আবদুস সালাম (ভাষা শহীদ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
কায়সার আহমাদ (আলোচনা | অবদান) reFill ব্যবহার করে 1টি তথ্যসূত্র পূরণ করা হয়েছে () |
কায়সার আহমাদ (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১৪ নং লাইন: | ১৪ নং লাইন: | ||
}} |
}} |
||
'''আবদুস সালাম''' (জন্মঃ [[১৯২৫]] সালে [[ফেনী জেলা|ফেনী]]র [[দাগনভূঁইয়া উপজেলা]]র লক্ষণপুর গ্রামে (পরবর্তীতে তার নামানুসারে গ্রামের নামকরণ করা হয় সালামনগর); মৃত্যুঃ [[এপ্রিল ৭]], [[১৯৫২]] সালে) মহান [[ভাষা আন্দোলন|ভাষা আন্দোলনের]] অন্যতম শহীদ। ভাষা রক্ষায় তাঁর অসামান্য ভূমিকা ও আত্মাহুতির কারণেই পরবর্তীকালে বাঙালি জাতিকে জাতীয় চেতনায় উজ্জ্বীবিত ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ চেতনার ফলেই [[১৯৭১]] সালের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] স্বাধীনতা অর্জিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.imli.gov.bd/ |
'''আবদুস সালাম''' (জন্মঃ [[১৯২৫]] সালে [[ফেনী জেলা|ফেনী]]র [[দাগনভূঁইয়া উপজেলা]]র লক্ষণপুর গ্রামে (পরবর্তীতে তার নামানুসারে গ্রামের নামকরণ করা হয় সালামনগর); মৃত্যুঃ [[এপ্রিল ৭]], [[১৯৫২]] সালে) মহান [[ভাষা আন্দোলন|ভাষা আন্দোলনের]] অন্যতম শহীদ। ভাষা রক্ষায় তাঁর অসামান্য ভূমিকা ও আত্মাহুতির কারণেই পরবর্তীকালে বাঙালি জাতিকে জাতীয় চেতনায় উজ্জ্বীবিত ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ চেতনার ফলেই [[১৯৭১]] সালের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] স্বাধীনতা অর্জিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.imli.gov.bd/ভাষা-সৈনিক-5/ |title=আবদুস সালাম |publisher=আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট}}</ref> |
||
== পরিবার ও কর্মজীবন == |
== পরিবার ও কর্মজীবন == |
||
২০ নং লাইন: | ২০ নং লাইন: | ||
== ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ == |
== ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ == |
||
বাংলা ভাষাকে [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বায়ান্নোর [[ফেব্রুয়ারি ২১|২১শে ফেব্রুয়ারি]] [[ঢাকা মেডিকেল কলেজ|ঢাকা মেডিকেল কলেজের]] সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেন। পরে ছাত্র-জনতার উপর পুলিশ এলোপাথাড়িভাবে গুলি চালালে আবদুস সালাম গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। দেড় মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর [[৭ এপ্রিল]], ১৯৫২ তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।<ref> |
বাংলা ভাষাকে [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বায়ান্নোর [[ফেব্রুয়ারি ২১|২১শে ফেব্রুয়ারি]] [[ঢাকা মেডিকেল কলেজ|ঢাকা মেডিকেল কলেজের]] সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেন। পরে ছাত্র-জনতার উপর পুলিশ এলোপাথাড়িভাবে গুলি চালালে আবদুস সালাম গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। দেড় মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর [[৭ এপ্রিল]], ১৯৫২ তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://omorekushey.com/index.php?option=com_content&view=article&id=54:abdus-salam&catid=1:vasha-shahid&Itemid=50 |publisher=অমর একুশে ডট কম |title= শহীদ আব্দুস সালাম}}</ref> |
||
== সম্মাননা == |
== সম্মাননা == |
১৪:৪১, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
আবদুস সালাম | |
---|---|
চিত্র:Shaheed Abdus Salam.jpg | |
জন্ম | আবদুস সালাম ১৯২৫ সাল |
মৃত্যু | ৭ এপ্রিল, ১৯৫২ সাল |
পেশা | চাকুরী |
পরিচিতির কারণ | ভাষা শহীদ |
আবদুস সালাম (জন্মঃ ১৯২৫ সালে ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামে (পরবর্তীতে তার নামানুসারে গ্রামের নামকরণ করা হয় সালামনগর); মৃত্যুঃ এপ্রিল ৭, ১৯৫২ সালে) মহান ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ। ভাষা রক্ষায় তাঁর অসামান্য ভূমিকা ও আত্মাহুতির কারণেই পরবর্তীকালে বাঙালি জাতিকে জাতীয় চেতনায় উজ্জ্বীবিত ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ চেতনার ফলেই ১৯৭১ সালের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।[১]
পরিবার ও কর্মজীবন
তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ ফাজিল মিয়া। আবদুস সালাম কর্মজীবনে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের ডিরেক্টরেট অব ইন্ডাস্ট্রিজ বিভাগের 'পিয়ন' হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঢাকার নীলক্ষেত ব্যারাকের ৩৬বি নং কোয়ার্টারে বাস করতেন।
ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ
বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বায়ান্নোর ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেন। পরে ছাত্র-জনতার উপর পুলিশ এলোপাথাড়িভাবে গুলি চালালে আবদুস সালাম গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। দেড় মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ৭ এপ্রিল, ১৯৫২ তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[২]
সম্মাননা
- মহান ভাষা আন্দোলনে আবদুস সালাম অনবদ্য ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০০০ সালে একুশে পদক (মরণোত্তর) প্রদান করেন।
- ফেনী স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে ২০০০ সালে 'ভাষা শহীদ সালাম স্টেডিয়ামে' রূপান্তর করা হয়।
- দাগনভুঞা উপজেলা মিলনায়তনকে ২০০৭ সালে 'ভাষা শহীদ সালাম মিলনায়তন' করা হয়।
- তাঁর নিজ গ্রাম লক্ষ্মণপুরের নাম পরিবর্তন করে 'সালাম নগর' রাখা হয়।
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ "আবদুস সালাম"। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।
- ↑ "শহীদ আব্দুস সালাম"। অমর একুশে ডট কম।