বিষয়বস্তুতে চলুন

স্ট্যান ম্যাককাবে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্ট্যান ম্যাককাবে
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
স্ট্যানলি যোসেফ ম্যাককাবে
জন্ম(১৯১০-০৭-১৬)১৬ জুলাই ১৯১০
গ্রেনফেল, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু২৫ আগস্ট ১৯৬৮(1968-08-25) (বয়স ৫৮)
মোসম্যান, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামন্যাপার
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম পেস
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯২৮–৪১নিউ সাউথ ওয়েলস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩৯ ১৮২
রানের সংখ্যা ২৭৪৮ ১১৯৫১
ব্যাটিং গড় ৪৮.২১ ৪৯.৩৮
১০০/৫০ ৬/১৩ ২৯/৬৮
সর্বোচ্চ রান ২৩২ ২৪০
বল করেছে ৩৭৪৬ ১৩৪৪০
উইকেট ৩৬ ১৫৯
বোলিং গড় ৪২.৮৬ ৩৩.৭২
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/১৩ ৫/৩৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪১/০ ১৩৯/০
উৎস: ক্রিকইনফো, ৩ অক্টোবর ২০১৫

স্ট্যানলি যোসেফ স্ট্যান ম্যাককাবে (ইংরেজি: Stan McCabe; জন্ম: ১৬ জুলাই, ১৯১০ - মৃত্যু: ২৫ আগস্ট, ১৯৬৮) নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রেনফেল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ১৯৩০ থেকে ১৯৩৮ সময়কালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ভূমিকা রাখতেন। এছাড়াও ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন স্ট্যান ম্যাককাবে। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।[]

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

অস্ট্রেলিয়া দলে প্রতিনিধিত্ব করার সময় তিনি কখনও দল থেকে বাদ পড়েননি।[] এছাড়াও নিয়মিতভাবে মিডিয়াম-পেস বোলিং করেছেন। অস্ট্রেলিয়া দলে ফাস্ট বোলারের অনুপস্থিতির সময় দলের বোলিং উদ্বোধনে অফ কাটারের সাহায্যে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

১৯ বছর বয়সে ১৯৩০ সালে সর্বকনিষ্ঠ অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরের জন্য তাকে মনোনীত করা হয়।[] এ দলটি ‘উডফুলের কিন্ডারগার্টেন’ নামে পরিচিতি পায়।[] প্রস্তুতিমূলক খেলায় সেঞ্চুরি করলেও উদ্বোধনী টেস্টে ৫১ রান তোলেন। এরপর তার খেলার ধরন পাল্টে যেতে থাকে ও ৫-টেস্টের সবগুলোতেই অংশ নেন। কিন্তু তিনি বড় ধরনের রান সংগ্রহ করতে পারছিলেন না। প্রথম ১৫ টেস্ট শেষে তার ব্যাটিং গড় ৩৫-এর নিচে ছিল। ট্রেন্ট ব্রিজে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। খেলায় তিনি ২/৬৫ লাভ করেন। জ্যাক হবস তার প্রথম উইকেট শিকারে পরিণত হন।[][]

১৯৩২-৩৩ মৌসুমে অ-জনপ্রিয় বডিলাইন সিরিজের প্রথম টেস্টে অপরাজিত ১৮৭* রান তুলেন। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র চার ঘণ্টার ব্যবধানে দলের সকল সদস্য তাকে ছেড়ে চলে যান। ঐ সিরিজে কেবলমাত্র ব্র্যাডম্যান সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। ১৯৩৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে আট সেঞ্চুরিসহ ২,০৭৮ রান পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে একটি টেস্ট সেঞ্চুরিও ছিল।

১৯৩৪ সালে ইংল্যান্ড সফরের পর দলীয় অধিনায়ক বিল উডফুল অবসর নিলে তিনি দলের সহঃ অধিনায়কত্ব লাভ করেন যা তার পরবর্তী সময়টুকু পর্যন্ত বজায় ছিল।[][]

১৯৩৫-৩৬ মৌসুমের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দ্বিতীয় টেস্টে অপরাজিত ১৮৯* তোলেন। তন্মধ্যে, একটি অধিবেশনেই সেঞ্চুরি করেছেন। চূড়ান্ত দিনে মন্দালোকের কারণে খেলা শেষ হবার উপক্রম হলে তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বরেকর্ড গড়া জয়ে অংশ নেন। ঐ সিরিজে তিনি দুইটি টেস্ট শতক হাঁকান।

মূল্যায়ন

[সম্পাদনা]

খাঁটো গড়নের ম্যাককাবে তার পায়ের কাজ, ফাস্ট বোলিংয়ের উপর প্রভাববিস্তার এবং বডিলাইন সিরিজে হুক শট খেলে স্মরণীয় হয়ে আছেন। উইজডেন কর্তৃপক্ষ তাকে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ও সর্বাপেক্ষা বিনোদনধর্মী খেলা উপহার প্রদানকারী হিসেবে আখ্যায়িত করে। এছাড়াও দলীয় অধিনায়ক ডন ব্র্যাডম্যান তাকে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানরূপে চিত্রিত করে গেছেন।[]

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

১৯৩৫ সালে উইজডেন কর্তৃক তাকে বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[১০] ৫ জানুয়ারি, ২০১০ তারিখে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তার ভাস্কর্য বসানো হয়।[১১]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "List of Players who have played for New South Wales". www.cricketarchive.com. Retrieved 12 August, 2017
  2. Cashman, Franks, Maxwell, Sainsbury, Stoddart, Weaver, Webster (১৯৯৭)। The A-Z of Australian cricketers। পৃষ্ঠা 197–198। 
  3. Harte and Whimpress, p. 322.
  4. Robinson, p. 160.
  5. "Player Oracle SJ McCabe"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-১৪ 
  6. "Player Oracle SJ McCabe"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-১৪ 
  7. Haigh and Frith, p. 92.
  8. Harte and Whimpress, p. 376.
  9. Don Bradman at Cricinfo retrieved 5 March 2008
  10. Haigh, Gideon"Players and Officials - Stan McCabe"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০১-১২ 
  11. "SCG statue immortalises McCabe". ABC Sport (Australian Broadcasting Corporation). 5 January 2010. Retrieved 5 January 2010.

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]