ইভলিয়া কাসিম পাশা মসজিদ
ইভলিয়া কাসিম পাশা মসজিদ | |
---|---|
ইভলিয়া মসজিদ | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
প্রদেশ | এডির্ন |
যাজকীয় বা সাংগঠনিক অবস্থা | ব্যবহার হয় না |
অবস্থান | |
দেশ | তুরস্ক |
স্থানাঙ্ক | ৪১°৩৯′৫২″ উত্তর ২৬°৩৩′৩৭″ পূর্ব / ৪১.৬৬৪৩৮° উত্তর ২৬.৫৬০৩৪° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইসলামিক, অটোমান স্থাপত্য |
ভূমি খনন | ১৪৭৮ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৪৭৯ |
বিনির্দেশ | |
গম্বুজসমূহ | ১টি প্রধান গম্বুজ |
মিনার | 1 |
ইভলিয়া কাসিম পাশা মসজিদ (তুর্কি: Evliya Kasım Paşa Cami, আক্ষ. 'ইভলিয়া কাসিম পাশা') হলো উত্তর-পশ্চিম তুরস্কের এডিরনে অবস্থিত ১৫ শতকের উসমানীয় মসজিদ। এর নামকরণ করা হয়েছে কাসিম পাশার নামে, যিনি ১৪৪২-৪৩ সাল রাজত্ব করেন।
মসজিদটি ১৪৭৮-১৪৭৯ সালে কাসিম পাশা নির্মাণ করেন। উসমানীয় সাম্রাজ্যের রুমেলিয়া আইলেটের বেলারব এবং সুলতান মেহমেদ দ্য কনকারর (১৪৪৪-১৪৪৬, ১৪৫১-১৪৮১) এবং ১৪৮১-১৫১২ সাল পর্যন্ত রাজত্বকালে উসমানীয় বাহিনীর একজন কমান্ডার ছিলেন। বায়েজিদ দ্বিতীয় (১৪৮১-১৫১২) পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তিনি "ইভলিয়া", সাধু উপাধিতেও ভুষিত ছিলেন। কাসিম পাশার কবর মসজিদের আঙিনায় রয়েছে।
স্থাপত্য
[সম্পাদনা]মসজিদটি এডিরনে শহরের দক্ষিণে তুনকা নদীর উত্তর তীরে কিরিশান কোয়ার্টারে অবস্থিত। নদী থেকে মসজিদে প্রবেশের জন্য ১৪টি ধাপসহ একটি সিঁড়ি তৈরি করা হয়। কিন্তু এখন এটির মাত্র দুটি ধাপ বাকি আছে। আশলারে নির্মিত বর্গাকার মসজিদে একটি গম্বুজ এবং একটি মিনার রয়েছে। এখানে প্রধান ফটক ও বাইরেমিহরাব রয়েছে। প্রধান ফটকের উপরে, উসমানীয় ভাষায় তিন লাইনের শিলালিপি সংযুক্ত রয়েছে। ভবনের অন্য তিন পাশের প্রতিটিতে দু’লাইনে চারটি করে জানালা আছে। নীচের জানালাগুলি, আয়তাকার আকারে, কুলুঙ্গির ভিতরে স্থাপন করা এবং খিলানযুক্ত গেবল রয়েছে। প্রতিটি গ্যাবেলে একটি খোদাই করা ছোট পাঁচ-বিন্দুযুক্ত তারকা আছে। উপরের জানালাগুলো খিলানযুক্ত এবং পশ্চিম দেয়ালের মাঝখানে একটি সানডিয়াল আছে।
অবস্থান
[সম্পাদনা]মসজিদটি ১৯৫০ সাল থেকে ব্যবহার করা হয়নি। এটি একটি কৃত্রিম লেভি দ্বারা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন। যা নদীর বন্যা থেকে শহরটিকে রক্ষা করার জন্য নির্মিত হয়। বন্যা ঐতিহাসিক ভবনের ক্ষতি করে। ২০১০ -এর দশকে, এডির্নের প্রদেশের গভর্নর মসজিদটিকে ভবিষ্যৎ ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর প্রচেষ্টা শুরু করে। দুটি প্রকল্প গ্রহণ করে। একটি হচ্ছে মসজিদ এবং নদীর মধ্যবর্তী লেভিটি স্থানান্তরিত করা। দুই মসজিদটিকে সম্পূর্ণ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া। তবে সংশ্লিষ্ট সরকারী সংস্থাগুলি তা প্রত্যাখ্যান করেছে।