আনাড়ী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আনাড়ী
পোস্টার
পরিচালকহৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়
প্রযোজকএল বি লক্ষণ
রচয়িতাইন্দ্র রাজ আনন্দ
শ্রেষ্ঠাংশেরাজ কাপুর
নূতন
ললিতা পাওয়ার
সুরকারশঙ্কর জয়কিষণ
চিত্রগ্রাহকজয়বন্ত পাথারে
সম্পাদকহৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়
মুক্তি
  • ১৬ জানুয়ারি ১৯৫৯ (1959-01-16)
দেশভারত
ভাষাহিন্দি

আনাড়ি (হিন্দি: अनाड़ी) হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ১৯৫৯ সালের চলচ্চিত্র। ছবিতে অভিনয় করেছেন রাজ কাপুর, নূতন, মতিলাল এবং ললিতা পাওয়ার। সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন শঙ্কর জয়কিষণ এবং গীতিকার ছিলেন হাসরাত জয়পুরিশৈলেন্দ্রললিতা পাওয়ার যে কয়েকটি চলচ্চিত্রতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছিল তার মধ্যে এটি অন্যতম। ছবিটি তামিল ভাষায় পাসমাম নেসামাম নামে পুনর্নির্মাণ হয়েছিল।[১]

পটভূমি[সম্পাদনা]

রাজ কুমার এক সৎ, সুদর্শন এবং বুদ্ধিমান যুবক। কেবলমাত্র চিত্রশিল্পী হিসাবে কাজ করে, তিনি তার বাড়িওয়ালাকে ঠিকমতো ভাড়া ও জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন না। একদিন, রাজ টাকা পয়সা সংবলিত একটি মানিব্যাগ পেয়ে এটির মালিক মিঃ রামনাথকে ফিরিয়ে দেয়। রামনাথ রাজকে প্রশংসা করেন; তার সততায় সন্তুষ্ট হয়ে তিনি রাজকে কেরানি হিসাবে তাঁর অফিসে কাজ করতে নিয়োগ করেন। রাজের সাথে রামনাথের দাসী আশার দেখা হয় এবং তারা একে অপরের প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু রাজ পরে জানতে পারে যে, আশা তার নিয়োগকর্তার ভাইঝি আরতি, এবং রামনাথ তাঁর ভাইঝিকে দরিদ্র রাজের সাথে দেখা করতে নিষেধ করে দেন। এরইমাঝে দুর্ভাগ্যক্রমে তার বাড়িওয়ালা মিসেস ডি’সা, রামনাথের কোম্পানির তৈরি ওষুধ সেবন করে হঠাৎই মারা যান। পুলিশ ময়না তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, কেউ মিসেসকে বিষ প্রয়োগ করেছে। পুলিশ সন্দেহভাজন হিসাবে রাজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়, গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়। তবে বিচার চলাকালে রামনাথ তাঁর কোম্পানিতে তৈরি ওষুধের পুরো দায় স্বীকার করে নেন, এতে রাজ অভিযোগ থেকে মুক্তি পায়। এরপর, আরতি রাজকে বিয়ে করে কেননা সে মিসেস ডি'সাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তাঁর অবর্তমানে আরতি রাজকে দেখে রাখবে, কারণ দুনিয়া যতটুকু চতুর রাজ ঠিক ততটাই আনাড়ি।[২]

শ্রেষ্ঠাংশে[সম্পাদনা]

সংগীত[সম্পাদনা]

# শিরোনাম সিঙ্গার (গুলি) সংগীত পরিচালক গীতিকার স্থিতিকাল
"দিল কি নাজার সে" লতা মঙ্গেশকর, মুকেশ শঙ্কর জয়কিষণ শৈলেন্দ্র ০৪ঃ৩৮
"নাইন্টিন ফিফটি সিক্স" লতা মঙ্গেশকর, মান্না দে মান্না দে, শঙ্কর জয়কিষণ শৈলেন্দ্র ০৪ঃ৫৯
"ওহ চাঁদ খিলা ওহ তারে হাসে" লতা মঙ্গেশকর, মুকেশ শঙ্কর জয়কিষণ হাসরাত জয়পুরী ০৪ঃ১৩
"সাব কুছ সিখা হাম নে" মুকেশ শঙ্কর জয়কিষণ শৈলেন্দ্র ০৩ঃ৪০
"বান কে পাঞ্ছি গায়ে পেয়ার কা তারানা" লতা মঙ্গেশকর শঙ্কর জয়কিষণ হাসরাত জয়পুরী ০৩ঃ৩৫
"কিসি কি মুসকুরাহাটো পে" মুকেশ শঙ্কর জয়কিষণ শৈলেন্দ্র ০৪ঃ৩১
"তেরা জানা" লতা মঙ্গেশকর শঙ্কর জয়কিষণ শৈলেন্দ্র ০৩ঃ৪১

উল্লেখ্য[সম্পাদনা]

ছবিতে নুতনের মামার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মতিলাল। বাস্তব জীবনে তিনি নুতনের মা শোভনা সমার্থের সাথে থাকতেন।

অফিসের একটি দৃশ্যে মুকরি বলে, “আজ কা কাম কাল করো, কাল কা কাম পরসোঁ”; হৃষিকেশ এই সংলাপটি তার ১৯৭৯-এর মুভি গোলমাল-এও পুনারাবৃত্ত করেছিলেন।

পুরস্কার[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ""Enge Thaan Povaai" – Pasamum Nesamum (1964) – Tamil Feature Film"thesouthernnightingale.net। মে ৩১, ২০১৭। আগস্ট ২৭, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২৭ 
  2. 2:35:50 in the film, available e.g. at https://www.youtube.com/watch?v=HujdhyUcfrw
  3. "7th National Film Awards" (PDF)Directorate of Film Festivals। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ 

বাহিঃ সংযোগ[সম্পাদনা]