যবিত্ত) নারীবাদী সংগঠনগুলোতে সূর্যমুখী এবং/অথবা হলুদ বা সোনালী রঙের ব্যবহার অব্যাহত থাকে।

হলুদ রং এখনো উদারতাবাদের প্রতীক হিসেবে বহুল ব্যবহৃত।[৫২]

লেখকগণ[সম্পাদনা]

এই তত্ত্বের সাথে জড়িত নারীবাদী লেখকদের মধ্যে রয়েছেন: ম্যারি ওলস্টোনক্র্যাফ্‌ট, জন স্টুয়ার্ট মিল, হেলেন টেইলর, এলিজাবেথ ক্যাডি স্টেনটোন এবং জিনা ক্রোগ, দ্বিতীয় তরঙ্গের নারীবাদী দ্বিতীয় তরঙ্গের নারীবাদী, বেটি ফ্রাইডেন, গ্লোরিয়া স্টেইনেন, সিমন দ্য বোভোয়ার এবং নারীবাদের , তৃতীয় তরঙ্গের নারীবাদী, রেবেকা ওয়াকার।

ম্যারি ওলস্টোনক্র্যাফ্‌ট[সম্পাদনা]

ম্যারি ওলস্টোনক্র্যাফ্‌ট তার (১৭৫৯-১৭৯৭ সাল) তার লেখা বই, “এ ভিন্ডিকেশন অব দ্য রাইটস অব ওমেন ” খুবই প্রভাবশালী অবস্থানে ছিলেন। বইটিতে নারীর প্রতি সমাজের মনোভাবের উপর তিনি মন্তব্য করেছেন এবং নারীদের তাদের জন্য গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, নিজেদের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে কণ্ঠস্বর ব্যবহার করতে বলেছেন। তিনি “অস্কীকার করেন যে, নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি সুখ সন্ধানী এবং সুখ দানকারী। তিনি বলেন যে, “যদি পুরুষেরা নারীদের যে খাচায় বন্দি করে রাখে সেখানে বন্দি হয়ে থাকত, তাহলে তাদেরও একই ধরনের ত্রুটি সম্পন্ন চরিত্র গঠিত হতো।” ওলস্টোনক্র্যাফ্‌ট নারীদের জন্য সবচেয়ে বেশি যা চাইতেন তা ছিল ব্যক্তিত্ব।”[২১] তিনি আরও বলেন যে, পুরুষতান্ত্রিক শোষণ দাসপ্রথার একটি রূপ, যা আর এড়িয়ে যাওয়া যাবে না পুরুষ ও নারীর মধ্যে থাকা বৈষম্য তাদের মধ্যকার শিক্ষার পার্থক্যের কারণে। তিনি জুদিথ সারজেন্ট মুরে এবং ফ্রাঞ্চেজ রাইট এর সাথে রাজনীতিতে নারীর যুক্ত হওয়ার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ সমর্থকদের একজন ছিলেন।

এলিজাবেথ ক্যাডি স্টেনটোন[সম্পাদনা]

এলিজাবেথ ক্যাডি স্টেনটোন (১৮১৫-১৯০২ সাল) ছিলেন নারীবাদের প্রথম তরঙ্গের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারীদের মধ্যে একজন। তিনি ছিলেন একজন মার্কিন সমাজ কর্মী এবং তিনি সেনেকা ফোলস এ অনুষ্ঠিত সেনেকা ফোলস সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক রাখেন। তার কাছে শুধু ভোটাধিকার আন্দোলনই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, বরং তিনি নারী পৈত্রিক এবং তত্ত্বাবধান, বিবাহবিচ্ছেদ আইন, জন্ম নিয়ন্ত্রণ এবং কমক্ষেত্রে ও অর্থনৈতিক অধিকারের সাথেও জড়িত ছিলেন।[৫৩] এ আন্দোলনে তার সঙ্গি ছিলেন সমান গুরুত্বপূর্ণ, সুজান বি. অ্যানথোনি। একসাথে তারা চতুর্দশ এবং পঞ্চাদশ সংশোধীতে নারীদের যুক্ত করার উদ্দেশ্যে একটি ঘোষিত পরিবর্তন আনতে চেষ্টা করেন।[৫৪] ১৮৯০ সালে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নারী ভোটাধিকার সংগঠন গঠন করেন এবং ১৯৯২ সাল পর্যন্ত সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫৪] তিনি অনেক বক্তব্য, সমাধান, পত্র, আহবান এবং পিটিশন প্রদান করেন, যা নারীবাদের প্রথম তরঙ্গে অন্তর্ভূক্ত হয় এবং উদ্দীপনা বজায় রাখে।[৫৫] তিনি ১৮৪৮ সালের বিবাহিত নারীর ভূমি আইন গৃহীত হওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখেন, যে আইন অনুযায়ী, নারীদের তাদের আইনত স্বামীদের কাছ থেকে স্বাধীন বলে বিবেচনা করা হয় এবং তাদের নিজেদের ভূমির মালিক হওয়ার অধিকার দেয়। তারা দুজন যৌথভাবে জাতীয় নারী ভোটাধিকার সংগঠন (এনডাবলিউএসএ) গঠন করেন। সংগঠনটি ভোটাধিকার অর্জনের উদ্দেশ্যে কার্যকরী আইন এবং আদালতের দিকে মনযোগ প্রদান করে। ​

জন স্টুয়ার্ট মিলস[সম্পাদনা]

জন স্টুয়ার্ট মিলস (২০ মে, ১৮০৮-৭ মে, ১৮৭৩) এর মতে, “আইনের অধীনে উভয় লিঙ্গের সমান অধিকার পাওয়া উচিত এবং যতক্ষণ সামতার অবস্থা না তৈরি হবে, ততক্ষণ কেউই নারী এবং পুরুষের প্রাকৃতিক পার্থক্য এবং তা কতটা বিকৃত হয়েছে তা নির্ণয় করতে পারবে না।” উভয় লিঙ্গের জন্য কি প্রাকৃতিক তা শুধু তাদের উভয়কে মুক্তভাবে পরিণত হতে দিলে এবং তাদের ক্ষমতা মুক্তভাবে ব্যবহার করতে দিলে নির্ণয় করা যাবে।[৫৬] মিলস প্রায়ই এই ভারসাম্যহীনতার কথা উল্লেখ করতেন এবং চিন্তা করতেন পুরুষ রজগারের সময়ে যে “বিশুদ্ধ স্বার্থহীনতা” অনুভব করে তা কি নারীরাও অনুভব করতে পারে। তিনি যে স্বার্থহীনতার কথা বলেছেন তা মানুষকে সমাজের ভালো বিষয়গুলো এবং মানুষ ও পরিবারের ভালো দিকগুলো বিবেচনা করতে উৎসাহিত করে।[২১] ম্যারি ওলস্টোনক্র্যাফ্•ট এর মতো তিনিও যৌন বৈষম্যকে দাসত্বের সাথে তুলনা করে বলেছেন যে, তাদের স্বামীরা একজন দাসের মনিবের মতোই অত্যাচারী এবং তার মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষের জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করছেন। তার বই, “দ্য সাব্জেকশন অব ওমেন” এ তিনি লিখেছেন যে,নারীদের জীবনের তিনটি অংশ তাদের ক্ষতি করে, যেগুলো হলো: গঠন, শিক্ষা এবং বিবাহ।[৫৭] তিনি আরও বলেন যে, যৌন বৈষম্য মানব সভ্যতার প্রগতিতে চরমভাবে বাধা প্রদান করছে। ​

উল্লেখযোগ্য উদারতাবাদী নারীবাদী[সম্পাদনা]

  • ১৮ শতাব্দি
  • ১৯ শতাব্দি
    • জন স্টুয়ার্ট মিলস
    • হ্যারিয়েট টেইলর
    • হ্যারিয়েট টাবম্যান
    • সুজান বি. অ্যানথোনি
    • এলিজাবেথ ক্যাডি স্টেনটন
    • জিনা ক্রোগ
  • ২০ শতাব্দি
    • মার্গারেট বোনেভে
    • অ্যাভা কোলসাড
    • নেডিন স্ট্রোসেন[৫৮]
    • এলেন উইলিস
    • নাওমি ওল্ফ
    • বেটি ফ্রাইডেন
    • রেবেকা ওয়াকার
    • মার্থা নাসবুম
    • ক্যারিন এম ব্রাজুলিয়াস

সংগঠন[সম্পাদনা]

জাতীয় নারী সংগঠন[সম্পাদনা]

জাতীয় নারী সংগঠন হলো যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র উদারতাবাদী নারীবাদী সংগঠন। এ সংগঠনটি সমান অধিকার সংশোধনী, গর্ভপাতের স্বাধীনতর অধিকার সহ প্রজনন সংক্রান্ত অধিকার, সমকামী, উভকামী, রুপান্তরকামী অধিকার এবং অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার সমর্থন করে। সংগঠনটি নারীর প্রতি সহিংসতা এবং জাতিগত ঘৃণার বিরোধিতা করে।

সংগঠনটি আরো যেসব বিষয় নিয়ে কাজ করে:

জাতীয় নারী রাজনৈতিক সমিতি[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত, জাতীয় নারী রাজনৈতিক সমিতি রাজনীতি এবং জনজীবনের সকল ক্ষেত্রে নির্বাচিত এবং নিযুক্ত কর্মী হিসেবে, জাতীয় দলের প্রতিনিধি, স্টেট এবং ফেডারেল আদালতের বিচারপতি লোবিস্ট, ভোটদাতা এবং আন্দোলনের পরিচালক হিসেবে নারীদের অংগ্রহণ বৃদ্ধিতে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র সংস্থা।[৫৯]

এর প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে রয়েছেন মিসেস, ম্যাগাজিন এর সম্পাদক, বক্তা এবং লেখক, গ্লোরিয়া স্টেইনেম, সাবেক সংসদ সদস্য, সার্লি ক্রিমহোম এবং বেলা আবজুগ এবং ডোরোথি হাইট, নিগ্রো নারীদের জাতীয় পরিষদ এর সভাপতি, জিল রাকেলসোউস, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক নাগরিক অধিকার কমিশনার, অ্যান লুইস, গণতান্ত্রিক জাতীয় পরিষদের রাজনৈতিক পরিচালক, এলি পিটারসন, রিপাবলিকান জাতীয় পরিষদের সহ সভাপতি, লাডোনা হ্যারিস, ইন্ডিয়ান অধিকার নেতা, লিজ কার্পেন্টার, লেখক, বক্তা এবং সাবেক প্রেস সচিব, লেডি বার্ড জনসন এবং এলেনর হোমেনস নোর্টন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি সভার প্রতিনিধিরা এবং সমান চাকরি সুযোগ পরিষদের সাবেক সভাপতি এবং প্রতিনিধিরা।

তারা ১৯৭০ সালে সংসদের সমান অধিকার সংশোধনী পাসে ব্যার্থ হওয়ায় অনুপ্রাণিত হয়। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, আইনী, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সমতা শুধামাত্র তখনই সম্ভব হবে যখন নারীরা দেশের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের মাঝে সমানভাবে প্রতিনিধিত্ব করবে। তারা বিশ্বাস করেন যে, নারীরাই নারীদের উদ্দেশ্য সর্বোত্তমভাবে সাধন করতে পারবে। দেশজুড়ে সংসদ, সিটি হল এবং স্টেট আইন বিভাগে কর্মরত নারীরা লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে এবং নারীদের পরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে আইন পাসের জন্য সংগ্রাম করেন এবং সফলভাবে আইন পাস করেন, যা তাদের সেই বিশ্বাসটির বাস্তবতা নিশ্চিত করে।[৫৯]

ওমেন’স ইক্যুইটি অ্যাকশন লীগ[সম্পাদনা]

ওমেন’স ইক্যুইটি অ্যাকশন লীগ (ডাবলিউইএএল) ছিল ১৯৬৮ সালে রাষ্ট্রীয় অনুচ্ছেদ এবং বিভাগ সহ প্রতিষ্ঠিত জাতীয় সদস্য সংগঠন, যা প্রধানত শিক্ষা, আইনি প্রক্রিয়া এবং আইন তৈরির মাধ্যমে নারীদের এবং জীবন উন্নয়নে নিযুক্ত। এটি জাতীয় নারী সংগঠনের চেয়ে বেশি সংরক্ষণশীল ছিল এবং সেই সংগঠনের কিছু সাবেক সদস্য, যারা গর্ভপাত অধিকার সহ বিভিন্ন সামাজিক-যৌন ক্ষেত্রে তাদের দাবিমূলক অবস্থানের সাথে একমত ছিলেন না তারা এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। ওমেন’স ইক্যুইটি অ্যাকশন লীগ থেকে ওমেন’স ইক্যুইটি অ্যাকশন লীগ ফান্ড নামক আরেকটি সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ১৯৭২ সালে “নারীদের অধিকার অর্জণে সহায়তা করতে এবং লিঙ্গ বৈষম্যতার উপর গবেষণা এবং শিক্ষা প্রকল্প পরিচালনা করে যেতে” ওমেন’স ইক্যুইটি অ্যাকশন লীগ এর অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৯৮১ সালে, রাজস্ব আইন পরিবর্তনের ফলে দুটি সংগঠন এক হয়ে যায়।[৬০] ১৯৮৯ সালে, ওমেন’স ইক্যুইটি অ্যাকশন লীগ ভেঙে যায়।[৬১] ​ সংগঠনটির ঘোষিত উদ্দেশ্যগুলো ছিল: ​

  • মার্কিন নারীদের পক্ষে অর্থনৈতিক উন্নয়ন উন্নীত করা।
  • নারীদের পক্ষে ইতোমধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য বিরোধী আইনগুলোর পূর্ণ প্রয়োগের জন্য চাপ প্রদান করা
  • নারীদের বিরুদ্ধে দি ফেক্টো বৈষম্যের সমাধান অনুসন্ধান
  • শিক্ষার সরঞ্জাম একত্র করা এবং বিলিয়ে দেওয়া
  • নারীদের উপর অর্থনৈতিক, রাজস্ব, শিক্ষা এবং নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যগুলোর প্রভাবের ঘটনাগুলো তদন্ত করা এবং সেগুলোর সমাধান অনুসন্ধান
  • মেয়েদের আরো উন্নত কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আহবান দেওয়া
  • রাষ্ট্রিয়, স্টেট এবং স্থানীয় যে আইন এবং প্রথাগুলো নারীদের নিয়োগের সুযোগ সীমাবদ্ধ করছে সেগুলোর পুনর্মূল্যায়নের চেষ্টা করা
  • সরকারি ও বেসরকারী নিয়োগকর্তাদের দ্বারা যেকোনো বেআইনী উপায়ে বেতন, পদোন্নতি এবং অগ্রগতির নীতিগুলোর ক্ষেত্রে নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্যতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা।
  • সকল মার্কিন নারীর মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে অথবা সংগঠনের মাধ্যমে যোগাযোগ এবং সমন্বয় সৃষ্টি করা
  • আইন প্রনয়ন, মামলা বা অন্য কোনো উপায়ে এবং যেকোনো কিছু বা প্রয়োজনীয় সকল কিছু করে এই লক্ষ্যগুলো অর্জন করা

নরওয়েজীয় নারী অধিকার সংগঠন[সম্পাদনা]

১৯৮৪ সালে, তৎকালীন ক্ষমতায় থাকা লিবা‌রেল পা‌র্টি (যা তার প‌রের বছর ৬৩.৪% ভোট পায়) এর সমর্থনে নরওয়েজীয় নারী অ‌ধিকার সংগঠন (এনকেএফ) গ‌ঠিত হওয়ার পর থে‌কে থে‌কে নরও‌য়ে‌তে ঐ‌তিহ‌্যগতভা‌বে সরকার কর্তৃক উদারতাবাদী নারীবাদীদের সমর্থন র‌য়ে‌ছে র‌য়ে‌ছে‌। সংগঠন‌টির প্রতিষ্ঠাতা হি‌সে‌বে ছি‌লেন ৫ জন নরওয়েজীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তা‌দের সা‌থে বিবা‌গের সম্প‌র্কে থাকা নরও‌য়ে এ‌র প্রথম‌দি‌কের কিছু নেতা। নারীবা‌দের প্রথম তর‌ঙ্গ থে‌কে সৃষ্ট এই সংগঠন‌টি উদারতাবাদী কাঠা‌মোর ম‌ধ্যে আইনী এবং রাজ‌নৈ‌তিক পুর্নগঠ‌নের মাধ‌্যমে নারী এবং মে‌য়ে‌দের মানবা‌ধিকার এবং লিঙ্গ সমতা উন্নীত ক‌রে।[৬২] ১৯৮৪ সাল থে‌কে লিঙ্গ সমতা সংক্রান্ত সরকা‌রের সরকা‌রের পত্র বা আইন তৈরি‌তে সংগঠন‌টির বি‌শেষ গুরুত্ব র‌য়ে‌ছে। ১৯৭০ এর দশ‌কে, লিঙ্গ সমতার সমর্থনে যু‌ক্তি উপস্থাপন‌কে পেশায় রূপান্ত‌রিত করার মাধ‌্যমে ক‌রার মাধ‌্যমে সরকার সংগঠন‌টির আদর্শ (সমতা) নিজস্ব আদর্শ হি‌সে‌বে গ্রহণ ক‌রে এবং এনএফ‌কে এর প্রস্তাবনা অনুযায়ী, আইন তৈ‌রি এবং লিঙ্গ সমতা ওমবাড সহ সরকারী প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়।[৪] লিঙ্গ সমতা উন্নীত করার জন্য এনকেএফ এর সাবেক সভাপতি এবং প্রথম লিঙ্গ সমতা ওমবাড, এভা কালসাড এর মতো গুরুত্বপূর্ণ এনকেএফ এর সদস্যরা সরকারের নতুন সংগঠনগুলো গঠন করে এবং সেগুলোর নেতৃত্ব দান করেন। এনকেএফ এর নারীবাদী ঐতিহ্যকে প্রায়ই নরওয়ে এর রাষ্ট্রীয় নারীবাদ বলে অভিহিত করা হয়। “রাষ্ট্রীয় নারীবাদ” কথাটির প্রথম ব্যবহার করেন হেলগা হানর্স।[৪] যদিও ১৯ শতকের প্রগতিশীল উদারতাবাদ থেকে এর সৃষ্টি, কিন্তু নরওয়েজীয় উদারতাবাদী নারীবাদীরা আধূনিক দল-রাজনৈতিক দিক থেকে, শুধু উদারতাবাদে সীমাবদ্ধ নয় এবং এনকেএফ সমাজ গণতান্ত্রিক লেবার পার্টি সহ মধ্য বাম থেকে মধ্য ডান গনতান্ত্রিক সীমার প্রতিনিধিত্ব করে।[৬৩]


অন্যান্য সংগঠন[সম্পাদনা]

  • ফেমিনিস্ট মেজোরিটি ফাউন্ডেশন
  • এমিলি’স লিস্ট
  • আইসল্যান্ডিক নারী অধিকার সংস্থা
  • মিসেস ম্যাগাজিন

সমান অধিকার সংশোধনী[সম্পাদনা]

যুক্তরাষ্ট্রের উদারতাবাদী নারীবাদীদের অনেকে মনে করতেন যে, বেতন, কাজের সুযোগ, রাজনৈতিক কাঠানো, সামাজিক নিরাপত্তা এবং শিক্ষায় নারীদের প্রতি সাম্যতা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান কর্তৃক নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

নারীদের ভোটাধিকার অর্জনের ৩ বছর পরে, রিপাবলিকান সিনেটর, চালর্স কার্টিস কার্টিস এবং রিপাবলিকান প্রতিনিধি, ডেনিয়েল রিড অ্যানথোনি জুনিয়ার সংসদে সমান অধিকার সংশোধনী (ইআরএ) তুলে ধরেন। এটির মতে, এক লিঙ্গের ভিত্তিতে নাগরিক অধিকার অগ্রহ্য করা যাবে না। এর লেখক ছিলেন জাতীয় নারী দলের প্রধান, অ্যালাইস পোল, যিনি ভোটাধিকার আন্দোলনে নেতৃ্ত্ব দিয়েছিলেন। অ্যালাইস এর চেষ্টায় সংশোধনীটি সংসদের প্রতিটা সেশনে তুলে ধরা হয়, কিন্তু তা ১৯৪৬ সালে, উভয় প্রতিনিধি সভায় গোপন করা হয়। সিনেটে কর্তৃক এটি অল্প ভোটে পরাজিত হয়। ১৯৭০ সালে, ফেব্রুয়ারি মাসে, ইআরএ সম্পূর্ণ সংসদকে শুনতে দিতে হবে এই দাবিতে জাতীয় নারী সংগঠনের সংবিধানিক সংশোধীর উপর যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট এর উপর-পরিষদের শুনানিতে বাধা প্রদান করে। সেই বছরের মে মাসে সিনেটর, বার্চ বায় এর অধীনে ইআরএ এর উপর শুনানী শুরু হয়। জুন মাসে, মার্থা গ্রিফিস কর্তৃক বরখাস্তের আবেদনের কারণে ইআরএ অবশেষে সভার আইন সভা থেকে বর্জিত হয়। ১৯৭২ সালের মার্চ মাসে, ইআরএ কোনো পরিবর্তন ছাড়াই সম্পূর্ণ সম্পূর্ণ সিনেট কর্তৃক ৮৪-৮ ভোটে গৃহীত হয়। সিনেটর, স্যান এরভিন এবং প্রতিনিধি, এমানুয়েল সেলার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য ৭ বছরের একটি সময় সীমা প্রদান করতে সফল হয়। তারপর ইআরএ কে প্রতিটা স্টেট এ সম্মতির জন্য পাঠানো হয়, কিন্তু আইনে পরিণত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ স্টেট এ তা গৃহীত হয় না (৩৮)। ১৯৭৮ সালে, সংসদ ৭ বছর সময় সীমার সাথে আরও ৩ বছরের সময় সীমা বৃদ্ধি করে, কিন্তু তারপরও তা প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্টেট এ গৃহীত হয় না।[৬৪]

যেসব স্টেট এর আইন সভা ইআরএ এর প্রতি সবচেয়ে বিরোধিতা করে সেগুলো ছিল: ইউটা, ফ্লোরিডা, ইলিনয়. নর্থ ক্যারোলাইনা এবং ওক•লাহোমা। জাতীয় নারী সংগঠনের মতে, ইআরএ পাসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে ছিল আইনসভাগুলোতে লিঙ্গ এবং জাতিগত ভারসাম্যহীনতা। ১৯৮২ সালে, আফ্রিকান-আমেরিকান নারীদের প্রতি ৩ জনে ২ জন এবং ৫০% সাদা বর্ণের পুরুষ ইআরএ এর পক্ষে ভোট দেয়।[৬৫]

ইক্যুইটি নারীবাদ[সম্পাদনা]

১৯৮০ এর দশকের উদারতাবাদী নারীবাদ থেকে ইক্যুইটি নারীবাদের উৎপত্তি ঘটে, যা হলো বিশেষভাবে এক ধরনের প্রচলিত উদারতাবাদ, স্বাধীনতাবাদী নারীবাদ।[৬৬][৬৭] এটি ব্যাপক সামাজিক পরিবর্তনের পরিবর্তে আইন সমান স্বাধীনতা এবং অধিকার এর অধীনে সাম্যতার উপর জোর দেয়।[৬৮]

স্ট্যানফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ফিলোসফি ওয়েন্ডি ম্যাকএলরোয়, জোয়ান কেনেডি টেইলর, ক্যাথি ইয়াং, রিতা সিমোন, কেটি রোপি, ডায়ানা ফুর্সতগোত রোথ, ক্রিস্টিনা স্টোলবা এবং ক্রিস্টিনা হোফ সোমারসকে ইক্যুইটি নারীবাদী হিসেবে অভিহিত করেছে।[৬৮] বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান, স্টিভেন পিংকারকে অর্ধ-ইক্যুইটি নারীবাদী বলে অভিহিত করেছে। তার মতে, এটি একটি মতবাত, যা মনোবিজ্ঞান এবং জীববিজ্ঞানের কোনো গবেষণামূলক বিষয় সম্পর্কে কোনো অঙ্গিকার করে না।[৬৯] ব্যারি খুলে বলেন যে, জেন্ডার নারীবাদের পরিবর্তে ইক্যুইটি নারীবদের বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত।[৭০]

সমালোচনা[সম্পাদনা]

প্রধান সমালোচনা[সম্পাদনা]

উদারতাবাদী নারীবাদের সমালোচকদের মতে, এর ব্যক্তিবাদী চিন্তার কারণে কিসের মধ্যে নারীদের প্রতি অসুবিধাজনক সামাজিক গঠন এবং প্রথা অন্তর্নিহিত আছে তা নির্ণয় করা কঠিন। তাদের মতে, নারীরা পুরুষের উপর নির্ভরশীল না হলেও, তারা পিতৃতন্ত্রের উপর নির্ভরশীল। তারা বিশ্বাস করেন যে, নারী ভোটাধিকারের মতো প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনগুলো নারীদের মুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ নয়।[৭১]

উদারতাবাদী নারীবাদের আরও প্রচলিত একটি সমালোচনা হলো যে, এটি একটি গবেষণা হিসেবে, নারীকে পুরুষে “পরিণত” করতে অতিরিক্ত মনোযোগ প্রদান করে, আর এর মাধ্যমে এটি নারীদের ঐতিহ্যগত গুরুত্বকে অবমূল্যায়ন করে।[২১] যুক্তরাষ্ট্রের একজন আইনজীবি, লেখক এবং সমাজকর্মী চরমপন্থি নারীবাদী, ক্যাথরিন এ. ম্যাককিনন উদারতাবাদী নারীবাদের সমালোচনা করেন। তিনি একজন লিঙ্গ বৈষম্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং যৌন হয়রানি এবং লিঙ্গ বৈষম্যের সঙ্গ সংক্রান্ত বিষয়গুলোর সাথে জড়িত ছিলেন।[১২] তিনি অন্যান্য চরমপন্থি নারীবাদীদের মতো, উদারতাবাদকে নারীবাদের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেন, কারণ “উদারতাবাদ নারীদের বর্তমানে বিষাক্তভাবে তৈরি পাইয়ের একটি অংশ প্রদান করে”।

বেল হুকের প্রধান সমালোচনা হলো যে, উদারতাবাদী নারীবাদের দর্শনগুলো একই শ্রেণির পুরুষের প্রেক্ষিতে সমতার প্রতি বেশি জোর দেয়। তার মতে, “শোষণের সাংস্কৃতিক ভিত্তি” সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা, যা উদারতাবাদী নারীবাদী এড়িয়ে যায়।

হোয়াইট ওমেন’স বার্ডেন[সম্পাদনা]

উদারতাবাদী নারীবাদের আরেকটি সমালোচনা হচ্ছে এটিতে “হোয়াইট ওমেন বার্ডেন” বা হোয়াইট সেভিয়র সমস্যা বিদ্যমান। “হোয়াইট ওমেন’স বার্ডেন” কথাটি “দ্য হোয়াইট মেন’স বার্ডেন” কথাটি থেকে এসেছে। কালো বর্ণের নারীবাদীরা এবং ঔপনিবেশিক পরবর্তী নারীবাদীদের মতে, প্রচলিত উদারতাবাদী নারীবাদ শুধু মধ্যবিত্ত, বিষমকামী এবং সাদা বর্ণের নারীদের মনোভাবকে উপস্থাপন করে এবং সকল জাতি, শ্রেণি এবং সংস্কৃতির নারীদের অস্তিত্ব মূল্যায়ন করতে ব্যার্থ হয়েছে।[৭২] আর এ কারণে, সাদা বর্ণের উদারতাবাদী নারীবাদীরা হোয়াইট সেভিয়র সমস্যাগুলোর প্রতিফলন ঘটায়। তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজের বাহিরের নারীদের বুঝতে পারেন না, কিন্তু নিজেদের নারীবাদের আদর্শ তাদের গ্রহণ করতে উদ্ভুদ্ধ করার মাধ্যমে তাদের “সাহায্য” বা “বাঁচানোর” চেষ্টা করেন। এ ধরনের সমালোচকদের মতে, উদারতাবাদী নারীবাদ অন্যান্য বর্ণের বা একাধিক জাতীগত পটভূমির নারীদের মধ্যে শোষনের বিভিন্ন উৎস সহ যে ক্ষমতা চক্র কাজ করে তা বুঝতে ব্যার্থ হয়েছে।

সম্পর্কিত কীর্তি[সম্পাদনা]

  • Johnson, Pauline. "Normative tensions of Contemporary Feminism"[৭৩]Thesis Eleven JournalMay, 2010.
  • Kensinger, Loretta. "In Quest of Liberal Feminism"[৭৪] Hypatia 1997.
  • McCloskey, Deirdre. "Free-Market Feminism 101"[৭৫] Eastern Economic Journal2000.
  • Code, Lorraine. "Encyclopedia Of Feminist Theories" Taylor and Francis Group2014.
  • Dundes, Lauren. "Concerned, Meet Terrified: Intersectional Feminism and the Women's March" Women's Studies International Forum July 2018.

টীকা[সম্পাদনা]

  1. Liberal feminism as the oldest of the "Big Three" schools of feminist thought, defined by its focus on achieving gender equality through political and legal reform, is also called "mainstream feminism", "reformist feminism", "egalitarian feminism" or (particularly in historical contexts) "bourgeois feminism" or "bourgeois-liberal feminism". The term "mainstream feminism" refers to the fact that this branch of feminism works within the structure of mainstream society to integrate women into that structure.

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Maynard, Mary (১৯৯৫)। "Beyond the 'big three': the development of feminist theory into the 1990s"। Women's History Review4 (3): 259–281। ডিওআই:10.1080/09612029500200089 
  2. West, Rebecca। "Kinds of Feminism"। University of Alabama in Huntsville। 
  3. Zhang, Y.; Rios, K. (২০২১)। "Understanding Perceptions of Radical and Liberal Feminists: The Nuanced Roles of Warmth and Competence"। Sex Rolesএসটুসিআইডি 243479502 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1007/s11199-021-01257-y 
  4. Elisabeth Lønnå: Stolthet og kvinnekamp: Norsk kvinnesaksforenings historie fra 1913, Gyldendal Norsk Forlag, 1996, p. 273, passim, আইএসবিএন ৮২০৫২৪৪৯৫২
  5. Baehr, Amy R (২০১৭)। "A Capacious Account of Liberal Feminism"। Feminist Philosophy Quarterly3ডিওআই:10.5206/fpq/2016.3.4 
  6. Rottenberg, Catherine (২০১৪)। "The Rise of Neoliberal Feminism"Cultural Studies28 (3): 418–437। এসটুসিআইডি 144882102ডিওআই:10.1080/09502386.2013.857361 
  7. "The Corporate Mystique"The New Republic। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০২২ 
  8. Lindsey, Linda L. (২০১৫)। Gender Roles: A Sociological Perspective। Routledge। পৃষ্ঠা 17। আইএসবিএন 9781317348085 
  9. Voet, Rian (১৯৯৮)। "Categorizations of feminism"। Feminism and Citizenship। SAGE। পৃষ্ঠা 25আইএসবিএন 1446228045 
  10. Murphy, Meghan (এপ্রিল ১১, ২০১৪)। "The divide isn't between 'sex negative' and 'sex positive' feminists — it's between liberal and radical feminism"Feminist Current। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭ 
  11. Appignanesi, Richard; Garratt, Ghris (১৯৯৫)। Postmodernism for beginnersবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন। Trumpington: Icon। পৃষ্ঠা 100–101আইএসবিএন 9781874166214 
  12. MacKinnon, Catharine A. (২০১৩)। "Sexuality"। Kolmar, Wendy K.; Barkowski, Frances। Feminist theory: a reader (4th সংস্করণ)। New York: McGraw-Hill Higher Education। আইএসবিএন 9780073512358 
  13. Gail Dines (২৯ জুন ২০১১)। Gail Dines on radical feminism (Video)। Wheeler Centre, Sydney Writers' Festival, Melbourne via YouTube। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  14. "Why Transphobia Is a Feminist Issue"National Organization for Women। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০২১ 
  15. "Core Issues"National Organization for Women। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২২ 
  16. Cheris Kramarae & Paula A. Treichler (eds.), Amazons, Bluestockings and Crones: A Feminist Dictionary, Pandora Press, 1992
  17. Walters, Margaret (2005). Feminism: A very short introduction. Oxford University. pp. 1–176. ISBN 978-0-19-280510-2.
  18. "Adresseavisen"। ৮ মার্চ ১৯৮০। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২১ 
  19. Anthony Giddens (2001). Sociology (p. 692). Polity Press.
  20. Ledwaba S, Nkomo TS. An Exploration of Motivations for Women Mine Workers to Work Underground. SAGE Open. July 2021. doi:10.1177/21582440211032157
  21. Tong, Rosemarie (১৯৯২)। "Liberal feminism"Feminist thought: a comprehensive introduction। London: Routledge। আইএসবিএন 9780415078740 
  22. Wolff, Kristina (২০০৭)। "Liberal Feminism"। The Blackwell Encyclopedia of Sociologyডিওআই:10.1002/9781405165518.wbeosl040 
  23. Holst, Cathrine (২০১৭)। Hva er feminisme। Oslo: Universitetsforlaget। পৃষ্ঠা 42। আইএসবিএন 9788215029832 
  24. Musgrave, L. Ryan (২০০৩-১১-০১)। "Liberal Feminism, from Law to Art: The Impact of Feminist Jurisprudence on Feminist Aesthetics"। Hypatia18 (4): 214–235। আইএসএসএন 1527-2001এসটুসিআইডি 22580016ডিওআই:10.1111/j.1527-2001.2003.tb01419.xসাইট সিয়ারX 10.1.1.582.4459অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  25. Wendell, Susan (জুন ১৯৮৭)। "A (Qualified) Defense of Liberal Feminism"। Hypatia2 (2): 65–93। আইএসএসএন 0887-5367ডিওআই:10.1111/j.1527-2001.1987.tb01066.x 
  26. Hernes, Helga (২০১১)। "Cathrine Holst: Hva er feminisme (review)"। Sosiologisk tidsskrift19 (1): 109–111। ডিওআই:10.18261/ISSN1504-2928-2011-01-13 
  27. "LWVUS Joins Lawsuit to Protect Transgender Women in Sports"। LWV। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০২১ 
  28. "Why Transphobia Is a Feminist Issue"। NOW। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০২১ 
  29. "NOW Celebrates International Transgender Day of Visibility"। NOW। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০২১ 
  30. "Trans women are women"National Organization for Women। ১২ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০২১ 
  31. "IWRA works for the rights of ALL women. Feminism without trans women is no feminism at all."। Icelandic Women's Rights Association। ২০২২-০২-২৬ তারিখে মূলসীমিত পরীক্ষা সাপেক্ষে বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার, সাধারণত সদস্যতা প্রয়োজন থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০২১ 
  32. "Trans People and Feminist Solidarity"। ৬ নভেম্বর ২০২০। 
  33. "Trans Ísland hluti af Kvenréttindafélaginu"। ৩০ এপ্রিল ২০২১। 
  34. "Transfeminism and the Women's Movement"Icelandic Women's Rights Association। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০২১ 
  35. "Køn, sex og seksualitet"। Dansk Kvindesamfund। ১৮ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২২ 
  36. "Norwegian Association for Women's Rights"। ১৫ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২২ 
  37. Karin M. Bruzelius (১২ নভেম্বর ২০১৮)। "Høring – utredning om det strafferettslige diskrimineringsvernet"। Norwegian Association for Women's Rights। ১১ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০২১ 
  38. "Intersektionalität"Deutscher Frauenring। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০২১ 
  39. "Irish LGBTQ+ community stand in #IrishSolidariT against transphobia on Trans Day of Remembrance"। GCN। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০২১ 
  40. "Promoting and Protecting the Rights of Lesbians, Bisexual Women, Transgender and Intersex Persons"। UN Women। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০২১ 
  41. "UN Women hosts first high-level event on gender diversity and non-binary identities at UN headquarters"। UN Women। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০২১ 
  42. "UN Women statement for the International Day Against Homophobia, Biphobia, Interphobia and Transphobia, 2020"UN Women। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০২১ 
  43. "Trojan horses in human rights spaces: anti-rights discourses, tactics and their convergences with trans-exclusionary feminists"Association for Women's Rights in Development। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০২১ 
  44. Marilley, Suzanne M. (১৯৯৬)। "The feminism of equal rights"Woman suffrage and the origins of liberal feminism in the United States, 1820-1920। Cambridge, Massachusetts: Harvard University Press। পৃষ্ঠা 1–10। আইএসবিএন 9780674954656 
  45. hooks, bell. "Feminist Theory: From Margin to Center" Cambridge, MA: South End Press 1984
  46. Artwińska, Anna (২০২০)। Gender, Generations, and Communism in Central and Eastern Europe and Beyond। Routledge। 
  47. Mahowald, Mary Briody (১৯৯৯)। Genes, Women, Equality। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 145। 
  48. "A War Over Sex Work is Raging Inside The Nation's Biggest Feminist Group"The Daily Beast। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২২ 
  49. Francisca de Haan, Rosa Manus (1881–1942), p. 17, BRILL, 2016, ISBN 9789004333185
  50. "The Feminisms of Hillary Clinton and Carly Fiorina"The Atlantic। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২১ 
  51. Cheris Kramarae & Paula A. Treichler (eds.), Amazons, Bluestockings and Crones: A Feminist Dictionary, Pandora Press, 1992
  52. Adams, Sean; Morioka, Noreen; Stone, Terry Lee (2006). Color Design Workbook: A Real World Guide to Using Color in Graphic Design. Gloucester, Mass.: Rockport Publishers. pp. 86. ISBN 159253192X. OCLC 60393965.
  53. Baker, Jean H. (২০০৫)। Sisters: the lives of America's suffragists। New York: Hill and Wang। আইএসবিএন 9780809095285 
  54. Evans, Sara M. (১৯৯৭)। Born for liberty: a history of women in Americaবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন। New York, New York: Free Press Paperbacks। আইএসবিএন 9780684834986 
  55. Stanton, Elizabeth Cady (১৯৯৪)। "Address to the New York State Legislature, 1854"। Schneir, Miriam। Feminism: the essential historical writings। New York: Vintage Books। পৃষ্ঠা 110। আইএসবিএন 9780679753810 
  56. Mill, John Stuart (২০১৩) [1869]। The Subjection of Women (A Feminist Literature Classic)। Cork: e-artnow Editions। আইএসবিএন 9788074843150 
  57. Brink, David (৯ অক্টোবর ২০০৭)। "Mill's Moral and Political Philosophy"Stanford Encyclopedia of Philosophy। Stanford University। 
  58. Interview with Nadine Strossen, Wikinews, Retrieved 12 June 2020
  59. "Archived copy"। ২০১৩-১০-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১২-১৪ 
  60. "Women's Equity Action League. Records of the Women's Equity Action League, 1966-1979: A Finding Aid"oasis.lib.harvard.edu। ২০১৭-০৯-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-০৬ 
  61. Kraft, Katherine Gray; Stickney, Zephorene L.। "Women's Equity Action League. Records of the Women's Equity Action League, 1966-1979: A Finding Aid"OasisRadcliffe Institute for Advanced Study, Harvard University। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০২০ 
  62. "About us"Norwegian Association for Women's Rights। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৪ 
  63. "Hvem vi er"। Norwegian Association for Women's Rights। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৮ 
  64. https://fas.org/sgp/crs/misc/R42979.pdf [অনাবৃত ইউআরএল পিডিএফ]
  65. "Archived copy"। ২০০৭-০৮-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-৩১ 
  66. Black, Naomi (১৯৮৯)। Social feminism। Ithaca: Cornell University Press। আইএসবিএন 9780801422614 
  67. Halfmann, Jost (১৯৮৯)। "Social change and political mobilization in West Germany"। Katzenstein, Peter। Industry and politics in West Germany: toward the Third Republic। Ithaca, N.Y: Cornell University Press। পৃষ্ঠা 79। আইএসবিএন 9780801495953Quote: Equity-feminism differs from equality-feminism in the depth and scope of its strategic goals. A feminist revolution would pursue three goals, according to Herrad Schenk: 
    • Citing:
  68. "Liberal Feminism"। Stanford Encyclopedia of Philosophy। ১৮ অক্টোবর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬  (Revised 30 September 2013.)
  69. Pinker, Steven (২০০২)। "Gender"The blank slate: the modern denial of human nature। New York: Viking। পৃষ্ঠা 341। আইএসবিএন 9780142003343 
  70. Kuhle, Barry X. (জানুয়ারি ২০১২)। "Evolutionary psychology is compatible with equity feminism, but not with gender feminism: A reply to Eagly and Wood"। Evolutionary Psychology10 (1): 39–43। ডিওআই:10.1177/147470491201000104অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 22833845 
    • See also:
  71. Bryson, Valerie (১৯৯৯)। Feminist debates: issues of theory and political practice। New York: New York University Press। পৃষ্ঠা 14–15। আইএসবিএন 9780814713488 
  72. Mills, Sara (১৯৯৮)। "Postcolonial feminist theory"Jackson, Stevi; Jones, Jackie। Contemporary feminist theories। Edinburgh: Edinburgh University Press। পৃষ্ঠা 98–112। আইএসবিএন 9780748606894 
  73. https://files.zotero.net/16332415126/Johnson%20-%202010%20-%20Normative%20Tensions%20of%20Contemporary%20Feminism.pdf[অকার্যকর সংযোগ]
  74. Kensinger, Loretta (১৯৯৭)। "(In)Quest of Liberal Feminism"Hypatia12 (4): 178–197। জেস্টোর 3810738ডিওআই:10.1111/j.1527-2001.1997.tb00303.x 
  75. McCloskey, Deirdre N. (২০০০)। "Free-Market Feminism 101"Eastern Economic Journal26 (3): 363–365। জেস্টোর 40326003