বেহরাম পাশা মসজিদ
বেহরাম পাশা মসজিদ | |
---|---|
Behram Paşa Camii Mizgefta Behram Paşa | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | শুর, দিয়ারবাকির প্রদেশ, তুরস্ক |
স্থানাঙ্ক | ৩৭°৫৪′৩৪″ উত্তর ৪০°১৪′০৩″ পূর্ব / ৩৭.৯০৯৪° উত্তর ৪০.২৩৪২° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | উসমানীয় স্থাপত্য |
ভূমি খনন | ১৫৬৪/৬৫ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৬৭২/৭৩ |
বিনির্দেশ | |
গম্বুজের ব্যাস (বাহিরে) | ১৫.৯ মিটার (৫২ ফুট) |
মিনার | ১ |
উপাদানসমূহ | সাদা চুনাপাথর এবং কৃষ্ণধূসর আগ্নেয় শিলার পর্যায়ক্রমিক স্তর |
বেহরাম পাশা মসজিদ (তুর্কি: Behrem Paşa Camii, কুর্দি: Mizgefta Behram Paşa), দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের দিয়ারবাকির শহরে অবস্থিত ১৬ শতকের একটি উসমানীয় মসজিদ। এটি উসমানীয় গভর্নর জেনারেল বেহরাম পাশা প্রতিষ্ঠা করেন।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]মসজিদটি স্থানীয় উসমানীয় গভর্নর জেনারেল বেহরাম পাশা চালু করেন। বেহরাম পাশা ছিলেন কারা শাহিন মুস্তফা পাশার পুত্র। তিনি ইয়েমেন এবং মিশরের গভর্নর জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। দিয়ারবাকিরে বেহরাম পাশার দায়িত্বের মেয়াদকাল সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য জানা না গেলেও ধারণা করা হয় তিনি ১৫৬৪-৬৫ এবং ১৫৬৭-৮৬ সালে গভর্নরের দায়িত্ব পালন করে। তিনি ১৫৮৫ সালে মারা যান এবং তাকে আলেপ্পোতে সমাহিত করা হয়।[১] মসজিদটির প্রবেশদ্বারের ওপর খোদাই করা আরবি শিলালিপি থেকে এটির নির্মাণ সময় সম্পর্কে জানা যায়। মসজিদ ভবনের নির্মাণকাজ ১৫৬৪-৬৫ সালের দিকে শুরু হয় এবং ১৫৭২-৭৩ সালে শেষ হয়েছিল।[১] মসজিদের স্থপতির পরিচয় সম্পর্কে জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হয় এটি উসমানীয় রাজধানী ইস্তাম্বুল থেকে প্রেরিত একজন রাজকীয় স্থপতি কতৃর্ক নকশা করা হতে পারে।[১] [২]
স্থাপত্য
[সম্পাদনা]বাহ্যিক
[সম্পাদনা]মসজিদের কেন্দ্রীয় প্রবেশদ্বারের উত্তর দিকে একটি অষ্টভুজাকার সারিবদ্ধ পানির ফোয়ারা রয়েছে। ফোয়ারাটিতে পিরামিড আকৃতির ছাদ এবং বিনুনিযুক্ত সাদা ও কালো রঙের কলাম রয়েছে। মসজিদের উত্তর দিকের অংশটি পর্যায়ক্রমিক সাদা ও কালো পাথরের আস্তরণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এটির জোড়া বারান্দাতে পাঁচটি গম্বুজ রয়েছে। বারান্দার দুটি কেন্দ্রীয় স্তম্ভ কালো ও সাদা পাথরের পর্যায়ক্রমিক স্তর দিয়ে তৈরি। বারান্দার অবশিষ্ট কলামগুলি সাদা মার্বেলের তৈরি। বারান্দার উত্তর-পশ্চিম কোণে একটি একক মিনার বসেছে। সম্পূর্ণ মসজিদটি একটি স্তরবিহীন গম্বুজযুক্ত ঘনকের মত দেখতে। গম্বুজটি ষোল পার্শ্বযুক্ত একটি ড্রামের মত দেখতে যেটির সবদিকেই জানালা রয়েছে।[১]
-
মসজিদের সামনে ওযুর ফোয়ারা বা শাদিরওয়ান
-
সামনের বারান্দা এবং মসজিদের প্রবেশদ্বার
-
প্রবেশদ্বারের একটি কলামের খোদাই করা বিবরণ
-
খোদাই করা পাথরে মুকারনাস ফণাসহ মসজিদের প্রবেশদ্বার
অভ্যন্তরীণ
[সম্পাদনা]মসজিদের গম্বুজটি ১৫.৯ মিটার (৫২ ফুট) ব্যাসের এবং আটটি সূক্ষ্ম খিলানযুক্ত। প্রার্থনা হলের দেয়ালগুলোর অভ্যন্তরীণ ভাগ বড় বর্গাকার বিভিন্ন রঙের টাইলস দিয়ে সজ্জিত। এই টাইলসগুলি স্থানীয়ভাবে দিয়ারবাকিরে উৎপাদিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়, তবে ইজনিকে উৎপাদিত টাইলসগুলির সাথে এগুলোর খুব মিল রয়েছে।[১]
ইতিহাসবিদেরা মসজিদের নকশা স্থাপত্যের খুব প্রশংসা করেছেন। [১] ইতিহাসবিদ গডফ্রে গুডউইন ১৯৭১ সালে মসজিদটিকে "প্রাদেশিক মসজিদের রাজপুত্র বলে অভিহিত করে বলেন মসজিদটির সাজসজ্জার ক্ষেত্রে দুর্দান্ত যা স্থানীয় রীতি মেনে খুবই সূক্ষভাবে করা হয়েছে।" [৩]
-
মসজিদের ভিতরের অংশ
-
মিহরাবের সাজসজ্জার বিস্তারিত
-
মসজিদের পাথরের মিম্বারের বিস্তারিত
-
মসজিদের ভেতরে টাইলসের অলংকৃত কাজ
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Necipoğlu 2005।
- ↑ Kuban 2010।
- ↑ Goodwin 2003।
সূত্র
[সম্পাদনা]- Goodwin, Godfrey (২০০৩)। A History of Ottoman Architecture। Thames & Hudson। আইএসবিএন 978-0-500-27429-3।
- Kuban, Doğan (২০১০)। Ottoman Architecture। Antique Collectors' Club। আইএসবিএন 9781851496044।
- Necipoğlu, Gülru (২০০৫)। The Age of Sinan: Architectural Culture in the Ottoman Empire। Reaktion Books। আইএসবিএন 978-1-86189-253-9।
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- Raby, J. (১৯৭৭–৭৮)। "Diyarbakir: a rival to İznik. A sixteenth-century tile industry in eastern Anatolia": 429–459।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- বেহরাম পাসা কামি, আর্চনেট।