হাসেকি সুলতান কমপ্লেক্স

স্থানাঙ্ক: ৪১°০′৩০.৮″ উত্তর ২৮°৫৬′৩০.৬″ পূর্ব / ৪১.০০৮৫৫৬° উত্তর ২৮.৯৪১৮৩৩° পূর্ব / 41.008556; 28.941833
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হাসেকি সুলতান কমপ্লেক্স
Haseki Hürrem Sultan Külliyesi
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিসুন্নি ইসলাম
অবস্থান
অবস্থানআভ্রাত পাজারি, ফাতিহ জেলা, ইস্তানবুল, তুরস্ক
স্থানাঙ্ক৪১°০′৩০.৮″ উত্তর ২৮°৫৬′৩০.৬″ পূর্ব / ৪১.০০৮৫৫৬° উত্তর ২৮.৯৪১৮৩৩° পূর্ব / 41.008556; 28.941833
স্থাপত্য
স্থপতিমিমার সিনান
স্থাপত্য শৈলীঅটোম্যান স্থাপত্য
সম্পূর্ণ হয়মসজিদ: ১৫৩৮-৩৯ (দ্বিতীয় গম্বুজ নির্মাণ:১৬১২-১৩)
মাদ্রাসা: ১৫৩৯-৪০
লঙ্গরখানা: ১৫৪০-৪১
হাসপাতাল: ১৫৫০-৫১
বিনির্দেশ
গম্বুজের ব্যাস (ভেতরে)১১. মিটার
মিনার
১৯১২ সালে কর্নেলিয়াস গারলিট কর্তৃক প্রকাশিত স্থাপত্য নকশা ও পরিকল্পনা

হাসেকি সুলতান কমপ্লেক্স বা হুররাম সুলতান কমপ্লেক্স (তুর্কি: Haseki Hürrem Sultan Külliyesi) ষোড়শ শতাব্দীতে অটোমান সাম্রাজ্যর শাসনামলে নির্মিত মসজিদ কমপ্লেক্স। মসজিদ ছাড়াও এই স্থাপনায় মাদ্রাসা, লঙ্গরখানা ও হাসপাতাল অন্তর্গত রয়েছে। সম্পূর্ণ কমপ্লেক্সটি ১৫৩৯ হতে ১৫৫১ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হয়। এটি তুরস্কের ইস্তাম্বুলের ফাতিহ জেলায় অবস্থিত। এটি তুরস্কের রাজকীয় স্থপতি মিমার সিনানের স্থাপত্যনকশায় নির্মিত প্রথম মসজিদ।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মসজিদ কমপ্লেক্সটি নির্মাণ অনুমোদন করেছিলেন উসমানীয় শাশনামলের সুলতান প্রথম সুলাইমানের স্ত্রী হাসেকি হুররাম সুলতান। তিনি ১৫৩৪ সালের দিকে সুলতানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এবং সম্ভবত তার যৌতুক প্রকল্পের অর্থায়নে ব্যবহার করেছিলেন।[২] মিমার সিনান ভবনগুলির স্থাপত্য নকশা করেছিলেন। এটি মিমার সিনানের প্রথম রাজকীয় স্থাপত্য প্রকল্প এবং সম্ভবত এই মসজিদ কমপ্লেক্সের কিছু অংশের পরিকল্পনা মিমার সিনানের পূর্বসূরীর দ্বারা পরিকল্পিত ছিল।[১]

এই স্থাপনায় একটি জুম্মার নামাজ আদায়ের মসজিদ, একটি লঙ্গরখানা, একটি মাদ্রাসা, একটি মক্তব এবং একটি হাসপাতাল রয়েছে।[৩] সম্পূর্ণ স্থাপনাটি সরু রাস্তার দুপাশে বেশ কয়েক পর্যায়ে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদ ১৫৩৮-৩৯ (হিজরী ৯৪৫) সালে নির্মাণ করা হয়, মাদ্রাসা এক বছর পরে ১৫৩৯-৪০ (হিজরী ৯৪৬) এবং লঙ্গরখানা ১৫৪০-৪১ (হিজরী ৯৭৪) নির্মিত হয়েছিল। কমপ্লেক্সের হাসপাতাল ১৫৫০-৫১ (হিজরী ৯৫৭) সালে নির্মাণ শেষ হয়।[১][৪]

বিবরণ[সম্পাদনা]

কমপ্লেক্সের মসজিদটি পাথর ও ইট দিয়ে দিয়ে নির্মিত। নির্মাণের সময় এতে পাথরের সারির পর ইটের সারি অদল বদল করে বসানো হয়েছিল। মসজিদে একক-গ্যালারিযুক্ত মিনার রয়েছে। মসজিদের সম্মুখ বারান্দার উপর পাঁচটি ছোট গম্বুজ আছে, যেগুলি ছয়টি সরু মার্বেল কলাম দ্বারা সমর্থিত রয়েছে। মসদজিদের মূল প্রার্থনাকক্ষটি ১১.৩ মিটার ব্যাসের একক গম্বুজ দ্বারা আবৃত ছিল।[৩] ১৬১২-১৩ সালে, প্রথম আহমেদের শাসনামলে, মসজিদটি আরো লোক সমাগমের জন্য বর্ধিত করা হয়েছিল। এসময় দ্বিতীয় গম্বুজ যুক্ত করা হয়েছিল এবং প্রার্থনাকক্ষের আকার দ্বিগুণ করা হয়েছিল। [৩] গম্বুজটিতে আঁকা বিভিন্ন অলংকরণগুলি আসল নয়। কমপ্লেক্সের মাদ্রাসা এবং লঙ্গরখানার মতো নয়, মসজিদে কোনও সিরামিক টাইলের উপর রঙ্গিন চকচকে শার্শীর কাজ নেই।[৩]

হাসপাতালের একটি অষ্টভুজ আঙ্গিনা রয়েছে। হাসপাতালটি কমপ্লেক্সের একমাত্র ভবন, যেটি কর্তিত পাথর দিয়ে নির্মিত[৩] রাস্তা থেকে প্রবেশদ্বারের মূল ফাটকের উপর কমপ্লেক্সটির নির্মাণ সাল খোদিত শ্বেতপাথর সংযুক্ত আছে[৩] মাদ্রাসাটি ১৬টি ছোট কক্ষ এবং একটি প্রভাষণ কক্ষের সমন্বয়ে মূল প্রাঙ্গণকে কেন্দ্র করে U-আকারে নির্মিত।[৫] কমপ্লেক্সের লঙ্গরখানাটি একটি প্রাঙ্গনকে কেন্দ্র করে নির্মিত। এটির উত্তর প্রান্তে চারটি অষ্টভুজ আকৃতির চিমনি বিশিষ্ট রান্নাঘর রয়েছে।[৫] এই কমপ্লেক্সের নির্মাণে অর্থের হিসাবরক্ষণ বই হতে জানা যায় যে, ভবনের ছয়টি জানালার উপরে লুনেট টালির অলংকৃত প্যানেল ছিল।[৩] কমপ্লেক্সটি ২০১০-২০১২ সালে পুনসংস্কার করা হয়েছিল।[৬]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]