হিমু (চরিত্র)
হিমু | |
---|---|
হিমু ধারাবাহিক চরিত্র | |
প্রথম উপস্থিতি | ময়ূরাক্ষী |
শেষ উপস্থিতি | হিমু এবং হার্ভার্ড Ph.D. বল্টুভাই |
স্রষ্টা | হুমায়ূন আহমেদ |
চরিত্রায়ণ | ফজলুল কবীর তুহিন আসাদুজ্জামান নূর |
ডাকনাম | হিমু |
প্রজাতি | মানুষ |
লিঙ্গ | পুরুষ |
পেশা | বেকার |
আত্মীয় | মাজেদা খালা, বাদল (খালাত ভাই), রহমতউল্লাহ তালুকদার (বড়খালু) |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
হিমু বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় কাল্পনিক চরিত্র।[১][২] হিমু মূলত একজন বেকার যুবক ; যার আচরণে বেখেয়ালী, জীবনযাপনে ছন্নছাড়া ও বৈষয়িক ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন ভাব প্রকাশ পায়। চাকরির সুযোগ থাকলেও সে চাকরি কখনো করে না বলেই সে বেকার। তার অস্বাভাবিক চরিত্রের মধ্যে সে হলুদ পাঞ্জাবি পরে খালি পায়ে রাস্তাঘাটে দিন-রাত ঘুরে বেড়ায় এবং মাঝে মাঝে ভবিষ্যদ্বাণী করে মানুষকে চমকে দেয়।[৩]
নব্বই দশকে হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ূরাক্ষী প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর হিমু চরিত্র বিচ্ছিন্নভাবে হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন উপন্যাসে প্রকাশিত হতে থাকে। হিমু ও মিসির আলি হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট সর্বাধিক জনপ্রিয় দু’টি কাল্পনিক চরিত্র। উদাসীন হিমু একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের বাঙালি তরুণদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
চরিত্র পরিচয়
[সম্পাদনা]হিমু চরিত্রের আসল নাম হিমালয়। এ নামটি রেখেছিলেন তার বাবা। লেখক হিমুর বাবাকে বর্ণনা করেছেন একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ হিসেবে; যার বিশ্বাস ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা যায় তবে একইভাবে মহাপুরুষও তৈরি করা সম্ভব। তিনি মহাপুরুষ তৈরির জন্য একটি বিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন যার একমাত্র ছাত্র ছিল তার সন্তান হিমু। হিমুর পোশাক হল পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী। হলুদ বৈরাগের রঙ বলেই পোশাকের রং হলুদ নির্বাচিত করা হয়েছিল। ঢাকা শহরের পথে-পথে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো তার কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম। উপন্যাসে প্রায়ই তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। যদিও হিমু নিজে তার কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা স্বীকার করে না। হিমুর আচার-আচরণ বিভ্রান্তিকর। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে, এবং এই বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হিমুর অত্যন্ত প্রিয় একটি কাজ। প্রেম ভালবাসা উপেক্ষা করা হিমুর ধর্মের মধ্যে পড়ে। কোন উপন্যাসেই কোন মায়া তাকে কাবু করতে পারে নি। মায়াজালে আটকা পড়তে গেলেই সে উধাও হয়ে যায়।
হিমু উপন্যাসে সাধারণত হিমুর কিছু ভক্তশ্রেণীর মানুষ থাকে যারা হিমুকে মহাপুরুষ মনে করে। এদের মধ্যে হিমুর ফুপাতো ভাই বাদল অন্যতম। মেস ম্যানেজার বা হোটেল মালিক- এরকম আরও কিছু ভক্ত চরিত্র প্রায় সব উপন্যাসেই দেখা যায়। এছাড়াও কিছু বইয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী ও খুনি ব্যক্তিদের সাথেও তার সু-সম্পর্ক ঘটতে দেখা যায়। হিমুর একজন বান্ধবী রয়েছে, যার নাম রূপা; যাকে ঘিরে হিমুর প্রায় উপন্যাসে রহস্য আবর্তিত হয়। নিরপরাধী হওয়া সত্ত্বেও সন্দেহভাজন হওয়ায় হিমু অনেকবার হাজতবাস করেছে এবং বিভিন্ন থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে।[২]
নামকরণ
[সম্পাদনা]হিমুর প্রকৃত নাম হিমালয়। বাল্যকালে তার বাবা তার নাম রেখেছিলেন হিমালয়, যা হিমালয় পর্বতের ন্যায় মহত্ব প্রকাশ করে। হিমুর বাবা তাকে একজন মহাপুরুষ হিসাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি তার ছেলের এমন নাম রেখেছিলেন। পরবর্তীতে ছাত্রজীবনে এই নাম নিয়ে হিমুকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তার পিতামহ তার অন্য নাম রাখতে চেয়েছিলেন - চৌধুরী ইমতিয়াজ টুটুল। কিন্তু হিমু তার বাবার দেয়া নামই গ্রহণ করে।
শিক্ষা
[সম্পাদনা]হিমু ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষানবিশ - উপন্যাসে এমনটিই বলা হয়েছে; পাশ করেছে কিনা তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে তার সাধারণ জ্ঞান ভালো।
উপস্থিতি
[সম্পাদনা]হিমুর বয়স ২৫-২৮ বছরের মধ্যে। তার পোশাক ও চাল-চলন কিছু কিছু মানুষের কাছে বিরক্তিকর। সে খুব একটা সুদর্শন না হলেও তার চোখ ও হাসি খুব সুন্দর বলা হয়েছে। সে সবসময় হলুদ রঙের পাঞ্জাবী (অধিকাংশ সময়ে যেটার পকেট থাকে না) পরে। বেশিরভাগ সময় সে খালিপায়ে চলাফেরা করে। শীতকালে সে রুপার দেওয়া কাশ্মীরি শাল ব্যবহার করে। তার চুল ও দাড়ি সবসময় বড়বড় রাখে। রাতের বেলায় রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করে। তার খালাতো ভাই বাদল তার অন্ধভক্ত। যে তার আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতি নিঃসন্দিহান এবং তাকে অনুসরণ করার চেষ্টা করে। হিমু মাঝে মাঝে ভবিষ্যতবাণী করে যা প্রায় সময়েই মিলে যায়। সে তার যুক্তি-বিরোধী মতানুসারে কাজ করে, এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেয়। প্রায় সময়ই হিমুকে পরোপকার করতে দেখা যায় (যদিও তাতেও কিছু বিভ্রান্তি মিশ্রিত থাকে)।
জীবন যাপন
[সম্পাদনা]হিমুর জীবন যাপন অদ্ভুত। তার জীবন বাউন্ডুলে ছন্নছাড়া ধরনের। সে মেসে থাকে। মাঝে মাঝে রাস্তায় ও পার্কেও রাত কাটায়। তার প্রধান কাজ হেঁটে, খালি পায়ে রাস্তায় ঘুরে বেরানো। তার কোনো পেশা নেই। হিমুর বেশকিছু বিত্তবান আত্মীয় রয়েছে। হিমু প্রায়ই তার বিত্তবান আত্মীয়দের কাছ থেকে উপহার এবং অর্থসাহায্য পায়। তবে সে মানুষের কল্যাণের জন্য অনেক কাজ করেছে । তার জীবন যাপনে তাকে প্রায়ই আধ্যাত্মিক শক্তির মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে দেখা যায়।
ব্যক্তিত্ব
[সম্পাদনা]হিমু স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্বের অধিকারী। সে প্রায়ই যুক্তি-বিরোধী মতানুসারে আচরণ করে এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং তার এরকম অযৌক্তিক ব্যক্তিত্বের কারণে সে অনেক সম্ভাব্য বিপদ থেকে রক্ষা পেয়ে যায়। তার লোভ, লালসা, ঈর্ষা, ভয় নেই। তার এরূপ আচরণ অনেক মানুষকে তাকে মহাপুরুষ ভাবতে প্রভাবিত করে। হিমু যথেষ্ট বুদ্ধিমান ও রসবোধসম্পন্ন ব্যক্তি।
হিমু সম্পর্কিত উপন্যাস
[সম্পাদনা]উপন্যাস | প্রকাশকাল |
---|---|
ময়ূরাক্ষী | মে ১৯৯০[৪] |
দরজার ওপাশে | মে ১৯৯২[৫] |
হিমু | ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩[৬] |
পারাপার | ১৯৯৪[৭] |
এবং হিমু... | ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫[৮] |
হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম | এপ্রিল ১৪, ১৯৯৬[৯] |
হিমুর দ্বিতীয় প্রহর | ১৯৯৭[১০] |
হিমুর রূপালী রাত্রি | ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮[১১] |
একজন হিমু কয়েকটি ঝিঁ ঝিঁ পোকা | মে ১৯৯৯[১২] |
তোমাদের এই নগরে | ২০০০[১৩] |
চলে যায় বসন্তের দিন | ২০০২[১৪] |
সে আসে ধীরে | ফেব্রুয়ারি ২০০৩[১৫] |
আঙুল কাটা জগলু | ফেব্রুয়ারি ২০০৫[১৬] |
হলুদ হিমু কালো র্যাব | ফেব্রুয়ারি ২০০৬[১৭] |
আজ হিমুর বিয়ে | ফেব্রুয়ারি ২০০৭[১৮] |
হিমু রিমান্ডে | ফেব্রুয়ারি ২০০৮[১৯] |
হিমুর মধ্যদুপুর | ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০০৯[২০] |
হিমুর নীল জোছনা | ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১০[২১] |
হিমুর আছে জল | ফেব্রুয়ারি ২০১১[২২] |
হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী | ফেব্রুয়ারি ২০১১[২৩] |
হিমু এবং হার্ভার্ড Ph.D. বল্টুভাই | আগস্ট ২০১১[২৪] |
অন্যান্য
[সম্পাদনা]গ্রন্থ | প্রকাশকাল |
---|---|
হিমু মামা | ফেব্রুয়ারি ২০০৪[২৫] |
হিমুর একান্ত সাক্ষাৎকার ও অন্যান্য | ফেব্রুয়ারি ২০০৮[২৬] |
হিমুর বাবার কথামালা | ফেব্রুয়ারি ২০০৯[২৭] |
ময়ূরাক্ষীর তীরে প্রথম হিমু | [২৮] |
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ প্রশান্ত ত্রপিুরা (জুলাই ২১, ২০১৩)। "Humayun Ahmed, Himu and identity conflicts in Bangladesh"। bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা। ৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ ক খ "হিমু ধারাবাহিক"। goodreads.com (ইংরেজি ভাষায়)। গুডরিড্স। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ তুষার তালুকদার (আগস্ট ১১, ২০১২)। "Humayun Ahmed and his stories"। দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ) (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "ময়ূরাক্ষী"। goodreads.com। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "দরজার ওপাশে"। goodreads.com। জ্ঞানকোষ প্রকাশনী। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "হিমু"। goodreads.com। প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "পারাপার"। goodreads.com। অন্যপ্রকাশ। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "এবং হিমু..."। goodreads.com। সময় প্রকাশন। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "হিমুর হাতে কয়েকটি নীল পদ্ম"। goodreads.com। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "হিমুর দ্বিতীয় প্রহর"। goodreads.com। কাকলী প্রকাশনী। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "হিমুর রূপালী রাত্রি"। goodreads.com। জ্ঞানকোষ প্রকাশনী। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "একজন হিমু কয়েকটি ঝিঁ ঝিঁ পোকা"। goodreads.com। পার্ল পাবলিকেশন্স। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "তোমাদের এই নগরে"। goodreads.com। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "চলে যায় বসন্তের দিন"। goodreads.com। অন্যপ্রকাশ। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "সে আসে ধীরে"। goodreads.com। অন্যপ্রকাশ। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "আঙ্গুল কাটা জগলু"। goodreads.com। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "হলুদ হিমু কালো র্যাব"। goodreads.com। অন্যপ্রকাশ। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "আজ হিমুর বিয়ে"। goodreads.com। অন্যপ্রকাশ। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "হিমু রিমান্ডে"। goodreads.com। অন্যপ্রকাশ। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "হিমুর মধ্যদুপুর"। goodreads.com। অন্বেষা প্রকাশন। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "হিমুর নীল জোছনা"। goodreads.com। অন্যপ্রকাশ। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "হিমুর আছে জল"। goodreads.com। অন্যপ্রকাশ। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী"। goodreads.com। জ্ঞানকোষ প্রকাশনী। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "হিমু এবং হার্ভার্ড পিএইচডি বল্টু ভাই"। goodreads.com। অন্যপ্রকাশ। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "হিমু মামা"। goodreads.com। অবসর। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "হিমুর একান্ত সাক্ষাৎকার ও অন্যান্য"। goodreads.com। অন্বেষা প্রকাশন। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ হুমায়ূন আহমেদ। "হিমুর বাবার কথামালা"। goodreads.com। অন্বেষা প্রকাশন। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ "ময়ুরাক্ষীর তীরে প্রথম হিমু"। goodreads.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৪।