মিয়াজি নূর মুহাম্মদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মিয়াজি নূর মুহাম্মদ ঝানঝানবী
میاں جی نور محمد جھجھانوی
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম১৭৮৬ ইং
মৃত্যু২৮ সেপ্টেম্বর ১৮৪৩(1843-09-28) (বয়স ৫৬–৫৭)
ধর্মইসলাম
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
আন্দোলনবালাকোট যুদ্ধ
প্রধান আগ্রহতাসাউফ
যেখানের শিক্ষার্থীমাদ্রাসায়ে রহিমিয়্যা
মুসলিম নেতা
এর শিষ্যশাহ আব্দুর রহিম ওলায়েতী
শিষ্য

মিয়াজি নূর মুহাম্মদ (সুফি নূর মুহাম্মদ, মিয়াজি নূর মুহাম্মদ ঝানঝানবী নামেও পরিচিত; ১৭৮৬ – ১৮৪৩) ছিলেন একজন ভারতীয় ইসলামি পণ্ডিত ও সুফি ব্যক্তিত্ব। তার অন্যতম শিষ্য ছিলেন ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি। এই মুহাজিরে মক্কি থেকেই দেওবন্দ আন্দোলনের প্রসার ঘটে। তিনি সৈয়দ আহমদ বেরলভির সাথে বালাকোট যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার পীরের নাম শাহ আব্দুর রহিম ওলায়েতী

জীবনী[সম্পাদনা]

নূর মুহাম্মদ ১৭৮৬ সালে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মজঃফরনগর জেলার ঝানঝানা নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ জামাল উদ্দিন মুহাম্মদ। তিনি ছিলেন তার পিতার জ্যেষ্ঠ সন্তান। পিতা-মাতা উভয় দিক থেকেই তিনি সৈয়দ ছিলেন। তার পাঁচ ভাই ও এক বোন। তিনি দিল্লির মাদ্রাসায়ে রহিমিয়্যায় ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে নিয়মতান্ত্রিক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করতে পারেন নি। তথাপি তিনি ধর্মীয় জ্ঞানে পারদর্শী ছিলেন। ফার্সি ভাষার উপর দক্ষতা ছিল। আরবিও জানতেন। তিনি পারিবারিক নিয়ম অনুযায়ী সর্বপ্রথম কুরআন হেফজ করেন, অতঃপর ফার্সি ভাষা শিক্ষা করেন। দিল্লি থেকে তিনি ঝানঝানায় গমন করে কিছুদিন সেখানে অবস্থান করেন। অতঃপর তিনি নিজ এলাকায় গমন করেন এবং সেখানকার এক মসজিদে শিশুদের কুরআন শিক্ষা দেয়ার জন্য চাকরি গ্রহণ করেন। তিনি প্রতি বৃহস্পতিবার ঝানঝানায় গমন করে জুমআর দিন পূর্ণ দিবস সেখানে অবস্থান করে সপ্তাহের প্রথম দিন শনিবার তার লোহারীস্থ মক্তবে পৌছে যেতেন।[১]

তিনি শাহ আব্দুর রহিম ওলায়েতীর হাতে বায়আত গ্রহণ করেছিলেন। ওলায়েতী তাকে খেলাফত প্রদান করেছিল। ওলায়েতী দলবল নিয়ে সৈয়দ আহমদ শহীদের সাথে বালাকোট যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ওলায়েতীর মুরিদ হিসেবেও তিনি বালাকোটের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এই যুদ্ধে ওলায়েতী মৃত্যুবরণ করেন। মিয়াজি নূর মুহাম্মদ সুফি ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার শিষ্যদের মধ্যে রয়েছেন: ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি, হাফেজ জামেন শহিদ, শায়খ মুহাম্মদ থানভী প্রমুখ।[১]

১৮৪৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

উদ্ধৃতি[সম্পাদনা]

  1. বিজনুরি, আজিজুর রহমান (১৯৬৭)। তাজকিরায়ে মাশায়েখে দেওবন্দ [দীপ্তিময় মনীষীগণের জীবনকথা]। ছফিউল্লাহ, মুহাম্মদ কর্তৃক অনূদিত। বিজনুর, ভারত; বাংলাবাজার, ঢাকা: ইদারায়ে মাদানি দারুত তালিফ; মাকতাবায়ে ত্বহা। পৃষ্ঠা ২২–৩৫। ওসিএলসি 19927541 

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]