ক্লদ হেন্ডারসন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্লদ হেন্ডারসন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামক্লদ উইলিয়াম হেন্ডারসন
জন্ম (1972-06-14) ১৪ জুন ১৯৭২ (বয়স ৫১)
ওরচেস্টার, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স
ভূমিকাবোলার
সম্পর্কজেএম হেন্ডারসন (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৮০)
৭ সেপ্টেম্বর ২০০১ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ টেস্ট২৫ অক্টোবর ২০০২ বনাম বাংলাদেশ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৬৬)
২৩ সেপ্টেম্বর ২০০১ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ ওডিআই৭ অক্টোবর ২০০১ বনাম কেনিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯০/৯১ - ১৯৯৭/৯৮বোল্যান্ড
১৯৯৮/৯৯ - ২০০৩/০৪ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স
২০০৪ - ২০১৩লিচেস্টারশায়ার (জার্সি নং ১৫)
২০০৬/০৭ - ২০০৭/০৮লায়ন্স
২০০৮/০৯ - ২০১০/১১কেপ কোবরাস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৭৩ ২৫৭
রানের সংখ্যা ৬৫ ৫,৬৩৭ ১,২০৩
ব্যাটিং গড় ৯.২৮ ১৮.৯১ ১৪.৮৫
১০০/৫০ ০/০ ০/২০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৩০ ৮১ ৪৫
বল করেছে ১৯৬২ ২১৭ ৬৫,০৮৯ ১১,৩৮৪
উইকেট ২২ ৯০৫ ৩১৯
বোলিং গড় ৪২.১৮ ১৮.৮৫ ৩০.৭৬ ২৬.০৯
ইনিংসে ৫ উইকেট ৩৪
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/১১৬ ৪/১৭ ৭/৫৭ ৬/২৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ০/– ৮৮/– ৫৭/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ নভেম্বর ২০২০

ক্লদ উইলিয়াম হেন্ডারসন (ইংরেজি: Claude Henderson; জন্ম: ১৪ জুন, ১৯৭২) কেপ প্রদেশের ওরচেস্টার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে বোল্যান্ড, কেপ কোবরাস, লায়ন্স, ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ক্লদ হেন্ডারসন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ক্লদ হেন্ডারসনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ক্রিকেটে পূর্ণাঙ্গকালীন সময় দেয়ার পূর্বে তিনি কারাগারের ওয়ার্ডার ছিলেন। ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে বোল্যান্ড ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স দলের পক্ষে খেলেন।

২০০৬-০৭ মৌসুমের সুপারস্পোর্ট সিরিজে লায়ন্সের পক্ষে সুন্দর খেলা উপহার দেন। ২৪ গড়ে ৩৪ উইকেট নিয়ে ঐ প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থানীয় বোলারদের তালিকায় পঞ্চম স্থানে অবস্থান করেন।[১] তবে, ২০০৭ সালে লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলায় সুবিধে করতে পারেননি।

২০০৮ সালে কেপ কোবরাস দলে যোগ দেন। এরপর ধারাবাহিকভাবে ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করায় ২০০৯ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স লীগ টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী আসরে কোবরাস দলে খেলার জন্যে মনোনীত হন।

কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ[সম্পাদনা]

২০০৪ সালে লিচেস্টারশায়ারে যোগদান করেন। এরফলে, কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে প্রথম কোলপ্যাক খেলোয়াড় হিসেবে নিবন্ধিত হন।[২] এ প্রক্রিয়ায় ব্রিটিশ পাসপোর্ট বাদেই খেলার যোগ্য ঘোষিত হন। ইংল্যান্ডে বিদেশী কোটা বাদে বহিরাগত খেলোয়াড়দেরকে খেলার সুযোগ দেয়া হয়।

কাউন্টি ক্রিকেটে নয় মৌসুমের অধিক সময় ধারাবাহিকভাবে সুন্দর ক্রীড়া শৈলী প্রদর্শন করেছেন। ২০১৩ সালের শুরুরদিক পর্যন্ত লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে ২১.৩৮ গড়ে ৩৩৭ উইকেট লাভ করেছেন। তন্মধ্যে, ২০১০ সালে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং করেছিলেন। ২০.৬৮ গড়ে ৫৬ উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। বল হাতে নিয়ে লিচেস্টারশায়ারের তিনবার টুয়েন্টি২০ কাপে শিরোপা বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

জুন, ২০০৬ সালে সারের বিপক্ষে এক ইনিংসে ৫৪ ওভার ২ বলে ৩/২৩৫ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। এরফলে, কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের ইতিহাসে সর্বাধিক রান খরুচে বোলারে পরিণত হন।

২০১১ সালে লিচেস্টারশায়ার কর্তৃপক্ষ তাকে আর্থিক সুবিধে গ্রহণের খেলার জন্যে মনোনীত করে। ঐ মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে লিচেস্টারের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন। ২০১১ সালের ফক্সেস ফ্রেন্ডস লাইফ টি২০ প্রতিযোগিতায় দলের শিরোপা বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। চূড়ান্ত খেলায় সমারসেটের বিপক্ষে ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১১ রান খরচ করেন। ঐ মৌসুম শেষে তাকে নতুন করে চুক্তির আওতায় আনা হয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাতটিমাত্র টেস্ট ও চারটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ক্লদ হেন্ডারসন। ৭ সেপ্টেম্বর, ২০০১ তারিখে হারারেতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৫ অক্টোবর, ২০০২ তারিখে পচেফস্ট্রুমে সফরকারী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সাত টেস্ট ও চারটি ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার পর দেশত্যাগ করেন। প্যাট সিমকক্সের পর পল অ্যাডামসের অনুকূলে স্পিন বোলিং চলে যায়। এরপর, নিকি বোয়ে এ দায়িত্ব পালন করেন। ফলশ্রুতিতে, দীর্ঘদিন অপেক্ষার প্রহর গোনার পর ২৯ বছর বয়সে ২০০১ সালে ক্লদ হেন্ডারসনকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়। এ পর্যায়ে নিকি বোয়ের অস্ত্রোপচারের জন্যে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা দলে অন্তর্ভুক্ত হন। প্রতিবেশী রাষ্ট্র জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। এরপর, নিকি বোয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দল থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করলে নিজ দেশে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলার সুযোগ পান।[৩] তবে, তিনি এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এ পর্যায়ে তিনি লিচেস্টারশায়ারের সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। কেবলমাত্র, সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে চুক্তিবদ্ধ হলেই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে খেলবেন বলে জানান।

৪১ বছর বয়সী ক্লদ হেন্ডারসন ২০১৩ সাল শেষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে টেলিভিশনে ক্রিকেট বিশ্লেষক ও কোচের দায়িত্ব গ্রহণের পরিকল্পনা করেন।[৪] এপ্রিল, ২০১৩ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শেষ খেলায় গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে খেলেন। বেনি হাওয়েল তার সর্বশেষ শিকারে পরিণত হয়েছিলেন।

পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা পরিসংখ্যান
ব্যাটিং বোলিং (ইনিংস)
রান প্রতিপক্ষ মাঠ মৌসুম পরিসংখ্যান প্রতিপক্ষ মাঠ মৌসুম
টেস্ট ৩০ দক্ষিণ আফ্রিকাঅস্ট্রেলিয়া অ্যাডিলেড ২০০১ ৪/১১৬ দক্ষিণ আফ্রিকাঅস্ট্রেলিয়া অ্যাডিলেড ২০০১
ওডিআই ৪/১৭ দক্ষিণ আফ্রিকাজিম্বাবুয়ে হারারে ২০০১
এফসি ৮১ লিচেস্টারশায়ারগ্লুচেস্টারশায়ার লিচেস্টার ২০০৭ ৭/৫৭ বোল্যান্ডইস্টার্ন প্রভিন্স পার্ল ১৯৯৪
এলএ ৪৫ লায়ন্সঈগলস জোহেন্সবার্গ ২০০৬ ৬/২৯ বোল্যান্ডইস্টার্নস পার্ল ১৯৯৭
টি২০ ৩২ লিচেস্টারশায়ারনর্দাম্পটনশায়ার নর্দাম্পটন ২০১০ ৩/২৩ কেপ কোবরাসডলফিন্স ডারবান ২০০৯

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]