সালামা ইবনে হিশাম
সালামা ইবনে হিশাম কাররার | |
---|---|
মুহাম্মাদের সাহাবা | |
জন্ম | বনু মাখজুম শাখা, কুরাইশ গোত্র মক্কা |
মৃত্যু | ৬৩৫ খ্রিস্টাব্দ মারজে রোম, সিরিয়া |
যার দ্বারা প্রভাবিত | মুহাম্মাদ |
পিতামাতা |
|
উল্লেখযোগ্য কাজ | মুতার যুদ্ধে অংশগ্রহণ |
আত্মীয় | আবু জাহেল (ভাই) |
সালামা ইবনে হিশাম (মৃত্যু ১৪ হিজরি) মুহাম্মদের একজন সাহাবা ছিলেন। সালামা ইসলামের প্রতিপক্ষ আবু জাহেলের ভাই ছিলেন।[১]
নাম ও বংশ পরিচয়
[সম্পাদনা]সালামা ইবনে হিশাম এর সংক্ষিপ্ত নাম সালামা,ডাকনাম আবু হাশেম । পিতার নাম হিশাম ইবনে মুগিরা এবং মাতার নাম দাবায়া বিনতু আমের । তার মা দাবায়া বিনতু আমের তার পূর্ব বৃদ্ধ স্বামী ইবন জুদয়ানকে তালাক দিয়ে মক্কার বিশিষ্ট যোদ্ধা হিশাম ইবনে মুগীরাকে বিয়ে করেন । এই গর্ভেই সালামা ইবনে হিশাম জন্মগ্রহণ করেন । উল্লেখ্য তার মা সেই সময়ের বিখ্যাত সুন্দরী ছিল । পরবর্তীকালে দাবায়া ইসলাম গ্রহণ করেন।[২]
ইসলাম গ্রহণ ও বন্দীজীবন
[সম্পাদনা]মক্কায় ইসলামী দাওয়াতের সূচনা লগ্নেই সালামা ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হাবশায় হিজরত করেন । কিছুদিন সেখানে থাকার পর মক্কায় সবাই ইসলাম গ্রহণ করেছেন গুজব শুনে আরও অনেক মুহাজিরদের সাথে তিনিও মক্কায় ফিরে আসেন ।কিন্তু গুজবটি মিথ্যা ছিল দেখে অনেকেই আবার হাবশায় ফিরে যান । সালামাও যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার ভাই আবু জাহল তাকে বাধা দেয় এবং তার উপর অত্যাচার শুরু হয় । তাকে অনাহারে রাখা হয় এবং মারপিটও চলতে থাকে । এভাবেই বদর যুদ্ধ পর্যন্ত তিনি মক্কায় আবু জাহলের নিকট বন্ধী থাকে ।
তিনি মক্কায় কাফিরদের হাতে বন্দী থাকা অবস্থায় বদর যুদ্ধ শেষ হয়। বদর যুদ্ধের পর, মতান্তরে খন্দক যুদ্ধের পর তিনি মদীনায় আসেন।
যুদ্ধে অংশগ্রহণ
[সম্পাদনা]মদীনায় আসার পর সংঘটিত সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুতার যুদ্ধে শত্রু বাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণে যারা ময়দান থেকে পালিয়েছিলেন তাদের মধ্যে তিনিও একজন ।এর জন্য পরবর্তী জীবনে তাকে লজ্জায় পড়তে হয় ।[৩] তবে রাসূল তাকে উৎসাহদানে "কাররার" বা প্রচণ্ড আক্রমণকারী বলে সম্বোধন করতেন।[৪] আবু বকর খিলাফতকালে তিনি শাম বা সিরিয়া অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]আবু বকর খিলাফতকালে তিনি এই শাম বা সিরিয়া অভিযানের এক পর্যায়ে হযরত উমারের খিলাফতকালে ১৪ হিজরীর মুহাররম মাসে সংঘটিত "মারজে সফর" বা "মারজে রোম" নামক যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেন। তবে উরওয়া, মূসা ইবন উকবা, আবু যারয়া আদ দিমাশকীর মতে তিনি আজনাদাইন যুদ্ধে শহীদ হন।[৫]
সালামার মা দাবায়া একটি কবিতায় বলেছেন-
হে সম্মানিত কাবার প্রভূ, কোন দুশ্চিন্তা নেই। সালামাকে প্রতিটি শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয়ী কর। অনিশ্চিত কর্মকাণ্ডে তাঁর দুটি হাত, যার একটি প্রকাশ পায় এবং অন্যটি দানশীল।[৬]