সিমন দ্য বোভোয়ার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সিমন দ্য বোভোয়ার
জন্ম
সিমন লুসি এর্নেস্তিন মারি বেরত্রঁ দ্য বোভোয়ার

(১৯০৮-০১-০৯)৯ জানুয়ারি ১৯০৮
প্যারিস, ফ্রান্স
মৃত্যু১৪ এপ্রিল ১৯৮৬(1986-04-14) (বয়স ৭৮)
প্যারিস, ফ্রান্স
মাতৃশিক্ষায়তনপ্যারিস ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়
যুগবিংশ-শতাব্দীর দর্শন
অঞ্চলপশ্চিমা দর্শন
ধারা
  • অস্তিত্ববাদ
  • অস্তিত্ববাদী প্রপঞ্চবিজ্ঞান[১]
  • ফরাসী নারীবাদ
  • পশ্চিমা মার্ক্সবাদ
প্রধান আগ্রহ
  • রাজনৈতিক দর্শন
  • অস্তিত্ববাদী প্রপঞ্চবাদ
উল্লেখযোগ্য অবদান
  • "দ্ব্যার্থবোধকতার নীতিশাস্ত্র"
  • নারীবাদী নীতিশাস্ত্র
  • অস্তিত্ববাদী নারীবাদ
ভাবগুরু
ভাবশিষ্য
    • জুডিথ বাটলার
    • কামু
    • জঁ-পল সার্ত্রে
    • ক্যামিলি পাগলিয়া
    • বেটি ফ্রাইডান
    • সারাহ জুসিয়া হোগল্যান্ড
    • এ্যাডরিন রিচ
    • জার্মেইন গ্রিয়ার
    • গ্রেইস জি-সুন কিম
স্বাক্ষর

সিমন লুসি এর্নেস্তিন মারি বেরত্রঁ দ্য বোভোয়ার[২] (ফরাসি: Simone Lucie Ernestine Marie Bertrand de Beauvoir; ৯ই জানুয়ারি ১৯০৮ – ১৪ই এপ্রিল ১৯৮৬) যিনি সিমন দ্য বোভোয়ার নামে বেশি পরিচিত, ছিলেন একজন ফরাসি লেখিকা, বুদ্ধিজীবী, অস্তিত্ববাদী দার্শনিক, রাজনৈতিক-কর্মী, নারীবাদী ও সমাজতত্ত্ববিদ। যদিও তিনি নিজেকে দার্শনিক মনে করতেন না, তার নারীবাদী অস্তিত্ববাদ ও নারীবাদী তত্ত্বতে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ছিল। তিনি দর্শন, রাজনীতি ও সামাজিক বিষয়াবলির উপর রচনা, গ্রন্থ ও উপন্যাস এবং জীবনী ও আত্মজীবনী রচনা করেন। বর্তমানে তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার অধিবিদ্যামূলক উপন্যাস শী কেইম টু স্টেই এবং দ্য ম্যান্ডারিন্স, এবং ১৯৪৯ সালে লেখা তার প্রবন্ধগ্রন্থ ল্য দোজিয়েম সেক্স-এর জন্য। শেষোক্ত গ্রন্থটিতে নারীর উপর নিপীড়নের বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং এটিকে নারীবাদের একটি অন্যতম ভিত্তিগ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সিমন সারাজীবন অবিবাহিত ছিলেন। ফরাসি দার্শনিক জঁ-পল সার্ত্র্‌ এবং মার্কিন লেখক নেলসন এ্যালগ্রেনের সঙ্গে তার প্রেম ও যৌনসম্পর্ক ছিল।

পরিবার[সম্পাদনা]

১৯০৮ এর ০৯ জানুয়ারী জন্ম নেন এই মহীয়সী নারী প্যারিসে, মঁৎপারনাসের কাফে দ ল রঁতঁদের ওপরে। বাবা জর্জে বেরত্রাঁ দ্য বোভোয়ার ছিলেন আইনজীবী যিনি একসময় অভিনেতা হতে চাইতেন, মা ফ্রাঁসোয়া ব্রাসেয়ো গৃহিণী যিনি ছিলেন একজন টাকাওয়ালা ব্যাংকারের সন্তান, এবং এই মহিলা খুবই ধার্মিক ছিলেন (ক্যাথলিক)। সিমোনের আরেকটি বোন ছিলো যার নাম হেলেন (১৯১০ - ২০০১)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায় সিমোনদের। এ সময় সিমোনের মা সে সহ হেলেনকে ধর্মবাদী বিদ্যালয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন। সিমোন ছোটবেলায় ব্যাপক ধর্মবাদী ছিলেন, তিনি অবশ্য ১৪ বছর বয়সে ধর্মের উপর বিশ্বাস হারান এবং সারা জীবন নাস্তিক থাকেন।[৩][৪]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

সিমোন ১৯২৫ সালে গণিত এবং দর্শনে ব্যাকালরেট পরীক্ষায় পাশ করেন, এরপর তিনি 'প্যারিস ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়'তে গণিত নিয়ে পড়েন, এবং সাহিত্য ও ভাষা নিয়ে পড়েন অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে। তিনি পরে সরবনে দর্শন নিয়ে পড়েন এবং ১৯২৯ সালে এ্যাগ্রিগেশন পাশ করেন।[৫][৬]

প্রেম এবং যৌনতা[সম্পাদনা]

সার্ত্রে এবং সিমোন

সিমোন জঁ-পল সার্ত্র এবং নেলসন এ্যালগ্রেন (মার্কিন লেখক) এর সঙ্গে প্রেম এবং যৌন সম্পর্ক করেছেন। তবে সার্ত্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল ১৯৮০ পর্যন্ত (সার্ত্রের মৃত্যু পর্যন্ত) এবং এনার সঙ্গে সিমোন বিয়ে ছাড়াই একসাথে বসবাস করতেন, যদিও সবসময় নয়। এছাড়াও ক্লদ লাঁজমান নামের এক পুরুষের সঙ্গেও তিনি যৌনমিলন করেছেন। ক্লদ তাঁর (সিমোনের) চেয়ে বয়সে ছোটো ছিলেন।[৭][৮][৯][১০][১১][১২][১৩][১৪][১৫]

রচনাবলী[সম্পাদনা]

অনুবাদ[সম্পাদনা]

  • Patrick O'Brian was de Beauvoir's principal English translator, until he attained commercial success as a novelist.
  • Philosophical Writings (Urbana : University of Illinois Press, 2004, edited by Margeret A. Simons et. al.) contains a selection of essays by de Beauvoir translated for the first time into English. Among those are: Phyrrhus and Cineas, discussing the futility or utility of action, two previously unpublished chapters from her novel She Came to Stay and an introduction to Ethics of Ambiguity.

উৎস[সম্পাদনা]

  • Bair, Deirdre, 1990. Simone de Beauvoir: A Biography. New York: Summit books.
  • Rowley, Hazel, 2005. Tête-a-Tête: Simone de Beauvoir and Jean-Paul Sartre. New York: HarperCollins.

রচনাবলীর উৎস[সম্পাদনা]

  • Beauvoir, Simone de. Woman: Myth & Reality,
    • in Jacobus, Lee A (ed.) A World of Ideas. Bedford/St. Martins, Boston 2006. 780-795
    • in Prince, Althea, and Susan Silva Wayne. Feminisms and Womanisms: A Women's Studies Reader. Women's Press, Toronto 2004 p. 59-65.

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Wendy O'Brien, Lester Embree (eds.), The Existential Phenomenology of Simone de Beauvoir, Springer, 2013, p. 40.
  2. এই ফরাসি ব্যক্তিনামটির বাংলা প্রতিবর্ণীকরণে উইকিপেডিয়া:বাংলা ভাষায় ফরাসি শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ-এ ব্যাখ্যাকৃত নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।
  3. Mussett, Shannon. Simone de Beauvoir Biography on the Internet Encyclopedia of Philosophy ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মার্চ ২০১৮ তারিখে. Retrieved 11 April 2010.
  4. Thurman, Judith. Introduction to Simone de Beauvoir’s The Second Sex. Excerpt published in The New York Times 27 May 2010. Retrieved 11 April 2010.
  5. Margaret A. Simons (ed.), Feminist Interpretations of Simone de Beauvoir, Penn State Press, Nov 1, 2010, p. 3.
  6. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; oxfordreference.com নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  7. A dangerous liaison: Simone de Beauvoir and Jean-Paul Sartre, By Carole Seymour-Jones (London 2008), pages 216 and 274
  8. New studies agree that Beauvoir is eclipsing Sartre as a philosopher and writer ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ মে ২০০৮ তারিখে, The Independent, by Lesley McDowell, Sunday, 25 May 2008
  9. Contingent loves: Simone de Beauvoir and sexuality, By Melanie Hawthorne (London, 2000), pages 65–78
  10. BBC Radio 4 Start the Week BBC Radio 4, Andrew Marr, 21 April 2008
  11. Mémoires d'une jeune fille dérangée (1994, LGF – Livre de Poche; আইএসবিএন ৯৭৮-২-২৫৩-১৩৫৯৩-৭/2006, Balland; আইএসবিএন ৯৭৮-২-৭১৫৮-০৯৯৪-৯)
  12. Tête-à-tête: Simone de Beauvoir and Jean-Paul Sartre, Hazel Rowley, HarperCollins, 2005 , page 130-35, আইএসবিএন ০-০৬-০৫২০৫৯-০;আইএসবিএন ৯৭৮-০-০৬-০৫২০৫৯-৫
  13. Intellectuals: From Marx and Tolstoy to Sartre and Chomsky, Paul Johnson, Harper Perrenial, 1988, page 238-238, আইএসবিএন ৯৭৮-০-০৬-১২৫৩১৭-১
  14. [১]
  15. "Sexual Morality and the Law", Chapter 16 of Politics, Philosophy, Culture: Interviews and Other Writings 1977-1984. Edited by Lawrence D. Krizman. New York/London: 1990, Routledge, আইএসবিএন ০-৪১৫-৯০১৪৯-৯, p. 275.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

ইংরেজি অনুবাদ অনলাইন The Ethics of Ambiguity.