জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
যাচাইযোগ্যতার জন্য ১টি বই যোগ করা হল (20230412sim)) #IABot (v2.0.9.3) (GreenC bot |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
(২ জন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ৮টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{কাজ চলছে/২০২৩}} |
|||
⚫ | '''জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল''' [[এফআরএসই]] [[এফআরএস]] (১৩ জুন ১৮৩১ - ৫ নভেম্বর ১৮৭৯) ছিলেন একজন স্কটিশ গণিতবিদ |
||
{{Infobox scientist|name=জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল|image=James-Clerk-Maxwell-1831-1879.jpg|caption=জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল (১৮৩১-১৮৭৯)|birth_date={{জন্ম তারিখ|1831|6|13|df=y}}|birth_place=এডিনবরা, স্কটল্যান্ড|death_date={{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|1879|11|5|1831|6|13|df=y}}|death_place=কেমব্রিজ, ইংল্যান্ড|fields=[[পদার্থবিজ্ঞান]] এবং [[গণিত]]|workplaces={{ubl|[[মারিশাল কলেজ]], [[অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়]]|[[কিংস কলেজ লন্ডন]]|[[কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়]]}}|alma_mater={{ubl|[[এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়]]|[[ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়]]}}|academic_advisors=[[উইলিয়াম হপকিন্স]]|notable_students={{ubl|[[জর্জ ক্রিস্টালl]]| [[হোরেস ল্যাম্ব]]| [[জন হেনরি পয়েন্টিং]]}}|known_for={{ubl|[[পরিসংখ্যানগত বলবিদ্যা]]|[[ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণসমূহ]]|[[সরণ প্রবাহ]]|[[ম্যাক্সওয়েলের সম্পর্ক]]|[[বেটির উপপাদ্য|ম্যাক্সওয়েল–বেটি উপপাদ্য]]|[[ম্যাক্সওয়েল– বোল্টজ ডিস্ট্রিবিউশন]]|[[ম্যাক্সওয়েল– বোল্টজম্যান পরিসংখ্যান]]|[[ম্যাক্সওয়েল–স্তিফান বিকিরণ]]|[[ম্যাক্সওয়েলের ডেমন]]|[[ম্যাক্সওয়েলের নির্মিত বস্তু]]|[[গতিময় একীকরন#ম্যাক্সওয়েল একীকরন]]|[[ম্যাক্সওয়েলের ডিস্ক]]|[[ম্যাক্সওয়েল গতি বিন্নাস]]|[[স্ট্রেস ফাংশন#ম্যাক্সওয়েল স্ট্রেস ফাংশন|ম্যাক্সওয়েল স্ট্রেস ফাংশন]]|[[ম্যাক্সওয়েলের উপপাদ্য ]]|[[ম্যাক্সওয়েলের উপপাদ্য (জ্যামিতি)]]|[[ম্যাক্সওয়েলের উপকরণ]]|[[ভন মিসের উত্পাদ নির্ণায়ক|ম্যাক্সওয়েল–হুবার–হাঙ্কি–ভন মিসের উপপাদ্য]]|[[ম্যাক্সওয়েল–ওএগ্নার–সিলারের সমবর্তন]]|[[ম্যাক্সওয়েল ব্রিজ]]|[[ম্যাক্সওয়েল কয়েল]]|[[লুনবার্গ লেন্স#ম্যাক্সওয়েলের ফিশ-আই লেন্স|ম্যাক্সওয়েলের ফিশ-আই লেন্স]]|[[কেন্দ্রীয় গর্ত#ফোভাতে এনটপটিক প্রভাব|ম্যাক্সওয়েলের স্পট]]|[[সংযোজন রঙ|ম্যাক্সওয়েলের চাকা]]|[[ম্যাক্সওয়েলের থার্মোডাইনামিক পৃষ্ঠ]]|[[নিয়ন্ত্রণ তত্ত্ব]]|[[সুসংগতি (পরিমাপের একক)|এককগুলির সুসংগত সিস্টেম]]|[[সাধারণীকৃত কনিক]]|[[সিঙ্গুলারিটি (সিস্টেম থিওরি)|সিঙ্গুলারিটি]]|[[কাঠামোগত অনমনীয়তা]]}}|author_abbrev_bot=|author_abbrev_zoo=|influences=[[স্যার আইজ্যাক নিউটন]], [[মাইকেল ফ্যারাডে]],[[থমাস ইয়ং]]|influenced=কার্যত সকল আধুনিক পদার্থবিদ্যা|awards={{ubl|[[এফআরএসই]]|[[ফেলো অফ দা রয়্যাল সোসাইটি|এফআরএস]]|[[স্মিথস পুরস্কার]] (১৮৫৪) |[[অ্যাডামস পুরস্কার]] (১৮৫৭) |[[রামফোর্ড পদক]] (১৮৬০) | [[কেথ পুরস্কার]] (১৮৬৯–১৮৭১)}}|religion=|signature=James Clerk Maxwell sig.svg|footnotes=}} |
{{Infobox scientist|name=জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল|image=James-Clerk-Maxwell-1831-1879.jpg|caption=জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল (১৮৩১-১৮৭৯)|birth_date={{জন্ম তারিখ|1831|6|13|df=y}}|birth_place=এডিনবরা, স্কটল্যান্ড|death_date={{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|1879|11|5|1831|6|13|df=y}}|death_place=কেমব্রিজ, ইংল্যান্ড|fields=[[পদার্থবিজ্ঞান]] এবং [[গণিত]]|workplaces={{ubl|[[মারিশাল কলেজ]], [[অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়]]|[[কিংস কলেজ লন্ডন]]|[[কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়]]}}|alma_mater={{ubl|[[এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়]]|[[ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়]]}}|academic_advisors=[[উইলিয়াম হপকিন্স]]|notable_students={{ubl|[[জর্জ ক্রিস্টালl]]| [[হোরেস ল্যাম্ব]]| [[জন হেনরি পয়েন্টিং]]}}|known_for={{ubl|[[পরিসংখ্যানগত বলবিদ্যা]]|[[ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণসমূহ]]|[[সরণ প্রবাহ]]|[[ম্যাক্সওয়েলের সম্পর্ক]]|[[বেটির উপপাদ্য|ম্যাক্সওয়েল–বেটি উপপাদ্য]]|[[ম্যাক্সওয়েল– বোল্টজ ডিস্ট্রিবিউশন]]|[[ম্যাক্সওয়েল– বোল্টজম্যান পরিসংখ্যান]]|[[ম্যাক্সওয়েল–স্তিফান বিকিরণ]]|[[ম্যাক্সওয়েলের ডেমন]]|[[ম্যাক্সওয়েলের নির্মিত বস্তু]]|[[গতিময় একীকরন#ম্যাক্সওয়েল একীকরন]]|[[ম্যাক্সওয়েলের ডিস্ক]]|[[ম্যাক্সওয়েল গতি বিন্নাস]]|[[স্ট্রেস ফাংশন#ম্যাক্সওয়েল স্ট্রেস ফাংশন|ম্যাক্সওয়েল স্ট্রেস ফাংশন]]|[[ম্যাক্সওয়েলের উপপাদ্য ]]|[[ম্যাক্সওয়েলের উপপাদ্য (জ্যামিতি)]]|[[ম্যাক্সওয়েলের উপকরণ]]|[[ভন মিসের উত্পাদ নির্ণায়ক|ম্যাক্সওয়েল–হুবার–হাঙ্কি–ভন মিসের উপপাদ্য]]|[[ম্যাক্সওয়েল–ওএগ্নার–সিলারের সমবর্তন]]|[[ম্যাক্সওয়েল ব্রিজ]]|[[ম্যাক্সওয়েল কয়েল]]|[[লুনবার্গ লেন্স#ম্যাক্সওয়েলের ফিশ-আই লেন্স|ম্যাক্সওয়েলের ফিশ-আই লেন্স]]|[[কেন্দ্রীয় গর্ত#ফোভাতে এনটপটিক প্রভাব|ম্যাক্সওয়েলের স্পট]]|[[সংযোজন রঙ|ম্যাক্সওয়েলের চাকা]]|[[ম্যাক্সওয়েলের থার্মোডাইনামিক পৃষ্ঠ]]|[[নিয়ন্ত্রণ তত্ত্ব]]|[[সুসংগতি (পরিমাপের একক)|এককগুলির সুসংগত সিস্টেম]]|[[সাধারণীকৃত কনিক]]|[[সিঙ্গুলারিটি (সিস্টেম থিওরি)|সিঙ্গুলারিটি]]|[[কাঠামোগত অনমনীয়তা]]}}|author_abbrev_bot=|author_abbrev_zoo=|influences=[[স্যার আইজ্যাক নিউটন]], [[মাইকেল ফ্যারাডে]],[[থমাস ইয়ং]]|influenced=কার্যত সকল আধুনিক পদার্থবিদ্যা|awards={{ubl|[[এফআরএসই]]|[[ফেলো অফ দা রয়্যাল সোসাইটি|এফআরএস]]|[[স্মিথস পুরস্কার]] (১৮৫৪) |[[অ্যাডামস পুরস্কার]] (১৮৫৭) |[[রামফোর্ড পদক]] (১৮৬০) | [[কেথ পুরস্কার]] (১৮৬৯–১৮৭১)}}|religion=|signature=James Clerk Maxwell sig.svg|footnotes=}} |
||
⚫ | '''জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল''' [[এফআরএসই]] [[এফআরএস]] (১৩ জুন ১৮৩১ - ৫ নভেম্বর ১৮৭৯) ছিলেন একজন স্কটিশ গণিতবিদ<ref name="mactutor">{{cite web |url=https://mathshistory.st-andrews.ac.uk/Biographies/Maxwell/ |title=James Clerk Maxwell |last1=O'Connor |first1=J.J. |last2=Robertson |first2=E.F. |date=November 1997 |publisher=School of Mathematical and Computational Sciences University of St Andrews |access-date=19 June 2021 |archive-date=5 November 2021 |archive-url=https://web.archive.org/web/20211105081645/https://mathshistory.st-andrews.ac.uk/Biographies/Maxwell/ |url-status=live }}</ref><ref>{{cite web|url=http://www-history.mcs.st-and.ac.uk/HistTopics/Knots_and_physics.html |title=Topology and Scottish mathematical physics |publisher=University of St Andrews |access-date=9 September 2013 |url-status=live |archive-url=https://web.archive.org/web/20130912050227/http://www-history.mcs.st-and.ac.uk/HistTopics/Knots_and_physics.html |archive-date=12 September 2013 }}</ref> এবং বিজ্ঞানী যিনি [[বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ|তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের]] [[সর্বোত্তম তত্ত্ব|সর্বোত্তম তত্ত্বটি]] বর্ণণা করেছিলেন, যার সাহায্যে তড়িৎ, [[চুম্বকত্ব]] এবং আলো কে একই শক্তির বিভিন্ন রূপ হিসেবে বর্ণনা করা সম্ভব হয়েছিল। ম্যাক্সওয়েলের তড়িৎ চৌম্বকীয় বলের [[ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণসমূহ|সমীকরণকে]] পদার্থবিজ্ঞানে "[[দ্বিতীয় মহান একীকরণ|দ্বিতীয় বৃহত্তম একীকরণ]]"<ref>{{cite journal |doi=10.1109/6.123329 |author=Nahin, P.J. |journal=IEEE Spectrum |volume =29 |issue =3 |year=1992 |page=45 |title=Maxwell's grand unification|s2cid=28991366 }}</ref> বলা হয়, যেখানে প্রথম বৃহত্তম একীকরণ করেছিলেন [[আইজাক নিউটন]]। |
||
⚫ | ১৮৬৫ সালে "[[এ ডাইনামিক্যাল থিওরি অফ দ্য ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড]]" প্রকাশের মাধ্যমে, ম্যাক্সওয়েল দেখিয়েছিলেন যে [[তড়িৎ| |
||
⚫ | ১৮৬৫ সালে "[[এ ডাইনামিক্যাল থিওরি অফ দ্য ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড]]" প্রকাশের মাধ্যমে, ম্যাক্সওয়েল দেখিয়েছিলেন যে [[তড়িৎ|তড়িৎ]] এবং [[চৌম্বক ক্ষেত্র|চৌম্বক]] ক্ষেত্রগুলো [[তরঙ্গ]] হিসেবে [[আলোর গতি]]<nowiki/>তে মহাকাশের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করে। তিনি প্রস্তাব করেছিলেন যে, একই মাধ্যমে বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বকীয় তরঙ্গের পরিভ্রমণের ফলেই আলোক তরঙ্গের উৎপত্তি হয়।<ref name="ADTEF">{{cite journal|last=Maxwell|first=James Clerk|year=1865|title=A dynamical theory of the electromagnetic field|url=http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/1/19/A_Dynamical_Theory_of_the_Electromagnetic_Field.pdf|pages=459–512|doi=10.1098/rstl.1865.0008|archive-url=https://web.archive.org/web/20110728140123/http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/1/19/A_Dynamical_Theory_of_the_Electromagnetic_Field.pdf|archive-date=28 July 2011|url-status=live|journal=Philosophical Transactions of the Royal Society of London|volume=155|bibcode=1865RSPT..155..459C|s2cid=186207827}} (This article accompanied an 8 December 1864 presentation by Maxwell to the Royal Society. His statement that "light and magnetism are affections of the same substance" is at page 499.)</ref> আলো এবং বৈদ্যুতিক তরঙ্গের একীকরণ তার [[রেডিও তরঙ্গ|রেডিও তরঙ্গে]]<nowiki/>র অস্তিত্বের ভবিষ্যদ্বাণী করে। ম্যাক্সওয়েলকে আধুনিক [[বৈদ্যুতিক প্রকৌশল]] ক্ষেত্রের একজন প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও গণ্য করা হয়।<ref>Tapan K. Sakar, Magdalena Salazar-Palma, Dipak L. Sengupta; James Clerk Maxwell: The Founder of Electrical Engineering; 2010 Second Region 8 IEEE Conference on the History of Communications;IEEE</ref> |
||
⚫ | ম্যাক্সওয়েল [[ম্যাক্সওয়েল-বোল্টজম্যান ডিস্ট্রিবিউশনে]]<nowiki/>র বিকাশে সাহায্য করেছিলেন, যা [[গ্যাসের গতিতত্ত্ব|গ্যাসের গতি তত্ত্বের]] দিকগুলো বর্ণনা করার একটি পরিসংখ্যানগত |
||
⚫ | ম্যাক্সওয়েল [[ম্যাক্সওয়েল-বোল্টজম্যান ডিস্ট্রিবিউশনে]]<nowiki/>র বিকাশে সাহায্য করেছিলেন, যা [[গ্যাসের গতিতত্ত্ব|গ্যাসের গতি তত্ত্বের]] দিকগুলো বর্ণনা করার একটি পরিসংখ্যানগত উপায় ছিল। এছাড়াও তিনি ১৮৬১ সালে প্রথম স্থায়ী [[রঙিন ছবি]] উপস্থাপন ও সেতুর রড এবং যৌথ কাঠামোর ([[ভাররক্ষার্থ কাঠামো]]) দৃঢ়তা বিশ্লেষণে ভিত্তিমূলক কাজের জন্যও পরিচিত। |
||
⚫ | তার আবিষ্কারগুলো আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের যুগে, [[বিশেষ আপেক্ষিকতা]] এবং [[কোয়ান্টাম বলবিদ্যা|কোয়ান্টাম বলবিদ্যার]] মতো ক্ষেত্রের ভিত্তি স্থাপনের সূচনা করতে সাহায্য |
||
⚫ | তার আবিষ্কারগুলো আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের যুগে, [[বিশেষ আপেক্ষিকতা]] এবং [[কোয়ান্টাম বলবিদ্যা|কোয়ান্টাম বলবিদ্যার]] মতো ক্ষেত্রের ভিত্তি স্থাপনের সূচনা করতে সাহায্য করেছিল। অনেক পদার্থবিজ্ঞানী ম্যাক্সওয়েলকে ১৯ শতকের এমন বিজ্ঞানী হিসাবে বিবেচনা করেন যিনি ২০ শতকের পদার্থবিজ্ঞানের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছিলেন। অনেকে বিজ্ঞানে তার অবদানকে [[আইজাক নিউটন]] এবং [[আলবার্ট আইনস্টাইন|অ্যালবার্ট আইনস্টাইনে]]<nowiki/>র মতো একই মাত্রার বলে মনে করেন।<ref>{{Cite book|title=James Clerk Maxwell : a biography|last=Tolstoy|first=Ivan|year=1981|publisher=University of Chicago Press|page=2|isbn=0-226-80785-1|oclc=8688302|location=Chicago}}</ref> ১০০০ বছর ধরে চলা একটি জরিপে ১০০ জন বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানীদের একটি সমীক্ষায় নিউটন এবং আইনস্টাইনের পরে ম্যাক্সওয়েলকে সর্বকালের তৃতীয় সর্বশ্রেষ্ঠ পদার্থবিজ্ঞানী নির্বাচিত করা হয়েছিল।<ref>{{cite news|url=http://news.bbc.co.uk/1/hi/sci/tech/541840.stm|title=Einstein the greatest|date=29 November 1999|work=BBC News|access-date=2 April 2010|archive-url=https://web.archive.org/web/20090111155707/http://news.bbc.co.uk/1/hi/sci/tech/541840.stm|archive-date=11 January 2009|url-status=live|publisher=BBC}}</ref> ম্যাক্সওয়েলের শতবর্ষতম জন্মদিনে, আইনস্টাইন ম্যাক্সওয়েলের কাজকে "নিউটনের সময় থেকে পদার্থবিজ্ঞানের অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে গভীর এবং সবচেয়ে ফলপ্রসূ" বলে বর্ণনা করেছেন।<ref>{{cite web|last1=McFall|first1=Patrick|date=23 April 2006|publisher=maxwellyear2006.org|title=Brainy young James wasn't so daft after all|url=http://www.maxwellyear2006.org/html/press_coverage.html#Press5|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20130620031659/http://www.maxwellyear2006.org/html/press_coverage.html|archive-date=20 June 2013|access-date=29 March 2013|work=The Sunday Post}}</ref> ১৯২২ সালে আইনস্টাইন যখন [[কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়]] পরিদর্শন করেন, তখন তার অতিথিসেবক তাকে বলেছিলেন যে তিনি দুর্দান্ত কাজ করেছেন কারণ তিনি নিউটনের ঘাড়ে দাঁড়িয়ে বিশ্ব দেখেছেন; আইনস্টাইন উত্তর দিয়েছিলেন: "না আমি নিউটন নয়, ম্যাক্সওয়েলের ঘাড়ে দাঁড়িয়ে বিশ্ব দেখেছি।"<ref>Mary Shine Thompson, 2009, The Fire l' the Flint, p. 103; Four Courts</ref> |
||
== জীবনী == |
== জীবনী == |
||
=== প্রাথমিক জীবন (১৮৩১–১৮৩৯) === |
=== প্রাথমিক জীবন (১৮৩১–১৮৩৯) === |
||
[[চিত্র:James Clerk Maxwell's birthplace at 14 India Street.jpg|থাম্ব|এডিনবার্গের ১৪ ইন্ডিয়া |
[[চিত্র:James Clerk Maxwell's birthplace at 14 India Street.jpg|থাম্ব|এডিনবার্গের ১৪ ইন্ডিয়া সড়ক ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েলের জন্মস্থান,যা বর্তমানে জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল ফাউন্ডেশনের বাড়ি।]] |
||
জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল ১৩ জুন ১৮৩১ সালে<ref>{{cite web|publisher=UK Parliament|title=Early day motion 2048|url=http://www.parliament.uk/edm/2005-06/2048|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20130530165850/http://www.parliament.uk/edm/2005-06/2048|archive-date=30 May 2013|access-date=22 April 2013}}</ref> ১৪ ইন্ডিয়া স্ট্রিট,[[এডিনবার্গ|এডিনবার্গে]]<nowiki/>র [[জন ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল]], |
জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল ১৩ জুন ১৮৩১ সালে<ref>{{cite web|publisher=UK Parliament|title=Early day motion 2048|url=http://www.parliament.uk/edm/2005-06/2048|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20130530165850/http://www.parliament.uk/edm/2005-06/2048|archive-date=30 May 2013|access-date=22 April 2013}}</ref> ১৪ ইন্ডিয়া স্ট্রিট,[[এডিনবার্গ|এডিনবার্গে]]<nowiki/>র [[জন ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল]], (যিনি একজন আইনজীবী) এবং ফ্রান্সেস কে<ref name="oxford_506">{{harvnb|Harman|2004|p=506}}</ref><ref name="Waterston">{{harvnb|Waterston|Macmillan Shearer|2006|page=633}}</ref>( [[রবার্ট হডসন কে]] এর কন্যা এবং [[জন কে]]-এর বোন) এর বিত্তশালী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। (তার জন্মস্থানে এখন [[জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল ফাউন্ডেশন]] দ্বারা পরিচালিত একটি জাদুঘর রয়েছে।) তার পিতা [[পেনিকুইক|পেনিকুইকে]]<nowiki/>র ক্লার্ক পরিবারের একজন স্বাচ্ছন্দ্যবাদী ব্যক্তি<ref>{{cite book|url=https://books.google.com/books?id=MwTNCEoGsfYC&pg=PA49|title=Energy and the Unexpected|last=Laidler|first=Keith James|year=2002|publisher=Oxford University Press|page=49|isbn=978-0-19-852516-5|archive-url=https://web.archive.org/web/20160424071517/https://books.google.com/books?id=MwTNCEoGsfYC&pg=PA49|archive-date=24 April 2016|url-status=live}}</ref> এবং পেনিকুইকের [[ক্লার্কের ব্যারোনেটে]]<nowiki/>র অধিকারী ছিলেন। তার পিতার ভাই ছিলেন [[৬ষ্ঠ ব্যারোনেট]]।<ref name="preface">{{cite book|title=The Scientific Papers of James Clerk Maxwell|chapter-url=https://books.google.com/books?id=Jrzq_7NhGRkC&pg=PR90baronet|year=2011|chapter=Preface|isbn=978-1-108-01225-6|archive-url=https://web.archive.org/web/20201216132606/https://books.google.com/books?id=Jrzq_7NhGRkC&pg=PR90baronet|archive-date=16 December 2020|url-status=live|access-date=5 September 2020|last1=Maxwell|first1=James Clerk}}</ref> তার পরিবারের মূল নাম ছিল "জন ক্লার্ক"।পরে উত্তরাধিকারসূত্রে পূর্বপুরুষদের ডামফ্রিসশায়ারের মিডলবি এস্টেটের একটি সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়ে (১৭৯৩ সালে একটি শিশু হিসাবে) নিজের নামের সাথে "ম্যাক্সওয়েল" যোগ করেন।<ref name="oxford_506" /> জেমস ছিলেন শিল্পী [[জেমিমা ব্ল্যাকবার্ন]]<ref>{{cite web|publisher=Gazetteer for Scotland|title=Jemima Blackburn|url=http://www.scottish-places.info/scotgaz/people/famousfirst2374.html|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20131112214008/http://www.scottish-places.info/scotgaz/people/famousfirst2374.html|archive-date=12 November 2013|access-date=27 August 2013}}</ref> (তার বাবার বোনের মেয়ে) এবং নির্মাণ প্রকৌশলী [[উইলিয়াম ডাইস কে]] (তার মায়ের ভাইয়ের ছেলে) উভয়ের প্রথম চাচাতো ভাই। কে এবং ম্যাক্সওয়েল ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন এবং যখন ম্যাক্সওয়েল বিয়ে করেছিলেন তখন কে তার মিতবরের ভূমিকা পালন করেছিলেন।<ref>{{cite web|title=William Dyce Cay|url=http://www.scottisharchitects.org.uk/architect_full.php?id=404238|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20150925234918/http://www.scottisharchitects.org.uk/architect_full.php?id=404238|archive-date=25 September 2015|work=scottisharchitects.org.uk}}</ref> |
||
ম্যাক্সওয়েলের বাবা- |
ম্যাক্সওয়েলের বাবা-মার দেখা ও বিয়ে হয়েছিল যখন তাদের বয়স ছিল ত্রিশ।<ref>{{Cite book|title=James Clerk Maxwell : a biography|last=Tolstoy|first=Ivan|year=1981|publisher=University of Chicago Press|page=11|isbn=0-226-80785-1|oclc=8688302|location=Chicago}}</ref> যখন তিনি জন্মগ্রহণ করেন তখন তার মায়ের বয়স প্রায় ৪০। ম্যাক্সওয়েলের পূর্বে এলিজাবেথ নামে তাদের একটি কন্যা সন্তান ছিল, যে শৈশবেই মারা যায়।<ref>{{harvnb|Campbell|1882|p=1}}</ref> |
||
⚫ | ম্যাক্সওয়েল যখন ছোট ছিলেন তখন তার পরিবার কির্ককুডব্রাইটশায়ারের [[গ্লেনলেয়ার|গ্লেনলেয়ারে]] চলে যায়, যে বাড়ি তার পিতামাতা ১,৫০০ একর (৬১০ হেক্টর) জমির উপর তৈরি করেছিলেন।<ref>{{harvnb|Mahon|2003|pp=186–187}}</ref> ম্যাক্সওয়েলের সমস্ত লক্ষণ ইঙ্গিত দেয় যে তিনি ছোটবেলা থেকেই অদম্য কৌতূহলী ছিলেন।<ref>{{Cite book|title=James Clerk Maxwell : a biography|last=Tolstoy|first=Ivan|year=1981|publisher=University of Chicago Press|page=13|isbn=0-226-80785-1|oclc=8688302|location=Chicago}}</ref> তিন বছর বয়সে যা নড়াচড়া করে, চকচক করে বা আঘাত দিলে আওয়াজ করে এমন বস্তু তার মনে এই প্রশ্নটি জাগিয়েছিল: "সেটা কী?"<ref>{{harvnb|Mahon|2003|p=3}}</ref> ১৮৩৪ সালে তার খালু জেন কে-এর কাছে তার পিতার একটি চিঠিতে যোগ করা একটি অনুচ্ছেদে, তার মা অনুসন্ধিৎসুতার এই সহজাত অনুভূতি এভাবে বর্ণনা করেছিলেন: |
||
⚫ | {{Quote|সে খুব সুখী মানুষ, এবং আবহাওয়া সহনীয় হওয়ার পর থেকে তার অনেক উন্নতি হয়েছে; দরজা, তালা, চাবি ইত্যাদি নিয়ে তার দুর্দান্ত কাজ রয়েছে এবং "এটি কীভাবে কাজ করে তা আমাকে দেখান" তার মুখ থেকে কখনোই বের হয় না। সে স্রোত এবং বেল-তারের লুকানো গতিপথ, পুকুর থেকে প্রাচীরের মধ্য দিয়ে কিভাবে জল যায় তাও তদন্ত করে।<ref name="Campbell_p 27">{{harvnb|Campbell|1882|p=27}}</ref>}} |
||
⚫ | ম্যাক্সওয়েল যখন ছোট ছিলেন তখন তার পরিবার কির্ককুডব্রাইটশায়ারের [[গ্লেনলেয়ার|গ্লেনলেয়ারে]] চলে |
||
⚫ | {{Quote|সে খুব সুখী মানুষ, এবং আবহাওয়া সহনীয় হওয়ার পর থেকে তার অনেক উন্নতি হয়েছে; দরজা, তালা, চাবি ইত্যাদি নিয়ে তার দুর্দান্ত কাজ রয়েছে এবং "এটি কীভাবে কাজ করে তা আমাকে দেখান" তার মুখ থেকে কখনোই বের হয় না। |
||
=== শিক্ষা (১৮৩৯–১৮৪৭) === |
=== শিক্ষা (১৮৩৯–১৮৪৭) === |
||
ছেলের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে বুঝতে পেরে ম্যাক্সওয়েলের মা ফ্রান্সিস তার প্রাথমিক শিক্ষার দায়িত্ব নেন, যা [[ভিক্টোরিয়ান যুগ|ভিক্টোরিয়ান যুগে]] মূলত বাড়ির মহিলাদেরর কাজ ছিল।<ref name=":0">{{Cite book|title=James Clerk Maxwell : a biography|last=Tolstoy|first=Ivan|year=1981|publisher=University of Chicago Press|pages=15–16|isbn=0-226-80785-1|oclc=8688302|location=Chicago}}</ref>। আট বছর বয়সে তিনি [[জন মিলটন|জন মিল্টনের]] দীর্ঘ কবিতা এবং [[১১৯তম গীতসংগীত]] (১৭৬ শ্লোক) আবৃত্তি করতে পারতেন। প্রকৃতপক্ষে, [[শাস্ত্র]] সম্পর্কে আগে থেকেই তার বিস্তারিত জ্ঞান ছিল; তিনি গীতসংগীত থেকে প্রায় যেকোনো উদ্ধৃতির জন্য অধ্যায় এবং শ্লোক বলে দিতে |
ছেলের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে বুঝতে পেরে ম্যাক্সওয়েলের মা ফ্রান্সিস তার প্রাথমিক শিক্ষার দায়িত্ব নেন, যা [[ভিক্টোরিয়ান যুগ|ভিক্টোরিয়ান যুগে]] মূলত বাড়ির মহিলাদেরর কাজ ছিল।<ref name=":0">{{Cite book|title=James Clerk Maxwell : a biography|last=Tolstoy|first=Ivan|year=1981|publisher=University of Chicago Press|pages=15–16|isbn=0-226-80785-1|oclc=8688302|location=Chicago}}</ref>। আট বছর বয়সে তিনি [[জন মিলটন|জন মিল্টনের]] দীর্ঘ কবিতা এবং [[১১৯তম গীতসংগীত]] (১৭৬ শ্লোক) আবৃত্তি করতে পারতেন। প্রকৃতপক্ষে, [[শাস্ত্র]] সম্পর্কে আগে থেকেই তার বিস্তারিত জ্ঞান ছিল; তিনি গীতসংগীত থেকে প্রায় যেকোনো উদ্ধৃতির জন্য অধ্যায় এবং শ্লোক বলে দিতে পারতেন। তার আট বছর বয়সে তার মা [[পাকস্থলীর ক্যান্সার|পাকস্থলীর ক্যান্সারে]] অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং একটি ব্যর্থ অস্ত্রোপচারের পর, ১৮৩৯ সালের ডিসেম্বরে মারা যান। তখন তার বাবা এবং তার বাবার ভগ্নিপতি জেন তার শিক্ষার তত্ত্বাবধান করেছেন,যারা উভয়েই তার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।<ref name=":0" /> ১৬ বছর বয়সের একজন গৃহশিক্ষকের নির্দেশনায় আনুষ্ঠানিক স্কুলে তার পড়া শুরু হয়েছিল। ম্যাক্সওয়েলকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য যে যুবককে নিয়োগ করা হয়েছিল তার সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়, তবে তিনি ছোট ছেলেদের সাথে কঠোর আচরণ করতেন, তাকে ধীরগতির এবং বিপথগামী হওয়ার জন্য তিরস্কার করেছিলেন। ১৮৪১ সালের নভেম্বরে গৃহশিক্ষককে বাদ দেওয়া হয়। ১৮৪২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জেমসের বাবা তাকে [[রবার্ট ডেভিডসন|রবার্ট ডেভিডসনের]] বৈদ্যুতিক চালনা এবং চৌম্বকীয় শক্তি প্রদর্শনের জন্য নিয়ে যান, যা তার জন্য গভীর প্রভাবের অভিজ্ঞতা ছিল।<ref>Anthony F. Anderson (11 June 1981) [https://books.google.ca/books?lr=&id=ONm4--sv5mcC&pg=PA712 Forces of Inspiration] {{Webarchive|url=https://web.archive.org/web/20211202072916/https://books.google.ca/books?lr=&id=ONm4--sv5mcC&pg=PA712|date=2 December 2021}}, [[The New Scientist]], pages 712,3 via [[Google Books]]</ref> |
||
[[চিত্র:Edinburgh Academy - geograph.org.uk - 567821.jpg|থাম্ব|এডিনবার্গ একাডেমি, যেখানে ম্যাক্সওয়েল শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন]] |
[[চিত্র:Edinburgh Academy - geograph.org.uk - 567821.jpg|থাম্ব|এডিনবার্গ একাডেমি, যেখানে ম্যাক্সওয়েল শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন]] |
||
ম্যাক্সওয়েলকে মর্যাদাপূর্ণ [[এডিনবরা একাডেমিতে|এডিনবার্গ একাডেমিতে]] পাঠানো হয়।<ref>{{harvnb|Campbell|1882|pp=19–21}}</ref> তিনি তার খালা ইসাবেলার বাড়িতে |
ম্যাক্সওয়েলকে মর্যাদাপূর্ণ [[এডিনবরা একাডেমিতে|এডিনবার্গ একাডেমিতে]] পাঠানো হয়।<ref>{{harvnb|Campbell|1882|pp=19–21}}</ref> তিনি ছুটিকালীন সময়ে তার খালা ইসাবেলার বাড়িতে থাকতেন। এই সময়ে তার বড় চাচাতো বোন জেমিমার দ্বারা তিনি ছবি আঁকার প্রতি উৎসাহিত হয়েছিল।<ref name="mahon_p 12-14">{{harvnb|Mahon|2003|pp=12–14}}</ref> ১০ বছর বয়সী ম্যাক্সওয়েল, তার পিতার গ্রামাঞ্চলের ভূসম্পত্তিতে বিচ্ছিন্নভাবে বেড়ে ওঠেন, যার কারণে তিনি স্কুলে ভালোভাবে শিক্ষা লাভ করতে পারেননি।<ref name="mahon_p 10">{{harvnb|Mahon|2003|p=10}}</ref> প্রথম বছর শেষ হয়ে গিয়েছিল বলে তাকে তার চেয়ে এক বছর বড় সহপাঠীদের সাথে দ্বিতীয় বর্ষে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।<ref name="mahon_p 10" /> তার আচরণ এবং [[গ্যালোওয়ের]] উচ্চারণের কারণে অন্যান্য ছেলেদের কাছে তিনি গ্রাম্য হিসাবে অভিহিত হয়েছিলেন। তিনি তার স্কুলের প্রথম দিনে বাড়িতে তৈরি জুতা এবং একটি নিমা পরে গিয়েছিলেন, এর জন্য সকলে তাকে "ড্রাফটি" এর মত নির্দয় নামে ডেকেছিল।<ref>{{harvnb|Mahon|2003|p=4}}</ref> বহু বছর ধরে তাকে সবাই "ড্রাফটি" নামে ডাকলেও তিনি কখনো বিরক্ত হননি বলে মনে হয়েছে এবং এর জন্য তিনি কখনো অভিযোগও করেননি।<ref>{{harvnb|Campbell|1882|pp=23–24}}</ref> বিদ্যালয়ে সামাজিক বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটে যখন তিনি [[লুইস ক্যাম্পবেল]] এবং [[পিটার গুথরি টেইটের]] সাথে দেখা করেন তারা ছিলো তার বয়সেরই দুইজন ছেলে যারা পরবর্তী জীবনে উল্লেখযোগ্য পণ্ডিত হয়েছিলো। তারা দুজনেই আজীবনের বন্ধু ছিল।<ref name="oxford_506" /> |
||
অল্প বয়সেই [[জ্যামিতি]] ম্যাক্সওয়েলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছিল, তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক |
অল্প বয়সেই [[জ্যামিতি]] ম্যাক্সওয়েলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছিল, তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পাওয়ার আগেই [[পলিহেড্রন|নিয়মিত পলিহেড্রা]]<nowiki/>কে পুনরায় আবিষ্কার করেছিলেন।<ref name="mahon_p 12-14" /> তার স্কুলের দ্বিতীয় বছরে ধর্মগ্রন্থ জীবনী পুরষ্কার লাভ তার শিক্ষাজীবনে প্রভাব ফেলেনি। তিনি ১৩ বছর বয়সে ইংরেজি ও কবিতা উভয়ের জন্য স্কুলের গাণিতিক পদক এবং প্রথম পুরস্কার জিতেছিলেন।<ref name="Campbell, p 43">{{harvnb|Campbell|1882|p=43}}</ref><ref name="mahon_p 12-14" /> |
||
ম্যাক্সওয়েলের |
ম্যাক্সওয়েলের স্কুলের পাঠ্যবইয়ের বাইরের বিষয়েই আগ্রহ বেশি ছিল এবং তিনি পরীক্ষার ফলাফলকে তেমন গুরুত্ব দিতেন না।<ref name="Campbell, p 43" /> তিনি ১৪ বছর বয়সে তার প্রথম [[বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র]] লেখেন। এতে তিনি সুতার টুকরো দিয়ে [[গাণিতিক বক্ররেখা]] আঁকার একটি যান্ত্রিক উপায় এবং উপবৃত্ত, [[কার্টেসিয়ান উপবৃত্ত]] এবং দুইটির বেশি নির্দিষ্ট বিন্দু সহ সংশ্লিষ্ট বক্ররেখার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেন। ১৮৪৬ সালে<ref name="oxford_506" /><ref name="gardner2">{{harvnb|Gardner|2007|pp=46–49}}</ref> "ওভাল বক্ররেখা, যার অনেকগুলো<ref>{{cite web|publisher=www.clerkmaxwellfoundation.org/|title=Key dates in the life of James Clerk Maxwell|url=http://www.clerkmaxwellfoundation.org/html/key_facts_about_maxwell.html|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20200305045153/http://www.clerkmaxwellfoundation.org/html/key_facts_about_maxwell.html|archive-date=5 March 2020|access-date=12 March 2020|website=[[James Clerk Maxwell Foundation]]}} - accessed 12 March 2020</ref>নির্দিষ্ট বিন্দু আছে তার বর্ণনা" কাজটি [[এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়|এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের]] [[প্রাকৃতিক দর্শন|প্রাকৃতিক দর্শনের]] অধ্যাপক [[জেমস ফোর্বস]] [[রয়্যাল সোসাইটি অফ এডিনবার্গ|রয়্যাল সোসাইটি অফ এডিনবার্গে]] কাছে উপস্থাপন করেছিলেন।<ref name="oxford_506" /><ref name="gardner2" /> এইসময় ম্যাক্সওয়েলকে নিজের কাজটি উপস্থাপন করার জন্য খুব কম বয়সী বলে মনে করা হয়েছিল।<ref name="Mahon_2003_p_16">{{harvnb|Mahon|2003|p=16}}</ref> যেহেতু [[রেনে দেকার্ত]] ১৭ শতকে এই ধরনের [[বহুমুখী উপবৃত্ত|বহুমুখী উপবৃত্তের]] বৈশিষ্ট্যগুলিও পরীক্ষা করেছিলেন তাই কাজটি সম্পূর্ণ মৌলিক ছিল না, কিন্তু ম্যাক্সওয়েল তাদের কাজকে সরলীকৃত করেছিলেন।<ref name="Mahon_2003_p_16" /> |
||
=== এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়(১৮৪৭-১৮৫০) === |
=== এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় (১৮৪৭-১৮৫০) === |
||
[[চিত্র:Edinburgh University 1827.jpg|থাম্ব|ওল্ড কলেজ, এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়]] |
[[চিত্র:Edinburgh University 1827.jpg|থাম্ব|ওল্ড কলেজ, এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়]] |
||
ম্যাক্সওয়েল ১৮৪৭ সালে ১৬ বছর বয়সে এডিনবার্গ একাডেমি ত্যাগ করেন এবং [[এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়|এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে]] ক্লাস করতে শুরু করেন।<ref name="Harman_p 662">{{harvnb|Harman|2004|p=662}}</ref> তিনি [[কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়|ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে]] পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তার প্রথম বছর শেষ হওয়ার পরে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তিনি এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার স্নাতক পাশ করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে কিছু উচ্চ সম্মানিত নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল; তার প্রথম বছরের শিক্ষকদের মধ্যে স্যার [[উইলিয়াম হ্যামিল্টন]] , যিনি [[যুক্তিবিদ্যা]] এবং [[অধিবিদ্যা|অধিবিদ্যার]] উপর, [[ফিলিপ কেল্যান্ড]] গণিতের উপর, এবং [[জেমস ফোর্বস]] [[প্রাকৃতিক দর্শন|প্রাকৃতিক দর্শনের]] উপর ক্লাস নিতেন।<ref name="oxford_506" /> তিনি তার চাহিদা মতো ক্লাস পাননি<ref>{{harvnb|Tolstoy|1982|p=46}}</ref> এবং তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবসর সময়ে |
ম্যাক্সওয়েল ১৮৪৭ সালে ১৬ বছর বয়সে এডিনবার্গ একাডেমি ত্যাগ করেন এবং [[এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়|এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে]] ক্লাস করতে শুরু করেন।<ref name="Harman_p 662">{{harvnb|Harman|2004|p=662}}</ref> তিনি [[কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়|ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে]] পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তার প্রথম বছর শেষ হওয়ার পরে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তিনি এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার স্নাতক পাশ করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে কিছু উচ্চ সম্মানিত নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল; তার প্রথম বছরের শিক্ষকদের মধ্যে স্যার [[উইলিয়াম হ্যামিল্টন]] , যিনি [[যুক্তিবিদ্যা]] এবং [[অধিবিদ্যা|অধিবিদ্যার]] উপর, [[ফিলিপ কেল্যান্ড]] গণিতের উপর, এবং [[জেমস ফোর্বস]] [[প্রাকৃতিক দর্শন|প্রাকৃতিক দর্শনের]] উপর ক্লাস নিতেন।<ref name="oxford_506" /> তিনি তার চাহিদা মতো ক্লাস পাননি<ref>{{harvnb|Tolstoy|1982|p=46}}</ref> এবং তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবসর সময়ে ও বিশেষ করে যখন গ্লেনলেয়ারে বাড়িতে ফিরে আসতেন সেই সময় তিনি ব্যক্তিগত অধ্যয়নে নিজেকে নিমজ্জিত করতেন।<ref>{{harvnb|Campbell|1882|p=64}}</ref> সেখানে তিনি উন্নত রাসায়নিক, বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বকীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে পরীক্ষা করতেন; যাইহোক তিনি প্রধানত চিন্তিত হয়েছিলেন [[আলোর সমবর্তন]] বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে।<ref>{{harvnb|Mahon|2003|pp=30–31}}</ref> তিনি [[জেলাটিন]] আকৃতির ব্লকগুলো তৈরি করেছিলেন, সেগুলোকে বিভিন্ন [[চাপ|চাপের]] মধ্যে দিয়েছিলেন। [[উইলিয়াম নিকোল]] তাকে যে এক জোড়া [[পোলারাইজিং প্রিজম]] দিয়েছিলেন, তিনি সেটি দিয়ে জেলির মধ্যে বিকশিত হওয়া রঙিন প্রান্তগুলি দেখেছিলেন।<ref>{{harvnb|Timoshenko|1983|p=58}}</ref> তিনি এই অনুশীলনের মাধ্যমে [[আলোক স্থিতিস্থাপকতা]] আবিষ্কার করেন, যা শারীরিক কাঠামোর মধ্যে চাপের বন্টন নির্ধারণকারী একটি মাধ্যম।<ref>{{harvnb|Russo|1996|p=73}}</ref> |
||
১৮ বছর বয়সে, ম্যাক্সওয়েল [[এডিনবরার রয়্যাল সোসাইটি|এডিনবার্গের রয়্যাল সোসাইটির]] সম্পাদিত কর্মের জন্য দুটি প্রবন্ধে অবদান রেখেছিলেন। তন্মধ্যে মধ্যে একটি হল, " |
১৮ বছর বয়সে, ম্যাক্সওয়েল [[এডিনবরার রয়্যাল সোসাইটি|এডিনবার্গের রয়্যাল সোসাইটির]] সম্পাদিত কর্মের জন্য দুটি প্রবন্ধে অবদান রেখেছিলেন। তন্মধ্যে মধ্যে একটি হল, "অন দা ইকুইলিব্রিয়াম অফ ইলাস্টিক সলিডস", যা তার জীবনের পরবর্তী সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের ভিত্তি স্থাপন করেছিল, যা শিয়ার স্ট্রেস দ্বারা সান্দ্র তরলে উৎপাদিত অস্থায়ী [[দ্বি-প্রতিসরণ]] ছিল।<ref>{{harvnb|Timoshenko|1983|pp=268–278}}</ref> অন্যটি ছিল "রোলিং কার্ভস " এবং এডিনবার্গ একাডেমিতে তার লেখা "ওভাল কার্ভস" প্রবন্ধটি উপস্থাপন করার মত তাকে আবারও প্রবন্ধটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে উপস্থাপন করার জন্য জন্য খুব কম বয়সী বলে মনে করা হয়েছিল। প্রবন্ধটি তার পরিবর্তে, তার গৃহশিক্ষক কেল্যান্ডের মাধ্যমে রয়্যাল সোসাইটির কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।<ref>{{harvnb|Glazebrook|1896|p=23}}</ref> |
||
=== ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়(১৮৫০-১৮৫৬) === |
=== ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় (১৮৫০-১৮৫৬) === |
||
[[চিত্র:YoungJamesClerkMaxwell.jpg|থাম্ব|কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে তরুণ ম্যাক্সওয়েল |
[[চিত্র:YoungJamesClerkMaxwell.jpg|থাম্ব|কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে তরুণ ম্যাক্সওয়েল একটি রঙ্গীন চাকা ধরে রেখেছেন।]] |
||
ইতিমধ্যে একজন দক্ষ গণিতবিদ হয়ে ১৮৫০ সালের অক্টোবরে ম্যাক্সওয়েল [[কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়|কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে]]<nowiki/>র জন্য স্কটল্যান্ড ত্যাগ করেন। তিনি প্রাথমিকভাবে [[পিটারহাউস|পিটারহাউসে]] যোগদান করেছিলেন, কিন্তু তার প্রথম বছর শেষ হওয়ার আগে তিনি ট্রিনিটিতে স্থানান্তরিত হন। তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে এখানে [[ফেলোশিপ]] পাওয়া সহজ হবে।<ref>{{harvnb|Glazebrook|1896|p=28}}</ref> [[ট্রিনিটি কলেজ, কেমব্রিজ|ট্রিনিটিতে]] তিনি [[কেমব্রিজ অ্যাপোস্টলস]] নামে পরিচিত একটি অভিজাত গোপন সমাজে নির্বাচিত হন।<ref>{{harvnb|Glazebrook|1896|p=30}}</ref> ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো বছরগুলিতে ম্যাক্সওয়েলের খ্রিস্টান বিশ্বাস এবং বিজ্ঞান সম্পর্কে বুদ্ধিবৃত্তিক বোঝার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। তিনি বুদ্ধিজীবী অভিজাতদের স্বতন্ত্র বিতর্ক সমাজ "অ্যাপোস্টলস"-এ যোগদান করেন, যেখানে তিনি তার প্রবন্ধগুলোর মাধ্যমে এই বোঝার ব্যাপারটি কার্যকর করার চেষ্টা করেছিলেন। |
ইতিমধ্যে একজন দক্ষ গণিতবিদ হয়ে ১৮৫০ সালের অক্টোবরে ম্যাক্সওয়েল [[কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়|কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে]]<nowiki/>র জন্য স্কটল্যান্ড ত্যাগ করেন। তিনি প্রাথমিকভাবে [[পিটারহাউস|পিটারহাউসে]] যোগদান করেছিলেন, কিন্তু তার প্রথম বছর শেষ হওয়ার আগে তিনি ট্রিনিটিতে স্থানান্তরিত হন। তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে এখানে [[ফেলোশিপ]] পাওয়া সহজ হবে।<ref>{{harvnb|Glazebrook|1896|p=28}}</ref> [[ট্রিনিটি কলেজ, কেমব্রিজ|ট্রিনিটিতে]] তিনি [[কেমব্রিজ অ্যাপোস্টলস]] নামে পরিচিত একটি অভিজাত গোপন সমাজে নির্বাচিত হন।<ref>{{harvnb|Glazebrook|1896|p=30}}</ref> ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো বছরগুলিতে ম্যাক্সওয়েলের খ্রিস্টান বিশ্বাস এবং বিজ্ঞান সম্পর্কে বুদ্ধিবৃত্তিক বোঝার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। তিনি বুদ্ধিজীবী অভিজাতদের স্বতন্ত্র বিতর্ক সমাজ "অ্যাপোস্টলস"-এ যোগদান করেন, যেখানে তিনি তার প্রবন্ধগুলোর মাধ্যমে এই বোঝার ব্যাপারটি কার্যকর করার চেষ্টা করেছিলেন। |
||
<!----- যান্ত্রিক অনুবাদ লুকানো হয়েছে |
|||
{{Quote|এখন আমার পুরানো |
{{Quote|এখন আমার পুরানো ধারণাকৃত মহান পরিকল্পনা, ... কোন কিছুই ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষা ছাড়া না রাখা। ইতিবাচক বা নেতিবাচক যাই হোক না কেন, স্থির বিশ্বাসের জন্য কোন কিছুকে পবিত্র ভূমি হতে হবে না। সমস্ত পতিত জমি চাষ করতে হবে এবং নিয়মিত আবর্তন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। ... কখনও কিছু লুকাবেন না তা আগাছা হোক বা না হোক বা লুকিয়ে রাখার আশা করবেননা। ... আবার পবিত্র ভুমির যে কোনও প্লট যা কোনও ব্যক্তি আলাদা করে রেখেছে তার উপর আমি পাপের অধিকারের দাবি করছি৷ ... এখন আমি নিশ্চিত যে একজন খ্রিস্টান ছাড়া আর কেউই প্রকৃতপক্ষে এই পবিত্র স্থানগুলো থেকে তার ভূমিকে শুদ্ধ করতে পারবে না। ... আমি বলি না যে কোন খ্রিস্টান এই ধরণের জায়গাগুলি ঘেরাও করেনি। অনেকের কাছেই আবার প্রত্যেকেরই কিছু আছে। কিন্তু বিদ্রূপকারী, ধর্মবাদী, শান্তবাদী, আনুষ্ঠানিকতাবাদী, গোঁড়ামিবাদী, ইন্দ্রিয়বাদী এবং বাকিদের অঞ্চলে বিস্তৃত এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রয়েছে যা প্রকাশ্যে এবং আন্তরিকভাবে নিষিদ্ধ। |
||
খ্রিস্টধর্ম-অর্থাৎ, বাইবেলের ধর্ম-ই একমাত্র স্কিম বা বিশ্বাসের রূপ যা কোনো সম্পত্তিকে এই ধরনের মেয়াদে অস্বীকার করে। এখানে সব মুক্ত। আপনি হয়ত পৃথিবীর শেষ প্রান্তে উড়ে যেতে পারেন এবং মুক্তির লেখক ছাড়া আর কোন ঈশ্বর খুঁজে পাবেন না। আপনি শাস্ত্র অনুসন্ধান করতে পারেন এবং এখানে আপনার অনুসন্ধানে আপনাকে থামানোর জন্য একটি শব্দও খুঁজে পাবেন না। ... |
খ্রিস্টধর্ম-অর্থাৎ, বাইবেলের ধর্ম-ই একমাত্র স্কিম বা বিশ্বাসের রূপ যা কোনো সম্পত্তিকে এই ধরনের মেয়াদে অস্বীকার করে। এখানে সব মুক্ত। আপনি হয়ত পৃথিবীর শেষ প্রান্তে উড়ে যেতে পারেন এবং মুক্তির লেখক ছাড়া আর কোন ঈশ্বর খুঁজে পাবেন না। আপনি শাস্ত্র অনুসন্ধান করতে পারেন এবং এখানে আপনার অনুসন্ধানে আপনাকে থামানোর জন্য একটি শব্দও খুঁজে পাবেন না। ... |
||
পুরাতন নিয়ম, মোজাইক আইন এবং ইহুদি ধর্মকে সাধারণত গোঁড়াদের দ্বারা "নিষিদ্ধ" বলে মনে করা হয়। সংশয়বাদীরা সেগুলি পড়ার এবং কিছু মজার আপত্তি খুঁজে পাওয়ার ভান করে ... যা অনেক গোঁড়া অপঠিতও স্বীকার করে এবং বিষয়টিকে ভুতুড়ে বলে বন্ধ করে দেয়। তবে একটি মোমবাতি সমস্ত ভূত এবং ভীতির কারণ তাড়ানোর জন্য আসছে। আসুন সেই মোমবাতির আলোকে অনুসরণ করি<ref name="MIT IAP Seminar">{{cite web|publisher=MIT IAP Seminar|title=James Clerk Maxwell and the Christian Proposition|url=http://silas.psfc.mit.edu/maxwell|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20141025173206/http://silas.psfc.mit.edu/maxwell/|archive-date=25 October 2014|access-date=13 October 2014}}</ref>}}ম্যাক্সওয়েল তার ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বছরের গ্রীষ্মে সহপাঠী [[জিডব্লিউএইচ টেলার]]-এর চাচা রেভ সিবি টেলারের [[সাফোক]] বাড়িতে কিছু সময় কাটিয়েছিলেন। তার পরিবারের দেখানো ঈশ্বরের ভালবাসা ম্যাক্সওয়েলকে মুগ্ধ করেছিল, বিশেষ করে তার পর যখন তিনি অসুস্থ হয়েছিলেন এবং ধর্মযাজক ও তার স্ত্রীর পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ হয়েছিলেন।<ref>{{harvnb|Campbell|1882|pp=[https://books.google.com/books?id=8_iS-4ec9wwC&pg=PA170 169–170]}}</ref> |
পুরাতন নিয়ম, মোজাইক আইন এবং ইহুদি ধর্মকে সাধারণত গোঁড়াদের দ্বারা "নিষিদ্ধ" বলে মনে করা হয়। সংশয়বাদীরা সেগুলি পড়ার এবং কিছু মজার আপত্তি খুঁজে পাওয়ার ভান করে ... যা অনেক গোঁড়া অপঠিতও স্বীকার করে এবং বিষয়টিকে ভুতুড়ে বলে বন্ধ করে দেয়। তবে একটি মোমবাতি সমস্ত ভূত এবং ভীতির কারণ তাড়ানোর জন্য আসছে। আসুন সেই মোমবাতির আলোকে অনুসরণ করি<ref name="MIT IAP Seminar">{{cite web|publisher=MIT IAP Seminar|title=James Clerk Maxwell and the Christian Proposition|url=http://silas.psfc.mit.edu/maxwell|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20141025173206/http://silas.psfc.mit.edu/maxwell/|archive-date=25 October 2014|access-date=13 October 2014}}</ref>}}ম্যাক্সওয়েল তার ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বছরের গ্রীষ্মে সহপাঠী [[জিডব্লিউএইচ টেলার]]-এর চাচা রেভ সিবি টেলারের [[সাফোক]] বাড়িতে কিছু সময় কাটিয়েছিলেন। তার পরিবারের দেখানো ঈশ্বরের ভালবাসা ম্যাক্সওয়েলকে মুগ্ধ করেছিল, বিশেষ করে তার পর যখন তিনি অসুস্থ হয়েছিলেন এবং ধর্মযাজক ও তার স্ত্রীর পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ হয়েছিলেন।<ref>{{harvnb|Campbell|1882|pp=[https://books.google.com/books?id=8_iS-4ec9wwC&pg=PA170 169–170]}}</ref> |
||
------> |
|||
কেমব্রিজে ফিরে আসার পর, ম্যাক্সওয়েল তার সাম্প্রতিক অতিথিসেবককে নিম্নলিখিত সাক্ষ্য সহ একটি আলাপী এবং স্নেহপূর্ণ চিঠি |
কেমব্রিজে ফিরে আসার পর, ম্যাক্সওয়েল তার সাম্প্রতিক অতিথিসেবককে নিম্নলিখিত সাক্ষ্য সহ একটি আলাপী এবং স্নেহপূর্ণ চিঠি লিখেছিলেন।<ref name="MIT IAP Seminar">{{cite web|publisher=MIT IAP Seminar|title=James Clerk Maxwell and the Christian Proposition|url=http://silas.psfc.mit.edu/maxwell|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20141025173206/http://silas.psfc.mit.edu/maxwell/|archive-date=25 October 2014|access-date=13 October 2014}}</ref> |
||
<!----- |
|||
{{quote|...মানুষ আমাকে যে কোনো উদাহরণে স্থাপন করতে পারে, কিন্তু তার চেয়েও বেশি দুষ্ট হওয়ার ক্ষমতা আমার আছে এবং... আমি যদি পালিয়ে যাই, তবে এটা শুধুমাত্র ঈশ্বরের কৃপায় আমাকে নিজেকে আংশিকভাবে বিজ্ঞানে, সম্পূর্ণরূপে সমাজ থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে—কিন্তু নিজেকে ঈশ্বরের কাছে পুরোপুরি সমর্পণ করা ছাড়া নয়...}} |
{{quote|...মানুষ আমাকে যে কোনো উদাহরণে স্থাপন করতে পারে, কিন্তু তার চেয়েও বেশি দুষ্ট হওয়ার ক্ষমতা আমার আছে এবং... আমি যদি পালিয়ে যাই, তবে এটা শুধুমাত্র ঈশ্বরের কৃপায় আমাকে নিজেকে আংশিকভাবে বিজ্ঞানে, সম্পূর্ণরূপে সমাজ থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে—কিন্তু নিজেকে ঈশ্বরের কাছে পুরোপুরি সমর্পণ করা ছাড়া নয়...}} |
||
------> |
|||
১৮৫১ সালের নভেম্বরে, ম্যাক্সওয়েল [[উইলিয়াম হপকিন্স|উইলিয়াম হপকিন্সের]] অধীনে অধ্যয়ন করেন,যিনি তার গাণিতিক প্রতিভা লালন করার সাফল্যের জন্য "[[সিনিয়র র্যাংলার]] মেকার" ডাকনাম অর্জন করেছিলেন।<ref>{{harvnb|Warwick|2003|pp=84–85}}</ref> |
১৮৫১ সালের নভেম্বরে, ম্যাক্সওয়েল [[উইলিয়াম হপকিন্স|উইলিয়াম হপকিন্সের]] অধীনে অধ্যয়ন করেন, যিনি তার গাণিতিক প্রতিভা লালন করার সাফল্যের জন্য "[[সিনিয়র র্যাংলার]] মেকার" ডাকনাম অর্জন করেছিলেন।<ref>{{harvnb|Warwick|2003|pp=84–85}}</ref> |
||
১৮৫৪ সালে, ম্যাক্সওয়েল ট্রিনিটি থেকে গণিতে একটি ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ হন। তিনি চূড়ান্ত পরীক্ষায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থান করেন যেখানে [[এডওয়ার্ড রাউথ]] প্রথম স্থান অধিকার করেন এতে ম্যাক্সওয়েল দ্বিতীয় র্যাংলারের খেতাব অর্জন করেন। পরবর্তীতে [[স্মিথস প্রাইজ]] পরীক্ষার আরও কঠোর অগ্নিপরীক্ষায় তাকে রাউথের সমান ঘোষণা করা হয়।<ref name="Tolstoy_p 62">{{harvnb|Tolstoy|1982|p=62}}</ref> ম্যাক্সওয়েল তার ডিগ্রী অর্জনের পরপরই [[কেমব্রিজ ফিলোসফিক্যাল সোসাইটি]]<nowiki/>তে তার গবেষণাপত্র "অন দ্য ট্রান্সফর্মেশন অফ সারফেসেস বাই বেন্ডিং" পাঠ করেন।<ref>{{harvnb|Harman|1998|p=3}}</ref> এটি ছিল তার লেখা কয়েকটি বিশুদ্ধভাবে গাণিতিক গবেষণাপত্রের মধ্যে একটি, যা একজন গণিতবিদ হিসাবে তার ক্রমবর্ধমান উচ্চতাকে প্রদর্শন করে।<ref>{{harvnb|Tolstoy|1982|p=61}}</ref> ম্যাক্সওয়েল স্নাতকে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে ট্রিনিটিতে থাকার সিদ্ধান্ত নেন এবং একটি ফেলোশিপের জন্য আবেদন করেন, এটি ছিল এমন একটি প্রক্রিয়া যা কয়েক বছর সময় নিবে বলে তিনি আশা করেছিলেন।<ref name="Mahon_p 47-48">{{harvnb|Mahon|2003|pp=47–48}}</ref> একজন গবেষক ছাত্র হিসাবে তার সাফল্যের দ্বারা আনন্দিত, তিনি কিছু টিউটরিং এবং পরীক্ষার দায়িত্ব ছাড়াও তার নিজের অবসর সময়ে বৈজ্ঞানিক আগ্রহগুলো অন্বেষণ করার জন্য মুক্ত থাকবেন।<ref name="Mahon_p 47-48" /> |
১৮৫৪ সালে, ম্যাক্সওয়েল ট্রিনিটি থেকে গণিতে একটি ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ হন। তিনি চূড়ান্ত পরীক্ষায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থান করেন যেখানে [[এডওয়ার্ড রাউথ]] প্রথম স্থান অধিকার করেন এতে ম্যাক্সওয়েল দ্বিতীয় র্যাংলারের খেতাব অর্জন করেন। পরবর্তীতে [[স্মিথস প্রাইজ]] পরীক্ষার আরও কঠোর অগ্নিপরীক্ষায় তাকে রাউথের সমান ঘোষণা করা হয়।<ref name="Tolstoy_p 62">{{harvnb|Tolstoy|1982|p=62}}</ref> ম্যাক্সওয়েল তার ডিগ্রী অর্জনের পরপরই [[কেমব্রিজ ফিলোসফিক্যাল সোসাইটি]]<nowiki/>তে তার গবেষণাপত্র "অন দ্য ট্রান্সফর্মেশন অফ সারফেসেস বাই বেন্ডিং" পাঠ করেন।<ref>{{harvnb|Harman|1998|p=3}}</ref> এটি ছিল তার লেখা কয়েকটি বিশুদ্ধভাবে গাণিতিক গবেষণাপত্রের মধ্যে একটি, যা একজন গণিতবিদ হিসাবে তার ক্রমবর্ধমান উচ্চতাকে প্রদর্শন করে।<ref>{{harvnb|Tolstoy|1982|p=61}}</ref> ম্যাক্সওয়েল স্নাতকে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে ট্রিনিটিতে থাকার সিদ্ধান্ত নেন এবং একটি ফেলোশিপের জন্য আবেদন করেন, এটি ছিল এমন একটি প্রক্রিয়া যা কয়েক বছর সময় নিবে বলে তিনি আশা করেছিলেন।<ref name="Mahon_p 47-48">{{harvnb|Mahon|2003|pp=47–48}}</ref> একজন গবেষক ছাত্র হিসাবে তার সাফল্যের দ্বারা আনন্দিত, তিনি কিছু টিউটরিং এবং পরীক্ষার দায়িত্ব ছাড়াও তার নিজের অবসর সময়ে বৈজ্ঞানিক আগ্রহগুলো অন্বেষণ করার জন্য মুক্ত থাকবেন।<ref name="Mahon_p 47-48" /> |
||
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোর্বসের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে রঙের প্রকৃতি এবং উপলব্ধি ব্যাপারে তার আগ্রহ জাগে।<ref name="Mahon_p 51">{{harvnb|Mahon|2003|p=51}}</ref> |
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোর্বসের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে রঙের প্রকৃতি এবং উপলব্ধি ব্যাপারে তার আগ্রহ জাগে।<ref name="Mahon_p 51">{{harvnb|Mahon|2003|p=51}}</ref> ফোর্বসের উদ্ভাবিত রঙিন [[স্পিনিং টপস]] দিয়ে, ম্যাক্সওয়েল প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে লাল, সবুজ এবং নীল আলোর মিশ্রণ থেকে সাদা আলো আসে।<ref name="Mahon_p 51" /> ১৮৫৫ সালের মার্চ মাসে তিনি তার গবেষণাপত্র "এক্সপেরিমেন্টস অন কালার" যা রঙের সংমিশ্রণের নীতিগুলি তৈরি করে তা এডিনবার্গের রয়্যাল সোসাইটির কাছে উপস্থাপন করেন।<ref name="Tolstoy_p 64-65">{{harvnb|Tolstoy|1982|pp=64–65. The full title of Maxwell's paper was "Experiments on colour, as perceived by the eye, with remarks on colour-blindness".}}</ref> ম্যাক্সওয়েল এই সময় নিজেই এটি প্রদান করতে সক্ষম হন।<ref name="Tolstoy_p 64-65" /> |
||
ম্যাক্সওয়েলকে ১৮৫৫ সালের ১০ অক্টোবর ট্রিনিটির একজন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় যা ছিল সাধারণ নিয়মের চেয়ে |
ম্যাক্সওয়েলকে ১৮৫৫ সালের ১০ অক্টোবর ট্রিনিটির একজন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় যা ছিল সাধারণ নিয়মের চেয়ে দ্রুত<ref name="Tolstoy_p 64-65" /> এবং সেই সুবাদে তাকে [[জলস্থিতিবিদ্দা]] ও [[আলোকবিজ্ঞান|আলোকবিজ্ঞানের]] উপর বক্তৃতা প্রস্তুত করতে এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করতে বলা হয়েছিল।<ref name="Glazebrook_p 43-46">{{harvnb|Glazebrook|1896|pp=43–46}}</ref> পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফোর্বস তাকে অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের [[মারিশাল কলেজ|মারিশাল কলেজের]] চেয়ার অফ ন্যাচারাল ফিলোসফির সদ্য শূন্য আসনের জন্য আবেদন করার জন্য আহ্বান জানায়।<ref>{{cite web|publisher=The Science Museum, London|title=James Clerk Maxwell|url=http://www.sciencemuseum.org.uk/onlinestuff/People/James%20Clerk%20Maxwell%20183179.aspx|url-status=dead|archive-url=https://web.archive.org/web/20130531131420/http://www.sciencemuseum.org.uk/onlinestuff/People/James%20Clerk%20Maxwell%20183179.aspx|archive-date=31 May 2013|access-date=22 April 2013}}</ref><ref name="Campbell p 126">{{harvnb|Campbell|1882|p=126}}</ref> তার পিতা তাকে প্রয়োজনীয় তথ্যসূত্র প্রস্তুত করার কাজে সহায়তা করেছিলেন কিন্তু ম্যাক্সওয়েলের প্রার্থীতার ফলাফল জানার আগেই তার পিতা ২ এপ্রিল গ্লেনলেয়ারে মারা যান।<ref name="Campbell p 126" /> ১৮৫৬ সালের নভেম্বরে তিনি কেমব্রিজ ছেড়ে অ্যাবারডিনে অধ্যাপকের পদ গ্রহণ করেন।<ref name="Glazebrook_p 43-46" /> |
||
=== মারিশাল কলেজ,অ্যাবারডিন(১৮৫৬-১৮৬০) === |
=== মারিশাল কলেজ,অ্যাবারডিন (১৮৫৬-১৮৬০) === |
||
[[চিত্র:Saturn HST 2004-03-22.jpg|থাম্ব|ম্যাক্সওয়েল প্রমাণ করেছিলেন যে [[শনির বলয়]]<nowiki/>গুলি অসংখ্য ছোট কণা দিয়ে তৈরি।]] |
[[চিত্র:Saturn HST 2004-03-22.jpg|থাম্ব|ম্যাক্সওয়েল প্রমাণ করেছিলেন যে [[শনির বলয়]]<nowiki/>গুলি অসংখ্য ছোট কণা দিয়ে তৈরি।]] |
||
২৫ বছর বয়সী ম্যাক্সওয়েল মারিশালের অন্য যেকোনো অধ্যাপকের চেয়ে ১৫ বছরের ছোট ছিলেন। তিনি একটি বিভাগের প্রধান হিসাবে তার নতুন দায়িত্বের সাথে নিজেকে নিযুক্ত করেন এবং পাঠ্যক্রম প্রণয়ন ও বক্তৃতা প্রস্তুত করেন।<ref name="Mahon_p 69-71">{{harvnb|Mahon|2003|pp=69–71}}</ref> তিনি সপ্তাহে ১৫ ঘন্টা বক্তৃতা দেওয়ার জন্য নিজেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছিলেন, যার মধ্যে তিনি স্থানীয় কর্মজীবী পুরুষদের কলেজে একটি সাপ্তাহিক জনকল্যাণমূলক বক্তৃতা দিতেন।<ref name="Mahon_p 69-71" /> শিক্ষাবর্ষের ছয় মাস তিনি তার চাচাতো ভাই [[উইলিয়াম ডাইস কে]] |
২৫ বছর বয়সী ম্যাক্সওয়েল মারিশালের অন্য যেকোনো অধ্যাপকের চেয়ে ১৫ বছরের ছোট ছিলেন। তিনি একটি বিভাগের প্রধান হিসাবে তার নতুন দায়িত্বের সাথে নিজেকে নিযুক্ত করেন এবং পাঠ্যক্রম প্রণয়ন ও বক্তৃতা প্রস্তুত করেন।<ref name="Mahon_p 69-71">{{harvnb|Mahon|2003|pp=69–71}}</ref> তিনি সপ্তাহে ১৫ ঘন্টা বক্তৃতা দেওয়ার জন্য নিজেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছিলেন, যার মধ্যে তিনি স্থানীয় কর্মজীবী পুরুষদের কলেজে একটি সাপ্তাহিক জনকল্যাণমূলক বক্তৃতা দিতেন।<ref name="Mahon_p 69-71" /> শিক্ষাবর্ষের ছয় মাস তিনি তার চাচাতো ভাই [[উইলিয়াম ডাইস কে]]র সাথে অ্যাবারডিনে থাকতেন যিনি ছিলেন একজন স্কটিশ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং ম্যাক্সওয়েল তার গ্রীষ্মকালীন সময় গ্লেনলেয়ারের বাড়িতে কাটিয়েছিলেন, যা তিনি তার বাবার কাছ থেকে পেয়েছিলেন।<ref name="preface" /> |
||
[[চিত্র:James_Clark_Maxwell_and_his_wife_by_Jemima_Blackburn.jpg|থাম্ব|[[জেমিমা ব্ল্যাকবার্ন]] |
[[চিত্র:James_Clark_Maxwell_and_his_wife_by_Jemima_Blackburn.jpg|থাম্ব|[[জেমিমা ব্ল্যাকবার্ন]] অঙ্কিত জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল এবং তার স্ত্রী]] |
||
তিনি একটি সমস্যায় তার মনোযোগকে কেন্দ্রীভূত করেছিলেন যা ২০০ বছর ধরে বিজ্ঞানীদের এড়িয়ে গিয়েছিল যা ছিল [[শনির বলয়|শনির বলয়ের]] প্রকৃতি। এটা অজানা ছিল যে কিভাবে তারা বিচ্ছিন্ন না হয়ে, দূরে সরে না গিয়ে বা শনি গ্রহে ধাক্কা লেগে বিধ্বস্ত না হয় স্থিতিশীল থাকতে পারে।<ref>{{harvnb|Harman|1998|pp=48–53}}</ref> এই সমস্যাটি সেই সময়ে একটি বিশেষ অনুরণন ফেলেছিল কারণ, [[কেমব্রিজের সেন্ট জনস কলেজ]] এটিকে ১৮৫৭ [[অ্যাডামস পুরস্কার|অ্যাডামস পুরস্কারের]] জন্য বিষয় হিসাবে বেছে নিয়েছিল।<ref name="oxford_508">{{harvnb|Harman|2004|p=508}}</ref> ম্যাক্সওয়েল সমস্যাটি অধ্যয়নের জন্য দুই বছর ব্যয় করেছিলেন এবং প্রমাণ করেছিলেন যে একটি নিয়মিত কঠিন বলয় কখনো স্থিতিশীল হতে পারে না, যখন একটি তরল বলয়কে ব্লবে ভেঙে যেতে তরঙ্গ ক্রিয়া দ্বারা বাধ্য করা হয়। যেহেতু কোনটিই পরিলক্ষিত হয়নি, তাই তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে বলয়গুলো অবশ্যই অসংখ্য ছোট কণার সমন্বয়ে গঠিত হবে যাকে তিনি "বৃক-ব্যাট" নাম দিয়েছিলেন, যেগুলো প্রতিটি স্বাধীনভাবে শনিকে প্রদক্ষিণ করে।<ref name="oxford_508" /> ম্যাক্সওয়েল ১৮৫৯ সালে তার "শনির বলয়ের গতির স্থিতিশীলতার উপর" প্রবন্ধের জন্য £১৩০ অ্যাডামস পুরস্কারে ভূষিত হন<ref>{{cite web|title=On the stability of the motion of Saturn's rings|url=https://archive.org/details/onstabilityofmot00maxw|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20150616221114/https://archive.org/details/onstabilityofmot00maxw|archive-date=16 June 2015|access-date=24 March 2014}}</ref>; তিনিই একমাত্র প্রবেশকারী ছিলেন যিনি একটি এন্ট্রি জমা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট অগ্রগতি করেছিলেন।<ref>{{harvnb|Mahon|2003|p=75}}</ref> তাঁর কাজটি এতই বিশদ এবং বিশ্বাসযোগ্য ছিল যে [[জর্জ বিডেল এয়ারি]] যখন এটি পড়েছিলেন তখন তিনি মন্তব্য করেছিলেন, "এটি আমার দেখা পদার্থবিদ্যার জন্য গণিতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রয়োগগুলোর মধ্যে একটি।"<ref name="mactutor" /> এটি ছিল এই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান। ১৯৮০ এর দশকের [[ভয়েজার]] ফ্লাইবাইসের সরাসরি পর্যবেক্ষণ ম্যাক্সওয়েলের ভবিষ্যদ্বাণী নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এটিকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সমাধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল যে বলয়গুলো কণা দ্বারা গঠিত।<ref>{{cite web|publisher=National Library of Scotland|title=James Clerk Maxwell (1831–1879)|url=http://digital.nls.uk/scientists/biographies/james-clerk-maxwell/index.html|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20131006063943/http://digital.nls.uk/scientists/biographies/james-clerk-maxwell/index.html|archive-date=6 October 2013|access-date=27 August 2013}}</ref> তবে এখন বোঝা যাচ্ছে যে বলয়গুলোর কণাগুলো মোটেও স্থিতিশীল নয়, বরং সেগুলোকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দ্বারা শনি তার নিজের দিকে টানছে। আগামী ৩০০ মিলিয়ন বছরের মধ্যে বলয়গুলো সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।<ref>{{cite web|date=19 December 2018|publisher=EarthSky|title=Goodbye to Saturn's Rings|url=https://earthsky.org/space/saturns-rings-disappearing-ring-rain-video|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20190221113238/https://earthsky.org/space/saturns-rings-disappearing-ring-rain-video|archive-date=21 February 2019|access-date=20 February 2019}}</ref> |
তিনি একটি সমস্যায় তার মনোযোগকে কেন্দ্রীভূত করেছিলেন যা ২০০ বছর ধরে বিজ্ঞানীদের এড়িয়ে গিয়েছিল যা ছিল [[শনির বলয়|শনির বলয়ের]] প্রকৃতি। এটা অজানা ছিল যে কিভাবে তারা বিচ্ছিন্ন না হয়ে, দূরে সরে না গিয়ে বা শনি গ্রহে ধাক্কা লেগে বিধ্বস্ত না হয় স্থিতিশীল থাকতে পারে।<ref>{{harvnb|Harman|1998|pp=48–53}}</ref> এই সমস্যাটি সেই সময়ে একটি বিশেষ অনুরণন ফেলেছিল কারণ, [[কেমব্রিজের সেন্ট জনস কলেজ]] এটিকে ১৮৫৭ [[অ্যাডামস পুরস্কার|অ্যাডামস পুরস্কারের]] জন্য বিষয় হিসাবে বেছে নিয়েছিল।<ref name="oxford_508">{{harvnb|Harman|2004|p=508}}</ref> ম্যাক্সওয়েল সমস্যাটি অধ্যয়নের জন্য দুই বছর ব্যয় করেছিলেন এবং প্রমাণ করেছিলেন যে একটি নিয়মিত কঠিন বলয় কখনো স্থিতিশীল হতে পারে না, যখন একটি তরল বলয়কে ব্লবে ভেঙে যেতে তরঙ্গ ক্রিয়া দ্বারা বাধ্য করা হয়। যেহেতু কোনটিই পরিলক্ষিত হয়নি, তাই তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে বলয়গুলো অবশ্যই অসংখ্য ছোট কণার সমন্বয়ে গঠিত হবে যাকে তিনি "বৃক-ব্যাট" নাম দিয়েছিলেন, যেগুলো প্রতিটি স্বাধীনভাবে শনিকে প্রদক্ষিণ করে।<ref name="oxford_508" /> ম্যাক্সওয়েল ১৮৫৯ সালে তার "শনির বলয়ের গতির স্থিতিশীলতার উপর" প্রবন্ধের জন্য £১৩০ অ্যাডামস পুরস্কারে ভূষিত হন<ref>{{cite web|title=On the stability of the motion of Saturn's rings|url=https://archive.org/details/onstabilityofmot00maxw|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20150616221114/https://archive.org/details/onstabilityofmot00maxw|archive-date=16 June 2015|access-date=24 March 2014}}</ref>; তিনিই একমাত্র প্রবেশকারী ছিলেন যিনি একটি এন্ট্রি জমা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট অগ্রগতি করেছিলেন।<ref>{{harvnb|Mahon|2003|p=75}}</ref> তাঁর কাজটি এতই বিশদ এবং বিশ্বাসযোগ্য ছিল যে [[জর্জ বিডেল এয়ারি]] যখন এটি পড়েছিলেন তখন তিনি মন্তব্য করেছিলেন, "এটি আমার দেখা পদার্থবিদ্যার জন্য গণিতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রয়োগগুলোর মধ্যে একটি।"<ref name="mactutor" /> এটি ছিল এই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান। ১৯৮০ এর দশকের [[ভয়েজার]] ফ্লাইবাইসের সরাসরি পর্যবেক্ষণ ম্যাক্সওয়েলের ভবিষ্যদ্বাণী নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এটিকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সমাধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল যে বলয়গুলো কণা দ্বারা গঠিত।<ref>{{cite web|publisher=National Library of Scotland|title=James Clerk Maxwell (1831–1879)|url=http://digital.nls.uk/scientists/biographies/james-clerk-maxwell/index.html|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20131006063943/http://digital.nls.uk/scientists/biographies/james-clerk-maxwell/index.html|archive-date=6 October 2013|access-date=27 August 2013}}</ref> তবে এখন বোঝা যাচ্ছে যে বলয়গুলোর কণাগুলো মোটেও স্থিতিশীল নয়, বরং সেগুলোকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দ্বারা শনি তার নিজের দিকে টানছে। আগামী ৩০০ মিলিয়ন বছরের মধ্যে বলয়গুলো সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।<ref>{{cite web|date=19 December 2018|publisher=EarthSky|title=Goodbye to Saturn's Rings|url=https://earthsky.org/space/saturns-rings-disappearing-ring-rain-video|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20190221113238/https://earthsky.org/space/saturns-rings-disappearing-ring-rain-video|archive-date=21 February 2019|access-date=20 February 2019}}</ref> |
||
৬৩ নং লাইন: | ৬৫ নং লাইন: | ||
১৮৬০ সালে মারিশাল কলেজ প্রতিবেশী [[কিংস কলেজ লন্ডন|কিংস কলেজে]]<nowiki/>র সাথে একীভূত হয়ে [[অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়]] গঠন করে। প্রাকৃতিক দর্শনের দুই অধ্যাপকের জন্য কোন জায়গা ছিল না, তাই ম্যাক্সওয়েলের বৈজ্ঞানিক খ্যাতি থাকা সত্ত্বেও, তাকে ছাঁটাই করে দেয়া হয়েছিল। তিনি এডিনবার্গে ফোর্বসের সম্প্রতি খালি করা আসনের জন্য আবেদন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, পদটি পরিবর্তে টেইটের কাছে চলে যায়। এর পরিবর্তে ম্যাক্সওয়েলকে লন্ডনের কিংস কলেজে প্রাকৃতিক দর্শনের আসন দেওয়া হয়েছিল।<ref name="Glazebrook_p 54">{{harvnb|Glazebrook|1896|p=54}}</ref> ১৮৬০ সালে [[গুটিবসন্ত|গুটিবসন্তের]] প্রায় মারাত্মক আক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর, তিনি তার স্ত্রীর সাথে লন্ডনে চলে যান।<ref>{{harvnb|Tolstoy|1982|p=98}}</ref> |
১৮৬০ সালে মারিশাল কলেজ প্রতিবেশী [[কিংস কলেজ লন্ডন|কিংস কলেজে]]<nowiki/>র সাথে একীভূত হয়ে [[অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়]] গঠন করে। প্রাকৃতিক দর্শনের দুই অধ্যাপকের জন্য কোন জায়গা ছিল না, তাই ম্যাক্সওয়েলের বৈজ্ঞানিক খ্যাতি থাকা সত্ত্বেও, তাকে ছাঁটাই করে দেয়া হয়েছিল। তিনি এডিনবার্গে ফোর্বসের সম্প্রতি খালি করা আসনের জন্য আবেদন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, পদটি পরিবর্তে টেইটের কাছে চলে যায়। এর পরিবর্তে ম্যাক্সওয়েলকে লন্ডনের কিংস কলেজে প্রাকৃতিক দর্শনের আসন দেওয়া হয়েছিল।<ref name="Glazebrook_p 54">{{harvnb|Glazebrook|1896|p=54}}</ref> ১৮৬০ সালে [[গুটিবসন্ত|গুটিবসন্তের]] প্রায় মারাত্মক আক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর, তিনি তার স্ত্রীর সাথে লন্ডনে চলে যান।<ref>{{harvnb|Tolstoy|1982|p=98}}</ref> |
||
=== কিংস কলেজ লন্ডন (১৮৬০-১৮৬৫) === |
=== কিংস কলেজ লন্ডন (১৮৬০-১৮৬৫) === |
||
[[চিত্র:Maxwell IEEE Plaque KCL.jpg|থাম্ব|কিংস কলেজে ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণের স্মৃতিচারণ। তিনটি অভিন্ন [[ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স|আইইইই]] মাইলস্টোন ফলকের মধ্যে একটি, অন্যগুলি এডিনবার্গে ম্যাক্সওয়েলের জন্মস্থান এবং গ্লেনলেয়ারে পারিবারিক বাড়ি<ref>{{cite web|publisher=James Clerk Maxwell Foundation|title=James Clerk Maxwell Foundation|url=http://www.clerkmaxwellfoundation.org/JCMF_brochure_v2.pdf|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20150819023911/http://clerkmaxwellfoundation.org/JCMF_brochure_v2.pdf|archive-date=19 August 2015|access-date=28 May 2015}}</ref>]] |
[[চিত্র:Maxwell IEEE Plaque KCL.jpg|থাম্ব|কিংস কলেজে ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণের স্মৃতিচারণ। তিনটি অভিন্ন [[ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স|আইইইই]] মাইলস্টোন ফলকের মধ্যে একটি, অন্যগুলি এডিনবার্গে ম্যাক্সওয়েলের জন্মস্থান এবং গ্লেনলেয়ারে পারিবারিক বাড়ি<ref>{{cite web|publisher=James Clerk Maxwell Foundation|title=James Clerk Maxwell Foundation|url=http://www.clerkmaxwellfoundation.org/JCMF_brochure_v2.pdf|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20150819023911/http://clerkmaxwellfoundation.org/JCMF_brochure_v2.pdf|archive-date=19 August 2015|access-date=28 May 2015}}</ref>]] |
||
৬৯ নং লাইন: | ৭২ নং লাইন: | ||
[[চিত্র:James Clerk Maxwell 16 Palace Gardens Terrace blue plaque.jpg|থাম্ব|নীল ফলক, ১৬ প্যালেস গার্ডেন টেরেস, কেনসিংটন, ম্যাক্সওয়েলের বাড়ি, ১৮৬০-১৮৬৫]] |
[[চিত্র:James Clerk Maxwell 16 Palace Gardens Terrace blue plaque.jpg|থাম্ব|নীল ফলক, ১৬ প্যালেস গার্ডেন টেরেস, কেনসিংটন, ম্যাক্সওয়েলের বাড়ি, ১৮৬০-১৮৬৫]] |
||
এই সময়টিতে ম্যাক্সওয়েল |
এই সময়টিতে ম্যাক্সওয়েল তড়িৎ এবং চুম্বকত্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রগতি সাধন করেছিলেন। তিনি ১৮৬১ সালে প্রকাশিত তার দুই-খণ্ডের গবেষণাপত্র "[[অন ফিজিক্যাল লাইনস অফ ফোর্স]]"-এ বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বক ক্ষেত্র উভয়ের প্রকৃতি পরীক্ষা করেন। এতে তিনি [[ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন|ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশনের]] জন্য একটি ধারণাগত মডেল প্রদান করেন, যার মধ্যে [[চৌম্বকীয় প্রবাহ|চৌম্বকীয় প্রবাহের]] ক্ষুদ্র স্পিনিং কোষ রয়েছে। ১৮৬২ সালের প্রথম দিকে একই গবেষণাপত্রে আরও দুটি অংশ যুক্ত করা হয় এবং প্রকাশিত হয়। প্রথম অতিরিক্ত অংশে তিনি [[ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক্স]] এবং [[সরণ প্রবাহ|সরণ প্রবাহের]] প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করেন। দ্বিতীয় অতিরিক্ত অংশে তিনি চৌম্বক ক্ষেত্রে [[আলোর সমবর্তন|আলোর সমবর্তনে]]<nowiki/>র সমতলের ঘূর্ণন নিয়ে কাজ করেছিলেন, যা [[মাইকেল ফ্যারাডে|ফ্যারাডে]] আবিষ্কার করেছিলেন এবং এখন এটি [[ফ্যারাডে প্রভাব]] নামে পরিচিত।<ref>{{harvnb|Mahon|2003|p=109}}</ref> |
||
=== শেষ জীবন(১৮৬৫-১৮৭৯) === |
=== শেষ জীবন (১৮৬৫-১৮৭৯) === |
||
[[চিত্র:JCM_Grave-1.jpg|থাম্ব|জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল, তার বাবা-মা এবং তার স্ত্রীর কবরস্থান, |
[[চিত্র:JCM_Grave-1.jpg|থাম্ব|জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল, তার বাবা-মা এবং তার স্ত্রীর কবরস্থান,পার্টন কার্ক (গ্যালোওয়ে)।]] |
||
[[চিত্র:JCM_Memorial_Stone-1.jpg|থাম্ব|জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েলের এই স্মারক পাথরটি পার্টনের (গ্যালোওয়ে) যুদ্ধের স্মৃতিসৌধের পাশে গির্জার সামনে একটি সবুজের উপর দাঁড়িয়ে আছে।]] |
[[চিত্র:JCM_Memorial_Stone-1.jpg|থাম্ব|জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েলের এই স্মারক পাথরটি পার্টনের (গ্যালোওয়ে) যুদ্ধের স্মৃতিসৌধের পাশে গির্জার সামনে একটি সবুজের উপর দাঁড়িয়ে আছে।]] |
||
১৮৬৫ সালে ম্যাক্সওয়েল লন্ডনের কিংস কলেজের আসন থেকে পদত্যাগ করেন এবং ক্যাথরিনের সাথে গ্লেনলেয়ারে ফিরে আসেন। তিনি তাঁর গবেষণাপত্র "অন গভর্নরস" (১৯৬৮)-এ গাণিতিকভাবে [[গভর্নর]] ডিভাইসের ব্যবহার বর্ণনা করেছেন-যে ডিভাইসগুলো বাষ্প ইঞ্জিনের গতি নিয়ন্ত্রণ করে-যার মাধমে তিনি নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলের তাত্ত্বিক ভিত্তি স্থাপন করেন।<ref>Maxwell, J.C. (1868),"On governors", from the proceedings of the Royal Society, No. 100</ref> তার গবেষণাপত্র "অন রেসিপ্রোকাল ফিগারস, ফ্রেম অ্যান্ড ডায়াগ্রামস অফ ফোরসেস" (১৮৭০) এ তিনি জালির বিভিন্ন ডিজাইনের অনমনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।<ref>{{cite journal|year=2013|title=I.—On Reciprocal Figures, Frames, and Diagrams of Forces|url=http://digital.nls.uk/scientists/pageturner.cfm?id=74629052|pages=1–40|doi=10.1017/S0080456800026351|archive-url=https://web.archive.org/web/20140512223948/http://digital.nls.uk/scientists/pageturner.cfm?id=74629052|archive-date=12 May 2014|url-status=live|last1=Maxwell|first1=J. Clerk|journal=Transactions of the Royal Society of Edinburgh|volume=26|s2cid=123687168}}</ref><ref>{{cite journal|last=Crapo|first=Henry|year=1979|title=Structural rigidity|url=http://www.iri.upc.edu/people/ros/StructuralTopology/ST1/st1-06-a3-ocr.pdf|pages=26–45|archive-url=https://web.archive.org/web/20141023180547/http://www.iri.upc.edu/people/ros/StructuralTopology/ST1/st1-06-a3-ocr.pdf|archive-date=23 October 2014|url-status=live|journal=Structural Topology|issue=1}}</ref> তিনি থিওরি অফ হিট (১৮৭১) এবং ত্রিটাইজ ম্যাটার অ্যান্ড মোশন (১৮৭৬) গ্রন্থ রচনা করেন। ১৮৭১ সালে ম্যাক্সওয়েলই প্রথম [[মাত্রিক বিশ্লেষণ|মাত্রিক বিশ্লেষণের]] সুস্পষ্ট ব্যবহার করেছিলেন।<ref>{{cite book|url=https://archive.org/details/creativepowerofc0000lest|title=The Creative Power of Chance|last=Lestienne|first=Rémy|year=1998|publisher=University of Illinois Press|pages=[https://archive.org/details/creativepowerofc0000lest/page/20 20]–21|isbn=978-0-252-06686-3|url-access=registration}}</ref> |
১৮৬৫ সালে ম্যাক্সওয়েল লন্ডনের কিংস কলেজের আসন থেকে পদত্যাগ করেন এবং ক্যাথরিনের সাথে গ্লেনলেয়ারে ফিরে আসেন। তিনি তাঁর গবেষণাপত্র "অন গভর্নরস" (১৯৬৮)-এ গাণিতিকভাবে [[গভর্নর]] ডিভাইসের ব্যবহার বর্ণনা করেছেন-যে ডিভাইসগুলো বাষ্প ইঞ্জিনের গতি নিয়ন্ত্রণ করে-যার মাধমে তিনি নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলের তাত্ত্বিক ভিত্তি স্থাপন করেন।<ref>Maxwell, J.C. (1868),"On governors", from the proceedings of the Royal Society, No. 100</ref> তার গবেষণাপত্র "অন রেসিপ্রোকাল ফিগারস, ফ্রেম অ্যান্ড ডায়াগ্রামস অফ ফোরসেস" (১৮৭০) এ তিনি জালির বিভিন্ন ডিজাইনের অনমনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।<ref>{{cite journal|year=2013|title=I.—On Reciprocal Figures, Frames, and Diagrams of Forces|url=http://digital.nls.uk/scientists/pageturner.cfm?id=74629052|pages=1–40|doi=10.1017/S0080456800026351|archive-url=https://web.archive.org/web/20140512223948/http://digital.nls.uk/scientists/pageturner.cfm?id=74629052|archive-date=12 May 2014|url-status=live|last1=Maxwell|first1=J. Clerk|journal=Transactions of the Royal Society of Edinburgh|volume=26|s2cid=123687168}}</ref><ref>{{cite journal|last=Crapo|first=Henry|year=1979|title=Structural rigidity|url=http://www.iri.upc.edu/people/ros/StructuralTopology/ST1/st1-06-a3-ocr.pdf|pages=26–45|archive-url=https://web.archive.org/web/20141023180547/http://www.iri.upc.edu/people/ros/StructuralTopology/ST1/st1-06-a3-ocr.pdf|archive-date=23 October 2014|url-status=live|journal=Structural Topology|issue=1}}</ref> তিনি থিওরি অফ হিট (১৮৭১) এবং ত্রিটাইজ ম্যাটার অ্যান্ড মোশন (১৮৭৬) গ্রন্থ রচনা করেন। ১৮৭১ সালে ম্যাক্সওয়েলই প্রথম [[মাত্রিক বিশ্লেষণ|মাত্রিক বিশ্লেষণের]] সুস্পষ্ট ব্যবহার করেছিলেন।<ref>{{cite book|url=https://archive.org/details/creativepowerofc0000lest|title=The Creative Power of Chance|last=Lestienne|first=Rémy|year=1998|publisher=University of Illinois Press|pages=[https://archive.org/details/creativepowerofc0000lest/page/20 20]–21|isbn=978-0-252-06686-3|url-access=registration}}</ref> |
||
১১৯ নং লাইন: | ১২২ নং লাইন: | ||
{{main|ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণসমূহ|তড়িৎচুম্বকত্ব}} |
{{main|ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণসমূহ|তড়িৎচুম্বকত্ব}} |
||
[[চিত্র:Postcard-from-Maxwell-to-Tait.jpg|বাম|থাম্ব|[[পিটার টেইট|পিটার টেইটকে]] ম্যাক্সওয়েলের পাঠানো একটি পোস্টকার্ড]] |
[[চিত্র:Postcard-from-Maxwell-to-Tait.jpg|বাম|থাম্ব|[[পিটার টেইট|পিটার টেইটকে]] ম্যাক্সওয়েলের পাঠানো একটি পোস্টকার্ড]] |
||
১৮৫৫ সালের প্রথম দিকে ম্যাক্সওয়েল |
১৮৫৫ সালের প্রথম দিকে ম্যাক্সওয়েল তড়িৎ এবং চুম্বকত্বের উপর অধ্যয়ন এবং মন্তব্য করেছিলেন, যখন তার গবেষণাপত্র "অন ফ্যারাডে'স লাইন্স অফ ফোর্স" [[কেমব্রিজ ফিলোসফিক্যাল সোসাইটি]]<nowiki/>তে পাঠ করা হয়।<ref>{{cite journal|year=1855|title=On Faraday's Lines of Force|url=https://www.scribd.com/doc/39568221/maxwell-on-faraday-s-lines-of-force|pages=27–83|via=blazelabs.com|archive-url=https://web.archive.org/web/20140317170056/http://www.scribd.com/doc/39568221/maxwell-on-faraday-s-lines-of-force|archive-date=17 March 2014|url-status=live|access-date=27 March 2013|last1=Maxwell|first1=James Clerk|journal=Transactions of the Cambridge Philosophical Society|volume=10|issue=1}}</ref> গবেষণাপত্রটি ফ্যারাডে এর কাজের একটি সরলীকৃত মডেল এবং কীভাবে তড়িৎ ও চুম্বকত্ব সম্পর্কিত তা উপস্থাপন করে। তিনি ২০ ধরণের পরিবর্তনশীল ২০টি সমীকরণের সাথে [[ডিফারেনশিয়াল সমীকরণ|ডিফারেনশিয়াল সমীকরণের]] একটি লিঙ্কযুক্ত সেটে বর্তমান জ্ঞানের সমস্ত অংশকে হ্রাস করেছেন। এই কাজটি পরে ১৮৬১ সালের মার্চ মাসে "[[অন ফিজিক্যাল লাইনস অফ ফোর্স]]" হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিল।<ref>{{cite web|date=18 April 2011|publisher=King's College London|title=1861: James Clerk Maxwell's greatest year|url=http://www.kcl.ac.uk/newsevents/news/newsrecords/2011/04Apr/JamesClerkMaxwell.aspx|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20130622095747/http://www.kcl.ac.uk/newsevents/news/newsrecords/2011/04Apr/JamesClerkMaxwell.aspx|archive-date=22 June 2013|access-date=28 March 2013}}</ref> |
||
১৮৬২ সালের দিকে, কিংস কলেজে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, ম্যাক্সওয়েল হিসাব করেছিলেন যে একটি তাড়িত চৌম্বক ক্ষেত্রের চলার গতি প্রায় [[আলোর গতি|আলোর গতির]] সমান। তিনি এটিকে শুধুমাত্র একটি কাকতালীয় ঘটনা বলে মনে করেন এবং মন্তব্য করেন, "সর্বশেষে আমরা খুব কমই এটি এড়াতে পারি যে আলোক তরঙ্গ একই মাধ্যমে বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বকীয় ঘটনার কারণ।<ref name="mactutor" /> |
১৮৬২ সালের দিকে, কিংস কলেজে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, ম্যাক্সওয়েল হিসাব করেছিলেন যে একটি তাড়িত চৌম্বক ক্ষেত্রের চলার গতি প্রায় [[আলোর গতি|আলোর গতির]] সমান। তিনি এটিকে শুধুমাত্র একটি কাকতালীয় ঘটনা বলে মনে করেন এবং মন্তব্য করেন, "সর্বশেষে আমরা খুব কমই এটি এড়াতে পারি যে আলোক তরঙ্গ একই মাধ্যমে বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বকীয় ঘটনার কারণ।<ref name="mactutor" /> |
||
১৪৯ নং লাইন: | ১৫২ নং লাইন: | ||
১৮৫৯ এবং ১৮৬৬ সালের মধ্যে, তিনি একটি গ্যাসের কণার মধ্যে বেগের বণ্টনের তত্ত্ব তৈরি করেছিলেন, কাজটি পরে [[লুডভিগ বোল্টজম্যান]] দ্বারা সাধারণীকরণ করা হয়েছিল।<ref>{{cite web|last=Hill|first=Melanie|publisher=Georgia Institute of Technology|title=The Maxwell–Boltzmann distribution|url=http://users.ece.gatech.edu/~alan/ECE6451/Lectures/StudentLectures/Hill_5p4_MaxwellBoltzmannDistribution.pdf|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20140103232904/http://users.ece.gatech.edu/~alan/ECE6451/Lectures/StudentLectures/Hill_5p4_MaxwellBoltzmannDistribution.pdf|archive-date=3 January 2014|access-date=28 August 2013}}</ref><ref>{{cite book|url=https://books.google.com/books?id=DWRkfjIFdOIC&pg=PA51|title=The Corresponding-States Principle and its Practice: Thermodynamic, Transport and Surface Properties of Fluids|year=2005|page=51|isbn=978-0-08-045904-2|archive-url=https://web.archive.org/web/20160512213205/https://books.google.com/books?id=DWRkfjIFdOIC&pg=PA51|archive-date=12 May 2016|url-status=live|last1=Xiang|first1=Hong Wei}}</ref> [[ম্যাক্সওয়েল-বোল্টজম্যান ডিস্ট্রিবিউশন]] নামক সূত্রটি যে কোনো তাপমাত্রায় একটি নির্দিষ্ট বেগে চলমান গ্যাসের অণুর ভগ্নাংশ দেয়। [[গ্যাসের গতিতত্ত্ব|গতি তত্ত্বে]], তাপমাত্রা এবং তাপ শুধুমাত্র আণবিক গতির সাথে জড়িত। এই পদ্ধতিটি [[থার্মোডাইনামিক্সের]] পূর্বে প্রতিষ্ঠিত আইনগুলিকে সাধারণীকরণ করেছে এবং বিদ্যমান পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষাগুলোকে পূর্বের অর্জনের চেয়ে আরও ভাল উপায়ে ব্যাখ্যা করেছে। তাপগতিবিদ্যার উপর তার কাজ তাকে [[ম্যাক্সওয়েলের ডেমন]] নামে পরিচিত একটি পরীক্ষা তৈরি করতে পরিচালিত করেছিল, যেখানে শক্তি দ্বারা কণা বাছাই করতে সক্ষম একটি কাল্পনিক সত্তা দ্বারা তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় আইনকে লঙ্ঘন করা হয়।<ref>{{cite news|url=http://www.nature.com/news/2010/101114/full/news.2010.606.html|title=Demonic device converts information to energy|date=14 November 2010|work=Nature News|access-date=5 August 2017|archive-url=https://web.archive.org/web/20170819040059/http://www.nature.com/news/2010/101114/full/news.2010.606.html|archive-date=19 August 2017|url-status=live|language=en|doi=10.1038/news.2010.606|last1=Merali|first1=Zeeya}}</ref> |
১৮৫৯ এবং ১৮৬৬ সালের মধ্যে, তিনি একটি গ্যাসের কণার মধ্যে বেগের বণ্টনের তত্ত্ব তৈরি করেছিলেন, কাজটি পরে [[লুডভিগ বোল্টজম্যান]] দ্বারা সাধারণীকরণ করা হয়েছিল।<ref>{{cite web|last=Hill|first=Melanie|publisher=Georgia Institute of Technology|title=The Maxwell–Boltzmann distribution|url=http://users.ece.gatech.edu/~alan/ECE6451/Lectures/StudentLectures/Hill_5p4_MaxwellBoltzmannDistribution.pdf|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20140103232904/http://users.ece.gatech.edu/~alan/ECE6451/Lectures/StudentLectures/Hill_5p4_MaxwellBoltzmannDistribution.pdf|archive-date=3 January 2014|access-date=28 August 2013}}</ref><ref>{{cite book|url=https://books.google.com/books?id=DWRkfjIFdOIC&pg=PA51|title=The Corresponding-States Principle and its Practice: Thermodynamic, Transport and Surface Properties of Fluids|year=2005|page=51|isbn=978-0-08-045904-2|archive-url=https://web.archive.org/web/20160512213205/https://books.google.com/books?id=DWRkfjIFdOIC&pg=PA51|archive-date=12 May 2016|url-status=live|last1=Xiang|first1=Hong Wei}}</ref> [[ম্যাক্সওয়েল-বোল্টজম্যান ডিস্ট্রিবিউশন]] নামক সূত্রটি যে কোনো তাপমাত্রায় একটি নির্দিষ্ট বেগে চলমান গ্যাসের অণুর ভগ্নাংশ দেয়। [[গ্যাসের গতিতত্ত্ব|গতি তত্ত্বে]], তাপমাত্রা এবং তাপ শুধুমাত্র আণবিক গতির সাথে জড়িত। এই পদ্ধতিটি [[থার্মোডাইনামিক্সের]] পূর্বে প্রতিষ্ঠিত আইনগুলিকে সাধারণীকরণ করেছে এবং বিদ্যমান পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষাগুলোকে পূর্বের অর্জনের চেয়ে আরও ভাল উপায়ে ব্যাখ্যা করেছে। তাপগতিবিদ্যার উপর তার কাজ তাকে [[ম্যাক্সওয়েলের ডেমন]] নামে পরিচিত একটি পরীক্ষা তৈরি করতে পরিচালিত করেছিল, যেখানে শক্তি দ্বারা কণা বাছাই করতে সক্ষম একটি কাল্পনিক সত্তা দ্বারা তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় আইনকে লঙ্ঘন করা হয়।<ref>{{cite news|url=http://www.nature.com/news/2010/101114/full/news.2010.606.html|title=Demonic device converts information to energy|date=14 November 2010|work=Nature News|access-date=5 August 2017|archive-url=https://web.archive.org/web/20170819040059/http://www.nature.com/news/2010/101114/full/news.2010.606.html|archive-date=19 August 2017|url-status=live|language=en|doi=10.1038/news.2010.606|last1=Merali|first1=Zeeya}}</ref> |
||
১৮৭১ সালে ম্যাক্সওয়েল, [[ম্যাক্সওয়েলের থার্মোডাইনামিক সম্পর্ক]] স্থাপন করেন, যা বিভিন্ন থার্মোডাইনামিক ভেরিয়েবলের সাপেক্ষে থার্মোডাইনামিক সম্ভাব্যতার দ্বিতীয় ডেরিভেটিভের মধ্যে সমতার বিবৃতি প্রদান |
১৮৭১ সালে ম্যাক্সওয়েল, [[ম্যাক্সওয়েলের থার্মোডাইনামিক সম্পর্ক]] স্থাপন করেন, যা বিভিন্ন থার্মোডাইনামিক ভেরিয়েবলের সাপেক্ষে থার্মোডাইনামিক সম্ভাব্যতার দ্বিতীয় ডেরিভেটিভের মধ্যে সমতার বিবৃতি প্রদান করে। ১৮৭৪ সালে, তিনি আমেরিকান বিজ্ঞানী [[জোসিয়াহ উইলার্ড গিবস|জোসিয়াহ উইলার্ড গিবসের]] গ্রাফিকাল [[থার্মোডাইনামিক কাগজ]]<nowiki/>পত্রের উপর ভিত্তি করে ফেজ ট্রানজিশন অন্বেষণ করার উপায় হিসাবে একটি প্লাস্টার থার্মোডাইনামিক ভিজ্যুয়ালাইজেশন তৈরি করেছিলেন।<ref>{{cite journal|date=February 1999|title=James Clerk Maxwell, Working in Wet Clay|url=http://www.siggraph.org/publications/newsletter/v33n1/columns/west.html|pages=15–17|doi=10.1145/563666.563671|archive-url=https://web.archive.org/web/20210419091357/http://www.siggraph.org/publications/newsletter/v33n1/columns/west.html|archive-date=19 April 2021|url-status=live|access-date=1 July 2013|author=West, Thomas G.|journal=SIGGRAPH Computer Graphics Newsletter|volume=33|issue=1|s2cid=13968486}}</ref><ref>{{cite book|url=https://books.google.com/books?id=UqbxZpELwHYC|title=Great Physicists: The Life and Times of Leading Physicists from Galileo to Hawking|last=Cropper|first=William H.|year=2004|publisher=Oxford University Press|page=118|isbn=978-0-19-517324-6|archive-url=https://web.archive.org/web/20161203175602/https://books.google.com/books?id=UqbxZpELwHYC|archive-date=3 December 2016|url-status=live}}</ref> |
||
=== নিয়ন্ত্রণ তত্ত্ব === |
=== নিয়ন্ত্রণ তত্ত্ব === |
১২:০৪, ২০ মে ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল এফআরএসই এফআরএস (১৩ জুন ১৮৩১ - ৫ নভেম্বর ১৮৭৯) ছিলেন একজন স্কটিশ গণিতবিদ[১][২] এবং বিজ্ঞানী যিনি তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের সর্বোত্তম তত্ত্বটি বর্ণণা করেছিলেন, যার সাহায্যে তড়িৎ, চুম্বকত্ব এবং আলো কে একই শক্তির বিভিন্ন রূপ হিসেবে বর্ণনা করা সম্ভব হয়েছিল। ম্যাক্সওয়েলের তড়িৎ চৌম্বকীয় বলের সমীকরণকে পদার্থবিজ্ঞানে "দ্বিতীয় বৃহত্তম একীকরণ"[৩] বলা হয়, যেখানে প্রথম বৃহত্তম একীকরণ করেছিলেন আইজাক নিউটন।
১৮৬৫ সালে "এ ডাইনামিক্যাল থিওরি অফ দ্য ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড" প্রকাশের মাধ্যমে, ম্যাক্সওয়েল দেখিয়েছিলেন যে তড়িৎ এবং চৌম্বক ক্ষেত্রগুলো তরঙ্গ হিসেবে আলোর গতিতে মহাকাশের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করে। তিনি প্রস্তাব করেছিলেন যে, একই মাধ্যমে বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বকীয় তরঙ্গের পরিভ্রমণের ফলেই আলোক তরঙ্গের উৎপত্তি হয়।[৪] আলো এবং বৈদ্যুতিক তরঙ্গের একীকরণ তার রেডিও তরঙ্গের অস্তিত্বের ভবিষ্যদ্বাণী করে। ম্যাক্সওয়েলকে আধুনিক বৈদ্যুতিক প্রকৌশল ক্ষেত্রের একজন প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও গণ্য করা হয়।[৫]
ম্যাক্সওয়েল ম্যাক্সওয়েল-বোল্টজম্যান ডিস্ট্রিবিউশনের বিকাশে সাহায্য করেছিলেন, যা গ্যাসের গতি তত্ত্বের দিকগুলো বর্ণনা করার একটি পরিসংখ্যানগত উপায় ছিল। এছাড়াও তিনি ১৮৬১ সালে প্রথম স্থায়ী রঙিন ছবি উপস্থাপন ও সেতুর রড এবং যৌথ কাঠামোর (ভাররক্ষার্থ কাঠামো) দৃঢ়তা বিশ্লেষণে ভিত্তিমূলক কাজের জন্যও পরিচিত।
তার আবিষ্কারগুলো আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের যুগে, বিশেষ আপেক্ষিকতা এবং কোয়ান্টাম বলবিদ্যার মতো ক্ষেত্রের ভিত্তি স্থাপনের সূচনা করতে সাহায্য করেছিল। অনেক পদার্থবিজ্ঞানী ম্যাক্সওয়েলকে ১৯ শতকের এমন বিজ্ঞানী হিসাবে বিবেচনা করেন যিনি ২০ শতকের পদার্থবিজ্ঞানের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছিলেন। অনেকে বিজ্ঞানে তার অবদানকে আইজাক নিউটন এবং অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের মতো একই মাত্রার বলে মনে করেন।[৬] ১০০০ বছর ধরে চলা একটি জরিপে ১০০ জন বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানীদের একটি সমীক্ষায় নিউটন এবং আইনস্টাইনের পরে ম্যাক্সওয়েলকে সর্বকালের তৃতীয় সর্বশ্রেষ্ঠ পদার্থবিজ্ঞানী নির্বাচিত করা হয়েছিল।[৭] ম্যাক্সওয়েলের শতবর্ষতম জন্মদিনে, আইনস্টাইন ম্যাক্সওয়েলের কাজকে "নিউটনের সময় থেকে পদার্থবিজ্ঞানের অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে গভীর এবং সবচেয়ে ফলপ্রসূ" বলে বর্ণনা করেছেন।[৮] ১৯২২ সালে আইনস্টাইন যখন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন, তখন তার অতিথিসেবক তাকে বলেছিলেন যে তিনি দুর্দান্ত কাজ করেছেন কারণ তিনি নিউটনের ঘাড়ে দাঁড়িয়ে বিশ্ব দেখেছেন; আইনস্টাইন উত্তর দিয়েছিলেন: "না আমি নিউটন নয়, ম্যাক্সওয়েলের ঘাড়ে দাঁড়িয়ে বিশ্ব দেখেছি।"[৯]
জীবনী
প্রাথমিক জীবন (১৮৩১–১৮৩৯)
জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল ১৩ জুন ১৮৩১ সালে[১০] ১৪ ইন্ডিয়া স্ট্রিট,এডিনবার্গের জন ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল, (যিনি একজন আইনজীবী) এবং ফ্রান্সেস কে[১১][১২]( রবার্ট হডসন কে এর কন্যা এবং জন কে-এর বোন) এর বিত্তশালী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। (তার জন্মস্থানে এখন জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল ফাউন্ডেশন দ্বারা পরিচালিত একটি জাদুঘর রয়েছে।) তার পিতা পেনিকুইকের ক্লার্ক পরিবারের একজন স্বাচ্ছন্দ্যবাদী ব্যক্তি[১৩] এবং পেনিকুইকের ক্লার্কের ব্যারোনেটের অধিকারী ছিলেন। তার পিতার ভাই ছিলেন ৬ষ্ঠ ব্যারোনেট।[১৪] তার পরিবারের মূল নাম ছিল "জন ক্লার্ক"।পরে উত্তরাধিকারসূত্রে পূর্বপুরুষদের ডামফ্রিসশায়ারের মিডলবি এস্টেটের একটি সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়ে (১৭৯৩ সালে একটি শিশু হিসাবে) নিজের নামের সাথে "ম্যাক্সওয়েল" যোগ করেন।[১১] জেমস ছিলেন শিল্পী জেমিমা ব্ল্যাকবার্ন[১৫] (তার বাবার বোনের মেয়ে) এবং নির্মাণ প্রকৌশলী উইলিয়াম ডাইস কে (তার মায়ের ভাইয়ের ছেলে) উভয়ের প্রথম চাচাতো ভাই। কে এবং ম্যাক্সওয়েল ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন এবং যখন ম্যাক্সওয়েল বিয়ে করেছিলেন তখন কে তার মিতবরের ভূমিকা পালন করেছিলেন।[১৬]
ম্যাক্সওয়েলের বাবা-মার দেখা ও বিয়ে হয়েছিল যখন তাদের বয়স ছিল ত্রিশ।[১৭] যখন তিনি জন্মগ্রহণ করেন তখন তার মায়ের বয়স প্রায় ৪০। ম্যাক্সওয়েলের পূর্বে এলিজাবেথ নামে তাদের একটি কন্যা সন্তান ছিল, যে শৈশবেই মারা যায়।[১৮]
ম্যাক্সওয়েল যখন ছোট ছিলেন তখন তার পরিবার কির্ককুডব্রাইটশায়ারের গ্লেনলেয়ারে চলে যায়, যে বাড়ি তার পিতামাতা ১,৫০০ একর (৬১০ হেক্টর) জমির উপর তৈরি করেছিলেন।[১৯] ম্যাক্সওয়েলের সমস্ত লক্ষণ ইঙ্গিত দেয় যে তিনি ছোটবেলা থেকেই অদম্য কৌতূহলী ছিলেন।[২০] তিন বছর বয়সে যা নড়াচড়া করে, চকচক করে বা আঘাত দিলে আওয়াজ করে এমন বস্তু তার মনে এই প্রশ্নটি জাগিয়েছিল: "সেটা কী?"[২১] ১৮৩৪ সালে তার খালু জেন কে-এর কাছে তার পিতার একটি চিঠিতে যোগ করা একটি অনুচ্ছেদে, তার মা অনুসন্ধিৎসুতার এই সহজাত অনুভূতি এভাবে বর্ণনা করেছিলেন:
সে খুব সুখী মানুষ, এবং আবহাওয়া সহনীয় হওয়ার পর থেকে তার অনেক উন্নতি হয়েছে; দরজা, তালা, চাবি ইত্যাদি নিয়ে তার দুর্দান্ত কাজ রয়েছে এবং "এটি কীভাবে কাজ করে তা আমাকে দেখান" তার মুখ থেকে কখনোই বের হয় না। সে স্রোত এবং বেল-তারের লুকানো গতিপথ, পুকুর থেকে প্রাচীরের মধ্য দিয়ে কিভাবে জল যায় তাও তদন্ত করে।[২২]
শিক্ষা (১৮৩৯–১৮৪৭)
ছেলের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে বুঝতে পেরে ম্যাক্সওয়েলের মা ফ্রান্সিস তার প্রাথমিক শিক্ষার দায়িত্ব নেন, যা ভিক্টোরিয়ান যুগে মূলত বাড়ির মহিলাদেরর কাজ ছিল।[২৩]। আট বছর বয়সে তিনি জন মিল্টনের দীর্ঘ কবিতা এবং ১১৯তম গীতসংগীত (১৭৬ শ্লোক) আবৃত্তি করতে পারতেন। প্রকৃতপক্ষে, শাস্ত্র সম্পর্কে আগে থেকেই তার বিস্তারিত জ্ঞান ছিল; তিনি গীতসংগীত থেকে প্রায় যেকোনো উদ্ধৃতির জন্য অধ্যায় এবং শ্লোক বলে দিতে পারতেন। তার আট বছর বয়সে তার মা পাকস্থলীর ক্যান্সারে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং একটি ব্যর্থ অস্ত্রোপচারের পর, ১৮৩৯ সালের ডিসেম্বরে মারা যান। তখন তার বাবা এবং তার বাবার ভগ্নিপতি জেন তার শিক্ষার তত্ত্বাবধান করেছেন,যারা উভয়েই তার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।[২৩] ১৬ বছর বয়সের একজন গৃহশিক্ষকের নির্দেশনায় আনুষ্ঠানিক স্কুলে তার পড়া শুরু হয়েছিল। ম্যাক্সওয়েলকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য যে যুবককে নিয়োগ করা হয়েছিল তার সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়, তবে তিনি ছোট ছেলেদের সাথে কঠোর আচরণ করতেন, তাকে ধীরগতির এবং বিপথগামী হওয়ার জন্য তিরস্কার করেছিলেন। ১৮৪১ সালের নভেম্বরে গৃহশিক্ষককে বাদ দেওয়া হয়। ১৮৪২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জেমসের বাবা তাকে রবার্ট ডেভিডসনের বৈদ্যুতিক চালনা এবং চৌম্বকীয় শক্তি প্রদর্শনের জন্য নিয়ে যান, যা তার জন্য গভীর প্রভাবের অভিজ্ঞতা ছিল।[২৪]
ম্যাক্সওয়েলকে মর্যাদাপূর্ণ এডিনবার্গ একাডেমিতে পাঠানো হয়।[২৫] তিনি ছুটিকালীন সময়ে তার খালা ইসাবেলার বাড়িতে থাকতেন। এই সময়ে তার বড় চাচাতো বোন জেমিমার দ্বারা তিনি ছবি আঁকার প্রতি উৎসাহিত হয়েছিল।[২৬] ১০ বছর বয়সী ম্যাক্সওয়েল, তার পিতার গ্রামাঞ্চলের ভূসম্পত্তিতে বিচ্ছিন্নভাবে বেড়ে ওঠেন, যার কারণে তিনি স্কুলে ভালোভাবে শিক্ষা লাভ করতে পারেননি।[২৭] প্রথম বছর শেষ হয়ে গিয়েছিল বলে তাকে তার চেয়ে এক বছর বড় সহপাঠীদের সাথে দ্বিতীয় বর্ষে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।[২৭] তার আচরণ এবং গ্যালোওয়ের উচ্চারণের কারণে অন্যান্য ছেলেদের কাছে তিনি গ্রাম্য হিসাবে অভিহিত হয়েছিলেন। তিনি তার স্কুলের প্রথম দিনে বাড়িতে তৈরি জুতা এবং একটি নিমা পরে গিয়েছিলেন, এর জন্য সকলে তাকে "ড্রাফটি" এর মত নির্দয় নামে ডেকেছিল।[২৮] বহু বছর ধরে তাকে সবাই "ড্রাফটি" নামে ডাকলেও তিনি কখনো বিরক্ত হননি বলে মনে হয়েছে এবং এর জন্য তিনি কখনো অভিযোগও করেননি।[২৯] বিদ্যালয়ে সামাজিক বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটে যখন তিনি লুইস ক্যাম্পবেল এবং পিটার গুথরি টেইটের সাথে দেখা করেন তারা ছিলো তার বয়সেরই দুইজন ছেলে যারা পরবর্তী জীবনে উল্লেখযোগ্য পণ্ডিত হয়েছিলো। তারা দুজনেই আজীবনের বন্ধু ছিল।[১১]
অল্প বয়সেই জ্যামিতি ম্যাক্সওয়েলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছিল, তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পাওয়ার আগেই নিয়মিত পলিহেড্রাকে পুনরায় আবিষ্কার করেছিলেন।[২৬] তার স্কুলের দ্বিতীয় বছরে ধর্মগ্রন্থ জীবনী পুরষ্কার লাভ তার শিক্ষাজীবনে প্রভাব ফেলেনি। তিনি ১৩ বছর বয়সে ইংরেজি ও কবিতা উভয়ের জন্য স্কুলের গাণিতিক পদক এবং প্রথম পুরস্কার জিতেছিলেন।[৩০][২৬]
ম্যাক্সওয়েলের স্কুলের পাঠ্যবইয়ের বাইরের বিষয়েই আগ্রহ বেশি ছিল এবং তিনি পরীক্ষার ফলাফলকে তেমন গুরুত্ব দিতেন না।[৩০] তিনি ১৪ বছর বয়সে তার প্রথম বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র লেখেন। এতে তিনি সুতার টুকরো দিয়ে গাণিতিক বক্ররেখা আঁকার একটি যান্ত্রিক উপায় এবং উপবৃত্ত, কার্টেসিয়ান উপবৃত্ত এবং দুইটির বেশি নির্দিষ্ট বিন্দু সহ সংশ্লিষ্ট বক্ররেখার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেন। ১৮৪৬ সালে[১১][৩১] "ওভাল বক্ররেখা, যার অনেকগুলো[৩২]নির্দিষ্ট বিন্দু আছে তার বর্ণনা" কাজটি এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক দর্শনের অধ্যাপক জেমস ফোর্বস রয়্যাল সোসাইটি অফ এডিনবার্গে কাছে উপস্থাপন করেছিলেন।[১১][৩১] এইসময় ম্যাক্সওয়েলকে নিজের কাজটি উপস্থাপন করার জন্য খুব কম বয়সী বলে মনে করা হয়েছিল।[৩৩] যেহেতু রেনে দেকার্ত ১৭ শতকে এই ধরনের বহুমুখী উপবৃত্তের বৈশিষ্ট্যগুলিও পরীক্ষা করেছিলেন তাই কাজটি সম্পূর্ণ মৌলিক ছিল না, কিন্তু ম্যাক্সওয়েল তাদের কাজকে সরলীকৃত করেছিলেন।[৩৩]
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় (১৮৪৭-১৮৫০)
ম্যাক্সওয়েল ১৮৪৭ সালে ১৬ বছর বয়সে এডিনবার্গ একাডেমি ত্যাগ করেন এবং এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে শুরু করেন।[৩৪] তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তার প্রথম বছর শেষ হওয়ার পরে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তিনি এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার স্নাতক পাশ করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে কিছু উচ্চ সম্মানিত নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল; তার প্রথম বছরের শিক্ষকদের মধ্যে স্যার উইলিয়াম হ্যামিল্টন , যিনি যুক্তিবিদ্যা এবং অধিবিদ্যার উপর, ফিলিপ কেল্যান্ড গণিতের উপর, এবং জেমস ফোর্বস প্রাকৃতিক দর্শনের উপর ক্লাস নিতেন।[১১] তিনি তার চাহিদা মতো ক্লাস পাননি[৩৫] এবং তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবসর সময়ে ও বিশেষ করে যখন গ্লেনলেয়ারে বাড়িতে ফিরে আসতেন সেই সময় তিনি ব্যক্তিগত অধ্যয়নে নিজেকে নিমজ্জিত করতেন।[৩৬] সেখানে তিনি উন্নত রাসায়নিক, বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বকীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে পরীক্ষা করতেন; যাইহোক তিনি প্রধানত চিন্তিত হয়েছিলেন আলোর সমবর্তন বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে।[৩৭] তিনি জেলাটিন আকৃতির ব্লকগুলো তৈরি করেছিলেন, সেগুলোকে বিভিন্ন চাপের মধ্যে দিয়েছিলেন। উইলিয়াম নিকোল তাকে যে এক জোড়া পোলারাইজিং প্রিজম দিয়েছিলেন, তিনি সেটি দিয়ে জেলির মধ্যে বিকশিত হওয়া রঙিন প্রান্তগুলি দেখেছিলেন।[৩৮] তিনি এই অনুশীলনের মাধ্যমে আলোক স্থিতিস্থাপকতা আবিষ্কার করেন, যা শারীরিক কাঠামোর মধ্যে চাপের বন্টন নির্ধারণকারী একটি মাধ্যম।[৩৯]
১৮ বছর বয়সে, ম্যাক্সওয়েল এডিনবার্গের রয়্যাল সোসাইটির সম্পাদিত কর্মের জন্য দুটি প্রবন্ধে অবদান রেখেছিলেন। তন্মধ্যে মধ্যে একটি হল, "অন দা ইকুইলিব্রিয়াম অফ ইলাস্টিক সলিডস", যা তার জীবনের পরবর্তী সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের ভিত্তি স্থাপন করেছিল, যা শিয়ার স্ট্রেস দ্বারা সান্দ্র তরলে উৎপাদিত অস্থায়ী দ্বি-প্রতিসরণ ছিল।[৪০] অন্যটি ছিল "রোলিং কার্ভস " এবং এডিনবার্গ একাডেমিতে তার লেখা "ওভাল কার্ভস" প্রবন্ধটি উপস্থাপন করার মত তাকে আবারও প্রবন্ধটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে উপস্থাপন করার জন্য জন্য খুব কম বয়সী বলে মনে করা হয়েছিল। প্রবন্ধটি তার পরিবর্তে, তার গৃহশিক্ষক কেল্যান্ডের মাধ্যমে রয়্যাল সোসাইটির কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।[৪১]
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় (১৮৫০-১৮৫৬)
ইতিমধ্যে একজন দক্ষ গণিতবিদ হয়ে ১৮৫০ সালের অক্টোবরে ম্যাক্সওয়েল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্কটল্যান্ড ত্যাগ করেন। তিনি প্রাথমিকভাবে পিটারহাউসে যোগদান করেছিলেন, কিন্তু তার প্রথম বছর শেষ হওয়ার আগে তিনি ট্রিনিটিতে স্থানান্তরিত হন। তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে এখানে ফেলোশিপ পাওয়া সহজ হবে।[৪২] ট্রিনিটিতে তিনি কেমব্রিজ অ্যাপোস্টলস নামে পরিচিত একটি অভিজাত গোপন সমাজে নির্বাচিত হন।[৪৩] ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো বছরগুলিতে ম্যাক্সওয়েলের খ্রিস্টান বিশ্বাস এবং বিজ্ঞান সম্পর্কে বুদ্ধিবৃত্তিক বোঝার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। তিনি বুদ্ধিজীবী অভিজাতদের স্বতন্ত্র বিতর্ক সমাজ "অ্যাপোস্টলস"-এ যোগদান করেন, যেখানে তিনি তার প্রবন্ধগুলোর মাধ্যমে এই বোঝার ব্যাপারটি কার্যকর করার চেষ্টা করেছিলেন। কেমব্রিজে ফিরে আসার পর, ম্যাক্সওয়েল তার সাম্প্রতিক অতিথিসেবককে নিম্নলিখিত সাক্ষ্য সহ একটি আলাপী এবং স্নেহপূর্ণ চিঠি লিখেছিলেন।[৪৪] ১৮৫১ সালের নভেম্বরে, ম্যাক্সওয়েল উইলিয়াম হপকিন্সের অধীনে অধ্যয়ন করেন, যিনি তার গাণিতিক প্রতিভা লালন করার সাফল্যের জন্য "সিনিয়র র্যাংলার মেকার" ডাকনাম অর্জন করেছিলেন।[৪৫]
১৮৫৪ সালে, ম্যাক্সওয়েল ট্রিনিটি থেকে গণিতে একটি ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ হন। তিনি চূড়ান্ত পরীক্ষায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থান করেন যেখানে এডওয়ার্ড রাউথ প্রথম স্থান অধিকার করেন এতে ম্যাক্সওয়েল দ্বিতীয় র্যাংলারের খেতাব অর্জন করেন। পরবর্তীতে স্মিথস প্রাইজ পরীক্ষার আরও কঠোর অগ্নিপরীক্ষায় তাকে রাউথের সমান ঘোষণা করা হয়।[৪৬] ম্যাক্সওয়েল তার ডিগ্রী অর্জনের পরপরই কেমব্রিজ ফিলোসফিক্যাল সোসাইটিতে তার গবেষণাপত্র "অন দ্য ট্রান্সফর্মেশন অফ সারফেসেস বাই বেন্ডিং" পাঠ করেন।[৪৭] এটি ছিল তার লেখা কয়েকটি বিশুদ্ধভাবে গাণিতিক গবেষণাপত্রের মধ্যে একটি, যা একজন গণিতবিদ হিসাবে তার ক্রমবর্ধমান উচ্চতাকে প্রদর্শন করে।[৪৮] ম্যাক্সওয়েল স্নাতকে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে ট্রিনিটিতে থাকার সিদ্ধান্ত নেন এবং একটি ফেলোশিপের জন্য আবেদন করেন, এটি ছিল এমন একটি প্রক্রিয়া যা কয়েক বছর সময় নিবে বলে তিনি আশা করেছিলেন।[৪৯] একজন গবেষক ছাত্র হিসাবে তার সাফল্যের দ্বারা আনন্দিত, তিনি কিছু টিউটরিং এবং পরীক্ষার দায়িত্ব ছাড়াও তার নিজের অবসর সময়ে বৈজ্ঞানিক আগ্রহগুলো অন্বেষণ করার জন্য মুক্ত থাকবেন।[৪৯]
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোর্বসের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে রঙের প্রকৃতি এবং উপলব্ধি ব্যাপারে তার আগ্রহ জাগে।[৫০] ফোর্বসের উদ্ভাবিত রঙিন স্পিনিং টপস দিয়ে, ম্যাক্সওয়েল প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে লাল, সবুজ এবং নীল আলোর মিশ্রণ থেকে সাদা আলো আসে।[৫০] ১৮৫৫ সালের মার্চ মাসে তিনি তার গবেষণাপত্র "এক্সপেরিমেন্টস অন কালার" যা রঙের সংমিশ্রণের নীতিগুলি তৈরি করে তা এডিনবার্গের রয়্যাল সোসাইটির কাছে উপস্থাপন করেন।[৫১] ম্যাক্সওয়েল এই সময় নিজেই এটি প্রদান করতে সক্ষম হন।[৫১]
ম্যাক্সওয়েলকে ১৮৫৫ সালের ১০ অক্টোবর ট্রিনিটির একজন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় যা ছিল সাধারণ নিয়মের চেয়ে দ্রুত[৫১] এবং সেই সুবাদে তাকে জলস্থিতিবিদ্দা ও আলোকবিজ্ঞানের উপর বক্তৃতা প্রস্তুত করতে এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করতে বলা হয়েছিল।[৫২] পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফোর্বস তাকে অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মারিশাল কলেজের চেয়ার অফ ন্যাচারাল ফিলোসফির সদ্য শূন্য আসনের জন্য আবেদন করার জন্য আহ্বান জানায়।[৫৩][৫৪] তার পিতা তাকে প্রয়োজনীয় তথ্যসূত্র প্রস্তুত করার কাজে সহায়তা করেছিলেন কিন্তু ম্যাক্সওয়েলের প্রার্থীতার ফলাফল জানার আগেই তার পিতা ২ এপ্রিল গ্লেনলেয়ারে মারা যান।[৫৪] ১৮৫৬ সালের নভেম্বরে তিনি কেমব্রিজ ছেড়ে অ্যাবারডিনে অধ্যাপকের পদ গ্রহণ করেন।[৫২]
মারিশাল কলেজ,অ্যাবারডিন (১৮৫৬-১৮৬০)
২৫ বছর বয়সী ম্যাক্সওয়েল মারিশালের অন্য যেকোনো অধ্যাপকের চেয়ে ১৫ বছরের ছোট ছিলেন। তিনি একটি বিভাগের প্রধান হিসাবে তার নতুন দায়িত্বের সাথে নিজেকে নিযুক্ত করেন এবং পাঠ্যক্রম প্রণয়ন ও বক্তৃতা প্রস্তুত করেন।[৫৫] তিনি সপ্তাহে ১৫ ঘন্টা বক্তৃতা দেওয়ার জন্য নিজেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছিলেন, যার মধ্যে তিনি স্থানীয় কর্মজীবী পুরুষদের কলেজে একটি সাপ্তাহিক জনকল্যাণমূলক বক্তৃতা দিতেন।[৫৫] শিক্ষাবর্ষের ছয় মাস তিনি তার চাচাতো ভাই উইলিয়াম ডাইস কের সাথে অ্যাবারডিনে থাকতেন যিনি ছিলেন একজন স্কটিশ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং ম্যাক্সওয়েল তার গ্রীষ্মকালীন সময় গ্লেনলেয়ারের বাড়িতে কাটিয়েছিলেন, যা তিনি তার বাবার কাছ থেকে পেয়েছিলেন।[১৪]
তিনি একটি সমস্যায় তার মনোযোগকে কেন্দ্রীভূত করেছিলেন যা ২০০ বছর ধরে বিজ্ঞানীদের এড়িয়ে গিয়েছিল যা ছিল শনির বলয়ের প্রকৃতি। এটা অজানা ছিল যে কিভাবে তারা বিচ্ছিন্ন না হয়ে, দূরে সরে না গিয়ে বা শনি গ্রহে ধাক্কা লেগে বিধ্বস্ত না হয় স্থিতিশীল থাকতে পারে।[৫৬] এই সমস্যাটি সেই সময়ে একটি বিশেষ অনুরণন ফেলেছিল কারণ, কেমব্রিজের সেন্ট জনস কলেজ এটিকে ১৮৫৭ অ্যাডামস পুরস্কারের জন্য বিষয় হিসাবে বেছে নিয়েছিল।[৫৭] ম্যাক্সওয়েল সমস্যাটি অধ্যয়নের জন্য দুই বছর ব্যয় করেছিলেন এবং প্রমাণ করেছিলেন যে একটি নিয়মিত কঠিন বলয় কখনো স্থিতিশীল হতে পারে না, যখন একটি তরল বলয়কে ব্লবে ভেঙে যেতে তরঙ্গ ক্রিয়া দ্বারা বাধ্য করা হয়। যেহেতু কোনটিই পরিলক্ষিত হয়নি, তাই তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে বলয়গুলো অবশ্যই অসংখ্য ছোট কণার সমন্বয়ে গঠিত হবে যাকে তিনি "বৃক-ব্যাট" নাম দিয়েছিলেন, যেগুলো প্রতিটি স্বাধীনভাবে শনিকে প্রদক্ষিণ করে।[৫৭] ম্যাক্সওয়েল ১৮৫৯ সালে তার "শনির বলয়ের গতির স্থিতিশীলতার উপর" প্রবন্ধের জন্য £১৩০ অ্যাডামস পুরস্কারে ভূষিত হন[৫৮]; তিনিই একমাত্র প্রবেশকারী ছিলেন যিনি একটি এন্ট্রি জমা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট অগ্রগতি করেছিলেন।[৫৯] তাঁর কাজটি এতই বিশদ এবং বিশ্বাসযোগ্য ছিল যে জর্জ বিডেল এয়ারি যখন এটি পড়েছিলেন তখন তিনি মন্তব্য করেছিলেন, "এটি আমার দেখা পদার্থবিদ্যার জন্য গণিতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রয়োগগুলোর মধ্যে একটি।"[১] এটি ছিল এই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান। ১৯৮০ এর দশকের ভয়েজার ফ্লাইবাইসের সরাসরি পর্যবেক্ষণ ম্যাক্সওয়েলের ভবিষ্যদ্বাণী নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এটিকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সমাধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল যে বলয়গুলো কণা দ্বারা গঠিত।[৬০] তবে এখন বোঝা যাচ্ছে যে বলয়গুলোর কণাগুলো মোটেও স্থিতিশীল নয়, বরং সেগুলোকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দ্বারা শনি তার নিজের দিকে টানছে। আগামী ৩০০ মিলিয়ন বছরের মধ্যে বলয়গুলো সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।[৬১]
১৮৫৭ সালে ম্যাক্সওয়েল মারিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রেভারেন্ড ড্যানিয়েল দেওয়ারের সাথে বন্ধুত্ব করেন।[৬২] তার মাধ্যমেেই ম্যাক্সওয়েল দেওয়ারের মেয়ে ক্যাথরিন মেরি দেওয়ারের সাথে দেখা করেন। তারা ১৮৫৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে বিবাহের বাগ্দান করেন এবং ১৮৫৮ সালের ২ জুন অ্যাবারডিনে বিয়ে করেন। বিয়ের রেকর্ডে, ম্যাক্সওয়েলকে অ্যাবারডিনের মারিশাল কলেজে প্রাকৃতিক দর্শনের অধ্যাপক হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।[৬৩] ক্যাথরিন ম্যাক্সওয়েলের চেয়ে সাত বছরের বড় ছিলেন। তার সম্পর্কে তুলনামূলকভাবে খুব কমই জানা যায়, তবে এটি জানা যায় যে তিনি ম্যাক্সওয়েলের ল্যাবের কাজে সাহায্য করেছিলেন এবং সান্দ্রতার পরীক্ষায় কাজ করেছিলেন।[৬৪] ম্যাক্সওয়েলের জীবনীকার এবং বন্ধু, লুইস ক্যাম্পবেল, ক্যাথরিনের বিষয়ে একটি অচৈতন্যহীন অযৌক্তিকতা অবলম্বন করেছিলেন, তাদের বিবাহিত জীবনকে "একটি উদাহরণহীন ভক্তি" হিসাবে বর্ণনা করার মাধ্যমে।[৬৫]
১৮৬০ সালে মারিশাল কলেজ প্রতিবেশী কিংস কলেজের সাথে একীভূত হয়ে অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করে। প্রাকৃতিক দর্শনের দুই অধ্যাপকের জন্য কোন জায়গা ছিল না, তাই ম্যাক্সওয়েলের বৈজ্ঞানিক খ্যাতি থাকা সত্ত্বেও, তাকে ছাঁটাই করে দেয়া হয়েছিল। তিনি এডিনবার্গে ফোর্বসের সম্প্রতি খালি করা আসনের জন্য আবেদন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, পদটি পরিবর্তে টেইটের কাছে চলে যায়। এর পরিবর্তে ম্যাক্সওয়েলকে লন্ডনের কিংস কলেজে প্রাকৃতিক দর্শনের আসন দেওয়া হয়েছিল।[৬৬] ১৮৬০ সালে গুটিবসন্তের প্রায় মারাত্মক আক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর, তিনি তার স্ত্রীর সাথে লন্ডনে চলে যান।[৬৭]
কিংস কলেজ লন্ডন (১৮৬০-১৮৬৫)
কিংস কলেজে ম্যাক্সওয়েলের সময়টা সম্ভবত তার কর্মজীবন সবচেয়ে ফলপ্রসূ ছিল। তিনি ১৮৬০ সালে রঙের উপর কাজের জন্য রয়্যাল সোসাইটির রামফোর্ড পদক লাভ করেন এবং পরে ১৮৬১ সালে রয়্যাল সোসাইটিতে নির্বাচিত হন।[৬৯] তিনি তার জীবনের এই সময়কালে তিনি বিশ্বের প্রথম আলোক-দ্রুত রঙিন আলোকচিত্র প্রদর্শন করেন, গ্যাসের সান্দ্রতা সম্পর্কে তাঁর ধারণাগুলো আরও বিকাশ করেন এবং ভৌত পরিমাণ সংজ্ঞায়িত করার একটি পদ্ধতির প্রস্তাব করবেন- যা এখন মাত্রিক বিশ্লেষণ নামে পরিচিত। ম্যাক্সওয়েল প্রায়ই রয়্যাল ইনস্টিটিউশনে বক্তৃতা দিতেন এবং সেখানে তিনি মাইকেল ফ্যারাডের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। দুই ব্যক্তির মধ্যে সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ বলে বর্ণনা করা যায় না, কারণ ফ্যারাডে ম্যাক্সওয়েলের চেয়ে ৪০ বছরের বড় ছিলেন এবং তার মধ্যে বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল। তবুও তারা একে অপরের প্রতিভার প্রতি দৃঢ় শ্রদ্ধা বজায় রেখেছিলেন।[৭০]
এই সময়টিতে ম্যাক্সওয়েল তড়িৎ এবং চুম্বকত্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রগতি সাধন করেছিলেন। তিনি ১৮৬১ সালে প্রকাশিত তার দুই-খণ্ডের গবেষণাপত্র "অন ফিজিক্যাল লাইনস অফ ফোর্স"-এ বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বক ক্ষেত্র উভয়ের প্রকৃতি পরীক্ষা করেন। এতে তিনি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশনের জন্য একটি ধারণাগত মডেল প্রদান করেন, যার মধ্যে চৌম্বকীয় প্রবাহের ক্ষুদ্র স্পিনিং কোষ রয়েছে। ১৮৬২ সালের প্রথম দিকে একই গবেষণাপত্রে আরও দুটি অংশ যুক্ত করা হয় এবং প্রকাশিত হয়। প্রথম অতিরিক্ত অংশে তিনি ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক্স এবং সরণ প্রবাহের প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করেন। দ্বিতীয় অতিরিক্ত অংশে তিনি চৌম্বক ক্ষেত্রে আলোর সমবর্তনের সমতলের ঘূর্ণন নিয়ে কাজ করেছিলেন, যা ফ্যারাডে আবিষ্কার করেছিলেন এবং এখন এটি ফ্যারাডে প্রভাব নামে পরিচিত।[৭১]
শেষ জীবন (১৮৬৫-১৮৭৯)
১৮৬৫ সালে ম্যাক্সওয়েল লন্ডনের কিংস কলেজের আসন থেকে পদত্যাগ করেন এবং ক্যাথরিনের সাথে গ্লেনলেয়ারে ফিরে আসেন। তিনি তাঁর গবেষণাপত্র "অন গভর্নরস" (১৯৬৮)-এ গাণিতিকভাবে গভর্নর ডিভাইসের ব্যবহার বর্ণনা করেছেন-যে ডিভাইসগুলো বাষ্প ইঞ্জিনের গতি নিয়ন্ত্রণ করে-যার মাধমে তিনি নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলের তাত্ত্বিক ভিত্তি স্থাপন করেন।[৭২] তার গবেষণাপত্র "অন রেসিপ্রোকাল ফিগারস, ফ্রেম অ্যান্ড ডায়াগ্রামস অফ ফোরসেস" (১৮৭০) এ তিনি জালির বিভিন্ন ডিজাইনের অনমনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।[৭৩][৭৪] তিনি থিওরি অফ হিট (১৮৭১) এবং ত্রিটাইজ ম্যাটার অ্যান্ড মোশন (১৮৭৬) গ্রন্থ রচনা করেন। ১৮৭১ সালে ম্যাক্সওয়েলই প্রথম মাত্রিক বিশ্লেষণের সুস্পষ্ট ব্যবহার করেছিলেন।[৭৫]
১৮৭১ সালে তিনি পদার্থবিদ্যার প্রথম ক্যাভেন্ডিশ অধ্যাপক হতে কেমব্রিজে ফিরে আসেন।[৭৬] ম্যাক্সওয়েলকে ভবনের অগ্রগতির প্রতিটি পদক্ষেপের তত্ত্বাবধান এবং যন্ত্রপাতি সংগ্রহের জন্য ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবরেটরির উন্নয়নের দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়েছিল।[৭৭] বিজ্ঞানে ম্যাক্সওয়েলের শেষ মহান অবদানগুলোর মধ্যে একটি ছিল হেনরি ক্যাভেন্ডিশের গবেষণার সম্পাদনা করা (প্রচুর মূল নোট সহ), যেখান থেকে দেখা যায় যে ক্যাভেন্ডিশ পৃথিবীর ঘনত্ব এবং জলের গঠনের মতো অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করেছে।[৭৮] তিনি ১৮৭৬ সালে আমেরিকান ফিলোসফিক্যাল সোসাইটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন।[৭৯]
-
ম্যাক্সওয়েল দ্বারা সম্পাদিত "দ্য ইলেক্টিক্যাল রিসার্চেজ অফ দা হনোরেবল হেনরি ক্যাভেন্ডডিস এর ১৮৭৯ কপির শিরোনাম পৃষ্ঠা
-
"ম্যাটার অ্যান্ড মোশন" এর ১৮৮২ কপির শিরোনাম পৃষ্ঠা
-
"থিওরি অফ হিট" এর ১৮৭২ কপির শিরোনাম পৃষ্ঠা
১৮৭৯ সালের এপ্রিলে ম্যাক্সওয়েলের খাবার গিলতে অসুবিধা হতে শুরু করে, এটি ছিল তার মারাত্মক অসুস্থতার প্রথম লক্ষণ।[৮০]
ম্যাক্সওয়েল ১৮৭৯ সালের ৫ নভেম্বর ৪৮ বছর বয়সে পেটের ক্যান্সারে কেমব্রিজে মারা যান।[৩৪] তার মা একই বয়সে একই ধরনের ক্যান্সারে মারা গিয়েছিলেন।[৮১] যে সেবক তার শেষ সপ্তাহগুলিতে নিয়মিত তার সাথে দেখা করতেন তিনি তার স্পষ্টতা এবং তার স্মৃতির অপার শক্তি এবং সুযোগে বিস্মিত হয়েছিলেন, এবং বিশেষভাবে আরও মন্তব্য করেছিলেন,
... তার অসুস্থতা মানুষের সমস্ত হৃদয় এবং আত্মাকে আকৃষ্ট করেছিল: অবতার এবং এর সমস্ত ফলাফলের প্রতি তার দৃঢ় এবং সন্দেহাতীত বিশ্বাস ছিল ; প্রায়শ্চিত্তের সম্পূর্ণ চেষ্টায়; পবিত্র আত্মার কাজে। তিনি দর্শনের সমস্ত স্কিম এবং সিস্টেমগুলিকে পরিমাপ করেছিলেন এবং বুঝতে পেরেছিলেন এবং সেগুলোকে একেবারে খালি এবং অতৃপ্তিদায়ক হিসেবে খুঁজে পেয়েছিলেন - এগুলো সম্পর্কে তিনি "অকার্যকর" শব্দ ব্যবহার করেছেন - এবং তিনি সরল বিশ্বাস নিয়ে ত্রাণকর্তার গসপেলের প্রতি সরল ফিরেছিলেন।
মৃত্যুর কাছাকাছি সময়ে ম্যাক্সওয়েল কেমব্রিজের একজন সহকর্মীকে বলেছিলেন,[৪৪]
আমি ভাবছিলাম যে কতটা ভদ্রভাবে আমার সাথে সবসময় আচরণ করা হয়েছে। আমি আমার সারাজীবনে কখনও হিংসাত্মক ধাক্কা খাইনি। আমার একমাত্র ইচ্ছা হচ্ছে ডেভিডের মতো ঈশ্বরের ইচ্ছায় আমার নিজের প্রজন্মের সেবা করা এবং তারপর ঘুমিয়ে পড়া।
ম্যাক্সওয়েলকে গ্যালোওয়ের ক্যাসেল ডগলাসের কাছে পার্টন কার্কে দাফন করা হয় যেখানে তিনি বেড়ে উঠেছিলেন।[৮২] তার প্রাক্তন সতীর্থ এবং প্রানের বন্ধু অধ্যাপক লুইস ক্যাম্পবেলের বর্ধিত জীবনী দ্য লাইফ অফ জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল, ১৮৮২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।[৮৩][৮৪] ১৮৯০ সালে তার সংগৃহীত কাজ কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস দ্বারা দুটি খণ্ডে প্রকাশ করা হয়েছিল।[৮৫]
ম্যাক্সওয়েলের এস্টেটের নির্বাহক ছিলেন তার চিকিত্সক জর্জ এডওয়ার্ড পেগেট, জি জি স্টোকস এবং কলিন ম্যাকেঞ্জি, যিনি ম্যাক্সওয়েলের চাচাতো ভাই ছিলেন। কাজের চাপে স্টোকস ম্যাক্সওয়েলের কাগজপত্র উইলিয়াম গারনেটের কাছে দিয়েছিলেন, যিনি ১৮৮৪ সাল পর্যন্ত কাগজপত্রগুলোর কার্যকর হেফাজত করেছিলেন।[৮৬]
ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে গায়কদলের পর্দার কাছে তাঁর একটি স্মারক শিলালিপি রয়েছে।[৮৭]
ব্যক্তিগত জীবন
স্কটিশ কবিতার একজন মহান প্রেমিক হিসেবে ম্যাক্সওয়েল কবিতা মুখস্থ করেছিলেন এবং নিজেও কবিতা লিখেছিলেন।[৮৮] সবচেয়ে পরিচিত হল রিজিড বডি সিংস, যা সম্ভবত রবার্ট বার্নসের "কমিন থ্রু দ্য রাই" এর উপর ভিত্তি করে লেখা, যেটি তিনি হয়ত একটি গিটার বাজানো সময় গাইতেন। এর শুরুর লাইনগুলো হল,[৮৯]
জিন এ বডি মিট এ বডি
ফ্লায়িং থ্র দা এয়ার.
জিন এ বডি হিট এ বডি,
উইল ইট ফ্লাই? অ্যান্ড হয়ার?
তার কবিতার একটি সংকলন তার বন্ধু লুইস ক্যাম্পবেল ১৮৮২ সালে প্রকাশ করেছিলেন।[৯০]
ম্যাক্সওয়েলের বর্ণনায় তার উল্লেখযোগ্য বুদ্ধিবৃত্তিক গুণাবলী সামাজিক বিশ্রীতার সাথে মিলে যাওয়ার বিষয় উঠে এসেছে।[৯১]
ম্যাক্সওয়েল একজন ধর্মপ্রচারক প্রেসবিটেরিয়ান ছিলেন এবং তার জীবনের শেষ বছরগুলোতে স্কটল্যান্ডের গির্জার একজন প্রবীণ হন।[৯২] ম্যাক্সওয়েলের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং এর সাথে সম্পর্কিত ক্রিয়াকলাপগুলি বেশ কয়েকটি গবেষণাপত্রের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে।[৯৩][৯৪][৯৫][৯৬] ছোটবেলায় চার্চ অফ স্কটল্যান্ড (তাঁর পিতার সম্প্রদায়) এবং এপিস্কোপ্যালিয়ান (তার মাতার সম্প্রদায়) উভয় পরিষেবায় যোগদান করে, ম্যাক্সওয়েল ১৮৫৩ সালের এপ্রিল মাসে ম্যাক্সওয়েল একটি ইভাঞ্জেলিক্যাল ধর্মের অধীন হন। এই রূপান্তরের একটি দিক তাকে একটি অ্যান্টিপজিটিভিস্ট অবস্থানের সাথে সংযুক্ত করে।[৯৫]
বৈজ্ঞানিক উত্তরাধিকার
তড়িৎচুম্বকত্ব
১৮৫৫ সালের প্রথম দিকে ম্যাক্সওয়েল তড়িৎ এবং চুম্বকত্বের উপর অধ্যয়ন এবং মন্তব্য করেছিলেন, যখন তার গবেষণাপত্র "অন ফ্যারাডে'স লাইন্স অফ ফোর্স" কেমব্রিজ ফিলোসফিক্যাল সোসাইটিতে পাঠ করা হয়।[৯৭] গবেষণাপত্রটি ফ্যারাডে এর কাজের একটি সরলীকৃত মডেল এবং কীভাবে তড়িৎ ও চুম্বকত্ব সম্পর্কিত তা উপস্থাপন করে। তিনি ২০ ধরণের পরিবর্তনশীল ২০টি সমীকরণের সাথে ডিফারেনশিয়াল সমীকরণের একটি লিঙ্কযুক্ত সেটে বর্তমান জ্ঞানের সমস্ত অংশকে হ্রাস করেছেন। এই কাজটি পরে ১৮৬১ সালের মার্চ মাসে "অন ফিজিক্যাল লাইনস অফ ফোর্স" হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিল।[৯৮]
১৮৬২ সালের দিকে, কিংস কলেজে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, ম্যাক্সওয়েল হিসাব করেছিলেন যে একটি তাড়িত চৌম্বক ক্ষেত্রের চলার গতি প্রায় আলোর গতির সমান। তিনি এটিকে শুধুমাত্র একটি কাকতালীয় ঘটনা বলে মনে করেন এবং মন্তব্য করেন, "সর্বশেষে আমরা খুব কমই এটি এড়াতে পারি যে আলোক তরঙ্গ একই মাধ্যমে বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বকীয় ঘটনার কারণ।[১]
সমস্যাটি নিয়ে আরও কাজ করে ম্যাক্সওয়েল দেখিয়েছিলেন যে সমীকরণগুলো লম্বিত বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের তরঙ্গগুলোর অস্তিত্বের ভবিষ্যদ্বাণী করে যা খালি স্থানের মধ্য দিয়ে এমন গতিতে ভ্রমণ করে যা সাধারণ বৈদ্যুতিক পরীক্ষাগুলো থেকে অনুমান করা যেতে পারে; সেই সময়ে উপলব্ধ ডেটা ব্যবহার করে, ম্যাক্সওয়েল প্রতি সেকেন্ডে ৩১০,৭৪০,০০০মিটার বেগ পেয়েছিলেন (১.০১৯৫×১০৯ ফুট/সেকেন্ড)।[৯৯] তার ১৮৬৫ সালের গবেষণাপত্র "এ ডাইনামিক্যাল থিওরি অফ দ্য ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড"-এ ম্যাক্সওয়েল লিখেছেন, "ফলাফল থেকে মনে হয় যে আলো একটি তাড়িত চৌম্বক ব্যাঘাত যা তাড়িত চৌম্বকীয় আইন অনুসারে ক্ষেত্রের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়।[৪]
তার বিখ্যাত বিশটি সমীকরণ আংশিক ডিফারেনশিয়াল সমীকরণের আধুনিক আকারে ১৮৭৩ সালে তার পাঠ্যপুস্তক এ ত্রিটাইজ অন ইলেকট্রিসিটি-এ প্রথম সম্পূর্ণরূপে বিকশিত আকারে আবির্ভূত হয়।[১০০] এই কাজের বেশিরভাগই ম্যাক্সওয়েল তার লন্ডনের এবং ক্যাভেন্ডিশ পদ গ্রহণের মধ্যবর্তী সময়ে গ্লেনলেয়ারে করেছিলেন।[১] অলিভার হেভিসাইড ম্যাক্সওয়েলের তত্ত্বের জটিলতাকে চারটি আংশিক ডিফারেনশিয়াল সমীকরণে নামিয়ে এনেছেন,[১০১] যা এখন সম্মিলিতভাবে ম্যাক্সওয়েলের তত্ত বা ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণ নামে পরিচিত। যদিও ঊনবিংশ শতাব্দীতে সম্ভাব্যতা অনেক কম জনপ্রিয় হয়ে ওঠে,[১০২] তবে বর্তমানে ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণের সমাধানে স্কেলার এবং ভেক্টর পটেনশিয়ালের ব্যবহার মানসম্মত।[১০৩]
যেমনটি ব্যারেট এবং গ্রিমস (১৯৯৫) বর্ণনা করেছেনঃ[১০৪]
ম্যাক্সওয়েল কোয়াটারনিয়নের বীজগণিতে তড়িৎচুম্বকত্ব প্রকাশ করেন এবং তড়িৎ চৌম্বকীয় সম্ভাবনাকে তার তত্ত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেন। ১৮৮১ সালে হেভিসাইড ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তত্ত্বের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে বল ক্ষেত্র দ্বারা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিকের সম্ভাব্য ক্ষেত্রকে প্রতিস্থাপন করে। হেভিসাইডের মতে, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক সম্ভাব্য ক্ষেত্রটি বিধিবহির্ভূত ছিল এবং "পরিবর্তন" করার প্রয়োজন ছিল। কয়েক বছর পর হেভিসাইড এবং পিটার গুথরি টেটের মধ্যে ভেক্টর বিশ্লেষণ এবং কোয়াটারনিয়নের আপেক্ষিক যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক হয়। ফলাফল ছিল উপলব্ধি যে তত্ত্বটি সম্পূর্ণরূপে স্থানীয় হলে কোয়াটার্নিয়ন দ্বারা প্রদত্ত বৃহত্তর বাস্তব অন্তর্দৃষ্টির কোন প্রয়োজন নেই এবং ভেক্টর বিশ্লেষণ সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে।
ম্যাক্সওয়েল সঠিক প্রমাণিত হয়েছিলেন এবং আলো ও তড়িৎচুম্বকত্বের মধ্যে তার পরিমাণগত সম্পর্ককে ১৯ শতকের গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানের একটি মহান কৃতিত্ব হিসাবে বিবেচনা করা হয়।[১০৫]
হেনরিখ হার্টজ ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণ সম্পর্কে বলেছিলেন, "এই বিস্ময়কর তত্ত্বটি অনুভব না করে অধ্যয়ন করা অসম্ভব, মনে হয় যেন গাণিতিক সমীকরণগুলোর নিজস্ব একটি স্বাধীন জীবন এবং বুদ্ধিমত্তা রয়েছে, যেন তারা আমাদের চেয়ে জ্ঞানী, প্রকৃতপক্ষে তারা তাদের আবিষ্কারকের চেয়ে জ্ঞানী, যেন তিনি তাদের মধ্যে যা দিয়েছেন তার চেয়ে বেশি তারা দিয়েছেন।" হার্টজ রেডিও তরঙ্গ তৈরি করতে ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণ ব্যবহার করেছিলেন, যার ফলে রাডার এবং আরও অনেক কিছু আবিষ্কার হয়েছিল।[১০৬]
তাছাড়াও ম্যাক্সওয়েল, ফ্যারাডে বর্ণিত বল রেখার তুলনায় তড়িৎ চৌম্বক ক্ষেত্রের ধারনা প্রবর্তন করেছিলেন।[১০৭] সক্রিয় কণা দ্বারা নির্গত একটি ক্ষেত্র হিসাবে তড়িৎচুম্বকত্বের বিস্তার বোঝার মাধ্যমে, ম্যাক্সওয়েল আলোর উপর তার কাজকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। সেই সময়ে, ম্যাক্সওয়েল বিশ্বাস করতেন যে আলোক তরঙ্গের প্রবাহের জন্য একটি মাধ্যমের প্রয়োজন, যাকে বলা হয় আলোকময় ইথার।[১০৭] সময়ের সাথে সাথে, এই ধরনের একটি মাধ্যমের অস্তিত্ব, যা সমস্ত স্থানের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় তবুও তা আপাতদৃষ্টিতে যান্ত্রিক উপায়ে সনাক্ত করা যায় না, এমনকি মাইকেলসন-মর্লে পরীক্ষার মতো পরীক্ষাগুলোর সাথে সামঞ্জস্য করাও অসম্ভব।.[১০৮] তদুপরি, এটির জন্য একটি নিশ্চিত রেফারেন্সের ফ্রেমের প্রয়োজন ছিল যেখানে সমীকরণগুলো যুক্তিসিদ্ধ ছিল, বিরক্তিকর ফলাফলের সাথে যে সমীকরণগুলি একটি চলমান পর্যবেক্ষকের জন্য রূপ পরিবর্তন করেছিল। এই অসুবিধাগুলি আলবার্ট আইনস্টাইনকে বিশেষ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব প্রণয়নে অনুপ্রাণিত করেছিল; এই প্রক্রিয়ায় আইনস্টাইন একটি স্থির আলোকিত ইথারের প্রয়োগ করেছিলেন।[১০৯]
দৃশ্যমান রং
তৎকালীন অধিকাংশ পদার্থবিদদের পাশাপাশি ম্যাক্সওয়েলের মনোবিজ্ঞানের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। আইজ্যাক নিউটন এবং থমাস ইয়ং এর পদক্ষেপ অনুসরণ করে, তিনি দৃশ্যমান রং অধ্যয়নে বিশেষভাবে আগ্রহী ছিলেন। ১৮৫৫ থেকে ১৮৭২ সাল পর্যন্ত ম্যাক্সওয়েল রঙ, বর্ণ-অন্ধত্ব, এবং রঙ তত্ত্বের উপলব্ধি সম্পর্কিত তদন্তের একটি সিরিজ প্রকাশ করেন এবং "অন দ্য থিওরি অফ কালার ভিশন" এর জন্য রামফোর্ড পদক লাভ করেন।[১১০]
আইজ্যাক নিউটন প্রিজম ব্যবহার করে দেখিয়েছিলেন যে সাদা আলো, যেমন সূর্যালোক, অনেকগুলো একরঙা উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত যা আবার পরে সাদা আলোতে মিলিত হতে পারে।[১১১] নিউটন আরও দেখিয়েছিলেন যে হলুদ এবং লাল রং দিয়ে তৈরি একটি কমলা রঙ হুবহু একরঙা কমলা আলোর মতো দেখতে পারে , যদিও তা দুটি একরঙা হলুদ এবং লাল আলোর সমন্বয়ে গঠিত। তাই প্যারাডক্স, যা তৎকালীন পদার্থবিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করেছিল যে: দুটি জটিল আলো (একাধিক একরঙা আলোর সমন্বয়ে গঠিত) দেখতে একই রকম হতে পারে কিন্তু গঠনগতভাবে এগুলো ভিন্ন, যাকে বলা হয় মেটামার। থমাস ইয়ং পরে প্রস্তাব করেন যে এই প্যারাডক্সটি চোখে অনুভূত রঙের দ্বারা সীমিত সংখ্যক নালীর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে,যা তিনি তিনগুণ হওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন[১১২], ট্রাইক্রোম্যাটিক রঙ তত্ত্ব। ম্যাক্সওয়েল ইয়ং এর তত্ত্ব প্রমাণ করার জন্য সম্প্রতি উন্নয়নকৃত রৈখিক বীজগণিত ব্যবহার করেছিলেন। যে কোনো একরঙা আলো উদ্দীপক, তিনটি রিসেপ্টর তিনটি ভিন্ন একরঙা আলোর সেট দ্বারা সমানভাবে উদ্দীপিত হতে সক্ষম হওয়া উচিত (এমনকি, তিনটি ভিন্ন আলোর যে কোনো সেট দ্বারা)। তিনি রঙ মেলানো পরীক্ষা এবং বর্ণমিতির উদ্ভাবন করেছেন।[১১৩]
ম্যাক্সওয়েল রঙিন ফটোগ্রাফিতে তার রঙ উপলব্ধির তত্ত্ব প্রয়োগ করতে আগ্রহী ছিলেন,। রঙের উপলব্ধি তার মনস্তাত্ত্বিক কাজ থেকে সরাসরি উদ্ভূত ছিল: যদি যেকোন তিনটি আলোর যোগফল কোন বোধগম্য রঙের পুনরুত্পাদন করতে পারে, তাহলে তিনটি রঙিন ফিল্টারের একটি সেট দিয়ে রঙিন ফটোগ্রাফ তৈরি করা যেতে পারে। তার ১৮৫৫ সালের গবেষণাপত্রে, ম্যাক্সওয়েল প্রস্তাব করেছিলেন যে, যদি একটি দৃশ্যের তিনটি সাদা-কালো ফটোগ্রাফ লাল, সবুজ এবং নীল ফিল্টারের মাধ্যমে তোলা হয় এবং তিনটি প্রজেক্টর দিয়ে সজ্জিত চিত্রগুলির স্বচ্ছ প্রিন্টগুলি একটি স্ক্রিনে অনুরূপ ফিল্টার দিয়ে প্রজেক্ট করা হয় এবং যখন পর্দায় সুপারইম্পোজ করা হয় তখন ফলাফলটি দৃশ্যের সমস্ত রঙের সম্পূর্ণ পুনরুৎপাদন হিসাবে মানুষের চোখ দ্বারা অনুভূত হয়।[১১৪]
১৮৬১ সালে রয়্যাল ইনস্টিটিউশনে রঙ তত্ত্বের একটি বক্তৃতা দেওয়ার সময়, ম্যাক্সওয়েল তিন রঙের বিশ্লেষণ এবং সংশ্লেষণের এই নীতির মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম রঙিন ফটোগ্রাফির প্রদর্শনী উপস্থাপন করেন। সিঙ্গেল-লেন্স রিফ্লেক্স ক্যামেরার উদ্ভাবক টমাস সাটন ছবিটি তুলেছিলেন। তিনি লাল, সবুজ এবং নীল ফিল্টারের মাধ্যমে তিনবার একটি টার্টান ফিতার ছবি তোলেন, এছাড়াও একটি হলুদ ফিল্টারের মাধ্যমে চতুর্থ ছবি তোলেন, যা ম্যাক্সওয়েলের বর্ণনা অনুসারে, প্রদর্শনীতে ব্যবহার করা হয়নি। যেহেতু সাটনের ফটোগ্রাফিক প্লেটগুলি লালের প্রতি সংবেদনশীল ছিল এবং সবুজের প্রতি সংবেদনশীল ছিল না, তাই এই অগ্রগামী পরীক্ষার ফলাফলগুলোও নিখুঁত ছিল না। বক্তৃতার প্রকাশিত বিবরণে এটি মন্তব্য করা হয়েছিল যে "লাল এবং সবুজ ছবিগুলি যদি নীলের মতো সম্পূর্ণরূপে ছবি তোলা হত", তবে এটি "রিব্যান্ডের সত্যিকারের রঙিন চিত্র হত ৷ কম অপসারণযোগ্য রশ্মির মাধ্যমে ফটোগ্রাফিক সামগ্রীগুলিকে আরও সংবেদনশীল খুঁজে বের করলে বস্তুর রঙের উপস্থাপনা আরও অনেক উন্নত হতে পারতো।[৬৯][১১৫][১১৬] ১৯৬১ সালে গবেষকরা এই পরিণতিতে পৌঁছেছিলেন যে লাল-ফিল্টারযুক্ত এক্সপোজারের অতিবেগুনী আলোর কারণে আপাতদৃষ্টিতে আংশিক অসম্ভব সাফল্য হয়েছিল ,যা কিছু লাল রঞ্জক দ্বারা দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত হয়, আর এই ব্যবহৃত লাল ফিল্টার দ্বারা সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ নয় এবং ভিজা কোলোডিয়ন প্রক্রিয়ার সংবেদনশীলতার সেই সীমার মধ্যে যেখানে সাটন নিযুক্ত।[১১৭]
গতিগত তত্ত্ব এবং তাপগতিবিদ্যা
ম্যাক্সওয়েল গ্যাসের গতিতত্ত্বও পরীক্ষা করেছিলেন। ড্যানিয়েল বার্নোলির সাথে উদ্ভূত, এই তত্ত্বটি জন হেরাপথ, জন জেমস ওয়াটারস্টন, জেমস জুল এবং বিশেষ করে রুডলফ ক্লসিয়াসের ধারাবাহিক শ্রম দ্বারা এমনভাবে উন্নত হয়েছিল যে এর সাধারণ নির্ভুলতা সন্দেহের বাইরে ছিল; কিন্তু এটি ম্যাক্সওয়েলের কাছ থেকে ব্যাপক বিকাশ লাভ করেছে, যিনি এই ক্ষেত্রে একজন পরীক্ষার্থীর (বায়বীয় ঘর্ষণ আইনের উপর) পাশাপাশি একজন গণিতবিদ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।[১১৮]
১৮৫৯ এবং ১৮৬৬ সালের মধ্যে, তিনি একটি গ্যাসের কণার মধ্যে বেগের বণ্টনের তত্ত্ব তৈরি করেছিলেন, কাজটি পরে লুডভিগ বোল্টজম্যান দ্বারা সাধারণীকরণ করা হয়েছিল।[১১৯][১২০] ম্যাক্সওয়েল-বোল্টজম্যান ডিস্ট্রিবিউশন নামক সূত্রটি যে কোনো তাপমাত্রায় একটি নির্দিষ্ট বেগে চলমান গ্যাসের অণুর ভগ্নাংশ দেয়। গতি তত্ত্বে, তাপমাত্রা এবং তাপ শুধুমাত্র আণবিক গতির সাথে জড়িত। এই পদ্ধতিটি থার্মোডাইনামিক্সের পূর্বে প্রতিষ্ঠিত আইনগুলিকে সাধারণীকরণ করেছে এবং বিদ্যমান পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষাগুলোকে পূর্বের অর্জনের চেয়ে আরও ভাল উপায়ে ব্যাখ্যা করেছে। তাপগতিবিদ্যার উপর তার কাজ তাকে ম্যাক্সওয়েলের ডেমন নামে পরিচিত একটি পরীক্ষা তৈরি করতে পরিচালিত করেছিল, যেখানে শক্তি দ্বারা কণা বাছাই করতে সক্ষম একটি কাল্পনিক সত্তা দ্বারা তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় আইনকে লঙ্ঘন করা হয়।[১২১]
১৮৭১ সালে ম্যাক্সওয়েল, ম্যাক্সওয়েলের থার্মোডাইনামিক সম্পর্ক স্থাপন করেন, যা বিভিন্ন থার্মোডাইনামিক ভেরিয়েবলের সাপেক্ষে থার্মোডাইনামিক সম্ভাব্যতার দ্বিতীয় ডেরিভেটিভের মধ্যে সমতার বিবৃতি প্রদান করে। ১৮৭৪ সালে, তিনি আমেরিকান বিজ্ঞানী জোসিয়াহ উইলার্ড গিবসের গ্রাফিকাল থার্মোডাইনামিক কাগজপত্রের উপর ভিত্তি করে ফেজ ট্রানজিশন অন্বেষণ করার উপায় হিসাবে একটি প্লাস্টার থার্মোডাইনামিক ভিজ্যুয়ালাইজেশন তৈরি করেছিলেন।[১২২][১২৩]
নিয়ন্ত্রণ তত্ত্ব
ম্যাক্সওয়েল, প্রসিডিংস অফ দ্য রয়্যাল সোসাইটিতে "অন গভর্নরস" গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছেন, খণ্ড ১৬ (১৮৬৭-১৮৬৮)।[১২৪] এই গবেষণাপত্রটিকে নিয়ন্ত্রণ তত্ত্বের প্রাথমিক দিনগুলির একটি কেন্দ্রীয় গবেষণাপত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়।[১২৫] এখানে "গভর্নর" বলতে গভর্নর বা কেন্দ্রাতিগ গভর্নরকে বোঝায় যা বাষ্প ইঞ্জিনগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়।
উত্তরাধিকার
রচনাসমূহ
- ম্যাক্সওয়েল, জেমস ক্লার্ক (১৮৭৩), A treatise on electricity and magnetism Vol I, অক্সফোর্ড : ক্লারেন্ডন প্রেস
- ম্যাক্সওয়েল, জেমস ক্লার্ক (১৮৭৩), A treatise on electricity and magnetism Vol II, অক্সফোর্ড : ক্লারেন্ডন প্রেস
- ম্যাক্সওয়েল, জেমস ক্লার্ক (১৮৮১), An Elementary treatise on electricity, অক্সফোর্ড : ক্লারেন্ডন প্রেস
- ম্যাক্সওয়েল, জেমস ক্লার্ক (১৮৯০), The scientific papers of James Clerk Maxwell Vol I, ডোভার পাবলিকেশন
- ম্যাক্সওয়েল, জেমস ক্লার্ক (১৮৯০), The scientific papers of James Clerk Maxwell Vol II, ক্যামব্রিজ, ইউনিভার্সিটি প্রেস
- ম্যাক্সওয়েল, জেমস ক্লার্ক (১৯০৮), Theory of heat, লং মেনস গ্রীন কো[১২৬]
- এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকায় ম্যাক্সওয়েলের তিনটি অবদান নবম সংস্করণে (১৮৭৮) প্রকাশিত হয়েছে: পরমাণু[১২৭], আকর্ষণ[১২৮] ও ইথার[১২৯]; এবং একাদশ সংস্করণে তিনটি (১৯১১): ক্যাপিলারি অ্যাকশন[১৩০], ডায়াগ্রাম[১৩১], এবং ফ্যারাডে, মাইকেল[১৩২]।
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ গ ঘ O'Connor, J.J.; Robertson, E.F. (নভেম্বর ১৯৯৭)। "James Clerk Maxwell"। School of Mathematical and Computational Sciences University of St Andrews। ৫ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০২১।
- ↑ "Topology and Scottish mathematical physics"। University of St Andrews। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- ↑ Nahin, P.J. (১৯৯২)। "Maxwell's grand unification"। IEEE Spectrum। 29 (3): 45। এসটুসিআইডি 28991366। ডিওআই:10.1109/6.123329।
- ↑ ক খ Maxwell, James Clerk (১৮৬৫)। "A dynamical theory of the electromagnetic field" (পিডিএফ)। Philosophical Transactions of the Royal Society of London। 155: 459–512। এসটুসিআইডি 186207827। ডিওআই:10.1098/rstl.1865.0008। বিবকোড:1865RSPT..155..459C। ২৮ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। (This article accompanied an 8 December 1864 presentation by Maxwell to the Royal Society. His statement that "light and magnetism are affections of the same substance" is at page 499.)
- ↑ Tapan K. Sakar, Magdalena Salazar-Palma, Dipak L. Sengupta; James Clerk Maxwell: The Founder of Electrical Engineering; 2010 Second Region 8 IEEE Conference on the History of Communications;IEEE
- ↑ Tolstoy, Ivan (১৯৮১)। James Clerk Maxwell : a biography। Chicago: University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 2। আইএসবিএন 0-226-80785-1। ওসিএলসি 8688302।
- ↑ "Einstein the greatest"। BBC News। BBC। ২৯ নভেম্বর ১৯৯৯। ১১ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ McFall, Patrick (২৩ এপ্রিল ২০০৬)। "Brainy young James wasn't so daft after all"। The Sunday Post। maxwellyear2006.org। ২০ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৩।
- ↑ Mary Shine Thompson, 2009, The Fire l' the Flint, p. 103; Four Courts
- ↑ "Early day motion 2048"। UK Parliament। ৩০ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Harman 2004, পৃ. 506
- ↑ Waterston ও Macmillan Shearer 2006, পৃ. 633
- ↑ Laidler, Keith James (২০০২)। Energy and the Unexpected। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 49। আইএসবিএন 978-0-19-852516-5। ২৪ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ Maxwell, James Clerk (২০১১)। "Preface"। The Scientific Papers of James Clerk Maxwell। আইএসবিএন 978-1-108-01225-6। ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "Jemima Blackburn"। Gazetteer for Scotland। ১২ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "William Dyce Cay"। scottisharchitects.org.uk। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Tolstoy, Ivan (১৯৮১)। James Clerk Maxwell : a biography। Chicago: University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 11। আইএসবিএন 0-226-80785-1। ওসিএলসি 8688302।
- ↑ Campbell 1882, পৃ. 1
- ↑ Mahon 2003, পৃ. 186–187
- ↑ Tolstoy, Ivan (১৯৮১)। James Clerk Maxwell : a biography। Chicago: University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 13। আইএসবিএন 0-226-80785-1। ওসিএলসি 8688302।
- ↑ Mahon 2003, পৃ. 3
- ↑ Campbell 1882, পৃ. 27
- ↑ ক খ Tolstoy, Ivan (১৯৮১)। James Clerk Maxwell : a biography। Chicago: University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 15–16। আইএসবিএন 0-226-80785-1। ওসিএলসি 8688302।
- ↑ Anthony F. Anderson (11 June 1981) Forces of Inspiration ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে, The New Scientist, pages 712,3 via Google Books
- ↑ Campbell 1882, পৃ. 19–21
- ↑ ক খ গ Mahon 2003, পৃ. 12–14
- ↑ ক খ Mahon 2003, পৃ. 10
- ↑ Mahon 2003, পৃ. 4
- ↑ Campbell 1882, পৃ. 23–24
- ↑ ক খ Campbell 1882, পৃ. 43
- ↑ ক খ Gardner 2007, পৃ. 46–49
- ↑ "Key dates in the life of James Clerk Maxwell"। James Clerk Maxwell Foundation। www.clerkmaxwellfoundation.org/। ৫ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২০। - accessed 12 March 2020
- ↑ ক খ Mahon 2003, পৃ. 16
- ↑ ক খ Harman 2004, পৃ. 662
- ↑ Tolstoy 1982, পৃ. 46
- ↑ Campbell 1882, পৃ. 64
- ↑ Mahon 2003, পৃ. 30–31
- ↑ Timoshenko 1983, পৃ. 58
- ↑ Russo 1996, পৃ. 73
- ↑ Timoshenko 1983, পৃ. 268–278
- ↑ Glazebrook 1896, পৃ. 23
- ↑ Glazebrook 1896, পৃ. 28
- ↑ Glazebrook 1896, পৃ. 30
- ↑ ক খ "James Clerk Maxwell and the Christian Proposition"। MIT IAP Seminar। ২৫ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ Warwick 2003, পৃ. 84–85
- ↑ Tolstoy 1982, পৃ. 62
- ↑ Harman 1998, পৃ. 3
- ↑ Tolstoy 1982, পৃ. 61
- ↑ ক খ Mahon 2003, পৃ. 47–48
- ↑ ক খ Mahon 2003, পৃ. 51
- ↑ ক খ গ Tolstoy 1982, পৃ. 64–65. The full title of Maxwell's paper was "Experiments on colour, as perceived by the eye, with remarks on colour-blindness".
- ↑ ক খ Glazebrook 1896, পৃ. 43–46
- ↑ "James Clerk Maxwell"। The Science Museum, London। ৩১ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ ক খ Campbell 1882, পৃ. 126
- ↑ ক খ Mahon 2003, পৃ. 69–71
- ↑ Harman 1998, পৃ. 48–53
- ↑ ক খ Harman 2004, পৃ. 508
- ↑ "On the stability of the motion of Saturn's rings"। ১৬ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৪।
- ↑ Mahon 2003, পৃ. 75
- ↑ "James Clerk Maxwell (1831–1879)"। National Library of Scotland। ৬ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Goodbye to Saturn's Rings"। EarthSky। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "Very Rev. Daniel Dewar DD (I20494)"। Stanford University। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ James Clerk Maxwell and Katherine Mary Dewar marriage certificate, Family History Library film #280176, district 168/2 (Old Machar, Aberdeen), page 83, certificate No. 65.
- ↑ Maxwell 2001, পৃ. 351
- ↑ Tolstoy 1982, পৃ. 88–91
- ↑ Glazebrook 1896, পৃ. 54
- ↑ Tolstoy 1982, পৃ. 98
- ↑ "James Clerk Maxwell Foundation" (পিডিএফ)। James Clerk Maxwell Foundation। ১৯ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৫।
- ↑ ক খ Tolstoy 1982, পৃ. 103
- ↑ Tolstoy 1982, পৃ. 100–101
- ↑ Mahon 2003, পৃ. 109
- ↑ Maxwell, J.C. (1868),"On governors", from the proceedings of the Royal Society, No. 100
- ↑ Maxwell, J. Clerk (২০১৩)। "I.—On Reciprocal Figures, Frames, and Diagrams of Forces"। Transactions of the Royal Society of Edinburgh। 26: 1–40। এসটুসিআইডি 123687168। ডিওআই:10.1017/S0080456800026351। ১২ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Crapo, Henry (১৯৭৯)। "Structural rigidity" (পিডিএফ)। Structural Topology (1): 26–45। ২৩ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Lestienne, Rémy (১৯৯৮)। The Creative Power of Chance। University of Illinois Press। পৃষ্ঠা 20–21। আইএসবিএন 978-0-252-06686-3।
- ↑ "The Cavendish Professorship of Physics"। University of Cambridge, Department of Physics। ৩ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৩।
- ↑ Moralee, Dennis। "The Old Cavendish – "The First Ten Years""। University of Cambridge Department of Physics। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৩।
- ↑ Jones, Roger (২০০৯)। What's Who?: A Dictionary of Things Named After People and the People They are Named After। পৃষ্ঠা 40। আইএসবিএন 978-1-84876-047-9। ২০ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "APS Member History"। search.amphilsoc.org। ৫ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২১।
- ↑ Campbell, Lewis (১৮৮২)। The life of James Clerk Maxwell। London: Macmillan। পৃষ্ঠা 411। ২১ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "James Clerk Maxwell Foundation" (পিডিএফ)। ২৭ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৩।
- ↑ "Parton & Sam Callander"। James Clerk Maxwell Foundation। ২ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৩।
- ↑ Campbell, Lewis (২০১০)। The Life of James Clerk Maxwell: With a Selection from His Correspondence and Occasional Writings and a Sketch of His Contributions to Science। আইএসবিএন 978-1-108-01370-3। ২৯ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Campbell, Lewis (১৮৮২)। The Life of James Clerk Maxwell: With a Selection from His Correspondence and Occasional Writings and a Sketch of His Contributions to Science (1 সংস্করণ)। London: Macmillan। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ Maxwell, James Clerk (২০১১)। The Scientific Papers of James Clerk Maxwell। আইএসবিএন 978-1-108-01225-6। ২ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Maxwell, James Clerk (১৯৯০)। Harman, P. M., সম্পাদক। The Scientific Letters and Papers of James Clerk Maxwell: 1846-1862। পৃষ্ঠা xviii। আইএসবিএন 9780521256254। ১২ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ 'The Abbey Scientists' Hall, A.R. p58: London; Roger & Robert Nicholson; 1966
- ↑ Seitz, Frederick। "James Clerk Maxwell (1831–1879); Member APS 1875" (পিডিএফ)। Philadelphia: The American Philosophical Society। ১৮ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১১।
- ↑ "Rigid Body Sings"। Haverford College। ৪ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০১৩।
- ↑ "Selected Poetry of James Clerk Maxwell (1831–1879)"। University of Toronto Libraries। ৭ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ Klein, Maury (২০১০)। The Power Makers: Steam, Electricity, and the Men Who Invented Modern America। পৃষ্ঠা 88। আইএসবিএন 978-1-59691-834-4। ৮ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "The Aberdeen university review"। The Aberdeen University Review। The Aberdeen University Press। III। ১৯১৬। ২৫ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Jerrold, L. McNatt (৩ সেপ্টেম্বর ২০০৪)। "James Clerk Maxwell's Refusal to Join the Victoria Institute" (পিডিএফ)। American Scientific Affiliation। ৭ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৩।
- ↑ Marston, Philip L. (২০০৭)। "Maxwell and creation: Acceptance, criticism, and his anonymous publication"। American Journal of Physics। 75 (8): 731–740। ডিওআই:10.1119/1.2735631। বিবকোড:2007AmJPh..75..731M।
- ↑ ক খ Theerman, Paul (১৯৮৬)। "James Clerk Maxwell and religion"। American Journal of Physics। 54 (4): 312–317। ডিওআই:10.1119/1.14636। বিবকোড:1986AmJPh..54..312T।
- ↑ Hutchinson, Ian (২০০৬) [January 1998]। "James Clerk Maxwell and the Christian Proposition"। ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০১৩।
- ↑ Maxwell, James Clerk (১৮৫৫)। "On Faraday's Lines of Force"। Transactions of the Cambridge Philosophical Society। 10 (1): 27–83। ১৭ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৩ – blazelabs.com-এর মাধ্যমে।
- ↑ "1861: James Clerk Maxwell's greatest year"। King's College London। ১৮ এপ্রিল ২০১১। ২২ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৩।
- ↑ "ECEN3410 Electromagnetic Waves" (পিডিএফ)। University of Colorado। ১৭ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৩।
- ↑ "Year 13 – 1873: A Treatise on Electricity and Magnetism by James Clerk Maxwell"। 150 Years in the Stacks। MIT Libraries। ৭ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৩।
- ↑ Nahin, Paul J. (১৩ নভেম্বর ২০০২)। Oliver Heaviside: The Life, Work, and Times of an Electrical Genius of the Victorian Age (ইংরেজি ভাষায়)। JHU Press। পৃষ্ঠা 109। আইএসবিএন 978-0-8018-6909-9। ২৭ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২০।
- ↑ Hunt, B.J. (১৯৯১)। The Maxwellians। Cornell University Press। পৃষ্ঠা 165–6। আইএসবিএন 0-8014-8234-8।
- ↑ Eyges 1972, §11.6.
- ↑ Barrett ও Grimes 1995, পৃ. 7–8
- ↑ Wheen, Andrew (২০১০)। Dot-Dash to Dot.Com: How Modern Telecommunications Evolved from the Telegraph to the Internet। পৃষ্ঠা 86। আইএসবিএন 978-1-4419-6760-2। ১৭ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Edwards, Steven A. (অক্টোবর ১২, ২০১২)। "Heinrich Hertz and electromagnetic radiation"। American Association for the Advancement of Science।
- ↑ ক খ Johnson, Kevin (মে ২০০২)। "The Electromagnetic Field"। University of St Andrews। ২৭ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৩।
- ↑ Michelson, Albert Abraham; Morley, Edward Williams (১৮৮৭)। "On the Relative Motion of the Earth and the Luminiferous Ether"। American Journal of Science। 34 (203): 333–345। এসটুসিআইডি 124333204। ডিওআই:10.2475/ajs.s3-34.203.333। বিবকোড:1887AmJS...34..333M। ১ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ Einstein, Albert। "Ether and the Theory of Relativity"। ২১ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ Johnson, Kevin (মে ২০১২)। "Colour Vision"। University of St Andrews। ১১ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৩।
- ↑ Newton, Isaac (১৭০৪)। Opticks: or a treatise of the reflexions, refractions, inflexions and colours of light। London: Printed for Sam. Smith, and Benj. Walford, Printers to the Royal Society, at the Prince's Arms in St. Paul's Church-yard। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Young, Thomas (১৮০৪)। "Bakerian Lecture: Experiments and calculations relative to physical optics"। Philosophical Transactions of the Royal Society। 94: 1–16। এসটুসিআইডি 110408369। ডিওআই:10.1098/rstl.1804.0001 । বিবকোড:1804RSPT...94....1Y। ২৭ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Maxwell, James Clerk (১৮৫৭)। "XVIII.—Experiments on Colour, as perceived by the Eye, with Remarks on Colour-Blindness"। Transactions of the Royal Society of Edinburgh। Royal Society of Edinburgh। 21 (2): 275–298। এসটুসিআইডি 123930770। ডিওআই:10.1017/S0080456800032117। ১ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০২০।
- ↑ Maxwell, James Clerk (১৮৫৫)। "Experiments on Colour, as Perceived by the Eye, with Remarks on Colour-Blindness"। Transactions of the Royal Society of Edinburgh। 21 (2): 275–298। এসটুসিআইডি 123930770। ডিওআই:10.1017/S0080456800032117। ১ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০২০। (This thought-experiment is described on pages 283–284. The short-wavelength filter is specified as "violet", but during the 19th century "violet" could be used to describe a deep violet-blue such as the colour of cobalt glass.)
- ↑ Maxwell, J. Clerk (২০১১) [1890]। "On the Theory of Three Primary Colours"। The Scientific Papers of James Clerk Maxwell। 1। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 445–450। আইএসবিএন 978-0-511-69809-5। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৩।
- ↑ Maxwell, J. Clerk (১৮৬১)। "The Theory of the Primary Colours"। The British Journal of Photography। ১২ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৩।
- ↑ Evans, R. (নভেম্বর ১৯৬১)। "Maxwell's Color Photography"। Scientific American। 205 (5): 117–128। ডিওআই:10.1038/scientificamerican1161-118। বিবকোড:1961SciAm.205e.118E।
- ↑ "Archives Biographies: James Clerk Maxwell"। The Institution of Engineering and Technology। ২৭ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৩।
- ↑ Hill, Melanie। "The Maxwell–Boltzmann distribution" (পিডিএফ)। Georgia Institute of Technology। ৩ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ Xiang, Hong Wei (২০০৫)। The Corresponding-States Principle and its Practice: Thermodynamic, Transport and Surface Properties of Fluids। পৃষ্ঠা 51। আইএসবিএন 978-0-08-045904-2। ১২ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Merali, Zeeya (১৪ নভেম্বর ২০১০)। "Demonic device converts information to energy"। Nature News (ইংরেজি ভাষায়)। ডিওআই:10.1038/news.2010.606। ১৯ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ West, Thomas G. (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯)। "James Clerk Maxwell, Working in Wet Clay"। SIGGRAPH Computer Graphics Newsletter। 33 (1): 15–17। এসটুসিআইডি 13968486। ডিওআই:10.1145/563666.563671। ১৯ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৩।
- ↑ Cropper, William H. (২০০৪)। Great Physicists: The Life and Times of Leading Physicists from Galileo to Hawking। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 118। আইএসবিএন 978-0-19-517324-6। ৩ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Maxwell, James Clerk (১৮৬৮)। "On Governors"। Proceedings of the Royal Society of London। 16: 270–283। জেস্টোর 112510। ডিওআই:10.1098/rspl.1867.0055 ।
- ↑ Mayr, Otto (১৯৭১)। "Maxwell and the Origins of Cybernetics"। Isis। 62 (4): 424–444। এসটুসিআইডি 144250314। ডিওআই:10.1086/350788।
- ↑ See also: Maxwell, James Clerk (২০০১)। Theory of Heat (9th সংস্করণ)। Courier Dover Publications। আইএসবিএন 978-0-486-41735-6। ৬ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "Atom"। Encyclopædia Britannica। III (9th সংস্করণ)। ১৮৭৮। পৃষ্ঠা 36–49।
- ↑ "Attraction"। Encyclopædia Britannica। III (9th সংস্করণ)। ১৮৭৮। পৃষ্ঠা 63–65।
- ↑ "Ether (2.)"। Encyclopædia Britannica। VIII (9th সংস্করণ)। ১৮৭৮।
- ↑ "Capillary_Action"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ। 05 (১১তম সংস্করণ)। ১৯১১।
- ↑ "Diagram"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ। 08 (১১তম সংস্করণ)। ১৯১১।
- ↑ "Faraday, Michael"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ। 10 (১১তম সংস্করণ)। ১৯১১।
আরও দেখুন
- Barrett, Terence William; Grimes, Dale Mills (১৯৯৫)। Advanced Electromagnetism: Foundations, Theory and Applications। World Scientific। আইএসবিএন 978-981-02-2095-2।
- Duhem, Pierre Maurice Marie (২০১৫)। The Electric Theories of J. Clerk Maxwell। Boston Studies in the Philosophy and History of Science। 314। Aversa, Alan কর্তৃক অনূদিত। Springer। আইএসবিএন 978-3-319-18515-6। ডিওআই:10.1007/978-3-319-18515-6। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫।
- Campbell, Lewis; Garnett, William (১৮৮২)। The Life of James Clerk Maxwell (পিডিএফ)। Edinburgh: MacMillan। ওসিএলসি 2472869।
- Eyges, Leonard (১৯৭২)। The Classical Electromagnetic Field। New York: Dover। আইএসবিএন 9780486639475।
- Gardner, Martin (২০০৭)। The Last Recreations: Hydras, Eggs, and Other Mathematical Mystifications। Springer-Verlag। আইএসবিএন 978-0-387-25827-0।
- Glazebrook, R.T. (১৮৯৬)। James Clerk Maxwell and Modern Physics। 811951455। ওসিএলসি 811951455।
- Harman, Peter M. (১৯৯৮)। The Natural Philosophy of James Clerk Maxwell। Cambridge University Press। আইএসবিএন 0-521-00585-X।
- Harman, Peter M. (২০০৪)। "Maxwell, James"। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অব ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি (অনলাইন সংস্করণ)। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। ডিওআই:10.1093/ref:odnb/5624। (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন।)
- Mahon, Basil (২০০৩)। The Man Who Changed Everything – the Life of James Clerk Maxwell। Wiley। আইএসবিএন 0-470-86171-1।
- Porter, Roy (২০০০)। Hutchinson Dictionary of Scientific Biography। Hodder Arnold H&S। আইএসবিএন 978-1-85986-304-6। ওসিএলসি 59409209।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- Russo, Remigio (১৯৯৬)। Mathematical Problems in Elasticity। World Scientific। আইএসবিএন 981-02-2576-8।
- Tait, Peter Guthrie (১৯১১)। "Maxwell, James Clerk"। চিসাম, হিউ। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ। 17 (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস।
- Timoshenko, Stephen (১৯৮৩)। History of Strength of Materials। Courier Dover। আইএসবিএন 978-0-486-61187-7।
- Tolstoy, Ivan (১৯৮২)। James Clerk Maxwell: A Biography। University of Chicago Press। আইএসবিএন 0-226-80787-8। ওসিএলসি 8688302।
- Warwick, Andrew (২০০৩)। Masters of Theory: Cambridge and the Rise of Mathematical Physics। University of Chicago Press। আইএসবিএন 0-226-87374-9।
- Waterston, Charles D; Macmillan Shearer, A. (জুলাই ২০০৬)। Former Fellows of the Royal Society of Edinburgh 1783–2002: Biographical Index (পিডিএফ)। II। Edinburgh: The Royal Society of Edinburgh। আইএসবিএন 978-0-902198-84-5।
- Wilczek, Frank (২০১৫)। "Maxwell I: God's Esthetics. II: The Doors of Perception"। A Beautiful Question: Finding Nature's Deep Design। Allen Lane। পৃষ্ঠা 117–164। আইএসবিএন 978-0-7181-9946-3।
বহিঃসংযোগ
- ন্যাশনাল পোট্রেট গ্যালারি, লন্ডনে জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল-এর পোট্রেট
- গুটেনবের্গ প্রকল্পে James Clerk Maxwell-এর সাহিত্যকর্ম ও রচনাবলী (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট আর্কাইভে জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল কর্তৃক কাজ বা সম্পর্কে তথ্য
- লিব্রিভক্সের পাবলিক ডোমেইন অডিওবুকসে জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল
- ও'কনর, জন জে.; রবার্টসন, এডমুন্ড এফ., "জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল", ম্যাকটিউটর গণিতের ইতিহাস আর্কাইভ, সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয় ।
- "Genealogy and Coat of Arms of James Clerk Maxwell (1831–1879)"। Numericana।
- "The James Clerk Maxwell Foundation"।
- "Maxwell, James Clerk (Maxwell's last will and testament)"। scotlandspeople.gov.uk। ৩১ মে ২০১৩। ৩০ ডিসেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০০৮।
- "The Published Scientific Papers and Books of James Clerk Maxwell" (পিডিএফ)। Clerk Maxwell Foundation।
- "Bibliography" (পিডিএফ)। Clerk Maxwell Foundation।
- James Clerk Maxwell, "Experiments on colour as perceived by the Eye, with remarks on colour-blindness". Proceedings of the Royal Society of Edinburgh, vol. 3, no. 45, pp. 299–301. (digital facsimile from the Linda Hall Library)
- Maxwell, BBC Radio 4 discussion with Simon Schaffer, Peter Harman & Joanna Haigh (In Our Time, 2 October 2003)
- Scotland's Einstein: James Clerk Maxwell - The Man Who Changed the World, BBC Two documentary 2015.