ছটকু আহমেদ

ছটকু আহমেদ
ছটকু আহমেদ
জন্ম	সৈয়দ উদ্দিন আহমেদ; ৬ অক্টোবর ১৯৪৬ (বয়স ৭৯); মুন্সীগঞ্জ জেলা, ব্রিটিশ ভারত
জাতীয়তা	বাংলাদেশী
পেশা	পরিচালক, প্রযোজক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার
কর্মজীবন	১৯৬২ – বর্তমান
পুরস্কার	বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৬); বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৮৯)

সৈয়দ উদ্দিন আহমেদ যিনি ছটকু আহমেদ নামে অধিক পরিচিত (জন্ম ৬ অক্টোবর ১৯৪৬) হলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, কাহিনীকার এবং চিত্রনাট্যকার। ১৯৮৬ সালে গৃহ বিবাদ চলচ্চিত্রের সেরা গীতিকার, কাহিনীকার ও সংলাপ রচয়িতা হিসেবে তিন বিষয়ে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি সত্য মিথ্যা চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।^[১]

তার পরিচালিত সত্যের মৃত্যু নাই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রসমূহের মধ্যে অন্যতম।^[২]^[৩]^[৪]^[৫]^[৬]

প্রারম্ভিক জীবন

ছটকু আহমেদ ১৯৪৬ সালের ৬ অক্টোবর মুন্সীগঞ্জ জেলার (তৎকালীন বিক্রমপুর) সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের পানহাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।^[৭]

কর্মজীবন

ছটকু আহমেদ ১৯৬২ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ডাকঘর নাটক অবলম্বনে নির্মিত নাটক পরিচালনা করেন।^[৭] তিনি ১৯৬৬ সালে ‘অমর জীবন’ নামে একটি ধারাবাহিক নাটক রচনা করেন।^[৭] একই বছর ‘দিঠি’ একটি নাটক পরিচালনা করেন। ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই ঋত্বিক ঘটক তিতাস একটি নদীর নাম চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করার পর ছটকু আহমেদ এতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন এবং এর মাধ্যমেই তার চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে^[৭] কর্মজীবনে তিনি সাড়ে তিন শতাধিকের অধিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন।^[৮] এর মধ্যে বেশ কিছু ছবি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র

ছটকু আহমেদ বেশ কিছু পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

নাত বৌ (১৯৮২)
রাজদন্ড (১৯৮৪)
গৃহবিবাদ (১৯৮৬)
অত্যাচার (১৯৮৭)
চেতনা (১৯৯০)
মায়া মমতা (১৯৯৪)
সত্যের মৃত্যু নাই (১৯৯৬)
বুকের ভিতর আগুন (১৯৯৭)
মিথ্যার মৃত্যু (১৯৯৮)
বুক ভরা ভালোবাসা (১৯৯৯)
বর্ষা বাদল (২০০০)
শেষ যুদ্ধ (২০০২)
মহা তান্ডব (২০০২)
আজকের রূপবান (২০০৫)
প্রতিবাদী মাস্টার (২০০৫)
আহারে জীবন (২০২৪)
পাথরের মন

ব্যক্তিগত জীবন

ছটকু আহমেদ ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৭৯ সালের ১৮ নভেম্বর মাসরুবাহ আহমেদ এপির সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির চার কন্যা সন্তান রয়েছে।যারা সবাই মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।এর মধ্যে উনার সর্বকনিষ্ট কন্যা নাজিয়া আহমেদ শ্বেতা সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসাবে কর্মরত।তার স্বামী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন হিসাবে কর্মরত।^[৯]

পুরস্কার ও সম্মাননা

বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৮৯)
বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৬)
প্রধানমন্ত্রী 'আইডিইবি' স্বর্ণপদক (২০১৮)^[৮]
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদান রাখায় আজীবন সম্মাননা (২০১৮)^[১০]
আজীবন সদস্য - চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ও শিল্পী ঐক্যজোট^[৮]

তথ্যসূত্র

↑ "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের নামের তালিকা (১৯৭৫-২০১২)"। fdc.gov.bd। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮।
↑ আয় সাড়ে তিন কোটি, হল বেড়েছে পনেরোটি। Bdnews24.com। ১৪ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। {{সংবাদ উদ্ধৃতি}}: অবৈধ |script-title=: উপসর্গ অনুপস্থিত (সাহায্য)
↑ দুই সপ্তাহে ‘’-এর আয় সাড়ে ছয় কোটি। Bdnews24। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯। {{সংবাদ উদ্ধৃতি}}: অবৈধ |script-title=: উপসর্গ অনুপস্থিত (সাহায্য)
↑ "যেমন ছিল চলচ্চিত্র ২০১৭ - বাংলাদেশ প্রতিদিন"। Bd-pratidin.com। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৮।
↑ "Archived copy"। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭।{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: শিরোনাম হিসাবে আর্কাইভকৃত অনুলিপি (লিঙ্ক)
↑ দেশীয় চলচ্চিত্রে অস্থিরতার পাশাপাশি একটু আশার আলো। Channelonline.com। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৮। {{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: অবৈধ |script-title=: উপসর্গ অনুপস্থিত (সাহায্য)
1 2 3 4 "৭১ বছরে চলচ্চিত্র নির্মাতা ছটকু আহমেদ"। জাগোনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৯।
1 2 3 "আজীবন সদস্য পদ ও সম্মাননা পেলেন ছটকু আহমেদ"। জনকন্ঠ। ২৬ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৯।
↑ "করোনায় আক্রান্ত ছটকু আহমেদ"। মানবজমিন। ১৯ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০২০।
↑ "সম্মাননায় আজিজুর রহমান ও ছটকু আহমেদ"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৯।

[পুরস্কার-প্রাপ্তদের-নাম-1] "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের নামের তালিকা (১৯৭৫-২০১২)"। fdc.gov.bd। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮।

[2] আয় সাড়ে তিন কোটি, হল বেড়েছে পনেরোটি। Bdnews24.com। ১৪ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। {{সংবাদ উদ্ধৃতি}}: অবৈধ |script-title=: উপসর্গ অনুপস্থিত (সাহায্য)

[3] দুই সপ্তাহে ‘’-এর আয় সাড়ে ছয় কোটি। Bdnews24। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯। {{সংবাদ উদ্ধৃতি}}: অবৈধ |script-title=: উপসর্গ অনুপস্থিত (সাহায্য)

[auto3-4] "যেমন ছিল চলচ্চিত্র ২০১৭ - বাংলাদেশ প্রতিদিন"। Bd-pratidin.com। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৮।

[channelionline.com-5] "Archived copy"। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭।{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: শিরোনাম হিসাবে আর্কাইভকৃত অনুলিপি (লিঙ্ক)

[thedailystar.net-6] দেশীয় চলচ্চিত্রে অস্থিরতার পাশাপাশি একটু আশার আলো। Channelonline.com। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৮। {{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: অবৈধ |script-title=: উপসর্গ অনুপস্থিত (সাহায্য)

[জাগোনিউজ২৪.কম-7] 1 2 3 4 "৭১ বছরে চলচ্চিত্র নির্মাতা ছটকু আহমেদ"। জাগোনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৯।

[জনকন্ঠ-8] 1 2 3 "আজীবন সদস্য পদ ও সম্মাননা পেলেন ছটকু আহমেদ"। জনকন্ঠ। ২৬ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৯।

[9] "করোনায় আক্রান্ত ছটকু আহমেদ"। মানবজমিন। ১৯ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০২০।

[10] "সম্মাননায় আজিজুর রহমান ও ছটকু আহমেদ"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৯।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]

[৭]

[৮]

[৯]

[১০]

দে স শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
১৯৭৫–১৯৮৫	সুভাষ দত্ত ১৯৭৭ (৩য়) আমজাদ হোসেন ১৯৭৮ (৪র্থ) আমজাদ হোসেন ১৯৭৯ (৫ম) সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী ১৯৮০ (৬ষ্ঠ) সৈয়দ শামসুল হক ১৯৮২ (৭ম) সৈয়দ শামসুল হক ১৯৮৩ (৮ম) আমজাদ হোসেন ১৯৮৪ (৯ম) দেওয়া হয় নি ১৯৮৫ (১০ম)
১৯৮৬–২০০০	দেওয়া হয় নি ১৯৮৬ (১১তম) দেওয়া হয় নি ১৯৮৮ (১৩তম) ছটকু আহমেদ ১৯৮৯ (১৪তম) দেওয়া হয় নি ১৯৯০ (১৫তম) বরুণ শংকর ১৯৯১ (১৬তম) কাজী হায়াৎ ১৯৯২ (১৭তম) সেলিম আল দীন ১৯৯৩ (১৮তম) হুমায়ূন আহমেদ ১৯৯৪ (১৯তম) তানভীর মোকাম্মেল ১৯৯৫ (২০তম) দিলীপ বিশ্বাস ১৯৯৬ (২১তম) দেওয়া হয় নি ১৯৯৭ (২২তম) দেওয়া হয় নি ১৯৯৮ (২৩তম) তানভীর মোকাম্মেল ১৯৯৯ (২৪তম) আবু সাইয়ীদ ও সেলিম আল দীন ২০০০ (২৫তম)
২০০১–২০১৫	তানভীর মোকাম্মেল ২০০১ (২৬তম) দেওয়া হয় নি ২০০২ (২৭তম) - ২০০৫ (৩০তম) কাজী মোরশেদ ২০০৬ (৩১তম) দেওয়া হয় নি ২০০৭ (৩২তম) মুরাদ পারভেজ ২০০৮ (৩৩তম) মুজতবা সউদ ২০০৯ (৩৪তম) জাকির হোসেন রাজু ২০১০ (৩৫তম) এবাদুর রহমান ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ ২০১১ (৩৬তম) রেদওয়ান রনি ২০১২ (৩৭তম) গাজী রাকায়েত ২০১৩ (৩৮তম) জাহিদুর রহিম অঞ্জন ২০১৪ (৩৯তম) হুমায়ূন আহমেদ ২০১৫ (৪০তম) সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন ২০১৬ (৪০তম) বদরুল আনাম সৌদ ২০১৭ (৪০তম) এস. এম. হারুন-অর-রশীদ ২০১৮ (৪০তম) ফাখরুল আরেফিন খান (২০২০) তৌকীর আহমেদ (২০২১)