ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স (মৌসুম ২) থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স
ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স ২০১৯ এর লোগো
ধরনরিয়েলিটি
নির্মাতাইউটিভি সফটওয়্যার কম্যুনিকেশনস
উপস্থাপক
  • জয় ভানুশালি (মৌসুম ১-৫)
  • সৌম্যা টন্ডন (মৌসুম ১-৩)
  • ইশিতা শর্মা (মৌসুম ৪)
  • সাহিল খট্টর (মৌসুম ৬)
  • অমৃতা খানভিলকার (মৌসুম ৬)
বিচারক
উদ্বোধনী সঙ্গীত"ইন্ডিয়া, ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স"
মূল দেশভারত ভারত
মূল ভাষাহিন্দি, ইংরেজি
মৌসুমের সংখ্যা
পর্বের সংখ্যা
নির্মাণ
নির্মাণের স্থানমুম্বই, ভারত
ক্যামেরা সেটআপবহু-ক্যামেরা
ব্যাপ্তিকাল১ ঘণ্টা
নির্মাণ কোম্পানিএসেল ভিশন প্রডাকশনস
মুক্তি
মূল নেটওয়ার্কজি টিভি
মূল মুক্তির তারিখ৩০ জানুয়ারি ২০০৯ (2009-01-30) –
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ (2018-02-18)
ক্রমধারা
সম্পর্কিত অনুষ্ঠান
বহিঃসংযোগ
[জি টিভি অফিসিয়াল চ্যানেল ওয়েবসাইট]

ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স (সংক্ষেপে ডিআইডি; ট্যাগলাইন:ডান্স কা আসলি আইডি ডি.আই.ডি.)[১] একটি নৃত্য প্রতিযোগিতামূলক ভারতীয় রিয়েলিটি টেলিভিশন ধারাবাহিক যা ৩০ জানুয়ারী ২০০৯ থেকে নিয়মিতভাবে জি টিভিতে সম্প্রচারিত হয়ে আসছে। এটি ডিআইডি ফ্র্যাঞ্চাইজের প্রধান ধারাবাহিক। ভারতের নানা প্রান্ত থেকে আসা নাচের প্রতিভাদের নিয়ে এটি আয়োজিত।[২]

এখানে প্রশিক্ষিত ভারতীয় কোরিওগ্রাফার (নৃত্য পরিকল্পনাকারী) দ্বারা ভারতের বেশ কয়েকটি বড় শহর যেমন, দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, ইত্যাদি থেকে প্রতিভাবান ড্যান্সার (নৃত্যশিল্পী) বাছাই করা হয়। বাছাইকৃতদের মুম্বইয়ে এনে আরও বিশদ পরীক্ষার মাধ্যমে সেরা ড্যান্সারদের প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচন করা হয়। এখানে কোরিওগ্রাফারগণ প্রতিযোগীদের প্রশিক্ষণ দেন এবং তাদের নৃত্য়পরিকল্পনা করেন। প্রতিযোগিতা চলাকালীন প্রতিযোগীরা নৃত্যের বিভিন্ন রকম কলা প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের বহুমুখী প্রতিভা প্রমাণের চেষ্টা করে। এভাবে কয়েকমাস নিয়মিত প্রতিযোগিতা ও সাপ্তাহিক বাছাইয়ের পর সেরা কয়েকজন চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হয় এবং অনলাইন ভোটিংএর মাধ্যমে সর্বাধিক ভোট প্রাপ্তকে বিজয়ী ঘোষণা করে পুরস্কৃত করার মধ্য দিয়ে প্রতিটি মৌসুম শেষ করা হয়। এই ধারাবাহিক ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী উক্ত কোরিওগ্রাফারদের সাথে নিয়ে বিচার করে আসছেন। যেখানে কোরিওগ্রাফারগণ বিচারক ও মিঠুন চক্রবর্তী প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।[৩]

উল্লেখ্য যে, এই ধারাবাহিক জি বাংলায় সম্প্রচারিত বাংলা রিয়েলিটি টিভি ধারাবাহিক ডান্স বাংলা ডান্স-এর জাতীয় সংস্করণ।[৪]

ডিআইডি মূল ধারাবাহিকের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু আনুষঙ্গিক ধারাবাহিকও আয়োজন করে থাকে যেমন, শিশুদের জন্য ডিআইডি লি'ল মাস্টারস, মা'দের জন্য ডিআইডি সুপার মমস, ইত্যাদি।

বিন্যাস[সম্পাদনা]

ধারাবাহিকের প্রতিটি মৌসুম কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন করা হয়। এগুলো হল, উন্মুক্ত অডিশন, বৃহৎ অডিশন, মূল অংশ, ওয়াইল্ড কার্ড, অনলাইন ভোটিং এবং চূড়ান্ত পর্ব।

উন্মুক্ত অডিশন[সম্পাদনা]

উন্মুক্ত অডিশন দিল্লি, মুম্বই বা কলকাতার মত ভারতের বিভিন্ন বড় শহরে আয়োজন করা হয়। ৩ জন প্রশিক্ষিত ভারতীয় কোরিওগ্রাফার এই অংশ পরিচালনা করেন, যেখানে তারা বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন এবং তাদেরকে মাস্টার বলা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ড্যান্সাররা এখানে মাস্টারদের সামনে পার্ফর্মেন্স (নৃত্যপ্রদর্শন) করেন। এদের মধ্য থেকে প্রতিভাবান ও সুযোগ্য ড্যান্সারদের বাছাই করা হয়। মাস্টারগণ ড্যান্সারদের পার্ফর্মেন্স দেখে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেন। যেসকল ড্যান্সার ৩ জন মাস্টারেরই চোখে যোগ্যতাসম্পন্ন বলে বিবেচিত হয় তাদেরকে একটি কালো হ্যাট পরিয়ে দেয়া হয় যাকে তকদীর কি টোপি (ভাগ্যের টুপি) বলা হয়। এই উন্মুক্ত অডিশন থেকে তকদীর কি টোপি অর্জনকারীদের বৃহৎ অডিশনের জন্য মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়।

বৃহৎ অডিশন[সম্পাদনা]

বৃহৎ অডিশন বা মেগা অডিশন হল অডিশনের অন্তিম ধাপ। তবে এখানে অংশগ্রহণ করতে ড্যান্সারদের তাদের বহুমুখী প্রতিভা প্রমাণ করার জন্য আরও একটি ধাপ অতিক্রম করতে হয় যাকে নৃত্য পরিকল্পনা পর্ব বা কোরিওগ্রাফি রাউন্ড বলে। মাস্টারগণ এই পর্ব পরিচালনা করেন। এখানে তারা ড্যান্সারদের কখনও একক, কখনও কোন পার্টনারের সাথে নাচের বিভিন্ন স্টেপ করতে বলেন এবং লক্ষ্য করেন যে তাদের মধ্যে কে কতটা তাৎক্ষণিকভাবে তা আয়ত্ত করতে সক্ষম। মাস্টারগন এই ধাপটি হাতে-কলমে পরীক্ষা করেন। এখানে অপেক্ষাকৃত দূর্বল ড্যান্সারদের বাদ দেয়া হয় এবং অধিক যোগ্যতাসম্পন্নদের মেগা অডিশনের জন্য বাছাই করা হয়। এখান থেকে সাধারনত ৩৬ জন ড্যান্সারকে মেগা অডিশনে পার্ফর্মেন্স করার সুযোগ দেয়া হয়। মেগা অডিশন মাস্টারদের সাথে ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী পরিচালনা করেন, যেখানে তিনি প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন এবং তাকে গ্র্যান্ড মাস্টার বলা হয়।

মেগা অডিশনে ড্যান্সাররা মাস্টারদের পাশাপাশি গ্র্যান্ড মাস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর সামনে তাদের পার্ফর্মেন্স করেন। এখান থেকে সেরা ১৮ জনকে[টীকা ১] শো-এর মূল অংশের প্রতিযোগীতার জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। এসময় মূল অংশের জন্য নির্বাচিত প্রতিযোগীদের হ্যাটে সাদা পালক লাগিয়ে (বা সাদা পালক লাগানো এক নতুন হ্যাট পরিয়ে) দেয়া হয়। মূল অংশের জন্য নির্বাচিত প্রতিযোগীদের ৩ দলে বিভক্ত করে ৩ জন মাস্টারের মধ্যে বণ্টন করা হয়। প্রত্যেক দলের নাম দলের মাস্টারের নামে নামকরন করা হয় যেমন, গীতা কি গ্যাং, টেরেন্স কি টোলি, রেমো কে রঙ্গীলে, ইত্যাদি। প্রত্যেক দলের প্রতিযোগীদের তাদের মাস্টার প্রশিক্ষণ দেন ও তাদের নৃত্যপরিকল্পনা করেন।

মূল অংশ[সম্পাদনা]

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বা গ্র্যান্ড প্রিমিয়ার এর মাধ্যমে প্রতি মৌসুমের মূল অংশ শুরু হয়। এরপর প্রতি সপ্তাহে ২ জন[টীকা ২] অপেক্ষাকৃত দূর্বল প্রতিযোগীকে এলিমিনেট করা (বাদ দেয়া) হয়। একে এলিমিনেশন বলে। এই ধাপে প্রত্যেক সপ্তাহে ২টি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে প্রতিযোগীরা তাদের দলের অন্য প্রতিযোগীর সাথে মিলে ত্রয়ী অথবা দ্বৈত নৃত প্রদর্শন করে। সকল নৃত্য শেষ হওয়ার পর সেরা প্রতিযোগীকে পুরষ্কৃত করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে প্রত্যেক দল থেকে তাদের মাস্টার ২ জন অপেক্ষাকৃত দূর্বল প্রতিযোগী বাছাই করেন। তারা শো তে টিকে থাকার জন্য একক নৃত্য প্রদর্শন করে। একে ডান্স কি কাসোটি (ড্যান্সের পরীক্ষা) বলে। ডান্স কি কাসোটি তে মোট ৬ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে গ্র্যান্ড মাস্টার ২ জন[টীকা ২] অপেক্ষাকৃত দূর্বল প্রতিযোগীকে এলিমিনেট করেন। এভাবে কয়েক সপ্তাহ এলিমিনেশন হওয়ার পর বাকি প্রতিযোগীদের অনলাইন ভোটিংএর জন্য নির্বাচিত করা হয়।

ওয়াইল্ড কার্ড[সম্পাদনা]

অনলাইন ভোটিংএর জন্য চূড়ান্ত প্রতিযোগী নির্বাচন করার পূর্বে ওয়াইল্ড কার্ড পর্বে গ্র্যান্ড মাস্টার এমন কিছু প্রতিযোগীকে দ্বিতীয় বার শো তে অংশ নেয়ার সুযোগ দেন যারা এলিমিনেট হয়েছিল বা মূল অংশের জন্য নির্বাচিত হয়নি। এদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হওয়ার পর কয়েকজনকে পুনরায় শো তে অন্তর্ভুক্ত হয়। ওয়াইল্ড কার্ডের পর নির্বাচিত সকল প্রতিযোগীর জন্য অনলাইন ভোটিং চালু হয়।

অনলাইন ভোটিং[সম্পাদনা]

অনলাইন ভোটিং চালু হওয়ার পর প্রতি সপ্তাহে সর্বনিম্ন ভোট অর্জনকারী এলিমিনেট হয়ে যায়। এভাবে কয়েক সপ্তাহ নিয়মিত এলিমিনেশন হওয়ার পর সর্বশেষ ৪/৫ জন প্রতিযোগী চূড়ান্ত পর্বের নির্বাচিত হয়।

চূড়ান্ত পর্ব[সম্পাদনা]

অনলাইন ভোটিং দ্বারা বাছাইকৃত চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত প্রতিযোগীরা শেষবারের মত তাদের নৃত্য প্রদর্শন করে যার ভিত্তিতে সারা দেশ থেকে দর্শক তাদের প্রিয় প্রতিযোগীকে ভোট করে। এই ভোটের উপর ভিত্তি করে বিজয়ী, দ্বিতীয় স্থান, ইত্যাদি নির্বাচন করা হয়। পরিশেষে একটি জাকজমকপূর্ণ সমাপনী অনুষ্ঠান বা গ্র্যান্ড ফিনালে আয়োজন করে মৌসুম শেষ করা হয়। সমস্ত ফলাফল এই গ্র্যান্ড ফিনালের শেষে প্রকাশ করা হয়। বিজয়ীকে গ্র্যান্ড মাস্টার একটি সোনালী হ্যাট পরিয়ে দেন যাকে সুনেহরি তকদীর কি টোপি (সোনালী ভাগ্যের টুপি) বলা হয়। এছারাও প্রত্যেক প্রতিযোগীকে তাদের অবস্থান অনুযায়ী নগদ টাকার চেক উপহার দেয়া হয়।[৩]

বিচারক[সম্পাদনা]

গ্রান্ড মাস্টার মিঠুন চক্রবর্তী

গ্র্যান্ড মাস্টার মিঠুন চক্রবর্তী এই ধারাবাহিকে স্থায়ীভাবে প্রধান বিচারকের দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন।[১][২] কোন প্রতিযোগীর পার্ফর্মেন্স তার কাছে অসাধারন মনে হলে তিনি তাকে দাড়িয়ে সালাম দেন। একে গ্র্যান্ড স্যালুট বলে যা এখানে কোন প্রতিযোগীর জন্য সর্বোচ্চ সম্মান। এছারাও প্রতি মৌসুমে ৩ জন মাস্টার নৃত্যপরিকল্পনা করার পাশাপাশি প্রতিযোগীদের পার্ফর্ফেন্স বিচার করেন ও তাদের রায় দেন। প্রথম ৩টি মৌসুম ৩ জন নিয়মিত মাস্টার - মাস্টার গীতা কপূর, মাস্টার টেরেন্স লুইসমাস্টার রেমো ডি'সুজা গ্র্যান্ড মাস্টারের সাথে বিচার করেন।[৩] এরপর থেকে প্রতি মৌসুমে ৩ জন করে নতুন নতুন মাস্টার বিচার করছেন যেমন, মাস্টার মুদাসসার খান, মাস্টার পুনিত পাঠক,[২] মাস্টার মর্জি পেস্টঞ্জি,[১] ইত্যাদি। কোন প্রতিযোগী নির্ভুল পার্ফর্মেন্স করলে গ্র্যান্ড মাস্টার সহ প্রত্যেক বিচারক সেই প্রতিযোগীকে তাদের নিজস্ব এক বিশেষ বাক্য প্রদান করেন যা সেই বিচারকের পক্ষ তার প্রতি এক সম্মান প্রদর্শন।

বিচারকের তালিকা:

বিচারকের
নাম
পদ দল কার্যকাল মৌসুম বিশেষ বাক্য সর্বোচ্চ
অর্জন
মিঠুন চক্রবর্তী প্রধান বিচারক - ২০০৯-২০১৮ Green tickY Green tickY Green tickY Green tickY Green tickY Green tickY কেয়া বাত, কেয়া বাত, কেয়া বাত। -
গীতা কপূর বিচারক গীতা কি গ্যাং ২০০৯-১২ Green tickY Green tickY Green tickY No No No স্টুপেন্ডো-ফ্যান্টাবুলাস ফ্যান্টাস্টিকাল। ১ম স্থান (মৌসুম ৩)
টেরেন্স লুইস টেরেন্স কি টোলি Green tickY Green tickY Green tickY No No No চুম্মেশ্বরী পার্ফর্মেন্স। ১ম স্থান (মৌসুম ২)
রেমো ডি'সুজা রেমো কে রঙ্গীলে Green tickY Green tickY Green tickY No No No দ্যাট'স ওয়াট আই কল এ পার্ফর্মেন্স। ১ম স্থান (মৌসুম ১)
মুদাসসার খান মুদাসসার কি মন্ডলি ২০১৩-১৮ No No No Green tickY Green tickY Green tickY চিক চিক বুম ফায়ার। ১ম স্থান (মৌসুম ৪)
ফিরোজ খান ফিরোজ কি ফৌজ ২০১৩-২০১৪ No No No Green tickY No No ফেরোশিস পার্ফর্মেন্স। ৩য় স্থান (মৌসুম ৪)
শ্রুতি মার্চেন্ট শ্রুতি কে শান্দার No No No Green tickY No No জুম্বারি জিরি জিরি জ্যাম জাটাক পার্ফর্মেন্স। ২য় স্থান (মৌসুম ৪)
পুনিত পাঠক পুনিত কে প্যান্থারস ২০১৫ No No No No Green tickY No চামু পার্ফর্মেন্স। ১ম স্থান (মৌসুম ৫)
গেতি সিদ্দিকী গেতি কে গ্যাংস্টারস No No No No Green tickY No কে,আই,এল,এল,ঈ,আর (কিলার) পার্ফর্মেন্স। ২য় স্থান (মৌসুম ৫)
মর্জি পেস্টোঞ্জি মর্জি কে মস্তানে ২০১৭-১৮ No No No No No Green tickY [টীকা ৩] ২য় স্থান (মৌসুম ৬)
মিনি প্রধান মিনি কে মাস্টারব্লাস্টারস No No No No No Green tickY তোড় দিয়া, ফোড় দিয়া।[টীকা ৪] ১ম স্থান (মৌসুম ৬)

উপস্থাপক[সম্পাদনা]

জয় ভানুশালি এই সিরিজের নিয়মিত উপস্থাপক ছিলেন।[৫] তিনি প্রথম ৫টি মৌসুম নিরবিচ্ছিন্নভাবে উপস্থাপনা করেন যেখানে প্রথম ৩টি মৌসুমে তার সহঃ উপস্থাপক ছিলেন সৌম্যা টন্ডন। ৪র্থ মৌসুমে সৌম্যার পরিবর্তে নতুন সহঃ উপস্থাপক হন ইশিতা শর্মা। ৫ম মৌসুম জয় একাই উপস্থাপনা করেছিলেন। এখন ৬ষ্ঠ মৌসুম উপস্থাপনা করছেন দুই নতুন উপস্থাপক সাহিল খট্টর ও অমৃতা খানভিলকার।

উপস্থাপকের তালিকা:

উপস্থাপক কার্যকাল মৌসুম
জয় ভানুশালি ২০০৯-১৫ Green tickY Green tickY Green tickY Green tickY Green tickY No
সৌম্যা টন্ডন ২০০৯-১২ Green tickY Green tickY Green tickY No No No
ইশিতা শর্মা ২০১৩-১৪ No No No Green tickY No No
সাহিল খট্টর ২০১৭-১৮ No No No No No Green tickY
অমৃতা খানভিলকার No No No No No Green tickY

মৌসুম বিবরণী[সম্পাদনা]

মৌসুম ছক:

সংকেত
মূঃ বৃহৎ অডিশন থেকে মূল অংশের জন্য নির্বাচিত মোট প্রতিযোগীর সংখ্যা।
ভোঃ অনলাইন ভোটিংএর জন্য নির্বাচিত মোট প্রতিযোগীর সংখ্যা।
চুঃ চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত প্রতিযোগীর সংখ্যা।
মৌসুম স্থিতিকাল পর্বের
সংখ্যা
প্রতিযোগীর সংখ্যা বিজয়ী দ্বিতীয় স্থান
মূঃ ভোঃ চুঃ
৩০ জানুয়ারী - ৩০ মে ২০০৯ ১৮ সপ্তাহ ৩৫ ১৮ ১২ সালমান ইউসুফ খান আলিশা সিংহ
১৮ ডিসেম্বর ২০০৯ - ২৩ এপ্রিল ২০১০ ১৯ সপ্তাহ ৩৭ ১৮ ১২ শক্তি মোহন ধর্মেশ ইয়েলান্ডে
২৪ ডিসেম্বর ২০১১ - ২১ এপ্রিল ২০১২ ১৮ সপ্তাহ ৩৫ ১৮ ১৩ রাজস্মিতা কর প্রদীপ গুরুং
২৬ অক্টোবর ২০১৩ - ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৮ সপ্তাহ ৩৪ ১৫ ১০ শ্যাম যাদব মনন সাচদেব
২৭ জুন - ১০ অক্টোবর ২০১৫ ১৬ সপ্তাহ ৩১ ১৫ ১১ প্রনীতা স্বর্গিয়ারী নির্মল তমং
৪ নভেম্বর ২০১৭ - ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৬ সপ্তাহ ৩১ ১৮ ১০ সংকেত গাওঁকার সচিন শর্মা

মৌসুম ১[সম্পাদনা]

প্রথম মৌসুম জয় ভানুশালী ও সৌম্যা টন্ডনের উপস্থাপনায় ৩০ জানুয়ারি ২০০৯ সালে শুরু হয়। এই মৌসুমে মাস্টার গীতা, মাস্টার টেরেন্স ও মাস্টার রেমো বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৮ সপ্তাহ ধরে চলমান এই মৌসুমে ৩০ মে ২০০৯ এ চূড়ান্ত পর্ব সম্প্রচারিত হয় যেখানে সালমান ইউসুফ খান বিজয়ী ও আলিশা সিংহ রানার-আপ হন।

চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগীদের তালিকা:

  1. বিজয়ীঃ সালমান ইউসুফ খান (রেমো কে রঙ্গীলে)
  2. দ্বিতীয়ঃ আলিশা সিংহ (টেরেন্স কি টোলি)
  3. তৃতীয়ঃ সিদ্ধেশ পাই (গীতা কি গ্যাং)
  4. চতুর্থঃ জয় কুমার নাইর (টেরেন্স কি টোলি)

মৌসুম ২[সম্পাদনা]

দ্বিতীয় মৌসুম ১৪ ডিসেম্বর ২০০৯ সালে শুরু হয়। ১ম মৌসুমের মত এই মৌসুমেও জয় ভানুশালী ও সৌম্যা টন্ডন উপস্থাপনা করেন এবং বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন মাস্টার গীতা, মাস্টার টেরেন্স ও মাস্টার রেমো। এবারের চূড়ান্ত পর্ব ২৩ এপ্রিল ২০১০ এ সম্প্রচারিত হয় এবং বিজয়ী হন শক্তি মোহন ও রানার-আপ ধর্মেশ ইয়েলান্ডে

চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগীদের তালিকা:

  1. বিজয়ীঃ শক্তি মোহন (টেরেন্স কি টোলি)
  2. দ্বিতীয়ঃ ধর্মেশ ইয়েলান্ডে (গীতা কি গ্যাং)
  3. তৃতীয়ঃ পুনিত পাঠক (রেমো কে রঙ্গীলে)
  4. চতুর্থঃ বিনী শর্মা (গীতা কি গ্যাং)

মৌসুম ৩[সম্পাদনা]

তৃতীয় মৌসুম শুরু হয় ২৪ ডিসেম্বর ২০১১ সালে। পূর্ববর্তী মৌসুমের মত এবারেও জয় ভানুশালী ও সৌম্যা টন্ডন উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন এবং পূর্ববর্তী বিচারক মাস্টার গীতা, মাস্টার টেরেন্স ও মাস্টার রেমো এ মৌসুমেও বহাল থাকেন। এই মৌসুমের চূড়ান্ত পর্ব সম্প্রচারিত হয় ২১ এপ্রিল ২০১২ তে এবং এবারের বিজয়ী রাজস্মিতা কর ও রানার-আপ প্রদীপ গুরুং হন।[৩]

চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগীদের তালিকা:

  1. বিজয়ীঃ রাজস্মিতা কর (গীতা কি গ্যাং)
  2. দ্বিতীয়ঃ প্রদীপ গুরুং (টেরেন্স কি টোলি)
  3. তৃতীয়ঃ রাঘব জুয়াল (টেরেন্স কি টোলি)
  4. চতুর্থঃ সনম জোহর (রেমো কে রঙ্গীলে)
  5. পঞ্চমঃ মোহীনা সিংহ (রেমো কে রঙ্গীলে)

মৌসুম ৪[সম্পাদনা]

চতুর্থ মৌসুম এ নিয়মিত উপস্থাপক জয় ভানুশলীর সাথে উপস্থাপনা করেন ইশিতা শর্মা। এবারে নিয়মিত বিচারকের পরিবর্তে ৩ জন নতুন বিচারক মাস্টার মুদাসসার, মাস্টার ফিরোজ ও মাস্টার শ্রুতি বিচার করেন। এই মৌসুম ২৬ অক্টবর ২০১৩ তে শুরু হয় এবং চূড়ান্ত পর্ব সম্প্রচারিত হয় ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে। এ মৌসুমে বিজয়ী হন শ্যাম যাদব ও রানার-আপ হন মনন সাচদেব

চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগীদের তালিকা:

  1. বিজয়ীঃ শ্যাম যাদব (মুদাসসার কি মন্ডলি)
  2. দ্বিতীয়ঃ মনন সাচদেব (শ্রুতি কে শান্দার)
  3. তৃতীয়ঃ বিকি দাস (ফিরোজ কি ফৌজ)
  4. চতুর্থঃ সুমেধ মুদগালকার (শ্রুতি কে শান্দার)

মৌসুম ৫[সম্পাদনা]

পঞ্চম মৌসুম জয় ভানুশলীর উপস্থাপনায় ২৭ জুন ২০১৫ সালে শুরু হয়। মৌসুম ৪ বিচারক মাস্টার মুদাসসারের সাথে এবারের মৌসুম বিচার করেন দুই নতুন বিচারক মাস্টার পুনিত ও মাস্টার গেতি। উল্লেখ্য যে, মাস্টার পুনিত মৌসুম ২-এর একজন প্রতিযোগী ছিলেন। ১০ অক্টবর ২০১৫ তে এবারের চূড়ান্ত পর্ব সম্প্রচারিত হয় এবং বিজয়ীর টুপি পরেন প্রনীতা স্বর্গিয়ারী ও রানার-আপ হন নির্মল তমং[২]

চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগীদের তালিকা:

  1. বিজয়ীঃ প্রনীতা স্বর্গিয়ারী (পুনিত কে প্যান্থারস)
  2. দ্বিতীয়ঃ নির্মল তমং (গেতি কে গ্যাংস্টারস)
  3. তৃতীয়ঃ সাহিল আদানায়া (গেতি কে গ্যাংস্টারস)
  4. চতুর্থঃ কৌশিক মন্ডল (মুদাসসার কি মন্ডলি)
  5. পঞ্চমঃ আশিষ বশিষ্ঠ (পুনিত কে প্যান্থারস)

মৌসুম ৬[সম্পাদনা]

ষষ্ঠ মৌসুম ৪ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে শুরু হয়। এই মৌসুম উপস্থাপনা করেন প্রথমবারের মত ২ জন নতুন উপস্থাপক সাহিল খট্টর ও অমৃতা খানবিলকর। এবারের মৌসুমেও নিয়মিত বিচারক মাস্টার মুদাসসারের সাথে দুই নতুন বিচারক মাস্টার মর্জি ও মাস্টার মিনি বিচার করেন।[১][৬][৭][৮][৯][১০] উল্লেখ্য যে, মাস্টার মর্জি ইতিপূর্বে ডিআইডি-এর অন্যান্য ধারাবাহিকসমূহ বিচার করেছেন এবং মাস্টার মিনি মৌসুম ১ থেকে একজন সহকারী কোরিওগ্রাফার হিসেবে রয়েছেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তে এবারের চূড়ান্ত পর্ব সম্প্রচারিত হয় যেখানে সংকেত গাওঁকার বিজয়ী ও সচিন শর্মা রানার-আপ হন।

চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগীদের তালিকা:

  1. বিজয়ীঃ সংকেত গাওঁকার (মিনি কে মাস্টারব্লাস্টারস)
  2. দ্বিতীয়ঃ সচিন শর্মা (মর্জি কে মস্তানে)
  3. তৃতীয়ঃ পিয়ুশ গুরভেলে (মিনি কে মাস্টারব্লাস্টারস)
  4. চতুর্থঃ নয়নিকা আনাসুরু (মিনি কে মাস্টারব্লাস্টারস)
  5. পঞ্চমঃ শিবম ওয়াংখেড়ে (মুদাসসার কি মন্ডলি)

টীকা[সম্পাদনা]

  1. ৪র্থ৫ম মৌসুমে ১৫ জনকে মূল অংশের জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল।
  2. কিছু পর্বে গ্রান্ড মাস্টার ১ জনকে এলিমিনেট (বাছাই) করেন।
  3. নির্ভুল নাচ হলে মাস্টার মর্জি টেবিলের ওপর দাড়িয়ে সম্মান জানান।
  4. মাস্টার মিনির বিশেষ বাক্য (সম্পূর্ণ)- তোড় দিয়া, ফোড় দিয়া, মরোড় দিয়া অর সবকো পিছে ছোড় দিয়া।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. স্বেচ্ছানিবার্সন থেকে ফিরছেন মিঠুন চক্রবর্তী[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], রূপালী আলো
  2. ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], কালের কণ্ঠ
  3. ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স সেরা রাজস্মিতা, জি নিউজ
  4. ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ আছে। অথচ মহাগুরু নেই!, আনন্দবাজার পত্রিকা
  5. জয় ভানুশালি ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ জুন ২০১৫ তারিখে, উনিশ কুড়ি
  6. মিঠুনের শো-এ হেমা, আনন্দবাজার পত্রিকা
  7. এবার মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা যাবে হেমা মালিনীকে, সময় টিভি
  8. মিঠুনের অতিথি হেমা মালিনী, জাগো নিউজ ২৪
  9. রানির মামা মিঠুন, একুশে টেলিভিশন
  10. রানির মাসি দেবশ্রী রায় সম্পর্কে এ কী বললেন মিঠুন চক্রবর্তী!, জি নিউজ

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]