তাইসির আল-জাসিম
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | তাইসির জাবের আল-জাসাম | ||
জন্ম | ২৫ জুলাই ১৯৮৪ | ||
জন্ম স্থান | আল-হাসা, সৌদি আরব | ||
উচ্চতা | ১.৭০ মিটার (৫ ফুট ৭ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | আল-আহলি | ||
জার্সি নম্বর | ৮ | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৯৫–২০০৩ | হাজের ক্লাব | ||
২০০৩–২০০৪ | আল-আহলি | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৪– | আল-আহলি | ২৩৭ | (৬১) |
২০০৭ | → আল-ঘারাফা (ধার) | ১৪ | (২) |
২০০৯ | → কাতার স্পোর্টস ক্লাব (ধার) | ২ | (১) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০৪– | সৌদি আরব | ১১৯[১] | (১৭) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ২১:০৫, ৯ জুন ২০১৭ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ২১:০৫, ৯ জুন ২০১৭ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
তাইসির জাবের আল-জাসাম (আরবি: تيسير جابر الجاسم, জন্ম: ২৫ জুলাই ১৯৮৪) হলেন সৌদি আরবের একজন ফুটবলার, যিনি বর্তমানে আল-আহলির হয়ে মধ্যমাঠের দায়িত্ব পালন করেন এবং আল-আহলি দলে অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেন। একই সাথে তিনি সৌদি আরবের হয়ে খেলেন।
২০০৬ সালে তার অভিষেকের পর থেকে, তাইসির আল-জাসিম জাতীয় দল এবং একই সাথে তার ক্লাবের স্কোয়াডে খেলা একজন নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিণত হন। তাইসির হচ্ছেন্নতাদ্র দলের জন্য একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তিনি গত ১০ বছরে সৌদি আরবের হয়ে খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পরিগণিত হন।
ক্লাব ক্যারিয়ার
[সম্পাদনা]আল আহলি
[সম্পাদনা]২০০৭ সালে, তাইসির আল-জাসিম ইতিহাদ ফুটবল ক্লাবের বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলায় গোল করার মাধ্যমে আল-আহলিকে সৌদি ফেডারেশন কাপ এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স কাপ জয়লাভ করতে সাহায্য করেছিলেন। একই সাথে ২০০৮ সালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত গালফ কাপে, তিনি এবং তার দল আল নাসরের বিরুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে কাপটি জয়লাভ করেন। তিনি ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলায় তার দলের জন্য সহায়ক ভুমিকা পালন করেছেন; একই সাথে তিনি তার দলকে ২০১১ এবং ২০১২ সালের কিংস কাপ অফ চ্যাম্পিয়নস জয়লাভ করতে সাহায্য করেছেন।
আল-ঘারাফাতে ধারে
[সম্পাদনা]২০০৭ সালে, তিনি আল-আহলি হতে আল-ঘারাফাতে ধারে চলে যান। সেখানে গিয়েও তিনি তার দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন যার ফলে তার দল কাতার স্টারস লিগে রানার-আপ হয়। উক্ত ম্যাচে তিনি একটি গোল করেছিলেন। এছাড়াও তিনি এমির কাপে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। অতঃপর তিনি পুনরায় তার পুরানো দল আল আহলিতে ফিরে যান।
কাতার স্পোর্টস ক্লাবে ধারে
[সম্পাদনা]২০০৯ সালের এমির কাপে, আল-রাইয়ানের বিপক্ষে একটি গোল করেন, অতঃপর উক্ত ম্যাচটি পেনাল্টিতে গড়ায় এবং সেখানে তারা ৩–৩ (৪–২) গোলে হেরে উক্ত আসর থেকে বিদায় নেয়। অতঃপর উক্ত প্রতিযোগিতা শেষ করে তিনি পুনরায় আল-আহলিতে যোগদান করে।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
[সম্পাদনা]আন্তর্জাতিক গোলসমূহ
[সম্পাদনা]- স্কোর এবং ফলাফলের তালিকায় সৌদি আরবের গোল ট্যালি প্রথমে উপস্থাপন করা হয়েছে।[১]
# | তারিখ | ভেন্যু | বিপক্ষ দল | স্কোর | ফলাফল | প্রতিযোগিতা |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২৭ জুন ২০০৭ | কালাং, সিঙ্গাপুর | সিঙ্গাপুর | ২–০ | ২–১ | প্রীতি ম্যাচ |
২ | ১৮ জুলাই ২০০৭ | পালেমব্যাং, ইন্দোনেশিয়া | বাহরাইন | ৩–০ | ৪–০ | ২০০৭ এএফসি এশিয়ান কাপ |
৩ | ৪–০ | |||||
৪ | ২ নভেম্বর ২০০৭ | রিয়াদ, সৌদি আরব | নামিবিয়া | ১–০ | ১–০ | প্রীতি ম্যাচ |
৫ | ৯ নভেম্বর ২০০৭ | জেদ্দা, সৌদি আরব | এস্তোনিয়া | 1–0 | 2–0 | |
৬ | ২৬ মে ২০০৯ | দোহা, কাতার | কাতার | ১–০ | ১–২ | |
৭ | ৯ অক্টোবর ২০১০ | জেদ্দা, সৌদি আরব | উজবেকিস্তান | ৩–০ | ৪–০ | |
৮ | ৯ জানুয়ারি ২০১১ | আল রাইয়ান, কাতার | সিরিয়া | ১–১ | ১–২ | ২০১১ এএফসি এশিয়ান কাপ |
৯ | ১৫ নভেম্বর ২০১৩ | দাম্মাম, সৌদি আরব | ইরাক | ১–০ | ২–১ | ২০১৫ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব |
১০ | ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | লন্ডন, ইংল্যান্ড | অস্ট্রেলিয়া | ২–৩ | ২–৩ | প্রীতি ম্যাচ |
১১ | ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | জেদ্দা, সৌদি আরব | পূর্ব তিমুর | ৫–০ | ৭–০ | ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব |
১২ | ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | শাহ আলম, মালয়েশিয়া | মালয়েশিয়া | ১–১ | ৩–০[২] | |
১৩ | ১৭ নভেম্বর ২০১৫ | দিলি, পূর্ব তিমুর | পূর্ব তিমুর | ৭–০ | ১০–০ | |
১৪ | ২৪ মার্চ ২০১৬ | জেদ্দা, সৌদি আরব | মালয়েশিয়া | ২–০ | ২–০ | |
১৫ | ২৯ মার্চ ২০১৬ | আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত | সংযুক্ত আরব আমিরাত | ১–০ | ১–১ | |
১৬ | ২৪ আগস্ট ২০১৬ | দোহা, কাতার | লাওস | ১–০ | ৪–০ | প্রীতি ম্যাচ |
১৭ | ৬ অক্টোবর ২০১৬ | জেদ্দা, সৌদি আরব | অস্ট্রেলিয়া | ১–০ | ২–২ | ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব |
খেলার ধরণ
[সম্পাদনা]তাইসির আল-জাসিমকে "বুদ্ধিমান", "কাল্পনিক", "টেকনিক্যালি প্রতিভাধর", "চমৎকার কাজে নীতিশাস্ত্রবান" হিসেবে বিশেষিত করা হয়। তার শক্তিসমূহ হলো: শুট করা, বিশেষ করে দূরবর্তী দুরত্ব থেকে শুট করা, ড্রিবল করা, এবং পাস দেওয়া। তিনি মধ্য মাঠের প্রায় সকল স্থানে খেলার জন্য উৎকৃষ্ট কিন্তু তিনি লক্ষণীয়ভাবে হচ্ছেন একজন আক্রমণাত্বক মিডফিল্ডার, উইঙ্গার, এবং একজন মধ্য মিডফিল্ডার।
সম্মাননা
[সম্পাদনা]ক্লাব
[সম্পাদনা]- সৌদি পেশাদার লিগ: ২০১৫–১৬
- সৌদি চ্যাম্পিয়নস কাপ: ২০১১, ২০১২, ২০১৬
- ক্রাউন প্রিন্স কাপ: ২০০৭, ২০১৪–১৫
- সৌদি ফেডারেশন কাপ: ২০০৭
- সৌদি সুপার কাপ: ২০১৬
- গালফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নস কাপ: ২০০৮
- এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ : রানার-আপ: ২০১২
ব্যক্তিগত
[সম্পাদনা]- সৌদি আরব ফুটবলার অফ দ্য ইয়ার: ২০১২
- আল-আহলি প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার: ২০১১–১২
- সেরা সৌদি মিডফিল্ডার: ২০১১–১২
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]তাইসির আল-জাসিম হচ্ছে শিয়া মুসলমান। তিনি আল হাসায় একটি শিয়া মসজিদ নির্মাণ করেছেন যার নাম হলো: "জিনাব"। তিনি মাঝে মাঝে সুন্নি মুসলমানদের সাথেও নামাজ আদায় করে থাকেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ [১]"Detailed Statistics for Taisir Al-Jassim"
- ↑ "Crowd trouble halts Malaysia v Saudi Arabia World Cup qualifier"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৬।