মিঠুন চক্রবর্তী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মিঠুন চক্রবর্তী
জন্ম
গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী

(1950-06-16) ১৬ জুন ১৯৫০ (বয়স ৭৩)[১][২]
বরিশাল, বাংলাদেশ
মাতৃশিক্ষায়তনস্কটিশ চার্চ কলেজ
ভারতীয় চলচ্চিত্র ও দূরদর্শন সংস্থান
পেশাঅভিনেতা
মনোরঞ্জক
টিভি উপস্থাপক
ভারতীয় সংসদসদস্য, রাজনৈতিক ব্যক্তি
কর্মজীবন১৯৭৬ - বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীহেলেনা লুক
(বিবাহ বিচ্ছেদ),

শ্রীদেবী
(বিবাহ বিচ্ছেদ),

যোগিতা বালি
(১৯৭৯ - বর্তমান)
সন্তানমিমোহ চক্রবর্তী
রিমোহ চক্রবর্তী
নমাসী চক্রবর্তী
দিশানী চক্রবর্তী
পিতা-মাতাবসন্তকুমার চক্রবর্তী (পিতা)
শান্তিরাণী চক্রবর্তী (মাতা)
গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী
(মিঠুন চক্রবর্তী)
Member of Parliament
(Rajya Sabha)
কাজের মেয়াদ
২০১৪-বর্তমান
উত্তরসূরীপদত্যাগ
সংসদীয় এলাকাপশ্চিম বঙ্গ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৬ জুন ১৯৫০[২]
বরিশাল , বাংলাদেশ [১]
রাজনৈতিক দলবিজেপি

মিঠুন চক্রবর্তী ভারতের একজন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র অভিনেতা, সমাজ সংগঠক এবং উদ্যোক্তা। মৃগয়া (১৯৭৬) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে। এ ছবির মাধ্যমেই তিনি 'সেরা অভিনেতা' হিসেবে ভারতের 'জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার' লাভ করেন। বর্তমানে তিনি পরশ টিভি'র প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন।

তিনি এ পর্যন্ত ৩০০ টিরও অধিক হিন্দী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলা, পাঞ্জাবী, তেলুগু, ওড়িয়া, ভোজপুরী চলচ্চিত্রেও অংশ নিয়েছেন। তিনি মনার্ক গ্রুপের স্বত্ত্বাধিকারী, যা অতিথি সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।[৩]

মিঠুন চক্রবর্তী ২০০৯ সাল থেকে রিয়েলিটি টিভি সিরিজ ডান্স ইন্ডিয়া ডান্সে প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন৷

শৈশবকাল ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

মিঠুন চক্রবর্তী বাংলাদেশের বরিশালে বাঙালি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা বসন্তকুমার চক্রবর্তী এবং মাতা শান্তিরাণী চক্রবর্তী। তিনি বরিশাল জেলা স্কুলে পড়েছিলেন। কলকাতায় ওরিয়েন্টাল সেমিনারি স্কুলে ভর্তি হন ১৯৫৬ সালে। ওই স্কুল থেকেই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে রসায়নে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও ফিল্ম অ্যাণ্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইণ্ডিয়া (এফটিআইআই) থেকে গ্র‍্যাজুয়েশন করেন তিনি।[৪]

চলচ্চিত্র জগৎ[সম্পাদনা]

তিনি জনপ্রিয় পরিচালক মৃণাল সেনের পরিচালনায় মৃগয়া চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালী জগতে প্রবেশ করেন। অসামান্য অভিনয় নৈপুণ্যের জন্য এ ছবির মাধ্যমে তিনি সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। অভিষেকের পর তিনি দো আনজানে (১৯৭৬) এবং ফুল খিলে হ্যায় গুলশান গুলশান (১৯৭৭) ছবি দু'টোয় সহ-চরিত্রে অভিনয় করেন। কিন্তু তাতে তিনি কোন গুরুত্ব ও সফলতা পাননি।

অভিনীত চলচ্চিত্রসমূহ[সম্পাদনা]

মিঠুন চক্রবর্তী'র চলচ্চিত্র
সাল চলচ্চিত্র সাল চলচ্চিত্র সাল চলচ্চিত্র
১৯৭৬ মৃগয়া, দো আনজানে ১৯৭৭ মুক্তি ১৯৭৮ মেরা রক্ষক
১৯৭৯ সুরক্ষা, তারানা ১৯৮০ হাম পাঁচ, সিতারা ১৯৮১ শাউকীন, ওয়ারদাত, আদাত সে মজবুর, জিনে কি রাহ
১৯৮২ ডিস্কো ড্যান্সার, ত্রয়ী, হিরো কা চোর ১৯৮৩ মুঝে ইনসাফ চাহিয়ে ১৯৮৪ কসম পয়দা করনে ওয়ালে কি
১৯৮৫ পেয়ার ঝুকতা নাহি, গুলামী ১৯৮৬ এ্যায়সা পেয়ার কাহা, মুদ্দত ১৯৮৭ ড্যান্স ড্যান্স, পরম ধরম
১৯৮৮ পেয়ার কা মন্দির, ওয়াক্ত কি আওয়াজ, জিতে হ্যা শান সে, কমাণ্ডো ১৯৮৯ মুজরিম, গুরু (১৯৮৯), প্রেম প্রতিজ্ঞা ১৯৯০ দুশমন, অগ্নিপথ, রোটি কি কিমত
১৯৯১ পেয়ার হুয়া চোরি চোরি, ত্রিনেত্র ১৯৯২ তাহাদের কথা, দিল আশনা হ্যায়, ঘর জামাই ১৯৯৩ দালাল, আদমি, তাদিপার, ফুল অউর অঙ্গার
১৯৯৪ চিতা, নারাজ, ইয়ার গাদ্দার, তিসরা কৌন ১৯৯৫ জল্লাদ, রাবন রাজঃ এ ট্রু স্টোরী, দ্য ডন ১৯৯৬ নির্ভয়, মুকাদ্দর, জাং
১৯৯৭ লোহা, জদিদর, শপথ, সুরজ ১৯৯৮ সাহারা জালুচি, যমরাজ, গুণ্ডা ১৯৯৯ হীরালাল পান্নালাল, আয়া তুফান, আগ হি আগ
২০০০ সুলতান, অগ্নিপুত্র ২০০১ বেঙ্গল টাইগার ২০০২ তিতলী, সবসে বড়কর হাম
২০০৩ এ যুগের কৃষ্ণ সুদমা,[৫] চাল বাজ ২০০৪ বারুদ ২০০৫ এলান, লাকীঃ নো টাইম ফর লাভ, যুদ্ধ
২০০৬ চিঙ্গারি, দিল দিয়া হ্যায়, এমএলএ ফাটাকেষ্ট ২০০৭ গুরু (২০০৭), তুলকালাম, মিনিস্টার ফাটাকেষ্ট ২০০৮ ভোল শঙ্কর, হিরোজ, চাঁদনী চক টু চায়না
২০০৯ লাক, ফির কাভী, বাবর ২০১3 বীর, রাখ, রেহমত আলী, শুকনো লঙ্কা, গোলমান থ্রী ২০১১ জিন্দেগী তেরে নাম, স্পাগীতি ২৪ x ৭, নোবেল চোর

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ভারতের সাবেক অভিনেত্রী যোগীতা বালীকে নিয়ে ঘর-সংসার করেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাদের ঘরে তিন পুত্র এবং এক কন্যা রয়েছে। জ্যেষ্ঠ পুত্র মিমোহ চক্রবর্তী বলিউডের অভিনেতা। ২০০৮ সালের 'জিমি' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে। ২য় পুত্র রিমোহ চক্রবর্তী মিঠুনের পরিচালনায় ফির কাভি (আবার কখনো) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অংশ নেয়। অন্য দুই সন্তান - নমসী চক্রবর্তী এবং দিশানী চক্রবর্তী এখনো পড়াশোনায় ব্যস্ত রয়েছে।

অনেকগুলো সূত্র দাবী করে যে, মিঠুন চক্রবর্তী দক্ষিণ ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শ্রীদেবী'র সাথে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে এ সম্পর্ক বজায় ছিল যা শ্রীদেবী পরবর্তীতে সম্পর্ক ছেদ করেন। এর প্রধান কারণ ছিল - প্রথম স্ত্রী যোগীতা বালীকে মিঠুন কর্তৃক বিবাহ-বিচ্ছেদ না ঘটায়। তারা অত্যন্ত গোপনে বিয়ে করেছিলেন বলে জানা যায়, যদিও তা পরবর্তীতে অস্বীকার করা হয়।[৬]

ক্রীড়া জগৎ[সম্পাদনা]

মিঠুন চক্রবর্তী রয়েল বেঙ্গল টাইগার্স দলের সহ-স্বত্ত্বাধিকারী ছিলেন। পরবর্তীতে দলটি ভারতীয় ক্রিকেট লীগে আর অংশগ্রহণ করেনি ও পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়।[৭]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

মিঠুন চক্রবর্তী'র পুরস্কার প্রাপ্তি
সাল বিবরণ স্তর চলচ্চিত্র মন্তব্য
১৯৭৬ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সেরা অভিনেতা মৃগয়া প্রাপ্তি
১৯৯০ ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সেরা সহঃ অভিনেতা অগ্নিপথ প্রাপ্তি
১৯৯২ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সেরা অভিনেতা তাহাদের কথা প্রাপ্তি
১৯৯৫ ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সেরা খলনায়ক জল্লাদ প্রাপ্তি
১৯৯৬ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সেরা সহঃ অভিনেতা স্বামী বিবেকানন্দ প্রাপ্তি

ফিল্মফেয়ার পুরস্কার[সম্পাদনা]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Members Page"Rajya Sabha Secretariat। ২৯ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২০ 
  2. "Mithun Chakraborty"PRS Legislative Research (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২০ 
  3. TNN, Sep 19, 2006, 10.06am IST (২০০৬-০৯-১৯)। "Times of India article"। Timesofindia.indiatimes.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২২ 
  4. Seedhi Baat -- Mithun Chakraborty
  5. The Times of India (১১ জুলাই ২০০৩)। "Mithun helps Oriya movie taste success"। timesofindia.indiatimes.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-০৫ 
  6. "The Truth About Mithun and Sridevi"। Stardust। Stardust International। মে ১৯৯০। 
  7. "Mithun: No clash with Shah Rukh"। The Telegraph, India। ২০০৮-০৩-২৮। ২০১০-০১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]