বিষয়বস্তুতে চলুন

মিহরায ইবনে নাদলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মিহরায ইবন নাদলা (মৃত্যু-৬ষ্ঠ হিজরি) রাসুল এর একজন প্রসিদ্ধ সাহাবা ছিলেন। যিনি উহুদ ও খন্দকের যুদ্ধে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেন।[]

নাম ও বংশ পরিচয়

[সম্পাদনা]

মিহরায ইবনে নাদলা এর মূলনাম মিহরায এবং ডাকনাম আবু ফাদলাহ। তবে তিনি ‘আখরাম আল আসাদী’ উপাধিতে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তার পিতার নাম নাদলা।

ইসলাম গ্রহণ

[সম্পাদনা]

তার ইসলাম গ্রহণের সময় সঠিকভাবে জানা যায় না । তবে তিনি প্রথম পর্বেই ইসলাম গ্রহণ করেন বলে ইতিহাস বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন। মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করার পর আবদুল আশহাল গোত্রের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন এবং আম্মারা ইবন হাযমের সাথে তার ভাতৃ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

যুদ্ধে অংশগ্রহণ

[সম্পাদনা]

মূসা ইবন উকবাইবনে ইসহাক তাকে বদরী সাহাবীদের তালিকায় উল্লেখ করেছেন।[] উহুদ ও খন্দকের যুদ্ধেও তিনি জীবনবাজি রেখে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেন।

জী কারাদের যুদ্ধ

[সম্পাদনা]

তার জীবনের সর্বশেষ ও সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ হলো ‘জী কারাদের’ যুদ্ধ। হিজরী ৬ষ্ঠ সনে বনু ফাযারাহ গোত্র মদীনার উপকন্ঠে মুসলমানদের একটি চারণক্ষেত্রে হামলা চালায় এবং রাখালদের হত্যা করে মুহাম্মদ উটগুলি লুট করে নিয়ে যায়। হযরত সালামা ইবনুল আকওয়া ঘটনাস্থলের নিকটেই ছিলেন। তিনি নাবী দাস রাবাহকে মতান্তরে আবদুর রহমান ইবন আউফের একটি দাসকে মদীনায় পাঠান খবর দেওয়ার জন্য। আর এ দিকে তিনি নিজে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে বিপদের সতর্ক ধ্বনি মূলক আওয়াজ ধ্বনি দিতে থাকে।

সেই ধ্বনি শুনে মদিনা থেকে মিহরায ইবনে নাদলা পুরো একটি বাহিনী নিয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন। এই দলের মধ্যে আবু কাতাদাহ আল আনসারীমিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ ছিলেন । মিহরায ডাকাত দলের কাছাকাছি আসলে আবদুর রহমান নামে একটি ডাকাত দলের সদস্যের উপর তরবারি দিয়ে আঘাত করলে তার ঘোড়াটি মারা পরে। এবং আবদুর রহমান কর্তৃক নিক্ষিপ্ত বর্শার আঘাতে মিহরায ইবনে নাদলা মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন।

পরবর্তীতে আবু কাতাদাহ আঘাতে ডাকাত দলের আবদুর রহমানও মৃত্যুবরণ করেন।

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

মিহরায ইবনে নাদলা ৬ষ্ঠ হিজরিতে জী কারাদের যুদ্ধে ৩৭/৩৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. (বইঃ আসহাবে রাসূলের জীবনকথা – দ্বিতীয় খন্ড) 
  2. [হায়াতুস সাহাবা-২/৩১৫]