মুকুন্দমালা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুকুন্দমালা
নবনীত কৃষ্ণ, ১৯ শতকের থানজাবুর চিত্রকর্ম।
তথ্য
ধর্মহিন্দুধর্ম
রচয়িতাকুলশেখর আলবর
ভাষাসংস্কৃত
শ্লোক৪০

মুকুন্দমালা ( সংস্কৃত: मुकुन्दमाला ) [১] হলো হিন্দু কবি-সন্ত কুলশেখর রচিত একটি সংস্কৃত স্তোত্র[২] [৩] কুলশেখর ছিলেন শ্রী বৈষ্ণব ঐতিহ্যের দ্বাদশ আলবরের সপ্তম আলবর। [৪] ৪০টি শ্লোক দ্বারা গঠিতে স্তোত্রটিতে কৃষ্ণকে সম্বোধন করা হয়েছে।

বর্ণনা[সম্পাদনা]

পণ্ডিতগণ কুলশেখরকে আধুনিক কেরালার কোডুঙ্গাল্লুর (মহোদয় পুর) প্রাচীনতম চেরা/কুলশেখর শাসকদের একজন রূপে চিহ্নিত করেছেন। [৫] [৬] মুকুন্দমালা স্তোত্রে মুকুন্দের প্রতি ( কৃষ্ণের অপর নাম ) অযোগ্য লেখক সংসার থেকে মুক্তির প্রার্থনা করেছেন। স্তোত্রটি এই পৃথিবীতে আটকে পড়া আত্মার দুঃখের বর্ণনা করেছে ও উপদেশ দেয় যে কৃষ্ণই একমাত্র মুক্তির উপায়। স্তোত্রে কৃষ্ণের কীর্তিকলাপের কথাও বর্ণিত হয়েছে। শ্রীরঙ্গমের রঙ্গনাথস্বামী মন্দিরে স্তোত্রটি রচিত হয়েছিল। [৭]

স্তোত্র[সম্পাদনা]

মুকুন্দমালার প্রথম স্তোত্রে বিষ্ণুর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যাবলীর প্রশংসা করা হয়েছে: [৮]

শ্রী-বল্লভেতি বর-দেতি দয়া-পরেতি
ভক্ত-প্রিয়েতি ভব-লুণ্ঠন-কোবিদেতি
নাথেতি নাগ-শয়নেতি জগন্-নিবাসেতি
আলাপিনং প্রতি-দীনং কুরু মাং মুকুন্দ

হে আমার স্বামী মুকুন্দ! কৃপা করে আপনি নিরন্তর আমাকে আপনার নাম কীর্তনকারী হতে দিন, যাতে এইভাবে আমি আপনাকে—শ্রীবল্লভ(যিনি লক্ষ্মীদেবীর অত্যন্ত প্রিয়), বরদ( যিনি বর দান করেন), দয়াপর( যিনি অহৈতুক রূপে দয়ালু), ভক্তপ্রিয়( যিনি আপনার ভক্তের অতি প্রিয়), ভব-লুণ্ঠন-কোবিদ( যিনি জন্ম-মৃত্যুর চক্র সমাপ্ত করতে দক্ষ), নাথ( পরমেশ্বর), জগন্-নিবাস( মহাবিশ্বের আশ্রয়) তথা নাগ-শয়ন( নাগ শয্যায় শয়নকারী) নামে সম্বোধন করতে পারি।

দ্বিতীয় স্তোত্রে সরাসরি কৃষ্ণাবতারকে সম্বোধন করা হয়েছে: [৯]

জয়তু জয়তু দেবো দেবকী-নন্দনো যং
জয়তু জয়তু কৃষ্ণ বৃষ্ণি-বংশ-প্রদীপঃ
জয়তু জয়তু মেঘ-শ্যামল কোমলাঙ্গো
জয়তু জয়তু পৃথ্বী -ভারো-নাশো মুকুন্দঃ

জয় হোক, দেবকীর প্রিয় চিন্ময় পুত্রের জয় হোক,জয় হোক, বৃষ্ণি বংশের আলোকবর্তিকা কৃষ্ণের জয় হোক,

জয় হোক,মেঘের ন্যায় শ্যামল কিশোরের, মোহনীয় কোমল সুতনু প্রভুর জয় হোক,

জয় হোক, যিনি দুষ্কৃতকারীদের নাশ করে পৃথিবীকে ভারমুক্ত করেছেন সেই মুকুন্দ সর্বদা জয়যুক্ত হউন।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Srivastava, Dr Vishnulok Bihari; Srivastava, Vishnulok Bihari (২০০৯)। Dictionary of Indology (ইংরেজি ভাষায়)। Pustak Mahal। পৃষ্ঠা 297। আইএসবিএন 978-81-223-1084-9 
  2. Noburu Karashima (ed.), A Concise History of South India: Issues and Interpretations. New Delhi: Oxford University Press, 2014. 143.
  3. Devadevan, Manu V. (২০২০-১২-০৩)। The 'Early Medieval' Origins of India (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 230। আইএসবিএন 978-1-108-49457-1 
  4. Narayanan, M. G. S. Perumāḷs of Kerala. Thrissur (Kerala): CosmoBooks, 2013. 65-66, 95-96, 383-5, 436.
  5. Noburu Karashima (ed.), A Concise History of South India: Issues and Interpretations. New Delhi: Oxford University Press, 2014. 143.
  6. Narayanan, M. G. S. Perumāḷs of Kerala. Thrissur (Kerala): CosmoBooks, 2013. 65-66, 95-96, 383-5, 436.
  7. Vemsani, Lavanya (২০১৬-০৬-১৩)। Krishna in History, Thought, and Culture: An Encyclopedia of the Hindu Lord of Many Names: An Encyclopedia of the Hindu Lord of Many Names (ইংরেজি ভাষায়)। ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 156। আইএসবিএন 978-1-61069-211-3 
  8. Makarand Joshi। Mukunda Mala Of Sri Kulashekhar Alwar Sanskrit English By Satya Murthi Iyengar 1987। পৃষ্ঠা 2। 
  9. Makarand Joshi। Mukunda Mala Of Sri Kulashekhar Alwar Sanskrit English By Satya Murthi Iyengar 1987। পৃষ্ঠা 5। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]