প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড

স্থানাঙ্ক: ৫৩° উত্তর ৮° পশ্চিম / ৫৩° উত্তর ৮° পশ্চিম / 53; -8
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Ireland (state) থেকে পুনর্নির্দেশিত)
আয়ারল্যান্ড[ক]

আয়ারল্যান্ডের জাতীয় পতাকা
পতাকা
আয়ারল্যান্ডের কুলচিহ্ন
কুলচিহ্ন
জাতীয় সঙ্গীত: "Amhrán na bhFiann"
(ইংরেজি: "The Soldiers' Song")
 আয়ারল্যান্ড-এর অবস্থান (গাঢ় সবুজ) – ইউরোপে (সবুজ & গাঢ় ধূসর) – ইউরোপীয় ইউনিয়নে (সবুজ)
 আয়ারল্যান্ড-এর অবস্থান (গাঢ় সবুজ)

– ইউরোপে (সবুজ & গাঢ় ধূসর)
– ইউরোপীয় ইউনিয়নে (সবুজ)

রাজধানী
ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি
ডাবলিন
৫৩°২০.৬৫′ উত্তর ৬°১৬.০৫′ পশ্চিম / ৫৩.৩৪৪১৭° উত্তর ৬.২৬৭৫০° পশ্চিম / 53.34417; -6.26750
সরকারি ভাষাআইরিশ,[খ] ইংরেজি[১]
নৃগোষ্ঠী
(২০১৬[২])
  • ৯২.৪% শ্বেতাঙ্গ
  • ২.১% এশীয়
  • ১.৩% কৃষ্ণাঙ্গ
  • ১.৫% অন্যন্য
  • ২.৬% অনুল্লেখিত
ধর্ম
(২০১৬)
জাতীয়তাসূচক বিশেষণআইরিশ
সরকারএককেন্দ্রিক সংসদীয় প্রজাতন্ত্র
মাইকেল ডি হিগিন্‌স
• প্রধানমন্ত্রী
মাইকেল মার্টিন
• উপ-প্রধানমন্ত্রী
লিও ভারাদকার
ডোনাল ও'ডোনেল
আইন-সভাOireachtas
Seanad
Dáil
স্বাধীনতা
যুক্তরাজ্য হতে
• প্রজাতন্ত্র ঘোষণা
২৪ এপ্রিল, ১৯১৬
• স্বাধীনতা ঘোষণা
২১ জানুয়ারি, ১৯১৯
৬ ডিসেম্বর, ১৯২১
• ১৯২২ সালের সংবিধান
৬ ডিসেম্বর, ১৯২২
• ১৯৩৭ সালের সংবিধান
২৯ ডিসেম্বর, ১৯৩৭
• প্রজাতন্ত্র আইন
১৮ এপ্রিল, ১৯৪৯
আয়তন
• মোট
৭০,২৭৩ কিমি (২৭,১৩৩ মা) (১১৮তম)
• পানি (%)
২.০%
জনসংখ্যা
• ২০২১ আনুমানিক
নিরপেক্ষ বৃদ্ধি ৫,০১১,৫০০[৩] (১২২তম)
• ২০১৬ আদমশুমারি
৪,৭৬১,৮৬৫[৪]
• ঘনত্ব
৭১.৩/কিমি (১৮৪.৭/বর্গমাইল) (১১৩তম)
জিডিপি (পিপিপি)২০২১ আনুমানিক
• মোট
বৃদ্ধি $৫০০ বিলিয়ন[৫] (৪৪তম)
• মাথাপিছু
বৃদ্ধি $৯৯,২৩৯[৫] (৩য়)
জিডিপি (মনোনীত)২০২১ আনুমানিক
• মোট
বৃদ্ধি $৪৭৭ বিলিয়ন[৫] (২৯তম)
• মাথাপিছু
বৃদ্ধি $৯৪,৫৫৬[৫] (৩য়)
জিনি (২০১৯)ধনাত্মক হ্রাস ২৮.৩[৬]
নিম্ন · ২৩তম
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৯)বৃদ্ধি ০.৯৫৫[৭]
অতি উচ্চ · ২য়
মুদ্রাইউরো (€) (EUR)
সময় অঞ্চলইউটিসি (জিএমটি)
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি)
ইউটিসি+১ (আইএসটি)
গাড়ী চালনার দিকবাম
কলিং কোড+৩৫৩
ইন্টারনেট টিএলডি.ie[গ]
  1. ^ আয়ারল্যান্ডের সংবিধানের চতুর্থ ধারা অনুযায়ী, রাষ্ট্রের নাম আয়ারল্যান্ড; ১৯৪৮ সালের প্রজাতন্ত্র আইনের দ্বিতীয় ধারা অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড হলো "রাষ্ট্রের বিবরণ"।[৮]
  2. ^ এবং ২০০৩ সালের রাষ্ট্রীয় ভাষা আইন অনুযায়ী এটি "জাতীয় ভাষা"
  3. ^ .eu ডোমেইনটিও ব্যবহৃত হয়, যেহেতু এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরাষ্ট্র।
ডাবলিনে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিষেবা কেন্দ্র

আয়ারল্যান্ড (আইরিশ: Éire [ˈeːɾʲə] (শুনুন)), হিসাবেও পরিচিত প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড (Poblacht na hÉireann),[a] উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে অবস্থিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। আধুনিক সার্বভৌম রাষ্ট্রটি আয়ারল্যান্ড দ্বীপের পাঁচ-ষষ্ঠাংশ নিয়ে গঠিত যা ৩ মে ১৯২১ সনে যুক্তরাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রথমে আইরিশ ফ্রি স্টেট এবং পরবর্তিতে প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড গঠন করে। দেশটির রাজধানী ডাবলিন যা আয়ারল্যান্ড দ্বীপের সর্ববৃহৎ শহর।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

আদি অবস্থা - গ্রেট বৃটেন এবং আয়ারল্যান্ড[সম্পাদনা]

ইংল্যান্ড বিভিন্ন বংশের রাজা ও রানীদ্বারা শাসিত হয়ে আসছে। তবে পদবীর মৌলিক পরিবর্তন হয়েছে দুইবার। স্কটল্যান্ড কয়েকবার স্বাধীনতা হারালেও ১৭০৭ সন পর্যন্ত কম বেশি স্কটিশ রাজাদের দ্বারা শাসিত হয়ে এসেছে। অপর দিকে ওয়েল্‌স্‌ ১২৮২ সন পর্যন্ত বিভিন্ন চড়াই-উৎরাই পার হয়ে নিজস্ব শাসকদ্বারা শাসিত হয়ে এসেছে। তবে ইংল্যান্ড বা স্কটল্যান্ড এর মত এতটা ঐক্যবদ্ধ তারা কখনই ছিল না।

অপর দিকে আয়ারল্যান্ড দ্বীপ জুড়ে ছিল একটি রাজ্য আয়ারল্যান্ড। ১১৯৮ সন পর্যন্ত এই রাজ্যটি একক রাজার শাসনে ছিল যাদের বলা হতো হাই কিং অব আয়ারল্যান্ড। কিন্তু পরবর্তিতে ছোট ছোট রাজার অধীনে ১৫৪১ সন পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন ভাবে দ্বীপটি শাসিত হয়েছে।

ইংল্যান্ড কর্তৃক স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস আক্রমণ[সম্পাদনা]

বরাবরই গ্রেট বৃটেন দ্বীপের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় ছিল ইংল্যান্ড। রাজা প্রথম এডওয়ার্ড-এর সময় ইংল্যান্ড এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যে পুরো গ্রেট বৃটেনকেই নিজেদের দখলে আনার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। এ সময় ইংল্যান্ড ওয়েলস দখল করে এবং স্কটল্যান্ডকে প্রায় দখল করে ফেলার মত অবস্থায় চলে যায় যদিও পরে প্রথম এডওয়ার্ড-এর মৃত্যুর পর আর সেটা সম্ভব হয়নি। ১২৮২ সনে ওয়েলসের সর্বশেষ শাসক লিওয়েলিন দ্যা লাস্টকে পরাজিত ও হত্যা করে এডওয়ার্ডের ইংরেজ বাহিনী ওয়েলস দখল করে। ওয়েলস বিজয়ের পর এডওয়ার্ড তার ছেলের সম্মানে প্রিন্স অব ওয়েলস উপাধিটি প্রদান করে। সেই থেকে আজও যুক্তরাজ্যের রাজা বা রাণীর বড় ছেলেকে প্রিন্স অব ওয়েলস বলা হয়।

অপরদিকে ১২৯৬ সনে ইংল্যান্ড প্রথম স্কটল্যান্ড আক্রমণ করে। যদিও প্রথমদিকে স্কটিশ বীর উইলিয়াম ওয়ালেস-এর প্রতিরোধে ইংল্যান্ড থমকে যাচ্ছিল তবে পরবর্তিতে ওয়ালেসকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে তারা স্কটল্যান্ড দখলের কাছাকাছি চলে যায়। মেলগিবসন অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ব্রেভহার্ট ওয়ালেসরই জীবনের উপর নির্মিত। কিন্তু ওয়ালেসের মৃত্যুর পর রাজা রবার্ট ব্রুস-এর স্কটিশ বাহিনী আবারও সংঘটিত হয় এবং রাজা এডওয়ার্ডের মৃত্যুর পর তার ছেলের ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়ে স্কটিশরা ইংরেজদের পরাজিত করে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখে। ব্রুসের মৃত্যুর পর ১৩৩২ সন থেকে ১৩৫৭ সন পর্যন্ত আবার ইংরেজরা স্কটল্যান্ড দখলের চেষ্টা চালায় যদিও সেবারও তারা পরাজিত হয়।

১৫৪১ - কিংডম অব আয়ারল্যান্ড গঠন[সম্পাদনা]

আয়রল্যান্ডকে কখনও ব্যাপকভাবে সামরিক শক্তি দিয়ে আক্রমণ না করলেও ইংল্যান্ড রাজত্বের একটি চাপ সব সময়ই আয়ারল্যান্ডের উপর ছিল। এ কারণেই ১৫৪১ সনে আইরিশ পার্লামেন্ট (রাজত্ব থাকলেও দেশগুলোতে পার্লামেন্ট সক্রিয় ছিল) ক্রাউন অব আয়ারল্যান্ড এ্যাক্ট ১৫৪২ পাশের মধ্য দিয়ে কিংডম অব আয়ারল্যান্ড প্রতিষ্ঠা করে এবং নির্ধারিত হয় যে ইংল্যান্ডের রাজা বা রানীই হবেন আয়ারল্যান্ডের রাজা বা রানী। শাসন ব্যবস্থার এই ধরনটাকে পার্সোনাল ইউনিয়নও বলা হয়। এ ক্ষেত্রে শাসক এক হলেও রাজ্য দুটো আলাদা ভাবে স্বাধীন এবং স্বতন্ত্র ছিল। রাজা অষ্টম হেনরী ছিল প্রথম কিং অব আয়ারল্যান্ড। একারণেই হেনরী সহ পরবর্তি রাজাদের দুটো করে পদবী ছিল - কিং অব ইংল্যান্ড এবং কিং অব আয়ারল্যান্ড। (উদাহরণ - রাজা চতুর্থ এডওয়ার্ড, প্রথম মেরী, রাণী প্রথম এলিজাবেথ ইত্যাদি।)

১৫৪২ - ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস গঠন[সম্পাদনা]

১৫৩৫ সন থেকে ১৫৪২ সন পর্যন্ত ইংলিশ পার্লামেন্ট ল'স ইন ওয়েলস এ্যাক্টস ১৫৩৫-১৫৪২ পাশের মধ্যদিয়ে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসকে একিভূত করে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস গঠন করে। এই ব্যবস্থায় ওয়েলসের আর কোন আইন ব্যবস্থা থাকলো না এবং তারা ইংলিশ আইনের আওতাভুক্ত হয়। সেই থেকে অনেক কিছুতেই ওয়েলস ইংল্যান্ডের অংশ হিসেবে অংশ নেয় এবং ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড-ও এরই একটা উদাহরণ।

১৭০৭ - কিংডম অব গ্রেট বৃটেন গঠন[সম্পাদনা]

রানী প্রথম এলিজাবেথ-এর মৃত্ত্বুর পর ইংল্যান্ডের রাজবংশের কোন উত্তরাধিকারী ছিল না কেননা রানী এলিজাবেথ কুমারী ছিলেন। ফলে ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড রাজ্য আক্ষরিক অর্থেই এক সংকটে পতিত হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে ১৫০৩ সনে স্কটল্যান্ডের রাজা চতুর্থ জেমস ইংল্যান্ডের রাজা সপ্তম হেনরীর কন্যা মারগারেটকে বিয়ে করেছিলেন। কাকতালীয় ভাবে ঠিক একশ বছর পর এই সম্পর্কের সূত্র ধরে ১৬০৩ সনে স্কটল্যান্ডের রাজা ষষ্ঠ জেমস ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের রাজত্বভার গ্রহণ করেন এবং সমগ্র গ্রেট ব্রিটেনের রাজা হন। ঐতিহাসিক ভাবে এ ঘটনাকে ইউনিয়ন অব ক্রাউন বলা হয়। যদিও তখন পর্যন্ত ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড দুটো আলাদা রাজ্য হিসেবে পরিচালিত হচ্ছিল। তাৎপর্যপূর্ন বিষয় হলো কিংডম আব ইংল্যান্ড, কিংডম অব স্কটল্যান্ড এবং কিংডম অব আয়ারল্যান্ড স্বাধীন তিনটি রাজ্য হওয়া সত্বেও তাদের শাসক ছিলেন একই ব্যক্তি।

১৭০৭ সনে আলাদা ভাবে ইংল্যান্ডের এবং স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে এ্যাক্ট অব ইউনিয়ন ১৭০৭ পাশ করা হয় যার মাধ্যমে কিংডম অব ইংল্যান্ড এবং কিংডম অব স্কটল্যান্ডকে বিলুপ্ত করে কিংডম অব গ্রেট বৃটেন গঠন করা হয়। ১ মে ১৭০৭ রানী এ্যান প্রথম কুইন অব গ্রেট বৃটেনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং সেদিন থেকেই ইতিহাসে কিংডম অব গ্রেট ব্রিটেন শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়। একই সাথে সেদিন থেকেই কিং অব ইংল্যান্ড এবং কিং অব স্কটল্যান্ড শব্দদুটিও ইতিহাসের পাতা থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়।

১৭০৭ - কিংডম অব গ্রেট বৃটেন গঠন[সম্পাদনা]

তখন পর্যন্ত আয়ারল্যান্ড স্বাধীন রাজ্য হিসেবে পরিচালিত হলেও শাসিত হতো গ্রেট বৃটেনের রাজার দ্বারাই। ফলে ধীরেধীরে আরেকটি ইউনিয়নের সম্ভাবনা বেশ জোরালো হয়ে ওঠে। ১৮০০ সনে রাজা তৃতীয় জর্জ-এর সময় গ্রেট ব্রিটেন এবং আয়ার‌ল্যান্ডের পার্লামেন্টে এ্যাক্ট অব ইউনিয়ন ১৮০০ পাশ করা হয় এবং পরের বছরই অর্থাৎ ১৮০১ সনে দুটো রাজ্যকে এক করে একটি অভিন্ন রাজ্য গঠন করা হয় যার নাম ইউনাইটেড কিংডম অব গ্রেট বৃটেন এন্ড আয়ারল্যান্ড। ১ জানুয়ারী ১৮০১-এ ইতিহাসে প্রথমবারের মত ইউনাইটেড কিংডম শব্দটি ওঠে এবং রাজা তৃতীয় জর্জ এই রাজ্যের প্রথম রাজা হন।

পরবর্তিতে আরো ১২২ বছর এই রাজ্য পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকা শাসন করে ১৯২২ সনে নিজের ঘরে ভাঙ্গনের মুখে পতিত হয় এবং জন্ম হয় রিপাবলিক অব আয়রল্যান্ড নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের।

রাজনীতি[সম্পাদনা]

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ[সম্পাদনা]

আয়ারল্যান্ড একটি ছোট্ট দেশ আয়তন মাত্র ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটার। চার পাশে পানি উথাল-পাথাল করে। রয়েছে অসংখ্য পাহাড়-পর্বত, বেশ কয়েকটি নদী এবং অনেক হ্রদ। এ দেশের লোক সারা বছরে একনাগাড়ে সাত দিন সূর্য দেখার সুযোগ পায় না।[৯]

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

আয়ারল্যান্ডের মোট জনসংখ্যা মাত্র ৪০ লাখের কাছাকাছি। ১৮৪১ সালে সর্বোচ্চ জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৮২ লাখ। দুর্ভিক্ষে মৃত্যু ও দেশান্তরের কারণে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত এ দেশের জনসংখ্যা কেবলই কমছিল। এ সময়ে জনসংখ্যা নেমে আসে ২৮ লাখে। এর পর থেকে আবার বাড়তে বাড়তে এখন ৪০ লাখে পৌঁছেছে।[৯]

ধর্ম ও সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

আইরিশরা প্রধানত ক্যাথলিক ক্রিশ্চিয়ান। রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্যাথলিক ধর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়। ধর্মীয় কারণে এখানে জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি নিষিদ্ধ। এখানে প্রকাশ্যে বৈধভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী বিক্রি হয় না। আইরিশরা পরিবারকে প্রাধান্য দেয়। প্রতিটি পরিবারে শিশুদের উপস্থিতি লক্ষণীয়।[৯]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Official Languages Act 2003"। Office of the Attorney-General। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  2. "CSO Census 2016 Chapter 6 – Ethnicity and Irish Travellers" (পিডিএফ)। ১৪ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৭ 
  3. "Population and Migration Estimates"। Central Statistics Office। ৩১ আগস্ট ২০২১। ৩১ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২১ 
  4. "Press Statement | Census 2016 Summary Results – Part 1" (পিডিএফ)Central Statistics Office। ৬ এপ্রিল ২০১৭। ২৫ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৭ 
  5. "World Economic Outlook Database, April 2021"IMF.org। International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০২০ 
  6. "Gini coefficient of equivalised disposable income – EU-SILC survey"ec.europa.euEurostat। ৯ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২১ 
  7. "Human Development Report 2020" (ইংরেজি ভাষায়)। United Nations Development Programme। ১০ ডিসেম্বর ২০১৯। ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  8. Coakley, John (২০ আগস্ট ২০০৯)। Politics in the Republic of Ireland। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 76। আইএসবিএন 978-0-415-47672-0। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১১ 
  9. Qposter - মিয়া মুহাম্মদ আইয়ুব। "ভ্রমণ কাহিনী - আয়ারল্যান্ড"www.qposter.com। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]