শাহ নিমাতুল্লাহ ওয়ালি
সুফিবাদ এবং তরিকা |
---|
প্রবেশদ্বার |
সুফি পণ্ডিত শাহ নিমাতুল্লাহ ওয়ালি | |
---|---|
উপাধি | নিমাত আল্লাহ |
জন্ম | ১৩৩০ |
মৃত্যু | ১৪৩১ |
জাতিভুক্ত | সিরিয়া |
যুগ | ইসলামী স্বর্ণযুগ |
মাজহাব | সুফি |
মূল আগ্রহ | সুফিবাদ |
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন
|
শাহ নিমাতুল্লাহ বা শাহ নিমাতুল্লাহ ওয়ালি (১৩৩০-১৪৩১)(ফার্সি: شاه نعمتالله ولی, নেমাতুল্লাহ, নিমাতাল্লাহ এবং নি’মাত আল্লাহ হিসেবে উচ্চারিত হয়ে থাকে, ১৪ ও ১৫ শতাব্দির একজন সুফি তরিকার পীর ও পণ্ডিত ছিলেন। তাকে নিমাতুল্লাহি তরিকার প্রবর্তক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[১]
জীবনী
[সম্পাদনা]নিমাতুল্লাহ সিরিয়ার আলেপ্পোতে জন্মগ্রহণ করেন। তার জীবনীকার আব্দ আল-রাজ্জাক কিরমানি এবং আব্দ আল আযিয ওয়াইজের গ্রন্থ থেকে পাওয়া যায় যে, নিমাতুল্লাহর বংশ পরম্পরা ইসলামের সপ্তম ইমাম মুসা কাজিমের থেকে শুরু হয়েছে। নিমাতুল্লাহ ব্যাপকভাবে মুসলিম বিশ্ব ভ্রমণ করেন, অনেক পীরের দর্শনশাস্ত্রের জ্ঞান অর্জন করেন, কিন্তু এমন কোন পীরের সন্ধান পাননি যার হাতে বায়াত দানের মাধ্যমে তাকে পীর হিসেবে গ্রহণ করবেন। নিমাতুল্লাহ প্রসিদ্ধ ইসলামি পণ্ডিত, দার্শনিক এবং আধ্যাত্বিক সুফি ইবনে আরাবির লেখনির উপর ব্যাপক গবেষণা করেন। নিমাতুল্লাহ মক্কা শরীফে আব্দুল্লাহ ইয়াফির সাথে দেখা করেন এবং পরবর্তীকালে তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তিনি তার গুরুর সাথে ৭ বছর ধরে গভীর গবেষণায় নিমগ্ন ছিলেন। আধ্যাত্বিকতার ছোঁয়ায় পরিবর্তনের পর, তিনি আবারো বিশ্বময় সফরে বের হন, তবে এবার স্রষ্টা জ্ঞানে জ্ঞানী গুরু হিসেবে।
নি’মাতুল্লাহ সাময়িকভাবে সামারকান্দের নিকটে মধ্য এশীয় সিল্ক রোডে বসবাস করতেন।এটি সেই জায়গা যেখানে তিনি তামেরলেইন বিজয়ীর সাথে সাক্ষাত করেছিলেন, কিন্তু পার্থিব শাসকের সাথে দ্বন্দ্ব এড়ানোর জন্য; নিমাতুল্লাহ ঐ এলাকাটি তাড়াতাড়ি ত্যাগ করেন এবং অবশেষে কেরমানের বালোচ অঞ্চলে বসতি গড়েন। ইরানের মাহানে তার মাজার অবস্থিত।
নি’মাতুল্লাহর মৃত্যুর পরপরই, তার খ্যাতি পার্সিয়া এবং ভারত জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে (যদিও ভারতে তার উপস্থিতি তেমন উল্লেখযোগ্য ছিল না) এবং বলা হয়ে থাকে বর্তমানে তার নামে যে তরিকা প্রচলিত রয়েছে সে তরিকায় তিনি বহু অনুসারীর বায়াত গ্রহণ করেছেন।
শাহ খলিলুল্লাহর সমাধি
[সম্পাদনা]শাহ খলিলুল্লাহর সমাধি বিদার দুর্গের বাহিরে অবস্থিত এবং ছুকন্দি হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে সমাধিটি ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।শাহ মীর ঢেকানি, শামস আল দিন ঢেকানি এবং রেযা আল শাহ ঢেকানসহ অনেক কুতুব (পীর) থেকে শাহ খলিলুল্লাহ আধ্যাত্বিক প্রতিনিধিত্ব অর্জন করেন।
মাজার
[সম্পাদনা]ইরানের মাহান শহরে তার মাজার অবস্থিত।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Liyajat Nathani Takim. Shi'ism in America. (New York: New York University Press, 2009) p. 43
বিবিওলাগ্রাফি
[সম্পাদনা]- Masters of the Path: A History of the Masters of the Nimatullahi Sufi Order by Dr. Javad Nurbakhsh, Khaniqahi Nimatullahi Publications, New York and London, 2nd Edition, 1993, আইএসবিএন ০-৯৩৩৫৪৬-০৩-৩ and আইএসবিএন ৯৭৮-০-৯৩৩৫৪৬-০৩-৫
- Kings of Love - The History and Poetry of the Ni'matullahi Sufi Order by Nasrollah Pourjavady and Peter Lamborn Wilson, Imperial Iranian Academy of Philosophy, Tehran, 1978, আইএসবিএন ০-৮৭৭৭৩-৭৩৩-৯ and আইএসবিএন ০-৫০০-৯৭৩৫১-২