বিষয়বস্তুতে চলুন

নিকি বোয়ে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিকি বোয়ে
২০০৯ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে নিকি বোয়ে
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
নিকো বোয়ে
জন্ম (1973-03-20) ২০ মার্চ ১৯৭৩ (বয়স ৫১)
ব্লুমফন্টেইন, অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
সম্পর্কইএইচএল বোয়ে (ভাই)
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯০-২০০২ফ্রি স্টেট
২০০২নটিংহ্যামশায়ার
২০০৪-২০০৭ঈগলস
২০০৭-নর্দাম্পটনশায়ার (জার্সি নং ১৭)
২০০৯-ওয়ারিয়র্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৪৩ ১১৫ ২১৬ ৩১১
রানের সংখ্যা ১৩১২ ১৪১৪ ৯০৮৭ ৪৩৪৬
ব্যাটিং গড় ২৫.২৩ ২৬.৬৭ ৩৪.৪২ ২৪.৯৭
১০০/৫০ ০/৪ ২/৪ ৮/৫৬ ২/১৭
সর্বোচ্চ রান ৮৫ ১২৯ ২২৬* ১২৯
বল করেছে ৮৬২০ ৪৫৪১ ৪৩,১৩৫ ১৩,০০৪
উইকেট ১০০ ৯৬ ৫৮৫ ২৯৪
বোলিং গড় ৪২.৬৫ ৩৫.৫৭ ৩২.৭০ ৩২.৪৭
ইনিংসে ৫ উইকেট ২২
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৫/৬২ ৫/২১ ৮/৯৩ ৫/২১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৮/- ৩৩/- ১২৫/- ৯৩/-
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬

নিকো নিকি বয়ে (/ˌbɔɪˈj/ boy-YAY; জন্ম: ২০ মার্চ, ১৯৭৩) অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট প্রদেশের ব্লুমফন্টেইনে জন্মগ্রহণকারী সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার। বর্তমানে নাইটস ক্রিকেট দলের কোচিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে ভূমিকা রাখেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফ্রি স্টেট, ঈগলস ও ওয়ারিয়র্স এবং কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ার ও নর্দাম্পটনশায়ারের পক্ষে খেলেছেন নিকি বোয়ে

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

ব্লুমফন্টেইনের গ্রে কলেজে অধ্যয়ন করেন তিনি। এছাড়াও, তার ভাই এডুয়ার্ড বোয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

২০০৭ মৌসুমের শেষদিকে কয়েক সপ্তাহের জন্য নর্দাম্পটনশায়ারের পক্ষে যোগ দেন। তিনি বিদেশী খেলোয়াড় যোহন ভন দার ওয়াথের পরিবর্তে খেলেন। কিছুদিন পর ঘোষণা করা হয় যে, তিনি বিচ্ছিন্ন ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে খেলবেন। ২০০৮ সালে নর্দাম্পটনশায়ারের অধিনায়ক ডেভিড সেলস পদত্যাগ করলে বোয়ে ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ঐ মৌসুমে তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার সর্বোচ্চ অপরাজিত ২২৬ রান তোলেন। ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ তারিখে একবছরের জন্য নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হন। এরফলে ক্লাবটি ২০১০ মৌসুমে শীর্ষস্থানে পৌঁছে।[]

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৯৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। কিন্তু আঘাতের কারণে প্রায়শঃই তিনি দলের বাইরে ছিলেন ও আরোগ্য লাভের পর অন্তর্ভুক্ত হতেন। এ সময়ে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম পছন্দের স্পিন বোলাররূপে আখ্যায়িত করা হতো। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে অল-রাউন্ডারের প্রাচুর্যতার কারণে সচরাচর তাকে আট কিংবা নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামতে হতো। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার ব্যাটিং গড় ৩২ হলেও টেস্ট ও ওডিআইয়ে এ গড় প্রায় ২৬ ছিল যা ২০০০-এর দশকে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ছিল। গড়পড়তা উচ্চমাত্রার গড় থাকা স্বত্ত্বেও তিনি সেঞ্চুরি করতে পারেননি। কিন্তু, ২০০০-০১ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দু’টি ওডিআই সেঞ্চুরি করতে সমর্থ হন।

ডিসেম্বর, ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। তিনি সর্বমোট ১০০ টেস্ট উইকেট দখল করেন। মাহেলা জয়াবর্ধনের উইকেট নিয়ে তিনি এ মাইলফলক স্পর্শ করেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]