ব্যবহারকারী:Owais Al Qarni/উবায়দুর রহমান খান নদভী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জীবনী


উবায়দুর রহমান খান নদভী

দামাত বারাকাতুহুম
ব্যক্তিগত তথ্য
ধর্মইসলাম
যুগআধুনিক
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
আন্দোলনদেওবন্দি
প্রধান আগ্রহহাদীস, ফিকহ, লেখালেখি, তাসাউফ
উল্লেখযোগ্য কাজ

উবায়দুর রহমান খান নদভী একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, দার্শনিক বক্তা, সমাজকর্মী, শিক্ষক, খতিব এবং সাংবাদিক। তিনি দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।[১]

জন্ম ও বংশ[সম্পাদনা]

নদভী ১৯৬৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের জামিয়া রোডস্থ নূর মঞ্জিলে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আতাউর রহমান খান একজন প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও সাংসদ ছিলেন এবং মাতা মুরশিদা ই আমিনা।

শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

কিশোরগঞ্জের আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ায় ভর্তির মাধ্যমে তার শিক্ষাজীবনের সূচনা হয়। ১৯৮৩ সালে জামিয়া ইমদাদিয়া থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপ্ত করার পর ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রামের আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া থেকে আরবি সাহিত্যে তাখাচ্ছুছাত (উচ্চতর কোর্স) সম্পন্ন করেন। ১৯৮৬ সালে ভারতের দারুল উলুম নাদওয়াতুল উলামা থেকে আরবি সাহিত্যে স্নাতক ও ১৯৯৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ১৯৮৫ সালে মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামি দাওয়াহ ও সংস্কৃতির ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ, ১৯৯২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ডিপ্লোমা করেছেন। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে মিডিয়া ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কোর্সও করেছেন। ১৯৯৭ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘উপমহাদেশের ভাষায় আরবীর প্রভাব’ শীর্ষক পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। এছাড়াও দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে সম্মানসূচক সনদ করেছেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

শিক্ষকতা এবং সাংবাদিতকায় সুদীর্ঘ ৩০ বছর আস্থার সাথে নিজেকে যাবত জড়িত রেখেছেন মাওলানা নদভী। ২৫ বছর যাবত জুমআর নামাজের খতিব হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন ঢাকার মিরপুরস্থ মদিনা নগর মসজিদে। দৈনিক ইনকিলাবে কাজ করার পাশাপাশি দেশের প্রায় সব বড় বড় কওমি মাদরাসতে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে ক্লাস নেওয়াটা মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীর বিশেষ একটি পরিচয়। ১. সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, দৈনিক ইনকিলাব ২. নির্বাহী সম্পাদক, সাপ্তাহিক মুসলিম জাহান (১৯৯১-২০০১)/উপদেষ্টা সম্পাদক, মাসিক নেয়ামত। ৩. অতিথি অধ্যাপক, দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন উচ্চতর ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪. ইসলাম প্রচারে ভ্রমণ, লেকচার ও গণসংযোগ ৫. উস্তাজ, ফরিদাবাদ, যাত্রাবাড়ি ও মারকাজুদ দাওয়াহ (তাখাসসুসাত) হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ। মা যা খাসিরাল আলামু বি ইনহিতাতিল মুসলিমীন।

  1. সামাজিক কর্ম তৎপরতা: ১. সভাপতি, দেশ অধ্যয়ন কেন্দ্র

২. সেক্রেটারি জেনারেল , রাবেতা আল আদাবিল ইসলামী আল আলামিয়্যাহ, বাংলাদেশ চ্যাপ্টার

৩.প্রেসিডেন্ট, বিএসআরসি।

প্রকাশনা[সম্পাদনা]

১৯৭৮ সালে দৈনিক আল-আজাদে মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীর প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। লেখার নাম ছিলো সাহিত্য সাধনা। সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভি রচিত আমার দেখা প্রাচ্য নামের একটি গ্রন্থের অনুবাদ তার প্রথম প্রকাশিত অনুবাদ গ্রন্থ এবং নিজস্ব প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম অমুসলিম মনীষীদের চোখে আমাদের প্রিয়নবী (সা.)। এছাড়া আরো বেশ কিছু আলোচিত ও বিবেক জাগানিয়া গ্রন্থের জনক তিনি। মাওলানা নদভী রচিত আধুনিক বিশ্বের চল্লিশজন নওমুসলিমের আত্মকাহিনী, ইতিহাসের কান্না, হৃদয় থেকে, নবীজী (সা.) কেমন ছিলেন, রক্তভেজা গুজরাট, ছেঁড়া পাতা, মুজাহিদের জীবনকথা এবং আফগানিস্তানে আমি আল্লাহকে দেখেছি বইগুলোর প্রত্যেকটাই বেশ সাড়া জাগানো এবং ব্যবসা সফল। ৩২ বছরের সাংবাদিকতার জীবনে শত শত প্রবন্ধ নিবন্ধসহ শতাধিক গ্রন্থ প্রণয়ন। প্রকাশিত বই প্রায় ৪০ টি।  বাংলা, হিন্দি, উর্দূ, ফার্সি, আরবী ও ইংরেজিসহ কিছু ভাষা লেখা, বলা ও অনুবাদের যোগ্যতা। 

দেশের অনেকগুলো সাময়িকি ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের উপদেষ্টা সম্পাদক। ফিকাহ বিষয়ক সমাধানদাতা।

 দেশে বিদেশে বহু সভা-সমিতি, সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে প্রবন্ধ উপস্থাপন, বক্তৃতা ও অতিথিরূপে অংশগ্রহণ।

 অসংখ্য ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং টক-শোতে অতিথি, বক্তা, রিসোর্স পারসন ইত্যাদি হিসাবে যোগদান।

 সারা দেশের বিভিন্ন ইসলামী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সদস্য, উপদেষ্টা বা দায়িত্বশীল হিসাবে নিয়োজিত।

তাসাউফ[সম্পাদনা]

আবদুল আজিজ মাক্কি আল কুরাইশী, আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল খাওলানি আল ইয়ামানী, তুরষ্কের আহমাদ আফেন্দি শাজলি তুর্কি, বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, পাকিস্তানের লাহোরের ইসহাক ইমামাবাদী, মুলতানের সিরাজ বিন গোলাম মুহাম্মদ দীনপুর শরীফ, জুলফিকার আহমদ নকশবন্দীর কাছে তিনি আধ্যাত্মিক দীক্ষা ও খেলাফত লাভ করেছেন।

মুন্সিবাড়ি মসজিদ গলগণ্ডা। মক্তব গলগণ্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি এক বছর পড়েছি। রাবে হাসান নদভীর কাছে আরবী সাহিত্য ও সমালোচনা পড়েছি অদেহ হাসান নদভীর কছে ইসলামী সাংস্কৃতি, আরবী অনুশীলন, মেডিয়া ইত্যাদি বিষয়ে ক্লাসেও পড়েছি শুরুর দিকে মূলত আমি শিক্ষকই ছিলাম। দারুল মাআরিফে ৫ বছর। শিক্ষাসচিবও ছিলাম

  1. বাবর, জহির উদ্দিন (২০২২)। দশ লেখক দশ জীবন। বাংলাদেশ: রাহনুমা প্রকাশনী।