অনুরাধা (১৯৬০-এর চলচ্চিত্র)
অনুরাধা | |
---|---|
পরিচালক | হৃষিকেশ মুখার্জী |
প্রযোজক | হৃষিকেশ মুখার্জী এল.বি. ঠাকুর |
চিত্রনাট্যকার | শচীন ভৌমিক রাজিন্দর সিংহ বেদী ডি.এন. মুখার্জী সমীর চৌধুরী |
কাহিনিকার | শচীন ভৌমিক |
শ্রেষ্ঠাংশে | বলরাজ সাহনি লীলা নাইডু |
সুরকার | পণ্ডিত রবি শঙ্কর (সুরকার) শৈলেন্দ্র (গীতিকার) |
চিত্রগ্রাহক | জয়ন্ত পাঠারে |
সম্পাদক | দাস ধাইমেড |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৪১ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
অনুরাধা (হিন্দি: अनुराधा; ইংরেজি: Love of Anuradha) হৃষিকেশ মুখার্জি নির্মিত এবং পরিচালিত ১৯৬০ সালের হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র। এই ছবিতে অসিত সেন এবং মুকরির সাথে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলরাজ সাহনি এবং লীলা নাইডু। ছবিটি মিস ইন্ডিয়া নাইডুর অভিষেক চলচ্চিত্র হিসেবে পরিচিত।
হিন্দি সিনেমায় তার এক বিরল অভিযানে ফিল্মটির সঙ্গীতের সুরারোপ করেছিলেন পণ্ডিত রবি শঙ্কর।[১] চলচ্চিত্রটি শচীন ভৌমিক রচিত একটি ছোটগল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল, যা প্রথমে বাংলা মাসিক ম্যাগাজিন দেশ-এ প্রকাশিত হয়েছিল এবং তার আত্মজীবনী অনুসারে, তিনি এই গল্পটি তৈরি করতে গুস্তাভ ফ্লবার্টের ১৮৫৭ সালের উপন্যাস ম্যাডাম বোভারি কর্তৃক অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ ফিচার চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিল এবং ১৯৬১ সালে ১১তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন বিয়ারের জন্য মনোনীত হয়।
পটভূমি
[সম্পাদনা]অনুরাধা রায় (লীলা নাইডু), এক বিখ্যাত রেডিও গায়িকা, নৃত্যশিল্পী এবং এক ধনাঢ্য ব্যক্তির মেয়ে। অনুরাধা এক আদর্শবাদী ডাক্তার, ড. নির্মল চৌধুরীর (বলরাজ সাহনি) প্রেমে পড়েন। তিনি তার বাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে নির্মল, যার মা অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন, তিনি দূরবর্তী গ্রামের নন্দগাঁওয়ে দরিদ্রদের সেবা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি অনুরাধাকে তার কষ্টের জীবন অনুসরণ না করে তার বাবার পরিকল্পনা অনুযায়ী জীবনযাপন করতে বলেন। কিন্তু তিনি তবুও তার ভালবাসা অনুসরণ করার জন্য জোর দেন। তিনি লন্ডন থেকে ফিরে আসা দীপকের (অভি ভট্টাচার্য) সাথে তার বাবার দেওয়া বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। দীপক তার মঙ্গল কামনা করে, এবং ভবিষ্যতে তার যদি কখনো প্রয়োজন হয় তাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
বিয়ে এবং এক কন্যার জন্মের পর, অনুরাধা গ্রামে বসবাস করার পছন্দের মূল্য বুঝতে পারে। পরিবারের দেখাশোনা করা, গৃহস্থালির সমস্ত কাজ করা, তিনি গান গাওয়া ছেড়ে দেন, যে গান গাওয়া একসময় তার জীবন ছিল। একদিন, অনেক বছর পর, তার বাবা তার পরিবারের সাথে দেখা করে এবং আক্ষেপ করে। তার মানবেতর অবস্থা দেখে, তাদেরকে কাছে এসে তার সাথে শহরে থাকতে বলে। কিন্তু, তার রোগীদের জন্য নির্মল প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং কিছু সময় পরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
দীপক, তার বান্ধবীর সাথে ভ্রমণ করার সময় একটি গাড়ি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় এবং তাই তাকে ডা. নির্মলের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। নির্মল তার বান্ধবীর সফল প্লাস্টিক সার্জারি করেন। দীপক অনুরাধার সাথে কয়েকদিন থাকতে পারে এবং তার কষ্ট বুঝতে পারে। তিনি তাকে নির্মলকে ছেড়ে শহরে চলে গিয়ে সঙ্গীতের প্রতি তার অনুরাগ অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করেন। এখন তাকে তার স্বামীর প্রতি ভালবাসা এবং সঙ্গীতের মধ্যে একটি বেছে নিতে হবে। অবাক করা মুহূর্ত হল যখন ডা. নির্মলই তাকে ছেড়ে শহরে গিয়ে তার জীবনটি পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে মত দেয়। এই মুহূর্তে তিনি নির্মলকে জিজ্ঞাসা করেন: "আপনি কি তাকে চলে যেতে বলতে পারেন না? এবং আর কখনও যেন ফিরে না আসে?" ইঙ্গিত করে যে তাকে (তার স্বামীকে) ছেড়ে যাওয়ার তার কোন পরিকল্পনাই নেই।
কুশীলব
[সম্পাদনা]- বলরাজ সাহনি — ডাঃ নির্মল চৌধুরী
- লীলা নাইডু — অনুরাধা রায়
- রানু
- অভি ভট্টাচার্য — দীপক
- নাজির হোসেন
- ডেভিড
- হরি শিবদাসানি — ব্রিজেশ্বর প্রসাদ রায়
- অসিত সেন — জমিদার
- মুকরি — আত্মারাম
পুরস্কার
[সম্পাদনা]- ১৯৬১ : গোল্ডেন বিয়ার : মনোনয়ন
সাউন্ডট্র্যাক
[সম্পাদনা]ফিল্মটির সঙ্গীতে গীতিকার শৈলেন্দ্রের সাথে সেতারবাদক পণ্ডিত রবিশঙ্করের একটি বিরল সংমিশ্রণ ছিল।
- "জানে ক্যাসে স্বপ্নো ম্যায়" - লতা মঙ্গেশকর
- "সানওয়ারে সানওয়ারে কাহে মোসে" - লতা মঙ্গেশকর
- "ক্যাসে দিন বিটে, ক্যাসে বিটি রাতিয়ান" - লতা মঙ্গেশকর[৩]
- "বাহুত দিন হুয়ে" - মহেন্দ্র কাপুর
- "হ্যায় রে ওহ দিন কিয়ন না আয়ে" - লতা মঙ্গেশকর[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Hrishikesh Mukherjee Biography ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে on winning, the 31st Dada Saheb Phalke Award.
- ↑ "8th National Film Awards"। International Film Festival of India। ২৩ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ ইউটিউবে "Kaise Din Beete"
- ↑ Songs of Anuradha 1960 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে