বিষয়বস্তুতে চলুন

লিলুয়া বাতাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লিলুয়া বাতাস
লেখকহুমায়ূন আহমেদ
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
বিষয়মধ্যবিত্ত পরিবারের একান্ত সম্পর্কের টানাপোড়ন
ধরনসমকালীন উপন্যাস
পটভূমিঢাকা
প্রকাশিতজুন ২০০৬
প্রকাশকঅন্যপ্রকাশ
মিডিয়া ধরনহার্ডকভার
পৃষ্ঠাসংখ্যা১২০
আইএসবিএন৯৮৪৮৬৮৩৮৩৬

লিলুয়া বাতাস বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ রচিত একটি সমকালীন উপন্যাস। এটি ২০০৬ সালের জুন মাসে প্রকাশিত হয়। ২০০৬ সালের ঢাকার একটি সমকালীন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য দিক নিয়ে উপন্যাসটি রচিত। নাট্য অভিনেতা ফারুককে তিনি উপন্যাসটি উৎসর্গ করেন।[১][২]

সারসংক্ষেপ[সম্পাদনা]

একবিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশের ঢাকা শহরের সাধারণ একটি উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবার কে নিয়ে গল্পের কাহিনী। গল্পের প্রধান চরিত্র এসএসসি পরীক্ষার্থী উঠতি কিশোর বাবলু। তার পরিবারের বাবা, মা, বড় ভাই, ফুপু, বড় খালা এবং বড় খালার পালক সন্তানকে নিয়ে গল্পের কাহিনী প্রবাহিত হয়।

বাবলুর বড় খালা স্বামীর মৃত্যুর পর মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যান। মাঝে মাঝে তিনি তার ঘরে ভূত দেখেন, আর গরম একদম সহ্য করতে পারেন না। বাবলুর বাবাকে তার পরিবারের ভেতরে ও বাইরে কেউই পছন্দ করে না, তার টাউটামি স্বভাবের কারণে। বাবলুই শুধুমাত্র তাকে মন থেকে ভালোবাসে। বাবলুর মা সাধারণ একজন গৃহিণী যিনি খুব গুছিয়ে তার কষ্টের কথা বলতে পারেন। বাবলুর বড়ভাই আঁতেল ধরনের ছাত্র, বোর্ডস্ট্যান্ড করা এবং ফিজিক্সে অনার্স পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস। বাবলুর ফুপু ইন্টারের ছাত্রী। অভিনয় তার প্যাশান যদিও অভিনয়ে সে ব-কলম, ইদানীং সে একটা মেগা সিরিয়ালে নায়কের বাড়ির কাজের মেয়ের রোল পায়। সেই রোল পেতেও পরিচালক মুকুলের সাথে তার দৈহিক সম্পর্কে জড়াতে হয়। বাবলুর সাথে সবচেয়ে বেশি খাতির যার, সে হল তার বড় খালার পালক ছেলে জহির। সেও কোনো এক সময় তুখোড় ছাত্র ছিলো, কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর মাজেদা বেগম তার পালক ছেলে জহিরের খরচ চালানোর ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ধীরে ধীরে জহির বিমর্ষ হয়ে অপরাধীর পর্যায়ে চলে যায়। উপন্যাসের গল্প অন্যদিকে মোড় নেয় যখন বাবলুর মা এবং ভাই আবিষ্কার করেন যে বাবলুর বাবা গোপনে আরেকটা বিয়ে করেছেন এবং সেই ঘরে আরেকটা ছোট্ট মেয়ে সন্তানও আছে স্বাভাবিক ভাবেই বাবলুর মা তার স্বামীকে ঘৃণা করতে শুরু করেন এবং নিজের সর্বস্ব দিয়ে স্বামীর অমঙ্গল কামনা করেন। তার নামে মামলা করে দেয় তার নামে ও ৬ বছরের জেল হয়ে যায়। এভাবেই গল্প এগুতে থাকে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ইসলাম, তাবাসসুম (১৭ জুলাই ২০২১)। "হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের উৎসর্গপত্র"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২৪ 
  2. "'লেখক হওয়ার জন্য নয়, স্যারকে ভালোবেসেই বই লিখেছি'"জাগো নিউজ। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২৪