ডালু জাতি
![]() | এই নিবন্ধে অপর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে অনেকেই নিবন্ধটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে অপরিচিত।(মে ২০১৪) |
ডালু জাতি হচ্ছে বাংলাদেশে বসবাসকারী একটি ক্ষুদ্র জাতির নাম। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও শেরপুরের নালিতাবাড়ি অঞ্চলে ডালু জাতির মানুষদের বাস। তাদের অনেকে মনে করেন মণিপুরিই হচ্ছে তাদের আসল ভাষা । তাদের কথাবার্তায় এমন কিছু শব্দ পাওয়া যায়, যা বাংলা ভাষায় নেই । দীর্ঘদিন বাংলা ভাষাভাষীদের পাশাপাশি বাস করার ফলে, অতীতে তাদের কোন ভাষা থাকলেও এখন তা হারিয়ে গেছে।[১]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
নৃবিজ্ঞানীদের মতে ডালুরা ইন্দো মঙ্গোলয়েড গোষ্ঠীর একটি শাখা। তারা নিজেদেরকে মহাভারতখ্যাত তৃতীয় পাণ্ডব মহাবীর অর্জুনের পুত্র বভ্রুবাহনের বংশধর হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে।
ডালুদের দাবি অনুযায়ী একাকি বসবাসকালে অর্জুন পরিভ্রমণ অবস্থায় প্রাচীণ মনিপুর রাজ্যে উপনীত হলে সেখানকার রাজকন্যা চিত্রাঙ্গদার রুপে মুগ্ধ হয়ে তার পানি গ্রহণ করেন এবং সেখানে কিছুদিন কাটান। পরে রাজকন্যা চিত্রাঙ্গদা অর্জুনের ঔরষে একটি পুত্র সন্তান লাভ করেন এবং তার নামকরণ করেন বভ্রুবাহক। এই বভ্রুবাহকের বংশধর হিসেবেই ডালুরা নিজেদের পরিচয় দিয়ে থাকে। বভ্রুবাহন দীর্ঘদিনব্যাপী প্রবল পরাক্রমে মণিপুরে রাজত্ব করেন। [২]
ডালুদের রীতিনীতি[সম্পাদনা]
ডালুদের বেশভুষা, আচার ব্যবহার, রীতিনীতি এবং সামাজিক ক্রিয়া প্রায় ক্ষেত্রেই হাজংদের মতোই। বৃটিশবিরোধী কৃষক আন্দোলনে শেরপুর পরগনার বীর অধিনায়ক টিপু পাগলা ডালুদের পূর্ব পুরুষ বলে অনেকেই মনে করেন।
এখনও ডালুদের মধ্যে পাগলপন্থী অনেকের দেখা পাওয়া যায় । এই পাগলপন্থীরা একেশ্বরবাদী এবং পৌত্তলিকাবিরোধী। পাগলপন্থী ডালুরা জটাধারী এবং দাঁড়িগোঁফ রাখেন। গলায় মোটা ধরনের সাদা, কালো এবং নীল রংয়ের পুঁতির মালা পরিধান করে থাকে। ডালুদের বিবাহ হিন্দুদের মতোই। আদিবাসী কল্যণ সমিতি সূত্রে জানা যায়, আগেকার দিনে ডালু মহিলারা শাঁখা সিদুর ব্যবহার না করলেও এখন করেন। [২]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশের নানান ভাষা, প্রথমা প্রকাশনা সংস্থা, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ, অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৪, পৃষ্ঠা- ৮৬।
- ↑ ক খ মনোনেশ দাস (২০১৬-১২-০৪)। "একটি জাতি, সদস্য মোটে এক হাজার"। DhakaTimes24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-১৯।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |