তামা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(কপার থেকে পুনর্নির্দেশিত)
তামা   ২৯Cu
Native copper (~4 cm in size)
তামা
নাম, প্রতীকতামা, Cu
উপস্থিতিred-orange metallic luster
পর্যায় সারণিতে তামা
Hydrogen Helium
Lithium Beryllium Boron Carbon Nitrogen Oxygen Fluorine Neon
Sodium Magnesium Aluminium Silicon Phosphorus Sulfur Chlorine Argon
Potassium Calcium Scandium Titanium Vanadium Chromium Manganese Iron Cobalt Nickel Copper Zinc Gallium Germanium Arsenic Selenium Bromine Krypton
Rubidium Strontium Yttrium Zirconium Niobium Molybdenum Technetium Ruthenium Rhodium Palladium Silver Cadmium Indium Tin Antimony Tellurium Iodine Xenon
Caesium Barium Lanthanum Cerium Praseodymium Neodymium Promethium Samarium Europium Gadolinium Terbium Dysprosium Holmium Erbium Thulium Ytterbium Lutetium Hafnium Tantalum Tungsten Rhenium Osmium Iridium Platinum Gold Mercury (element) Thallium Lead Bismuth Polonium Astatine Radon
Francium Radium Actinium Thorium Protactinium Uranium Neptunium Plutonium Americium Curium Berkelium Californium Einsteinium Fermium Mendelevium Nobelium Lawrencium Rutherfordium Dubnium Seaborgium Bohrium Hassium Meitnerium Darmstadtium Roentgenium Copernicium Nihonium Flerovium Moscovium Livermorium Tennessine Oganesson
-

Cu

Ag
নিকেলতামাজিঙ্ক
পারমাণবিক সংখ্যা২৯
আদর্শ পারমাণবিক ভর63.546(3)
গ্রুপগ্রুপ ১১
পর্যায়পর্যায় ৪
ব্লক  d-block
ইলেকট্রন বিন্যাস[Ar] 3d10 4s1
ভৌত বৈশিষ্ট্য
দশাsolid
গলনাঙ্ক1357.77 কে ​(1084.62 °সে, ​1984.32 °ফা)
স্ফুটনাঙ্ক2835 K ​(2562 °সে, ​4643 °ফা)
ঘনত্ব (ক.তা.-র কাছে)8.94 g·cm−৩ (০ °সে-এ, ১০১.৩২৫ kPa)
তরলের ঘনত্বm.p.: 8.02 g·cm−৩
ফিউশনের এনথালপি13.26 kJ·mol−১
বাষ্পীভবনের এনথালপি300.4 kJ·mol−১
তাপ ধারকত্ব24.440 J·mol−১·K−১
বাষ্প চাপ
P (Pa) ১০ ১০০ ১ k ১০ k ১০ k
at T (K) 1509 1661 1850 2089 2404 2834
পারমাণবিক বৈশিষ্ট্য
জারণ অবস্থা+1, +2, +3, +4 ​mildly basic oxide
তড়িৎ-চুম্বকত্ব1.90 (পলিং স্কেল)
আয়নীকরণ বিভব
(আরও)
পারমাণবিক ব্যাসার্ধempirical: 128 pm
সমযোজী ব্যাসার্ধ132±4 pm
ভ্যান ডার ওয়ালস ব্যাসার্ধ140 pm
বিবিধ
কেলাসের গঠনface-centered cubic (fcc)
Face-centered cubic জন্য কেলাসের গঠন{{{name}}}
শব্দের দ্রুতিপাতলা রডে: (annealed)
3810 m·s−১ (at r.t.)
তাপীয় প্রসারাঙ্ক16.5 µm·m−১·K−১ (২৫ °সে-এ)
তাপীয় পরিবাহিতা401 W·m−১·K−১
তড়িৎ রোধকত্ব ও পরিবাহিতা২০ °সে-এ: 16.78 n Ω·m
চুম্বকত্বdiamagnetic[১]
ইয়ংয়ের গুণাঙ্ক110–128 GPa
কৃন্তন গুণাঙ্ক48 GPa
আয়তন গুণাঙ্ক140 GPa
পোয়াসোঁর অনুপাত0.34
(মোজ) কাঠিন্য3.0
ভিকার্স কাঠিন্য369 MPa
ব্রিনেল কাঠিন্য874 MPa
ক্যাস নিবন্ধন সংখ্যা7440-50-8
সবচেয়ে স্থিতিশীল আইসোটোপ
মূল নিবন্ধ: তামার আইসোটোপ
iso NA অর্ধায়ু DM DE (MeV) DP
63Cu 69.15% Cu 34টি নিউট্রন নিয়ে স্থিত হয়
65Cu 30.85% Cu 36টি নিউট্রন নিয়ে স্থিত হয়
· তথ্যসূত্র

তামা একটি রাসায়নিক মৌল যার চিহ্ন Cu এসেছে ল্যাটিন শব্দ কিউপ্রাম (cuprum) থেকে এবং এর পারমাণবিক ক্রমাঙ্ক ২৯। তামা একটি নমনীয় ধাতু এবং এর তাপীয় ও বৈদ্যুতিক পরিবাহীতা খুব উঁচু দরের তাই অনেক বিজলিবাহী তারের মধ্যেই তামার তার থাকে । বিশুদ্ধ তামা খুব বেশি নরম ও নিজস্ব উজ্জ্বল বর্ণ সমন্বিত কিন্তু আবহাওয়ার সংস্পর্শে এর বাইরে একটি লালচে-কমলা বিবর্ণ স্তর তৈরী হয়। তামা ও তামার বহু মিশ্র ধাতু (যেমন ব্রোঞ্জ, পিতল ইত্যাদি) অনেক হাজার বছর ধরে মানুষের নিত্য সঙ্গী । প্রাচীনকালে তামার অনেক খনির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তার মধ্যে সাইপ্রাস (লাতিনে Cyprus ক্যুপ্রুস্‌) দ্বীপের খনিগুলো সবচেয়ে তাৎপর্যময়। অনেকের মতে তামার ইংরেজি নাম কপার (ল্যাটিন ভাষার এর নাম Cuprum কুপ্রুম) শব্দটি এখান থেকে এসেছে।

আবিষ্কারের ইতিহাস[সম্পাদনা]

ফরাসি রসায়নবিদ এম. বারথেলটের মতানুসারে মানুষ পাঁচ হাজার বছরেরও বেশি আগে থেকে তামার সাথে পরিচিত ছিল। অনেকের মতে আরও আগে থেকে এই পরিচয় ঘটেছিল। বহুকাল পূর্ব থেকেই ব্রোঞ্জ ছিল সর্বাধিক ব্যবহৃত ধাতু। এই ধাতুটি মূলত তামা এবং টিন-এর সংকর। এই দুই মৌলিক পদার্থ মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি বিশেষ যুগের নির্দেশনা প্রদান করে যাকে বলা হয় ব্রোঞ্জ যুগ। তামা, যুগ বিনির্মাণে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল তা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। প্রকৃতিতে তামার প্রাচুর্য মধ্যম ধরনের। প্রাথমিক যুগে মানুষ কেবল প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে প্রাপ্ত তামাই ব্যবহার করতো। কিন্তু পরবর্তীতে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আকরিক থেকে তামা নিষ্কাশনে বাধ্য হয় মানুষ। যেসব আকরিকে তামার আধিক্য রয়েছে তা থেকে এটি নিষ্কাশন বেশ সহজসাধ্য। খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীতে নানাবিধ যন্ত্রপাতি তৈরীতে তামা ব্যবহৃত হতো। চিয়োপ্‌স-এর (cheops) মিশরীয় পিরামিড তৈরীতে পাথরের যে সুবৃহৎ খণ্ডগুলো ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো কাটতে তামার যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।

কপার বর্ণালী

ব্রোঞ্জ আবিষ্কার ছিল মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি বিপ্লব। এর পর পাথরের সব জিনিসপত্র ব্রোঞ্জ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দেও ব্রোঞ্জের ব্যবহার ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। মাইসিনিয়ান যুগের সূচনাতে গ্রীসে ব্রোঞ্জের মূর্তি তৈরি বিশেষ প্রসার লাভ করেছিল। এটি ছাড়াও তামার অপর বিস্ময়কর সংকর হল পিতল। তামার সঙ্গে দস্তার আকরিক গলিয়ে এটি প্রস্তুত করা হয়। প্রাচীন মিশর, ভারত, এশিরিয়া, রোমগ্রীসে তামা, ব্রোঞ্জ ও পিতলের ব্যবহার জানা ছিল। অস্ত্র তৈরীতে তামা ও ব্রোঞ্জ উভয়টিই ব্যবহৃত হতো। আলতাই, সাইবেরিয়া এবং ট্রান্স ককেশাস অঞ্চলে খননকার্য চালিয়ে অষ্টম থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর ব্রোঞ্জ ও তামার ছুরি, তীরের ফলা, ঢাল, শিরস্ত্রাণ পাওয়া গেছে। গ্রীস।গ্রীসেরোম।রোমে তামা ও ব্রোঞ্জ দিয়ে ঢাল ও শিরস্ত্রাণ তৈরি হতো।

তামা'র তৈরি অলংকার

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Magnetic susceptibility of the elements and inorganic compounds in Lide, D. R., সম্পাদক (২০০৫)। CRC Handbook of Chemistry and Physics (86th সংস্করণ)। Boca Raton (FL): CRC Press। আইএসবিএন 0-8493-0486-5 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]