মানজার-এ-ইসলাম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জামিয়া রিজভীয়া মানজার-এ-ইসলাম
جامعہ رضویہ منظر اسلام
ধরনইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত১৯০৪ (১২০ বছর আগে) (1904)
প্রতিষ্ঠাতাআ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেজা খান কাদেরী বরকাতী
রেক্টরমুফতি মুহাম্মদ সোবহান রেজা খান কাদেরী
শিক্ষার্থী১০০০+
অবস্থান, ,
সংক্ষিপ্ত নামমানজার-এ-ইসলাম, দারুল উলুম মানজার-এ-ইসলাম
মানচিত্র
মানজার-এ-ইসলামের সামনের দৃশ্য

মাদ্রাসা মানজার-এ-ইসলাম (উর্দু: مدرسہ منظر اسلام‎‎), যা জামিয়া রিজভীয়া মানজার-এ-ইসলাম নামেও পরিচিত, এটি একটি ভারতের ইসলামী শিক্ষালয়। এটি ভারতের বেরেলীতে ১৯০৪ সালে আহমদ রেজা খান বেরলভী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] ২০০৪ সালে এটি তার ১০০তম বার্ষিকী উদযাপন করে। এই উপলক্ষ্যে মাসিক পত্রিকা আলা হযরতে প্রকাশনার একটি সিরিজ সূচিত করা হয়েছিল যার প্রধান সম্পাদক সোবহান রেজা খান সোবহানী মিয়া।[২]

জায়গা স্বল্পতার পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসাটিকে উন্নত করার পরিকল্পনাও তৈরি করেন তিনি।[৩]

পটভূমি[সম্পাদনা]

নকী আলী খান ১৮৭২ সালে মিসবাহুল তাহজীব নামে একটি আরবি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। যা পরে মিসবাহ-উল-উলূম নামে পরিচিত হয়। ১৮৯৪ সালে পলিয়াতুল উলুম আরবি মাদ্রাসা নামে আরও একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু সে সময়ের এসব মাদ্রাসা নিয়মিত জামিয়া মাদ্রাসার (বিশ্ববিদ্যালয়) মতো কাজ করেনি। আহমদ রেজা খান বেরলভী তার বন্ধু সৈয়দ আমীর আহমদ এবং শিষ্য যুফারুদ্দীন বিহারির অনুরোধে একটি নতুন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

অবস্থান[সম্পাদনা]

ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরেলী জেলায় এই প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। ‎

বিখ্যাত ফতোয়া[সম্পাদনা]

  • ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে মানজার-এ-ইসলামের দারুল ইফতা একটি ফতোয়া জারি করে, যা ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা সালমান খান এবং তার পরিবারকে অমুসলিম বলে ঘোষণা করে যখন তারা তাদের বাড়িতে গণেশ (একটি হিন্দু হাতির দেবতা) স্থাপন করে এবং তার পূজা করে। দারুল ইফতার আলেমরা তাদের ফতোয়ায় বলেছেন যে ইসলাম মূর্তি পূজাকে নিষিদ্ধ করেছে এবং অভিনেতাকে আবার মুসলমান হওয়ার জন্য শাহাদাহ পাঠ করতে হবে।[৪] যাইহোক, মানজার-এ-ইসলামের একজন মুফতি স্পষ্ট করেছেন যে "তাদেরকে মুসলমানদের সম্পর্কে তাদের মতামত জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যারা মূর্তি পূজা করে এবং মূর্তি পূজার মিছিলে অংশগ্রহণ করে, কোথাও সালমান খান বা তার সাম্প্রতিক কাজ উল্লেখ করা হয়নি। মূর্তি পূজার বিষয়ে ইসলামের বিধানটি বেশ স্পষ্ট এবং এই কাজটি অনৈসলামিক বলে বিবেচিত হয়, তাই যে কোনো মুসলমানকে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উপাসনায় জড়িত হলে তাকে আবার কলমা পাঠ করতে হবে" এবং প্রশ্নটি ছিল সাধারণ এবং কোনো ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট নয়।[৫]
  • ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাদ্রাসাটি উত্তর প্রদেশের একজন মন্ত্রী আজম খানের বিরুদ্ধে তার দলের সভাপতি মুলায়ম সিং যাদবের জন্য একটি মন্দির নির্মাণের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে একটি ফতোয়া জারি করে। মাদ্রাসা বলেছে, "ইসলামে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে বিশ্বাস করা অবৈধ এবং তাই মন্দির নির্মাণের কথা বলাও সমান ভুল।"[৬]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sanyal, Usha (২০০৮)। "Ahl-i Sunnat Madrasas: the Madrasa Manzar-i Islam, Bareilly, and Jamia Ashrafiyya, Mubarakpur"। Malik, Jamal। Madrasas in South Asia: Teaching terror?Routledge। পৃষ্ঠা 23–44। 
  2. "The Madrasa Manzar-i Islam, Bareilly, and Jamia Ashrafiyya, Mubarakpur | Usha Sanyal - Academia.edu"। academia.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-২৮ 
  3. Jamia Rizvia of Bareilly to be upgraded to a university milligazette.com | Nov 09, 2012
  4. http://www.arabnews.com/node/303776 24 September 2007
  5. "Fatwa not against Salman Khan: Manzar-e-Islam clarifies | TwoCircles.net"। twocircles.net। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-২৮ 
  6. Islamic Body Issues Fatwa Against Muslims Building Temple newindianexpress.com | Published: 27 March 2015