অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্স
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অ্যালেন জিওফ্রে ফেয়ারফ্যাক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ১৬ জুন, ১৯০৬ সামার হিল, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৭ মে, ১৯৫৫ কেনসিংটন, লন্ডন, ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | বিডব্লিউ ফেয়ারফ্যাক্স (কাকা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৩১) | ৮ মার্চ ১৯২৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৩১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৬ এপ্রিল ২০২০ |
অ্যালেন জিওফ্রে ফেয়ারফ্যাক্স (ইংরেজি: Alan Fairfax; জন্ম: ১৬ জুন, ১৯০৬ - মৃত্যু: ১৭ মে, ১৯৫৫) নিউ সাউথ ওয়েলসের সামার হিল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৯ থেকে ১৯৩১ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্স।
শৈশবকাল
[সম্পাদনা]শৈশবেই তার মাঝে খেলোয়াড়ের গুণাবলী লক্ষ্য করা যায়। কোগারা স্কুল রেকর্ড ভঙ্গ করেন তিনি। ১৪ বছর বয়সে গ্রীষ্ম জুড়ে ১,৯৪২ রান ও ১৩০ উইকেট পান।[১][২] শীঘ্রই তিনি সেন্ট জর্জের পক্ষে স্তরভিত্তিক ক্রিকেটে অংশ নিতে শুরু করেন। তবে, পরবর্তী কয়েক মৌসুম তার খেলার মানের অবনতি ঘটে। এক পর্যায়ে ধারণা করা হয় যে, তিনি হয়তোবা তার শুরুরদিকের প্রতিশ্রুতিশীলতা আর ধরে রাখতে পারবেন না।[৩][৪]
১৯২৭-২৮ মৌসুমে গ্রীষ্মকালে তার খেলার উত্তরণ লক্ষ্য করা যায়। কাম্বারল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন তিনি।[৫] ১৯২৮-২৯ মৌসুমের শুরুতে চমৎকারভাবে খেলায় ছন্দ ফিরিয়ে আনার স্বীকৃতিস্বরূপ অক্টোবর, ১৯২৮ সালে এনএসডব্লিউ কোল্টসের পক্ষে তাকে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কুইন্সল্যান্ড কোল্টসের বিপক্ষে ১০৭ রানের ইনিংস খেলেন।[৬]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]১৯২৮-২৯ মৌসুম থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। অল-রাউন্ডার ছিলেন তিনি।[৭] আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দ্রুতলয়ে অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্সের পরিচিতি ঘটে। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষক মৌসুমেই টেস্টে অভিষক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। কিন্তু, ১৯৩২ সালে ইংল্যান্ডে অভিবাসিত হলে তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবন সংক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এরপর তিনি ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে পেশাদারী পর্যায়ে খেলতে থাকেন।
কোল্টসের পক্ষে খেলার অল্প কিছুদিন বাদেই অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্স তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এনএসডব্লিউ’র সদস্যরূপে আর্চি জ্যাকসনের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। ২ ও ৩০ রান তুলেন। পাশাপাশি বল হাতে নিয়ে ১/৩০ ও ৩/৪৫ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।[৮]
রাজ্য দলের সদস্যরূপে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় খেলায় অংশ নেন। ১/৬৯ ও ২/৬৬ বোলিংয়ের পাশাপাশি ৫৮ ও ৯ রান তুলতে সক্ষম হন।[৯] সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। ৩৬ ও ২০ রানের পাশাপাশি ৪/৫৪ ও ৩/৮২ পান। দলের বিজয়ে নিউ সাউথ ওয়েলসের সেরা বোলারে পরিণত করে।[১০] ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্স প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার চতুর্থ খেলায় অংশ নেন। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের অবস্থানে ফিরে আসেন। প্রথম ইনিংসে ১০৪ রান সংগ্রহ করেন। এটিই তার প্রথম ও একমাত্র প্রথম-শ্রেণীর সেঞ্চুরি ছিল। তবে, দলীয় সঙ্গী ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের ৩৪০ রানের কল্যাণে তার এ কৃতিত্ব ম্লান হয়ে যায়। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৩৫ ও ২/৫৪ লাভ করেন।[১১][১২]
জনৈক লেখক মন্তব্য করেন যে,
ফেয়ারফ্যাক্স ক্রিকেটের মাঝে ডুবেছিলেন। সম্ভবতঃ তিনি সপ্তম কিংবা অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে তার সেরা খেলা প্রদর্শনে সক্ষম ছিলেন। ব্যাট ও বল হাতে তিনি বেশ কিছু কার্যকরী খেলা প্রদর্শন করতে পারতেন এবং প্রত্যেকটি প্রতিনিধিত্বমূলক খেলায় অংশ করতেন। তিনি স্বীয় উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে বেশ ভালোভাবে ড্রাইভ করতে পারতেন। প্রয়োজনে উইকেটে তিনি দৌঁড়তে পারতেন।[১৩]
সফররত ইংরেজ দলের বিপক্ষে এনএসডব্লিউ’র সদস্যরূপে বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায় সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। প্রথম ইনিংসে ৪০ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন ও বোলিং উদ্বোধন করে ৩/৩৬ পান। জ্যাক হবস, মরিস লেল্যান্ড ও পার্সি চ্যাপম্যান তার শিকারে পরিণত হন।[১৪][১৫] সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৭ ও ৪১ এবং ০/৪৭ ও ৪/৫৫ পান। ফলশ্রুতিতে, তার দল ৬০ রানে জয়লাভ করে।[১৬]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দশটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্স। ৮ মার্চ, ১৯২৯ তারিখে মেলবোর্নে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩১ তারিখে সিডনিতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে সুন্দর ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে তাকে অস্ট্রেলিয়া দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১৭] এ অন্তর্ভূক্তি অনেকাংশে দ্রুত উত্থানে সহায়তা করে। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেকের মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাদে তাকে আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণের সম্মান এনে দেয়। তবে, দল নির্বাচকমণ্ডলী মূলতঃ অস্ট্রেলিয়ার বিপর্যয়কর সিরিজে নতুনদেরকে চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে এ সুযোগ দিয়েছিল। ঐ খেলায় পার্সি হর্নিব্রুক ও টিম ওয়ালেরও একযোগে অভিষেক ঘটে। ডন ব্র্যাডম্যান ও আর্চি জ্যাকসনের দ্বিতীয় এবং রন অক্সেনহামে তৃতীয় টেস্ট ছিল। ফেয়ারফ্যাক্স ও রন অক্সেনহাম অল-রাউন্ডার হিসেবে সহায়ক ভূমিকায় আসীন ছিলেন।[১৮]
জনৈক লেখক মন্তব্য করেন যে,
ছয় ফুটের অধিক উচ্চতার অধিকারী অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্স দ্রুততার সাথে পায়ের কারুকাজ করতে সক্ষম ছিলেন। স্বতন্ত্র বোলিংয়ের অধিকারী হিসেবে অধিক উচ্চতায় আলতোভাবে বোলিং করতেন। এইচ. ট্রাম্বল, জি. গিফেন ও এম. এ. নোবেলের সাথে তুলনান্তে তিনি শীর্ষস্থানে অবস্থান করতে সক্ষম। বৃষ্টি আক্রান্ত উইকেটে উচ্চতা ও উচ্চমানের বলের সাহায্যে মৃত্যুদূতে পরিণত হতে পারতেন। মাঠেও তিনি তড়িৎকর্মার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন ও ভালোমানের বেসবলার হিসেবে উপযোগিতা প্রদর্শন করতে সক্ষম হতেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি রক্ষণাত্মক ভঙ্গীমা নিয়ে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, এ মৌসুমে যে-কোন খেলোয়াড়ের চেয়ে শক্তিমত্তা প্রয়োগে বলকে আঘাত করতেন। এছাড়াও, কব্জির মোচড়ে দ্রুততার সাথে রান সংগ্রহ করতে পারতেন।[১৯]
অভিষেক টেস্টে তিনি দারুণভাবে খেলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বোলিং করে ১/৮৪ পান। ঐ উইকেটটি প্যাটসি হেনড্রেনের ছিল। এছাড়াও, ফিল্ডিংকালে ওয়াল্টার হ্যামন্ড, জর্জ ডাকওয়ার্থ ও মরিস লেল্যান্ডকে তালুবন্দী করেন। ব্যাট হাতে নামার পূর্বে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২০৩/৪ ছিল। ডন ব্র্যাডম্যানের সাথে ১৮৩ রানের রেকর্ডসংখ্যক রানের জুটি গড়েন। নিজে করেন ৬৫ রান।[২০] দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ওয়ালি হ্যামন্ডের উইকেট পান। এছাড়াও, জ্যাক হবস ও মরিস টেটের ক্যাচ মুঠোয় পুড়েন। ব্যাট হাতে তাকে মাঠে নামতে হয়। অস্ট্রেলিয়া পাঁচ উইকেটে জয় তুলে নেয়।[২১]
ঐ গ্রীষ্মে ৩৮.৩৬ গড়ে ৪২২ রান সংগ্রহ করেন ও ২৭.০৮ গড়ে ২৫ উইকেট দখল করেছিলেন। ঐ মৌসুমের শীতকালে ক্রীড়াসামগ্রীর প্রতিষ্ঠানে চাকরি পান।[২২]
পূর্ববর্তী মৌসুমের গ্রীষ্মকালের ন্যায় অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্সের ১৯২৯-৩০ মৌসুমটিও একইমানের ছিল। কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৯ ও ২১ রান তুলেন। উভয় ইনিংসে ৪৭ রান খরচায় তিন উইকেট আন। নিউ সাউথ ওয়েলস দল ২৩ রানে জয় পায়।[২৩] এমসিসি’র পক্ষে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে ১৪ ও ১৯ রান তুলেন। এরপর, বল হাতে ৪/১০২ ও ০/৭ পান।[২৪] পরবর্তীতে, বিল উডফুল একাদশের সদস্যরূপে জ্যাক রাইডার একাদশের বিপক্ষে খেলেন। ২৭ ও ২৬ এবং ০/১১৬ ও ০/৯ পান তিনি।[২৫]
এনএসডব্লিউ’র সদস্যরূপে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৩৯ ও ৪৬ এবং ৩/৮০ ও ১/৩৯ পান তিনি।[২৬] ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ০/৫৪ ও ৫/১০৪ পান। এটিই তার প্রথম পাঁচ-উইকেট লাভের ঘটনা ছিল। ২ ও ১৫ রান তুলেন তিনি।[২৭] শিল্ডের খেলায় কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ব্র্যাডম্যানের ৪৫২ রানের কল্যাণে ৬৮৫ রানের জয়ী খেলায় অংশ নেন। এ পর্যায়ে তিনি ২০ ও ১০ এবং ০/১২ বোলিং করেন।[২৮] সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৯ এবং ৩/৪৩ ও ৪/১৯ পান। তার বোলিংয়ের কল্যাণে এনএসডব্লিউ ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ইনিংস ও ২২০ রানে বিজয়ী হয়।[২৯] ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ৬৪ ও ২/৪৪ নিয়ে ঐ গ্রীষ্মকাল শেষ করেন।[৩০]
অ্যাশেজ সিরিজ
[সম্পাদনা]১৯৩০ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্যরূপে মনোনীত হন। ডব্লিউ. এম. উডফুলের নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। তবে, ঐ গ্রীষ্মে তার ব্যাটিংয়ের মান তেমন ভালো ছিল না। ধারণা করা হয় যে, ইংল্যান্ডের পিচে তার বোলিংয়ের কার্যকারিতা থাকবে।[৩১][৩২]
ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে জাহাজে আরোহণের পূর্বে অস্ট্রেলিয়া একাদশের সদস্যরূপে প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশ নেন। তাসমানিয়ার বিপক্ষে ৪/৩৬ ও ৪/৪৩ পান এবং ব্যাট হাতে ১৮ রান তুলেন।[৩৩] ফিরতি খেলায় ৩৩ এবং ০/১৯ ও ১/২১ পান।[৩৪] ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১১ ও দুই উইকেট পান।[৩৫]
ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সূচনা ঘটান অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্স। ৪/৩৬ ও ০/৪৫ এবং শূন্য রান করেন তিনি।[৩৬] লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ২১ ও ০/৩৮,[৩৭] এসেক্সের বিপক্ষে ১২ ও ৫৩ এবং ২/২৫ ও ০/১৪,[৩৮] ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে ১/৩০ ও ২/২৪ এবং ১৮,[৩৯] এমসিসি’র বিপক্ষে ১ ও ২৬ এবং ৬/৫৪,[৪০] ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ০/২৩ ও ১/৪৮ এবং ২০, সারের বিপক্ষে ২৮,[৪১] অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ১/১৫ ও ১/১৩,[৪২] হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে ০/২২ ও ০/২০ এবং ১৪[৪৩] এবং মিডলসেক্সের বিপক্ষে ৩৪ ও ১৩ এবং ০/২০ ও ১/৪১ লাভ করেন।[৪৪]
নটিংহামে সিরিজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন তিনি। অল-রাউন্ডার হিসেবে তিনি ও স্ট্যান ম্যাককাবে অংশ নেন। টিম ওয়ালের সাথে বোলিং উদ্বোধনে নামেন। প্রথম ইনিংসে ২/৫১ পান। তন্মধ্যে, হার্বার্ট সাটক্লিফের উইকেট ছিল। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ০/৫৮ পান ও সাত নম্বরে নেমে ১৪ রান তুলেন। ঐ খেলায় সফরকারী দল ৯৩ রানে পরাজিত হয়।[৪৫]
সারের বিপক্ষে ১/২৬ ও ০/৩৮ এবং ৩৬ রান তুলেন।[৪৬] ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে ৬৩ ও ৪/২৯ পান।[৪৭] বিশেষতঃ শেষের খেলায় সুন্দর খেলার কারণে দ্বিতীয় টেস্টের জন্যেও তাকে দলে রাখা হয়। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৪/১০১ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। জ্যাক হবস, ফ্রাঙ্ক ওলি, প্যাটসি হেনড্রেন ও গাবি অ্যালেন তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ২৫৪ রান তুলে ডন ব্র্যাডম্যান পরিচিতি লাভ করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২/৩৭ পান। পার্সি চ্যাপম্যানকে আউট করেন ও ওয়ালি হ্যামন্ডের ক্যাচ নেন। অস্ট্রেলিয়া সাত উইকেটে জয় পায় ও তাকে ব্যাট হাতে নামতে হয়নি।[৪৮]
অসুস্থ হবার কারণে তৃতীয় টেস্টে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। তার পরিবর্তে আরেক অল-রাউন্ডার টেড অ’বেকেটকে স্থলাভিষিক্ত করা হয়।[৪৯]
ম্যানচেস্টারের অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টে তিনি পুণরায় দলে ফিরে আসেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে দলের সংগ্রহ ১৯০/৫ নাজুক অবস্থায় থাকাকালে মাঠে নামেন। ২০৮ বল মোকাবেল করে ৪৯ রান তুলেন ও দলের সংগ্রহ ৩৩০/৮ থাকা অবস্থায় আউট হন। ঐ ইনিংসে তার দল ৩৪৫ রান তুলেছিল। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ০/১৫ পান। বৃষ্টির কারণে খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়।[৫০]
গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে ৮ ও ১৩২ এবং ০/৪৯ পান।[৫১] ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে ১/৩১[৫২] এবং নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে ০/৩০ ও ১ রান তুলেন।[৫৩] ১-১ অবস্থায় সমতা থাকাকালে সিরিজের ওভালে পঞ্চম টেস্ট শুরু হয়। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস ৪০৫ রান সংগৃহীত হয়। তিনি ৩/৫২ পান। হার্বার্ট সাটক্লিফ ও বব ওয়াটের উইকেটসহ কুমার দিলীপসিংজী’র ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিংয়ে নামে। ১৬৩ বলে অপরাজিত ৫৩ রান তুলেন। এ পর্যায়ে ডন ব্র্যাডম্যান ২৩২ ও বিল পন্সফোর্ড ১১০ রান করলে সফরকারীরা ৬৯৫ রান তুলে। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ১/২১ পান। জ্যাক হবসের শেষ ইনিংসে তিনি এ সাফল্য পান।[৫৪] ওয়ালি হ্যামন্ড ও হার্বার্ট সাটক্লিফের ক্যাচ নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ইনিংস ও ৩৯ রানের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন।[৫৫]
কেন্টের বিপক্ষে ৪ এবং ০/৩৯ ও ০/২২,[৫৬] সাসেক্সের বিপক্ষে ৬ ও ১৬ এবং ২/৪১ ও ০/৯ এবং[৫৭] লেভেনসন-গাওয়ার একাদশের বিপক্ষে ১/২৮ ও ০/২৯ এবং ৮ রান তুলে এ সফর শেষ করেন।[৫৮] সামগ্রীকভাবে অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্সের জন্যে এ সফরটি বেশ চমৎকারভাবে কেটেছিল। টেস্টে দুইবার অপরাজিত থাকার সুবাদে ৫০.০০ গড়ে ১৫০ রান তুলেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনটি অর্ধ-শতরানের কল্যাণে ২৫.৫২ গড়ে ৫৩৬ রান তুলেন।[৫৯] ২৭.০০ গড়ে ১২টি টেস্ট উইকেট লাভ করেন।[৬০] ২৯.৭০ গড়ে ৪১টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পান। গ্রিমেট, হর্নিব্রুক ও ওয়ালের পর চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হন এবং অ্যালেক হারউডের তুলনায় এগিয়েছিলেন।[৬১] নভেম্বর, ১৯৩০ সালে ডন ব্র্যাডম্যান ফেয়ারফ্যাক্সের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তাকে অস্ট্রেলিয়ার সেরা অল-রাউন্ডার হিসেবে মন্তব্য করেন ও টেস্ট খেলাগুলোয় তিনি তার সেরা খেলাটি উপহার দিয়েছিলেন বলে জানান।[৬২]
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি
[সম্পাদনা]১৯৩০-৩১ মৌসুমের গ্রীষ্মকালের শুরুটা ভালোভাবে করেন। এনএসডব্লিউ’র সদস্যরূপে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬২ ও ৬ এবং ০/১২ ও ৪/৫৪ পান।[৬৩] অস্ট্রেলিয়া একাদশের সদস্য হিসেবে বাদ-বাকী একাদশের বিপক্ষে ১/৫২ ও ১/২/২৪ এবং ৩৯ রান তুলেন।[৬৪] সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান একাদশের বিপক্ষে এনএসডব্লিউ’র সদস্যরূপে ৩/৪২ ও ১/৫৭ এবং ৯ ও ৩২[৬৫] এবং কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ও ১৮ এবং ০/৭৬ পান।[৬৬]
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বীয় স্থান নিশ্চিত করেন অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্স। ওয়ালের সাথে বোলিং উদ্বোধনে নামলেও ০/৩৬ পান। এরপর অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ০/৬ পান। তবে, অস্ট্রেলিয়া ১০ উইকেটে জয়লাভ করলে তাকে আর ব্যাট হাতে মাঠে নামতে হয়নি।[৬৭] এনএসডব্লিউ’র সদস্যরূপে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮ এবং ০/২৩ ও ০/৭,[৬৮] এবং ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ৪/৪১ ও ৩ রান তুলেন।[৬৯]
দ্বিতীয় টেস্টে ১৫ রান এবং ৩/১৯ ও ০/২১ পান। তন্মধ্যে, জর্জ হ্যাডলি’র উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ঐ খেলায় অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ১৭২ রানে জয় পায়।[৭০] এনএসডব্লিউ’র সদস্যরূপে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ৪৬ ও ১২ এবং ২/৬৮ ও ০/১৪ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান।[৭১] ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দল ইনিংস ও ২১৭ রানে জয় তুলে নেয়। খেলায় তিনি ৯ রান এবং ০/১৩ ও ০/৬ পান।[৭২] চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ০/১৪ পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪/৩১ পান। ব্যাট হাতে ১৬ রান তুলেন। ঐ খেলায় তার দল ইনিংস ও ১২২ রানে বিজয়ী হয়।[৭৩]
পঞ্চম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল খেলায় ফিরে আসে। ৩৫০/৬ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারী দলটি। ফেয়ারফ্যাক্স ০/৬০ পান। এর জবাবে অস্ট্রেলিয়া দলের ইনিংস এক পর্যায়ে ৮৯/৫ তুলে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। ১১৬ মিনিট ক্রিজে অবস্থান করে ৫৪ রান তুলেন ও দলকে ২১৫ রানে নিয়ে যেতে সক্ষম হন। এরপর অস্ট্রেলিয়া ২২৪ রানে গুটিয়ে যায়। ঐ ইনিংসে তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকে পরিণত হন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি বোলিংয়ে নামেননি। সফরকারী দল ১২৪/৫ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। আবারও অস্ট্রেলিয়া দল বিপর্যয়ে পড়ে। ৬৫/৫ হলে তিনি মাঠে নামেন। ১৪৭ মিনিটে অপরাজিত ৬০ রান তুলে আবারও দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হন। তাসত্ত্বেও স্বাগতিকরা ২২০ রানে গুটিয়ে যায় ও ৩০ রানে পরাজিত হয়।[৭৪]
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের প্রত্যেক টেস্টে তার অংশগ্রহণ ছিল। ছয় ইনিংসে ৪৮.৭৫ গড়ে রান তুলে দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকে পরিণত হন। ঐ গ্রীষ্মে তিনটি অর্ধ-শতরান সহযোগে ৩৫.৬১ গড়ে ৪৬৩ রান তুলেন ও ২৯.৩৯ গড়ে ২৩ উইকেট পান। সেরা বোলিং করেন ৪/৩১।
ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে অংশগ্রহণ
[সম্পাদনা]অর্থনৈতিক মন্দাকালীন অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্স বেকার অবস্থায় দিন কাটান। নভেম্বর, ১৯৩১ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে সপ্তাহে £২০ পাউন্ড-স্টার্লিংয়ের বিনিময়ে অ্যাক্রিংটনের পক্ষে পেশাদারী পর্যায়ে খেলার কথা ঘোষণা করেন। মার্চে তিনি দেশ ত্যাগ করেন ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তার অবসরের কথা জানান।[৭৫][৭৬]
ঐ মৌসুমের গ্রীষ্মকালে অস্ট্রেলিয়ায় এনএসডব্লিউ’র পক্ষে দুইটিমাত্র প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ১/২১ ও ২/২৪ এবং ৫ রান ও[৭৭] সফররত দক্ষিণ আফ্রিকান একাদশের বিপক্ষে ০/৬২ ও ০/৫ এবং ৩ রান তুলেন।[৭৮] ১৯৩১-৩২ মৌসুমে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তাকে দলে রাখা হয়নি। রন অক্সেনহামকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়।[৭৯][৮০][৮১] ঐ সময়ে অবিতর্কিত অবস্থায় ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে ডন ব্র্যাডম্যান লীগ ক্রিকেটে অংশগ্রহণের বিষয়টি বিবেচনায় আনার প্রেক্ষিতে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন।[৮২]
ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে দুই মৌসুম খেলেন অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্স। ১৯৩২ সালে ৩২.০৮ গড়ে ৭৩৮ রানসহ ২০.১১ গড়ে ৪৩ উইকেট পান। ১৯৩৩ সালে ৫২.৮৮ গেড় ৯৫২ রান ও ১৬.৪৫ গড়ে ৫১ উইকেট দখল করেছিলেন তিনি।
অবসর
[সম্পাদনা]১৯৩৪ সালে লন্ডনে ইনডোর ক্রিকেট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্স।[৮৩] ১৯৩৭ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করার পূর্ব-পর্যন্ত পরিচালনা করেন।[৮৪] ১৯৩৪ সালে জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিন। প্লেয়ার্সের বিপক্ষে ঐ খেলায় ১৫ রান ও ০/১০২ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন।[৮৫]
১৯৩৭ সালে এটন স্কুলে কোচের দায়িত্ব পালন করেন।[৮৬] স্যার জুলিয়ান কানের ব্যক্তিগত দলের পক্ষে কাজ করেন।[৮৭] এ পর্যায়ে তিনি ডন ব্র্যাডম্যানের অধিনায়কত্বের বিষয়ে সমালোচনায় মুখরিত ছিলেন।[৮৮] ১৯৩৯ সালে নটস কাউন্টির কোচের দায়িত্বে ছিলেন।[৮৯]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে আরএএফের পাইলট অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।[৯০] জুন, ১৯৪৬ সালে রাজার সাথে স্বাক্ষাৎকালে তিনি এক রোগীকে ব্যথা দেন।[৯১]
যুদ্ধে পর লন্ডন সানডে সংবাদপত্রে কাজ করেন ও সারা বছর বিভিন্ন স্কুলসহ ক্লিনিকে কোচিং কর্ম অব্যাহত রাখেন।[৯২][৯৩] ১৯৫০-৫১ মৌসুমে ইংরেজ সংবাদপত্রের জন্যে অ্যাশেজ সফরের প্রতিবেদন প্রকাশে অস্ট্রেলিয়ায় প্রত্যাবর্তন করেন।[৯৪] এছাড়াও, ১৯৫৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজের খেলাগুলোয় উপস্থিত ছিলেন।[৯৫] ক্রিকেট বিষয়ক লেখনি অব্যাহত রাখেন।[৯৬]
যুদ্ধকালীন আঘাতের কারণে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। ১৯৫৪ সালের বড়দিনের পূর্বে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অতঃপর ১৭ মে, ১৯৫৫ তারিখে ৪৮ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের কেনসিংটন এলাকায় অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্সের দেহাবসান ঘটে।[৯৭]
অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্সের কাকা বিডব্লিউ ফেয়ারফ্যাক্স স্তরভিত্তিক ক্রিকেটে শীর্ষসারির খেলোয়াড় ছিলেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "SPORT & SPORTSMEN"। Smith's Weekly। II (10)। New South Wales, Australia। ১ মে ১৯২০। পৃষ্ঠা 8। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "1942 RUNS"। The Wyalong Advocate and Mining, Agricultural and Pastoral Gazette। New South Wales, Australia। ১৫ মার্চ ১৯২১। পৃষ্ঠা 7। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "HOW'S THAT"। Sydney Sportsman (1487)। New South Wales, Australia। ২০ ডিসেম্বর ১৯২৭। পৃষ্ঠা 12। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "ALAN FAIRFAX"। Northern Star। 53। New South Wales, Australia। ২৩ মার্চ ১৯২৯। পৃষ্ঠা 6। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "GRADE CRICKET."। The Sydney Morning Herald (28,090)। ১৬ জানুয়ারি ১৯২৮। পৃষ্ঠা 8। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। www.cricketarchive.com।
- ↑ "Alan Fairfax"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। www.cricketarchive.com।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। www.cricketarchive.com।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। www.cricketarchive.com।
- ↑ ""BODYLINE" ORIGINATED IN THE 12th CENTURY."। The Cessnock Eagle and South Maitland Recorder। 44 (4159)। New South Wales। ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪। পৃষ্ঠা 7। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। www.cricketarchive.com।
- ↑ "SHEFFIELD SHIELD"। The Arrow (3004)। New South Wales। ২৫ জানুয়ারি ১৯২৯। পৃষ্ঠা 13। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "N.S.W. Batsmen Play Scotch on Slow and Easy Wicket"। The Sunday Times (2248)। Sydney। ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯২৯। পৃষ্ঠা 8। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। www.cricketarchive.com।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। www.cricketarchive.com।
- ↑ "Alan Fairfax Is Proving Great All Rounder"। Sporting Globe (688) (N.S. WALES, QUEENSLAND AND NEW ZEALAND সংস্করণ)। Victoria। ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯২৯। পৃষ্ঠা 3। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Cricket. AUSTRALIAN TEAM GETTING YOUNGER."। Daily Standard (5133)। Queensland। ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯২৯। পৃষ্ঠা 8। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "A. FAIRFAX"। The Arrow (3010)। New South Wales। ৮ মার্চ ১৯২৯। পৃষ্ঠা 1। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "AUSTRALIANS NOW IN A WINNING POSITION"। Barrier Daily Truth। XXXIX (12,121)। New South Wales, Australia। ১৮ ডিসেম্বর ১৯৪৬। পৃষ্ঠা 1। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "5th Test: Australia v England at Melbourne, Mar 8-16, 1929 - Cricket Scorecard - ESPN Cricinfo"।
- ↑ "JOBS FOR CRICKETERS"। The Chronicle। LXXI (3,795)। Adelaide। ১৩ জুন ১৯২৯। পৃষ্ঠা 46। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। www.cricketarchive.com।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। www.cricketarchive.com।
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13315.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13322.html
- ↑ "The Home of CricketArchive"। www.cricketarchive.com।
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13341.html
- ↑ "The Home of CricketArchive"। www.cricketarchive.com।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। www.cricketarchive.com।
- ↑ "PERSONALITIES OF THE TEAM."। The Sydney Morning Herald (28,728)। ৩১ জানুয়ারি ১৯৩০। পৃষ্ঠা 11। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Alan Fairfax"। Sydney Mail। XXXVI (938)। New South Wales, Australia। ১৯ মার্চ ১৯৩০। পৃষ্ঠা 10। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। www.cricketarchive.com।
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13385.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13388.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13398.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13400.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13406.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13423.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13430.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13450.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13461.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13469.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13480.html
- ↑ "1st Test: England v Australia at Nottingham, Jun 13-17, 1930 - Cricket Scorecard - ESPN Cricinfo"।
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13516.htmla[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13522.html
- ↑ "2nd Test: England v Australia at Lord's, Jun 27-Jul 1, 1930 - Cricket Scorecard - ESPN Cricinfo"।
- ↑ "FAIRFAX IS DEFINITELY UNAVAILABLE"। The Labor Daily (2058)। New South Wales। ৯ জুলাই ১৯৩০। পৃষ্ঠা 1। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "4th Test: England v Australia at Manchester, Jul 25-29, 1930 - Cricket Scorecard - ESPN Cricinfo"।
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13630.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13646.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13650.html
- ↑ "452 n.o.!—The Don's wo record against Queensland"। The Courier-mail (4041)। Queensland, Australia। ৮ নভেম্বর ১৯৪৯। পৃষ্ঠা 2। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "5th Test: England v Australia at The Oval, Aug 16-22, 1930 - Cricket Scorecard - ESPN Cricinfo"।
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13692.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13706.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13713.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Events/0/Australia_in_British_Isles_1930/t_Australia_Batting.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Events/0/Australia_in_British_Isles_1930/t_Australia_Bowling.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Events/0/Australia_in_British_Isles_1930/f_Australians_Bowling.html
- ↑ "MUTUAL"। The Sun (6241) (FINAL EXTRA সংস্করণ)। Sydney। ১১ নভেম্বর ১৯৩০। পৃষ্ঠা 4। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13716.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13719.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13721.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13724.html
- ↑ "1st Test: Australia v West Indies at Adelaide, Dec 12-16, 1930 - Cricket Scorecard - ESPN Cricinfo"।
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13736.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13741.html
- ↑ "2nd Test: Australia v West Indies at Sydney, Jan 1-5, 1931 - Cricket Scorecard - ESPN Cricinfo"।
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/13/13764.html
- ↑ "3rd Test: Australia v West Indies at Brisbane, Jan 16-20, 1931 - Cricket Scorecard - ESPN Cricinfo"।
- ↑ "4th Test: Australia v West Indies at Melbourne, Feb 13-14, 1931 - Cricket Scorecard - ESPN Cricinfo"।
- ↑ "5th Test: Australia v West Indies at Sydney, Feb 27-Mar 4, 1931 - Cricket Scorecard - ESPN Cricinfo"।
- ↑ "SUMMARY."। The Sydney Morning Herald (29,288)। New South Wales, Australia। ১৭ নভেম্বর ১৯৩১। পৃষ্ঠা 1। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "ALAN FAIRFAX."। Toowoomba Chronicle And Darling Downs Gazette। LXX (214)। Queensland, Australia। ১৭ নভেম্বর ১৯৩১। পৃষ্ঠা 10। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/14/14100.html
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/14/14102.html
- ↑ "WILL BILL BE IN HUNT ?"। Truth (2185)। New South Wales, Australia। ২২ নভেম্বর ১৯৩১। পৃষ্ঠা 6। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "ALAN FAIRFAX'S FUTURE."। The Propeller। XXII (1087)। New South Wales। ৮ জানুয়ারি ১৯৩২। পৃষ্ঠা 8। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "ALAN FAIRFAX"। Sporting Globe (982)। Victoria। ৬ জানুয়ারি ১৯৩২। পৃষ্ঠা 8 (Edition2)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "FAREWELL TO CRICKET"। The Advertiser (Adelaide)। South Australia। ৯ নভেম্বর ১৯৪৯। পৃষ্ঠা 8। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Alan Fairfax Here Today"। The Advertiser। Adelaide। ১১ জুলাই ১৯৩৬। পৃষ্ঠা 13। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "FAIRFAX GIVES UP HIS CRICKET SCHOOL IN LONDON"। Daily Examiner। 28 (8966)। New South Wales, Australia। ২৮ এপ্রিল ১৯৩৭। পৃষ্ঠা 2। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/15/15103.html
- ↑ "ALAN FAIRFAX."। The St George Call। XXXIV (17)। New South Wales, Australia। ২৩ এপ্রিল ১৯৩৭। পৃষ্ঠা 6। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "FAIRFAX CANNOT SEE AUSTRALIA LOSING"। The Daily News। LVI (19,652) (LATE Saturday সংস্করণ)। Western Australia। ১৯ মার্চ ১৯৩৮। পৃষ্ঠা 15। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "CAPTAIN "DON""। Lithgow Mercury (TOWN সংস্করণ)। New South Wales, Australia। ১৫ জানুয়ারি ১৯৩৭। পৃষ্ঠা 4। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "ALAN FAIRFAX TO COACH NOTTS. COUNTY"। The Newcastle Sun (6584)। New South Wales, Australia। ২৩ জানুয়ারি ১৯৩৯। পৃষ্ঠা 9। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "AINTREE'S TOPICAL SPORTING GOSSIP"। The News। 38 (5,850)। Adelaide। ২৮ এপ্রিল ১৯৪২। পৃষ্ঠা 6। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "No title"। The Age (28,434)। Victoria, Australia। ১২ জুন ১৯৪৬। পৃষ্ঠা 1। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "ALAN FAIRFAX DIES IN LONDON"। The Canberra Times। 29 (8,540)। ১৯ মে ১৯৫৫। পৃষ্ঠা 10। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "NEED FOR COACHING IN CRICKET"। The Sun-Herald (255)। New South Wales। ১৩ ডিসেম্বর ১৯৫৩। পৃষ্ঠা 42। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Cardus on England's Test hopes"। News। 55 (8,482)। South Australia। ১৩ অক্টোবর ১৯৫০। পৃষ্ঠা 28। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Young bowlers may fill vital spin role"। The Sun (13,477)। New South Wales, Australia। ২১ এপ্রিল ১৯৫৩। পৃষ্ঠা 32 (LATE FINAL EXTRA)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "ENGLAND RELIES ON PACE ATTACK"। The Age (30963)। Victoria, Australia। ২৯ জুলাই ১৯৫৪। পৃষ্ঠা 16। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Alan Fairfax Wisden Obituary"। Cricinfo।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- অটো নথলিং
- এইচ. ভি. হরডার্ন
- অ্যাশেজ সিরিজের তালিকা
- অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলসমূহের বর্তমান তালিকা
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী পরিবারের তালিকা
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্স (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্স (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)