সলিমুল্লাহ খান (পণ্ডিত)

শায়খুল হাদিস মাওলানা সলিমুল্লাহ খান
আচার্য, জামিয়া ফারুকিয়া করাচি
অফিসে ১৯৬৭ – ২০১৭
উত্তরসূরী	মুহাম্মদ আদিল খান
সভাপতি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তান
অফিসে ১৯৮৯ – ২০১৭
পূর্বসূরী	মুহাম্মদ ইদ্রিস মিরাঠী
উত্তরসূরী	আব্দুর রাজ্জাক ইস্কান্দার
ব্যক্তিগত
জন্ম	১৯২১ মজঃফরনগর জেলা, ভারত
মৃত্যু	১৫ জানুয়ারি ২০১৭
ধর্ম	ইসলাম
জাতীয়তা	ব্রিটিশ ভারত পাকিস্তানি
সন্তান	মুহাম্মদ আদিল খান
যুগ	আধুনিক
আখ্যা	সুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্র	হানাফি
আন্দোলন	দেওবন্দি
প্রধান আগ্রহ	হাদীস, ফিকহ, শিক্ষা, তাসাউফ
উল্লেখযোগ্য কাজ	কাশফুল বারী
যেখানের শিক্ষার্থী	দারুল উলুম দেওবন্দ
ঊর্ধ্বতন পদ
যাদের প্রভাবিত করেন মুহাম্মদ রফী উসমানী, মুহাম্মাদ তাকী উসমানী

সলিমুল্লাহ খান ( ১৯২১ — ২০১৭ ) ছিলেন একজন পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তানের প্রাক্তন সভাপতি। তার ছাত্রদের মধ্যে মুহাম্মদ রফী উসমানী ও মুহাম্মাদ তাকী উসমানী প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৯৬৭ সালে জামিয়া ফারুকিয়া করাচি প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা জীবন

শায়খুল হাদিস সলিমুল্লাহ খান ১৯২৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার প্রসিদ্ধ উপশহর হাসানপুর লৌহরিতে জন্ম গ্রহণ করেন।

শিক্ষা জীবন

তিনি হাকিমুল উম্মত হজরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবি রহমাতুল্লাহি আলিইহি-এর খলিফা হজরত মাওলানা মাসিহুল্লাহ খান রহমাতুল্লাহি আলাইহির মাদরাসা মিফতাহুল উলুম জালালাবাদে তার শিক্ষা জীবন শুরু হয়।বিশ্বখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘দারুল উলুম দেওবন্দ’ ভারতে ১৯৪২ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি ইলমে হাদিস, তাফসিরসহ নানা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।

কর্ম জীবন

অধ্যাপনা

শিক্ষা জীবন শেষে মাওলানা সলিমুল্লাহ খান তাঁর ওস্তাদের মাদরাসা মিফতাহুল উলুম টানা আট বছর অধ্যাপনা করেন। বিশ্ববিখ্যাত আলেমে দ্বীন বিচারপতি শায়খুল ইসলাম মুফতি তকি ওসমানি-এর মতো ব্যক্তিরাও তাঁর ছাত্র হিসেবে নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান মনে করেন।তিনি দারুল উলুম টাণ্ডোলা ইয়ার এবং দারুল উলুম করাচি, করাচির জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ায় হাদিস, ফিকহ, তাফসির, দর্শন, ইতিহাস ও আরবি সাহিত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করেন৷

জামিয়া ফারুকিয়া প্রতিষ্ঠা

ইলমে হাদিসের খেদমতে পাকিস্তান এসে আর ফিরে যাওয়া হয়নি মাতৃভূমি ভারতে। তিনি ১৯৬৭ সালের ২৩ জানুয়ারি মোতাবেক ১৩৮৭ হিজরির শাওয়াল মাসে পাকিস্তানের করাচিতে প্রতিষ্ঠা করেন ‘জামিয়া ফারুকিয়া` নামে বিখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান৷

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তানের দায়িত্বে

শায়খুল হাদিস হজরত মাওলানা সালিমুল্লাহ খান ১৯৮০ সালে পাকিস্তানের মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ‘বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তান`-এর প্রধান শিক্ষাসচিবের দায়িত্বে নিয়োজিত হন তিনি৷১৯৮৯ সালে বোর্ডটির সদর হিসেবে তাকে ঘোষণা করা হয়। ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত পূর্ণ দক্ষতার সঙ্গে অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি বোর্ডটির চেয়ারম্যান হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছিলেন৷

গ্রন্থ রচনা

হাদিসের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ বুখারির ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘কাশফুল বারি` এবং মিশকাতুল মাসাবিহের ওপর ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘নাফহাতুন তানকিহ’ রচনা করেন।

আরও দেখুন

• মুহাম্মদ আদিল খান
• দেওবন্দি ব্যক্তিত্বের তালিকা

বহিঃসংযোগ

• উসমানি, তাকি (মার্চ ২০১৭)। "হযরত মাওলানা সালীমুল্লাহ খান রাহমাতুল্লাহি আলাইহি"। মাসিক আল কাউসার।