সমকামভীতি
| যৌন অভিমুখিতা |
|---|
| যৌন অভিমুখিতাসমূহ |
| যৌনদ্বৈততা-বিহীন বিষয়শ্রেণী |
| গবেষণা |
| অ-মানব প্রাণী |
| এলজিবিটি সম্প্রদায় |
|---|
| ধারাবাহিকের একটি অংশ |
|
|
সমকামিতা বা সমকামিদের প্রতি নেতিবাচক ধারণা প্রকাশ কিংবা ভয় পাওয়াকে হোমোফোবিয়া বা সমকামভীতি বলে। তবে লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল কিংবা ট্রান্সজেন্ডার অর্থাৎ এলজিবিটিদের প্রতি ঘৃণামূলক আচরণকে হোমোফোবিক আচরণ বলে অভিহিত করা হয়।[১][২][৩] এই আচরনের সূত্রপাত প্রায়শঃই ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে হয়ে থাকে।[৪][৫] সমকামভীতি যৌন অভিমূখীতার ভিত্তিতে, বিপরীতকামিতা বাদে অন্যদের সামাজিক বৈষম্য ও জবরদস্তিকে উস্কে দেয়। বেশ কিছুক্ষেত্রে সাংগঠনিক ভাবে হোমোফোবিয়া দেখা যায়। যেমনঃ ধর্মীয় হোমোফোবিয়া, অভ্যন্তরীণ হোমোফোবিয়া ইত্যাদি। সমলিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট মানুষেরা কোন কোন ক্ষেত্রে হোমোফোবিক আচরণ করে থাকে, সেটাকে অভ্যন্তরীণ হোমোফোবিয়া বলে আখ্যায়িত করা হয়। এলজিবিটি সম্প্রদায় এই ধরনের নেতিবাচক ধারণা পোষণকারীদের কিছু নাম দিয়ে আলাদাভাবে চিহ্নিত করেছে। লক্ষ করা যায়, নির্দিষ্ট যৌন অভিমূখিতার নেতিবাচকধারণা পোষণকারীদের নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়। যেমনঃ লেসবোফোবিয়া দ্বারা লেসবিয়ানদের প্রতি নেতিবাচক ধারণ পোষণ করা বোঝায়। অনুরূপভাবে,বাইফোবিয়া,ট্রান্সফোবিয়া শব্দগুলোরও উৎপত্তি ঘটেছে।[৬][৭] বেশ অনেক জায়গায়ই সমকামভীতি শব্দের ব্যবহার নিয়ে আপত্তি করা হয়ে থাকে এবং বলা হয়ে থাকে শব্দটি প্রকৃতপক্ষে সুনির্দিষ্ট নয়।
উৎপত্তি
[সম্পাদনা]প্রাচীন গ্রীক পণ্ডিতেরা "হোমোফোবিয়া" শব্দের ব্যবহার দেখা গেলেও, শব্দটির প্রচলন অপেক্ষাকৃতভাবে নতুন।[৮] মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মের সমকামিতাকে নেতিবাচকভাবে অঙ্কণ করায় শব্দটির ব্যবহার দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।[৯]
১৯৬০ সালে সাইকোলজিস্ট জর্জ ওয়েনবার্গ হোমোফোবিয়া শব্দটিকে হোমোসেক্সুয়াল ও ফোবিয়া শব্দের মিশ্রণ বলে আখ্যায়িত করেন। ফোবিয়া শব্দের অর্থ ভয় বা কোন নির্দিষ্ট কিছুর প্রতি ভীতি।[১০][১১][১২] ওয়েনবার্গকেই হোমোফোবিয়া শব্দটি প্রথমবারের মতো ব্যবহার করার স্বীকৃতি দেয়া হয়। ১৯৬৯ সালের ২৩শে মে, প্রথমবারের মতো হোমোফোবিয়া শব্দটি ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়। স্ক্রু নামক ম্যাগাজিনটিতে শব্দটি দ্বারা বিপরীতকামী পুরুষের মনে সমকামী হওয়ার ভয়কে প্রকাশ করা হয়।
প্রকারভেদ
[সম্পাদনা]
হোমোফোবিয়া বিভিন্ন আঙ্গিকের হয়ে থাকে। সামাজিক, ব্যক্তিগতভাবে ছাড়াও মানবিক অনুভূতি, দলগত বিশ্বাস ইত্যাদি হোমোফোবিয়ার রকমফের।[১৩] এছাড়াও, সমকামভীতি, বর্ণবিদ্বেষ এবং লৈঙ্গিক বৈষম্যকারীদেরকে অসহনশীল পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার সমস্যায় ভুগছে বলে চিহ্নিত করা হয়।[১৪]
সাংগঠনিক সমকামভীতি
[সম্পাদনা]ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে
[সম্পাদনা]
কিছু কিছু ধর্মে সমকামিদের প্রতি নিরপেক্ষ থেকে শুরু করে সহানুভূতিশীল আচরনের নির্দেশ থাকলেও, বেশিরভাগ ধর্মেই সমকামিবিরোধী শিক্ষা দিয়ে থাকে। কিছু ধর্মে যদিও সাধারণভাবে সমকামিতাকে অনুৎসাহিত করা হয় তবুও কেউ কেউ সমকামিতাকে স্বাভাবিকভাবেই দেখে থাকেন।ধর্মীয়ভাবে সমকামি বিয়ের অনুষ্ঠানও হতে দেখা যায়। এলজিবিটি সম্প্রদায়ের আধ্যাত্মিক চর্চা কথা মাথায় রেখে ক্যুয়র ধর্মের অস্তিত্বও দেখা যায়। ক্যুয়র ধর্ম প্রধানত ধর্মীয় হোমোফোবিয়া বিরোধী যুক্তি প্রদান করে।[১৫]
অন্তর্বর্তী সমকামভীতি
[সম্পাদনা]এলজিবিটি মানুষদের নিয়ে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা বা বিশ্বাসের কারণে কোন কোন সমলিঙ্গে আকৃষ্ট ব্যক্তি নিজের প্রতিই খারাপ ধারণা করতে শুরু করেন।এটাকেই অন্তর্বর্তী হোমোফোবিয়া বলা হয়। এই ধরনের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি নিজেকে এলজিবিটি হিসেবে মেনে নিতে বা নিজের যৌন পরিচয় মেনে নিতে নিশ্চিত হতে পারেন না।[১৬][১৭] এসব ধারণা মূলতঃ ব্যক্তি ঠিক কোন জায়গা থেকে যৌনশিক্ষা অর্জন করেছে তার উপর নির্ভর করে। এছাড়া একজন মানুষ কোন সমাজে বাস করছে বা কোন ধরনের মানুষের আশেপাশে সবসময় থাকেন এই সবকিছুই অন্তর্বর্তী হোমোফোবিয়ার তীব্রতা নির্ধারণ করে। তবে এই ধরনের হোমোফোবিয়া সঠিক শিক্ষা , থেরাপি এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নির্মূল করা সম্ভব।[১৮]
সামাজিক সমকামভীতি
[সম্পাদনা]সমকামি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার ভয়কে সামাজিক হোমোফোবিয়া বলে। হোমোফোবিয়ার শুরু নিজে সমাজে সমকামি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার ভয় থেকে শুরু হতে পারে বলে তত্ত্ববিদ ক্যাল্ভিন থমাস ও জুডিথ বাটলার মনে করেন। পুরুষদের হোমোফোবিয়া নিজেদের পুরুষত্ব জাহির করার সাথে সম্পর্কযুক্ত।[১৯][২০] এজন্য ক্রীড়ায় (যেমন এসোসিয়েশন ফুটবল এবং রাগবি) এবং ক্রীড়া-সমর্থনকারীদের (যাদেরকে স্টেরিওটইপগত ভাবে পুরুষ বলেই বিবেচনা করা হয়) উপসংস্কৃতিতে (subculture) হোমোফোবিয়া বেশি দেখা যায়।[২১]
তাত্ত্বিকগণ দেখিয়েছেন, যে ব্যক্তি সমকামীবিদ্বেষী বা হোমোফোবিক চিন্তা এবং অনুভূতি প্রকাশ করেন। তিনি কেবল সমকামীদের সম্পর্কে তাদের বিশ্বাস বা ধারণা অন্যদেরকে জানাবার জন্য বা তা নিয়ে আলোচনা করার জন্যই এটা করেন না, সেই সাথে তারা সমকামীদের এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা থেকে নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্যেও এরকমটা করে থাকেন। এভাবে সমকামীদের থেকে নিজেদের মধ্যে একটা দূরত্ব টেনে তিনি বিপরীতকামী-স্বাভাবিক সমাজে তার বিষমকামী ভূমিকাকে পুনর্নিশ্চিন্ত করেন। এর মাধ্যমে তিনি একজন সমকামী হিসেবে আখ্যায়িত হওয়ার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেন। এই ব্যাখ্যাটি আরেকটি ধারণার ইঙ্গিত দেয়, তা হল একজন ব্যক্তি কোন সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের অংশ হিসেবে নিজের পরিচয়কে প্রতিষ্ঠা করার জন্য অন্য আরেকজনের প্রতি উগ্র বিরোধিতা করতে এবং এর মাধ্যমে সামাজিক বৈধতা অর্জনের চেষ্টা করতে পারেন।
ন্যানসি জে. চোডরো বলেন, হোমোফোবিয়াকে পুরুষের পৌরুষত্ব রক্ষার একটি পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা যায়।[২২]
বিভিন্ন মনোবিশ্লেষণী তত্ত্ব হোমোফোবিয়াকে ব্যক্তির নিজস্ব সমকামী তাড়নার প্রতি হুমকি বলে মনে করেন, তা সেই তাড়না আসন্নই হোক আর নিছক অনুকল্পিতই (merely hypothetical) হোক। এই হুমকির ফলে মানুষের মধ্যে দমন, অস্বীকার ও প্রতিক্রিয়া তৈরির (reaction formation) উদ্ভব হয়।[২৩]
সমকামভীতির বিরুদ্ধে লড়াই
[সম্পাদনা]
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা প্রাপ্ত বয়স্কদের মাঝে স্বেচ্ছায় সমকামিতা বিরোধী আইনের নিন্দা করে। ১৯৯৪ সাল থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটি সমকামিতা বিরোধী আইনকে মানবাধিকার বিরোধী আইন বলে আখ্যা দেয়। ২০০৮ সালে রোমান ক্যাথলিক চার্চ কর্তৃক প্রস্তাবিত এক প্রস্তাব জাতিসংঘ বাতিল করে দেয়। উক্ত প্রস্তাবে সমকামিদের আইনগতভাবে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে সরকারীভাবে সাজা দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।[২৪][২৫]
হোমোফোবিয়ার বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এলজিবিটি সম্প্রদায় গৌরব পদযাত্রা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের আয়োজন করে। যদিও কারো কারো মতে এসব উগ্র আচরণ এলজিবিটি সম্প্রদায়কে হাসির পাত্র বানাচ্ছে। কিছু কিছু সংগঠন ১৭ই মে হোমোফোবিয়া বিরোধী দিবস পালন করে থাকেন।[২৬] ২০০৫ সালে চল্লিশটিরও বেশি দেশে এই দিবস পালিত হয়েছে।[২৭][২৮][কে?]
বিষমকামভীতি
[সম্পাদনা]বিষমকামভীতি (হেটেরোফোবিয়া) হল ঠিক সমকামভীতির বিপরীত শব্দ। যৌনবিজ্ঞান নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বেশ কিছু গবেষক এই শব্দটির ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। বিশেষ করে যারা আলফ্রেড কিন্সলের যৌন গবেষণা নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকেন, তারা বিষমকামভীতি শব্দের বিরোধিতা করেন।[২৯][৩০] এখন পর্যন্ত, এই শব্দের অস্তিত্ব ও ব্যবহার যৌনবিজ্ঞানীদের দ্বারা স্বীকৃতি পায় নি। যৌনবিজ্ঞান ছাড়া সেভাবে এই শব্দের প্রকৃতপক্ষে আলাদা কোন মানে নেই, যেহেতু এটি প্রকৃত পক্ষে একটি বিপরীত শব্দ মাত্র।
অর্থনৈতিক ক্ষতি
[সম্পাদনা]
এমন বেশ কিছু গবেষণা আছে, যা থেকে বলা যায়, সমকামভীতি যেসব দেশে ছড়িয়ে পরেছে, সেসব দেশে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পরেছে। এই দেশগুলো থেকে এলজিবিটি মানুষরা সমকামিতা স্বীকৃত এরূপ দেশে স্থানান্তরিত হচ্ছেন। এরফলে একদিকে যেমন মেধাবী সমকামীদের স্থানান্তরের ফলে মেধাপাচার হয়ে যাচ্ছে, একইভাবে সমকামিতাকে কেন্দ্র করে যে পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তোলা যেত, সে সুযোগটাও হেলায় হারানো হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, এলজিবিটি পর্যটকরদের থেকে স্পেন প্রতিবছর ৬,৮০০ মিলিয়ন ডলার আয় করে যা সরাসরী স্পেনীয় অর্থনীতিতে যুক্ত হয়।[৩২]
২০০৫ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্রের আর্মির ডোন্ট আস্ক ডোন্ট টেল নীতি নিয়ে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। সেখানে দেখানো হয়, ১৯৯৮ সালে এই নীতিকে প্রথম প্রণয়নের পর আফগানিস্তান ও ইরাকের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ চলার সময়ে সমকামী হওয়ার অভিযোগে ২০ জন আরবীয় অনুবাদককে বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন আরবী নথিপত্র অনুবাদে বিলম্ব হতে থাকে। হিসাব করে দেখা গিয়েছে এই বিলম্বের পরিমাণ ১ লক্ষ ২০ হাজার ঘণ্টা।[৩৩]
ম্যাসাচুসেটস আমহেরস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ এম.ভি. লি বাজেট, মার্চে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ব্যাংকের একটি সম্মেলনে ভারতে সমকামী বিদ্বেষীতার জন্য কি পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় বা অর্থনৈতিক প্রভাব পড়ে তার একটি ফলাফল উপস্থাপন করেন। তার মতে, সমকামভীতির কারণে হতাশা, আত্মহত্যা এবং এইচআইভির কারণে স্বাস্থ্যখাতের সমস্যা মোকাবিলায় ভারতকে অতিরিক্ত ২৩১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হয়। এসবকিছু ছাড়াও এলজিবিটি মানুষদের সাথে পুনঃপুন সহিংসতা হওয়া, চাকরি চলে যাওয়া, পরিবার থেকে ত্যাজ্য হওয়া বা পরিবার থেকে প্রত্যাখান হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যালয়ে হাস্য-বিদ্রুপের স্বীকার হওয়ার ফলে তারা বিদ্যালয়-কলেজগুলোতে ভালো ফলাফল করেন না, যার ফলে চেইন রিয়াকশনের মত তারা চাকরির ভালো জায়গা গুলোতে যেতে পারেন না, স্বল্প মজুরী পান, স্বাস্থ্যে অবনতির লক্ষণ দেখা যায় এবং স্বল্পায়ু হন। এসবকিছুই ঘটে সমকামভীতির জন্যে।[৩৪] তিনি হিসাব করে দেখিয়েছেন, সমকামভীতির জন্য ভারতের উপার্জন ২০১৪ সালে ৩০,৮০০ মিলিয়ন ডলার কম হয়েছে, যা ভারতীয় জিডিপির ১.৭% ক্ষতি।[৩২][৩৫][৩৬]
সমকামী অধিকার কর্মী আলিমনি তার প্রাথমিক পরিসংখ্যানে দেখান নাইজেরিয়াতে সমকামভীতির জন্য সেদেশটির অর্থনীতির ১% জিডিপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবিষয়টিকে আমলে নিলে বলা যায়, ২০১৫ সালে আফ্রিকার ৫৪ টি দেশগুলোর মধ্যে যেহেতু ৩৬ টি দেশে সমকামিতা অবৈধ ছিল তাই এই উপমহাদেশে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ডলার ক্ষতি হয়।[৩২]
সমকামভীতির ফলে সমাজে কী ধরনের প্রভাব পরে, তা নিয়ে ১৫৮ টা দেশের উপর করা একটি গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে, সমকামিতা বিরোধী কুসংস্কারের জন্য জিডিপির ১১৯.১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা দেখতে পান সমকামভীতির জন্য এশিয়াতে ৮৮.২৯ বিলিয়ন ডলার এবং ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ানে ৮.০৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়। পূর্ব এশিয়া এবং মধ্য এশিয়ায় এই ক্ষতির পরিমাণ ১০.৮৫ ডলার। মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আমেরিকায় এই ক্ষতির পরিমাণ ১৬.৯২ ডলার। গবেষকরা প্রস্তাবনায় বলেন যদি সমকামভীতি ১ শতাংশ হ্রাস করা যায় তবে মাথাপিছু জিডিপি ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।[৩৭]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Maurianne Adams, Lee Anne Bell, Pat Griffin (২০০৭)। Teaching for Diversity and Social Justice। Routledge। পৃ. ১৯৮–১৯৯। আইএসবিএন ১১৩৫৯২৮৫০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪।
Because of the complicated interplay among gender identity, gender roles, and sexual identity, transgender people are often assumed to be lesbian or gay (See Overview: Sexism, Heterosexism, and Transgender Oppression). ... Because transgender identity challenges a binary conception of sexuality and gender, educators must clarify their own understanding of these concepts. ... Facilitators must be able to help participants understand the connections among sexism, heterosexism, and transgender oppression and the ways in which gender roles are maintained, in part, through homophobia.
{{বই উদ্ধৃতি}}: অজানা প্যারামিটার|লেখকগণ=উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ Claire M. Renzetti, Jeffrey L. Edleson (২০০৮)। Encyclopedia of Interpersonal Violence। SAGE Publications। পৃ. ৩৩৮। আইএসবিএন ১৪৫২২৬৫৯১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪।
In a culture of homophobia (an irrational fear of gay, lesbian, bisexual, and transgender [GLBT] people), GLBT people often face a heightened risk of violence specific to their sexual identities.
{{বই উদ্ধৃতি}}: অজানা প্যারামিটার|লেখকগণ=উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ Kerri Durnell Schuiling, Frances E. Likis (২০১১)। Women's Gynecologic Health। Jones & Bartlett Publishers। পৃ. ১৮৭–১৮৮। আইএসবিএন ০৭৬৩৭৫৬৩৭৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪।
Homophobia is an individual's irrational fear or hate of homosexual people. This may include bisexual or transgender persons, but sometimes the more distinct terms of biphobia or transphobia, respectively, are used.
{{বই উদ্ধৃতি}}: অজানা প্যারামিটার|লেখকগণ=উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ "webster.com"। ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০০৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Newport, Frank (৩ এপ্রিল ২০১৫)। "Religion, Same-Sex Relationships and Politics in Indiana and Arkansas"। Gallup। ১১ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৬।
- ↑ Thomas Spijkerboer (২০১৩)। Fleeing Homophobia: Sexual Orientation, Gender Identity and Asylum। Routledge। পৃ. ১২২। আইএসবিএন ১১৩৪০৯৮৩৫৯। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪।
Transgender people subjected to violence, in a range of cultural contexts, frequently report that transphobic violence is expressed in homophobic terms. The tendency to translate violence against a trans person to homophobia reflects the role of gender in attribution of homosexuality as well as the fact that hostility connected to homosexuality is often associated with the perpetrators' prejudices about particular gender practices and their visibility.
- ↑ Intelligence Report, Winter 2010, Issue Number: 140, Anti-Gay Hate Crimes: Doing the Math by Mark Potok, Senior Fellow
- ↑ Herek, Gregory (এপ্রিল ২০০৪)। "Beyond "Homophobia": Thinking about sexual prejudice and stigma in the twenty-first century" (পিডিএফ)। Sexuality Research and Social Policy। ১ (2)। Springer: ৬–২৪। ডিওআই:10.1525/srsp.2004.1.2.6। ১২ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ Anderson, Eric। "Homophobia (psychology and society)"। britannica.com। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Oxford Dictionaries"। ১৪ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ "American Heritage Dictionary"। ৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
- ↑ "Online Etymology Dictionary"।
- ↑ "The Riddle Homophobia Scale"। ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৬।
- ↑ ।
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}:|title=অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য); উদ্ধৃতি journal এর জন্য|journal=প্রয়োজন (সাহায্য)|title=অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ "Queer Spirituality"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
- ↑ Sexuality Research and Social Policy, Volume 1, Number 2 (2004), 6-24, ডিওআই:10.1525/srsp.2004.1.2.6, Beyond "Homophobia": Thinking about sexual prejudice and stigma in the twenty-first century, Gregory M. Herek.
- ↑ Herek, G M; Cogan, J C; Gillis, J R; Glunt, E K (১৯৯৮)। Correlates of Internalized Homophobia in a Community Sample of Lesbians and Gay Men (পিডিএফ)। খণ্ড ২। পৃ. ১৭–২৬। আইএসএসএন 1090-7173। ওসিএলসি 206392016। ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৭।
{{বই উদ্ধৃতি}}:|কর্ম=উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ Martino, William. 2000.
- ↑ "Masculinity Challenged, Men Prefer War and SUVs"।
- ↑ "Homophobia and Hip-Hop"। PBS। ১৬ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১১।
- ↑ "Fans' culture hard to change"।
- ↑ Nancy J. Chodorow. Statement in a public forum on homophobia by The American Psychoanalytic Foundation, 1999
- ↑ West, D.J. Homosexuality re-examined. Minneapolis: University of Minnesota Press, 1977. আইএসবিএন ০-৮১৬৬-০৮১২-১
- ↑ "Statement of the Holy See Delegation at the 63rd Session of the General Assembly of the United Nations on the Declaration on Human Rights, Sexual Orientation and Gender Identity"। vatican.va। ১৮ ডিসেম্বর ২০০৮।
- ↑ "Council of Europe to advance human rights for lesbian, gay, bisexual and transgender persons"। coe.int। ১ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ "Towards an international Day against Homophobia ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ ডিসেম্বর ২০০৫ তারিখে", April 10, 2004
- ↑ "1st Annual International Day Against Homophobia to be Celebrated in over 40 Countries on May 17", May 12, 2005 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ফেব্রুয়ারি ১১, ২০০৭ তারিখে
- ↑ ""Campaigns against Homophobia in Argentina, Brazil, Colombia, and Mexico"। Pan American Health Organization। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১১।
- ↑ Kinsey, Sex and Fraud: The Indoctrination of a People.
- ↑ The Complete Dictionary of Sexuality by Robert T. Francoeur
- ↑ "The global divide on homosexuality: greater acceptance in more secular and affluent countries"। Pew Research Global Attitudes Project (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ জুন ২০১৩।
- 1 2 3 Smith, David। "The Hidden Cost of Homophobia in Africa"। the Williams institute (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "The Price of Homophobia"। The New York Times। ২০ জানুয়ারি ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ Alimi, Adebisi (১৯ জুন ২০১৪)। "The development costs of homophobia" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ Badgett, M.V. Lee। "Sexual Minorities and Development" (পিডিএফ)। The World Bank (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ "What Homophobia Costs a Country's Economy"। The Atlantic। ১২ মার্চ ২০১৪। ২৬ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Lamontagne, Erik; d’Elbée, Marc; Ross, Michael W; Carroll, Aengus; Plessis, André du; Loures, Luiz (৩ মার্চ ২০১৮)। "A socioecological measurement of homophobia for all countries and its public health impact"। European Journal of Public Health (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ (5): ৯৬৭–৯৭২। ডিওআই:10.1093/eurpub/cky023। আইএসএসএন 1101-1262। পিএমআইডি 29514190।