খন্দকার আবুল কাশেম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খন্দকার আবুল কাশেম
জন্ম(১৯৪৪-০১-০৩)৩ জানুয়ারি ১৯৪৪
মৃত্যু৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১(1971-09-09) (বয়স ২৭)
পাবনা, বাংলাদেশ
মাতৃশিক্ষায়তনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কিংস কলেজ লন্ডন
পেশাকলেজ একাডেমিক
পিতা-মাতা
  • খন্দকার নবাব আলী (পিতা)
  • সাহেরা খাতুন (মাতা)

খন্দকার আবুল কাশেম (জন্ম: ৩ জানুয়ারী ১৯৪৪ - মৃত্যু: ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১) পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) একজন বাঙালি শিক্ষক। তিনি ১৯৭১ বাংলাদেশে গণহত্যা চলাকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আধাসামরিক রাজাকার কর্তৃক নিহত বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে অন্যতম[১]

জন্ম ও প্রথমিক জীবন[সম্পাদনা]

৩ জানুয়ারি ১৯৪৪ সালের ব্রিটিশ ভারতের পূর্ব বাংলার পাবনার সাঁথিয়ার চোমরপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতার নাম খন্দকার নবাব আলী ও মাতার নাম সাহেরা খাতুন।[১]

শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]

খন্দকার আবুল কাশেম রাজারহাট হাইস্কুল থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৬২ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে। একই কলেজ থেকে ১৯৬৪ সালে বিএ পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৬৬ সালে বিপিএড ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে ইতিহাসে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

খন্দকার আবুল কাশেম কর্মজীবন শুরু করেন কাশিনাথপুর এ এল হাইস্কুলে (পাবনা) শিক্ষক হিসেবে ১৯৬৬ সালে। তিনি ইতিহাসের প্রভাষক হিসেবে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে যোগ দেন ১৯৭০ সালে। একই বছরে তিনি সামরিক প্রশিক্ষণ নেন সাভারে পাকিস্তান ক্যাডেট কোরে।[১]

স্বাধীনতা যুদ্ধ ও গুপ্তহত্যা[সম্পাদনা]

খন্দকার আবুল কাশেম মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে নিজ গ্রামে যুবকদেরকে সংগঠিত করেন ও মুক্তিযোদ্ধাদের রসদ ও খাদ্য সরবরাহ করেন। ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে পাবনা শহর থেকে নিজ বাড়ি ফেরার সময় তাকে ধরে নিয়ে গুম করা হয়। তিনি একজন ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়াবিদ ছিলেন।[১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. এ.টি.এম যায়েদ হোসেন (২০১২)। "কাশেম, খন্দকার আবুল"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]