সুলতানা জামান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
৪৫ নং লাইন: | ৪৫ নং লাইন: | ||
[[২০১০]] সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দেশীয় চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য সুলতানা জামানকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।<ref name="বাংলা নিউজ ২৪"/> |
[[২০১০]] সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দেশীয় চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য সুলতানা জামানকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।<ref name="বাংলা নিউজ ২৪"/> |
||
== মৃত্যু == |
== মৃত্যু == |
||
বার্ধক্যজনিত সমস্যায় [[মে ২০|২০ মে]] [[২০১২]] ৭৬ বছর বয়সে [[ঢাকা|ঢাকার]] ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসভবনে |
বার্ধক্যজনিত সমস্যায় [[মে ২০|২০ মে]] [[২০১২]] ৭৬ বছর বয়সে [[ঢাকা|ঢাকার]] ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।<ref name="বাংলা নিউজ ২৪"/> |
||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
১৩:৩৫, ২৯ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
সুলতানা জামান | |
---|---|
চিত্র:75989 e3.jpg | |
জন্ম | ১০ আগস্ট, ১৯৪৫ |
মৃত্যু | ২০ মে, ২০১২ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
পরিচিতির কারণ | চলচ্চিত্রভিনেত্রী |
সুলতানা জামান (আসলনাম:সৈয়দা হোসনে আরা শরিফা বেগম মিনা [১], জন্ম: ১০ আগস্ট, ১৯৪৫; মৃত্যু: ২০ মে, ২০১২) বাংলাদেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্রাভিনেত্রী। তিনি ১৯৫৯ সালে রাজিয়া নামে ‘মাটির পাহাড়’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেছিলেন।[১] পরবর্তী সময়ে ‘চান্দা’ ও ‘জোয়ার এলো’ ছবিতে মিনা জামান নামে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘অনেক দিনের চেনা’ ছবিতে নাম বদলে তিনি হন সুলতানা জামান।[২]
অভিনয় জীবন
‘মাটির পাহাড়’ ছবিতে সুলতানা জামানের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন কাফি খান, রওশন আরা, কাজী খালেক। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য সুলতানা জামান চিত্রাকাশ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। এরপর ১৯৬২ সালে কলিম শরাফী ও জহির রায়হানের যৌথ পরিচালনায় ‘সোনার কাজল’, এহতেশাম পরিচালিত ‘চান্দা’, আব্দুল জব্বার খান পরিচালিত ‘জোয়ার এলো’ মুক্তি পায়। ‘চান্দা’ ও ‘জোয়ার এলো’ ছবির বাণিজ্যিক সাফল্য সুলতানা জামানকে রোমান্টিক অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৬৪ সালে খান আতাউর রহমান নির্মাণ করেন ‘অনেক দিনের চেনা’। ১৯৬৫ সালে ফতেহ লোহানী পরিচালিত ‘সাতরং’, আলী মনসুর পরিচালিত ‘জানাজানি’ এবং মোস্তাফিজ পরিচালিত ‘মালা’ মুক্তি পায়। ছবিটি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে সুপার-ডুপার হিট ও ব্যবসা সফল হয়। ‘মালা’ ছবিটির বাণিজ্যিক সাফল্যের কারণে সুলতানা জামান সম্মাননা পেয়েছিলেন। তিনি ১৯৬৯ সালে ‘মনের মত বউ’ ও ‘ভানুমতি’ ছবিতে অভিনয় করেন। ১৯৭০ সালে ‘মিশর কুমারী’ ও ‘আঁকাঁবাঁকা’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। ‘ভানুমতি’ ও ‘ছদ্মবেশী’ নামে দুটি ছবির প্রযোজনাও করেন সুলতানা জামান। [১] স্বাধীনতার পর সুলতানা জামান অভিনীত ছবির মধ্যে রয়েছে ‘নয়নমণি’, ‘নিশান’, ‘জাদুর বাঁশি’, ‘অনুভব’, ‘তৃষ্ণা’, ‘অগ্নিশিখা’।[২]
পারিবারিক জীবন
১৯৪০ সালের ১০ আগস্ট ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন সুলতানা জামান।[২] তার পারিবারিক নাম সৈয়দা হোসনে আরা শরিফা বেগম। এ দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে তিনি সুলতানা জামান নামেই পরিচিত হয়ে ওঠেন। তার শৈশব কেটেছিল নাটোরে। চিত্রগ্রাহক ও পরিচালক কিউ এম জামানের সঙ্গে ১৯৫৬ সালের ১৫ মার্চ তার বিয়ে হয়। উল্লেখ্য, ‘মুখ ও মুখোশ’ ছবির ক্যামেরাম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন কিউ এম জামান।[২]
চলচ্চিত্রসমূহ
সুলতানা জামান অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘'চান্দা’', ‘'নতুন দিগন্ত, অনেক দিনের চেনা, জোয়ার এলো, জানাজানি, সাত রং, সোনার কাজল, মালা, ‘উজালা জংলীফুল’, ‘বেয়াকুফ’, ‘আবার বনবাসে রূপবান’ ও ‘মিশর কুমারী’।[২]
সম্মাননা
২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দেশীয় চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য সুলতানা জামানকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।[১]
মৃত্যু
বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ২০ মে ২০১২ ৭৬ বছর বয়সে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।[১]
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "নববর্ষের রাতে ঢাবিতে প্রবেশে কড়াকড়ি"। Banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-৩১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "চলে গেলেন সুলতানা জামান - প্রথম আলো"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-৩১।