বিষয়বস্তুতে চলুন

তিব্বতি রন্ধনশৈলী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
Adding 1 book for যাচাইযোগ্যতা) #IABot (v2.0.7) (GreenC bot
ত্রুটি সংশোধন (ID: 34) অউব্রা ব্যবহার করে
২১ নং লাইন: ২১ নং লাইন:
{{রন্ধনশৈলী}}
{{রন্ধনশৈলী}}


[[বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী রন্ধনশৈলী|{{PAGENAME}}]]
[[বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী রন্ধনশৈলী|তিব্বতী রন্ধনশৈলী]]
[[বিষয়শ্রেণী:{{PAGENAME}}]]
[[বিষয়শ্রেণী:তিব্বতী রন্ধনশৈলী]]
[[বিষয়শ্রেণী:এশীয় রন্ধনশৈলী|{{PAGENAME}}]]
[[বিষয়শ্রেণী:এশীয় রন্ধনশৈলী|তিব্বতী রন্ধনশৈলী]]

১৪:২৭, ১১ মে ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

তিব্বতী প্রাতঃরাশ
যুক্তরাষ্ট্রে একজন তিব্বতি মহিলা মম প্রস্তুত করছে
তিব্বতের প্রধান খাদ্য বার্লি যা ভেজে ময়দায় পরিণত করা হয়।
জাদুঘরে প্রদর্শিত তিব্বতি গামলা এবং চামচ।
ঝংদিয়ান বাজারে তিব্বতি পনির

তিব্বতী রন্ধনশৈলী হচ্ছে তিব্বত ও তার জনগণের রন্ধনসম্পর্কীয় ঐতিহ্য ও চর্চা। ভারত ও নেপালের বাস করে এমন অনেকেই তিব্বতী রন্ধনশৈলী অনুসরণ করে। এই রন্ধনশৈলীতে তিব্বতের পাহাড়ী ভূমিতে খাবার গুলো প্রতিফলিত হয় যা প্রতিবেশীদের প্রভাবে (ভারত ও নেপালসহ অন্যান্য দেশ) বিকশিত হয়েছে। এই রন্ধনশৈলী নুডলস, ছাগল, ইয়াক, মাটন, ডাম্পলিং, পনির (প্রায়ই ইয়াক বা ছাগলের দুধ থেকে তৈরীকৃত), মাখন (তিব্বতী জলবায়ুতে অভিযোজিত পশু থেকে) এবং স্যুপ এর জন্য বিশেষ পরিচিত।

ঐতিহ্যগতভাবে বার্লি দানা তিব্বতের মূল খাদ্য। মাংস এবং দুগ্ধজাত অপরিহার্য উপাদান। তিব্বতের দক্ষিণাঞ্চলের নিচু অঞ্চলে শুধুমাত্র ধান চাষ করা হয় এবং প্রধানত আমদানি করা হয়। মধ্য তিব্বতে শাক সবজি ও ফল খুব কম খাওয়া হয় কারণ সেখানে এগুলোর চাষ খুবই কঠিন। গ্রীনহাউসের নির্মাণের কারণে আজকাল এই ফসলের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। বিভিন্ন উদ্ভিদের অবস্থার কারণে তিব্বতী খাবারে বড় বৈচিত্র রয়েছে।

তিব্বতী ফসলকে অধিক উচ্চতায় জন্মাতে সক্ষম হতে হয়। যদিও তিব্বতের কয়েকটি অঞ্চল চাল, কমলা, কলা এবং লেবু উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট নিচু।[] তিব্বত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফসল বার্লি। ভাজা বার্লি থেকে বানানো ময়দাকে বলা হয় তসম্পা যা শা ফালের (মাংস ও বাঁধাকপি দিয়ে তৈরী)[] মত তিব্বতের প্রধান খাবার। বালেপ নামক তিব্বতী রুটি সকালের নাস্তা ও মধ্যাহ্নভোজনে খাওয়া হয়। থুকপা হলো রাতের প্রধান খাবার যাতে শাকসব্জি, মাংস এবং বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের নুডলস এর সমন্বয়ে তৈরী হয়। তিব্বতী রন্ধনশৈলীতে খাবার ঐতিহ্যগতভাবে বাঁশের চপস্টিক্সের সাথে পরিবেশন করা হয়। অন্য হিমালয়ী রন্ধনশৈলীতে সাধারনত হাত দিয়ে খাওয়া হয়। তিব্বতীরা ছোট ছোট স্যুপের বাটি ব্যবহার করে এবং তাদের সোনার ও রূপার বাটি ব্যবহারের ইতিহাস রয়েছে[]। সিপেন হচ্ছে তিব্বতীদের এক প্রকার ঝাল সস[][]

মাংসের মধ্যে আছে চমরী গাই, ছাগল বা মটন, যা প্রায়ই শুকিয়ে অথবা আলু দিয়ে মসলাযুক্ত ঝোল রান্না করা হয়। সরিষা বীজ তিব্বতে চাষ করা হয় এবং এর ফলে এর রন্ধনপ্রণালীতে ব্যাপকভাবে অবদান রেখেছে সরিষা। চমরী গাইয়ের দই, মাখন, এবং পনির প্রায়ই খাওয়া হয় এবং ভাল ভাবে প্রস্তুত দই একটি সম্মানজনক খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১১ শতক থেকে তিব্বতে নিরামিষভোজন মতবাদ আলোচিত হচ্ছে কিন্তু কখনো গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরী করতে পারেনি। সব্জি উৎপাদন কষ্টসাধ্য এবং তিব্বতের মাংস ভোজের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে প্রচলিত হয় নি।[]

তিব্বতির খাবারগুলি লাদাখ, সিক্কিম, অরুণাচল প্রদেশ এবং ভারতে তিব্বতীদের বসবাস যেখানে এবং উত্তর নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলে যেমন মুস্টাং ও অন্যান্য অঞ্চলে খাওয়া হয়। বড় তিব্বতী নগর ও শহরে অনেক রেস্টুরেন্ট এখন সিচুয়ান-শৈলীর হান চীনা খাবার পরিবেশন করছে। পশ্চিমা আমদানি এবং মিশ্র খাবার যেমন ভাজা চমরী গাই এবং চিপস জনপ্রিয়। ঐতিহ্যবাহী তিব্বতী খাবার পরিবেশনকারী অনেক ছোটো রেস্তোরাঁ শহর ও গ্রামাঞ্চলে টিকে আছে।

খাদ্যাভ্যাস

তথ্যসূত্র

  1. "Administrative Division"Tibet Facts & Figures 2007China Internet Information Center। ২৪ এপ্রিল ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১০ 
  2. Tibetan Marches. André Migot. Translated from the French by Peter Fleming, p. 103. (1955). E. P. Dutton & Co. Inc. New York.
  3. Tamang, Jyoti Prakash (২০০৯)। Himalayan Fermented Foods: Microbiology, Nutrition, and Ethnic ValuesCRC Press। পৃষ্ঠা 9 
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৭ 
  5. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৯ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৭ 
  6. Geoffrey, Barstow (২০১৩)। "Food of Sinful Demons: A History of Vegetarianism in Tibet"UVA Library | Virgo (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-০৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]