অতিবেগুনী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বৈদ্যুতিক ওয়েল্ডা থেকে ইউভি রশ্মি নির্গত হয়, ওয়েল্ডার যিনি করেন তিনি অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে বাঁচাতে আই প্রোটেক্টর ব্যবহার করেন

অতিবেগুনী রশ্মি এক ধরনের তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণ যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য দৃশ্যমান আলোর চেয়ে ছোটো এবং রঞ্জন রশ্মির চেয়ে বড়। এই রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১০ ন্যানোমিটার থেকে ৪০০ ন্যানোমিটার এবং শক্তি ৩ ইলেকট্রন-ভোল্ট থেকে ১২৪ ইলেকট্রন-ভোল্ট।

অতীবেগুনী রশ্মির ব্যবহার[সম্পাদনা]

তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনুসারে[১]

  • ৩০-২০০ ন্যানোমিটার:UV-ফটোইলেকট্রন স্পেকট্রোস্কোপি
  • ২৩০-৩৬৫ ন্যানোমিটার: UV-পরিচয়পত্র, বারকোড, লেবেল সনাক্তকরণ।
  • ২৩০-৩৮০ ন্যানোমিটার: আলোক সম্বন্ধীয় সেন্সর, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরী্তে।
  • ২৪০-২৮০ ন্যানোমিটার: জীবাণুনিরোধ, জিনিসপত্রের আবরণ এবং পানির পরিশোধন (সবোচ্চ ডিএনএ পরিশোষণ হয় ২৬০ ন্যানোমিটার)।
  • ২০০-৪০০ ন্যানোমিটার: ফরেন্সিক বিশ্লেষণ, মাদক সনাক্তকরণ।
  • ২৭০-৩৬০ ন্যানোমিটার: প্রোটিন বিশ্লেষণ, ডিএনএ সংশ্লেষণ, ঔষধ আবিষ্কার।
  • ২৮০-৪০০ ন্যানোমিটার: কোষের চিকিৎসা-শাস্ত্রগত‌ ইমেজিং।
  • ৩০০-৪০০ ন্যানোমিটার: Solid-state lighting
  • ৩০০-৩৬৫ ন্যানোমিটার: পলিমারের সংস্কার এবং মুদ্রণযন্ত্রের কালি।
  • ৩০০-৩২০ ন্যানোমিটার: আলোক নিরাময় চিকিৎসা।
  • ৩৫০-৩৭০ ন্যানোমিটার: পোকা আকৃষ্ট করতে (মাছি ৩৬৫ ন্যানোমিটার আলোতে সর্বাপেক্ষা আকর্ষিত হয়)।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "www.s-et.com"। ২০ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১০