ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ। |
প্রতিষ্ঠিত | ১৯৮৫ |
---|---|
অঞ্চল | আন্তর্জাতিক (ফিফা) |
দলের সংখ্যা | ২৪ |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | জার্মানি (১ম শিরোপা) |
সবচেয়ে সফল দল | নাইজেরিয়া (৫টি শিরোপা) |
ওয়েবসাইট | অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ |
২০২৩ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ |
ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ হলো অনূর্ধ্ব-১৭ পুরুষ খেলোয়াড়দের জন্য ফিফা কর্তৃক আয়োজিত একটি ফুটবল প্রতিযোগিতা। ফিফা অনূর্ধ্ব-১৬ বিশ্বকাপ নামে শুরু হলেও ২০০৭ সালে বর্তমান নাম করা হয়।
যোগ্যতা নির্ধারণ[সম্পাদনা]
স্বাগতিক দেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।বাকি দলগুলো ছয়টি আঞ্চলিক কনফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত বাছাইপর্ব খেলে উত্তীর্ণ হয়।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
সিঙ্গাপুরের লায়ন সিটি কাপ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই প্রতিযোগিতাটিটি শুরু করা হয়। লায়ন সিটি কাপ বিশ্বের সর্বপ্রথম অনূর্ধ্ব-১৬ প্রতিযোগিতা।১৯৮২ সালে ফিফার তৎকালীন সেক্রেটারি-জেনারেল ১৯৮২ লায়ন সিটি কাপ প্রতিযোগিতাটি দেখেন।তখন তিনি এর জন্য সুপারিশ করেন।[১] ১৯৮৫ সাল থেকে চীনে এই প্রতিযোগিতার প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হয়।[২] তারপর থেকে প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।প্রথমে অনূর্ধ্ব-১৬ হলেও ১৯৯১ সাল থেকে অনূর্ধ্ব-১৭ করা হয়।
৫ টি শিরোপা নিয়ে সবচেয়ে সফল দল হলো নাইজেরিয়া। ৪ টি শিরোপা নিয়ে ২য় অবস্থানে ব্রাজিল। মেক্সিকো ও ঘানার ২টি করে শিরোপা আছে।
ফলাফল[সম্পাদনা]
সারসংক্ষেপ[সম্পাদনা]
ফিফা অনূর্ধ্ব-১৬ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ[সম্পাদনা]
# | বছর | স্বাগতিক | ফাইনাল | তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ | দলের সংখ্যা | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
বিজয়ী | স্কোর | রানার-আপ | তৃতীয় স্থান | স্কোর | চতুর্থ স্থান | |||||||
১ | ১৯৮৫ বিশদ |
চীন | নাইজেরিয়া |
২–০ | পশ্চিম জার্মানি |
ব্রাজিল |
৪–১ | গিনি |
১৬ | |||
২ | ১৯৮৭ বিশদ |
কানাডা | সোভিয়েত ইউনিয়ন |
১–১ (অ.স.প.) ৪–২ পেনাল্টি |
নাইজেরিয়া |
কোত দিভোয়ার |
২–১ (অ.স.প.) | ইতালি |
১৬ | |||
৩ | ১৯৮৯ বিশদ |
স্কটল্যান্ড | সৌদি আরব |
২–২ (অ.স.প.) ৫–৪ পেনাল্টি |
স্কটল্যান্ড |
পর্তুগাল |
৩–০ | বাহরাইন |
১৬ |
অনূর্ধ্ব-১৭[সম্পাদনা]
ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ[সম্পাদনা]
# | বছর | স্বাগতিক | ফাইনাল | তৃতীয় স্থাব নির্ধারণী ম্যাচ | দলের সংখ্যা | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
বিজয়ী | স্কোর | রানার-আপ | তৃতীয় স্থান | স্কোর | চতুর্থ স্থান | |||||||
৪ | ১৯৯১ বিশদ |
ইতালি | ঘানা |
১–০ | স্পেন |
আর্জেন্টিনা |
১–১ (অ.স.প.) ৪–১ পেনাল্টি |
কাতার |
১৬ | |||
৫ | ১৯৯৩ বিশদ |
জাপান | নাইজেরিয়া |
২–১ | ঘানা |
চিলি |
১–১ (অ.স.প.) ৪–২ (পে.) |
পোল্যান্ড |
16 | |||
৬ | ১৯৯৫ বিশদ |
ইকুয়েডর | ঘানা |
৩–২ | ব্রাজিল |
আর্জেন্টিনা |
২–০ | ওমান |
১৬ | |||
৭ | ১৯৯৭ বিশদ |
মিশর | ব্রাজিল |
২–১ | ঘানা |
স্পেন |
২–১ | জার্মানি |
১৬ | |||
৮ | ১৯৯৯ বিশদ |
নিউজিল্যান্ড | ব্রাজিল |
০–০ (অ.স.প.) ৮–৭ পেনাল্টি |
অস্ট্রেলিয়া |
ঘানা |
২–০ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
১৬ | |||
৯ | ২০০১ বিশদ |
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | ফ্রান্স |
৩–০ | নাইজেরিয়া |
বুর্কিনা ফাসো |
২–০ | আর্জেন্টিনা |
১৬ | |||
১০ | ২০০৩ Details |
ফিনল্যান্ড | ব্রাজিল |
১–০ | স্পেন |
আর্জেন্টিনা |
১–১ (অ.স.প.) ৫–৪ পেনাল্টি |
কলম্বিয়া |
১৬ | |||
১১ | ২০০৫ বিশদ |
পেরু | মেক্সিকো |
৩–০ | ব্রাজিল |
নেদারল্যান্ডস |
২–১ | তুরস্ক |
১৬ |
ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]
# | বছর | স্বাগতিক | ফাইনাল | তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ | দলের সংখ্যা | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
বিজয়ী | স্কোর | রানার-আপ | তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ | স্কোর | চতুর্থ স্থান | |||||||
১২ | ২০০৭ বিশদ |
দক্ষিণ কোরিয়া | নাইজেরিয়া |
০–০ (অ.স.প.) ৩–০ পেনাল্টি |
স্পেন |
জার্মানি |
২–১ | ঘানা |
২৪ | |||
১৩ | ২০০৯ বিশদ |
নাইজেরিয়া | সুইজারল্যান্ড |
১–০ | নাইজেরিয়া |
স্পেন |
১–০ | কলম্বিয়া |
২৪ | |||
১৪ | ২০১১ বিশদ |
মেক্সিকো | মেক্সিকো |
২–০ | উরুগুয়ে |
জার্মানি |
৪–৩ | ব্রাজিল |
২৪ | |||
১৫ | ২০১৩ বিশদ |
সংযুক্ত আরব আমিরাত | নাইজেরিয়া |
৩–০ | মেক্সিকো |
সুইডেন |
৪–১ | আর্জেন্টিনা |
২৪ | |||
১৬ | ২০১৫ বিশদ |
চিলি | নাইজেরিয়া |
২–০ | মালি |
বেলজিয়াম |
৩–২ | মেক্সিকো |
২৪ | |||
১৭ | ২০১৭ বিশদ |
ভারত | ইংল্যান্ড |
৫–২ | স্পেন |
ব্রাজিল |
২–০ | মালি |
২৪ | |||
১৮ | ২০১৯ বিশদ |
ব্রাজিল | ব্রাজিল |
২–১ | মেক্সিকো |
ফ্রান্স |
৩–১ | নেদারল্যান্ডস |
২৪ | |||
১৯ | ২০২৩ বিশদ |
ইন্দোনেশিয়া | জার্মানি |
২–২ (৪–৩ পে.) |
ফ্রান্স |
মালি |
৩–০ | আর্জেন্টিনা |
২৪ |
- সংক্ষিপ্ত:
- অ.স.প - অতিরিক্ত সময় পরে
দেশ হিসেবে সফলতা[সম্পাদনা]
অবস্থান | দল | শিরোপা | রানার-আপ | তৃতীয় স্থান | চতুর্থ স্থান | পদক |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | নাইজেরিয়া | ৫ (১৯৮৫, ১৯৯৩, ২০০৭, ২০১৩, ২০১৫) | ৩ (১৯৮৭, ২০০১, ২০০৯) | ৮ | ||
২ | ব্রাজিল | ৪ (১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০৩,২০১৯) | ২ (১৯৯৫, ২০০৫) | ২ (১৯৮৫, ২০১৭) | ১ (২০১১) | ৮ |
৩ | ঘানা | ২ (১৯৯১, ১৯৯৫) | ২ (১৯৯৩, ১৯৯৭) | ১ (১৯৯৯) | ১ (২০০৭) | ৫ |
৪ | মেক্সিকো | ২ (২০০৫, ২০১১) | ২ (২০১৩, ২০১৯) | ১ (২০১৫) | ৪ | |
৫ | সোভিয়েত ইউনিয়ন | ১ (১৯৮৭) | ১ | |||
সৌদি আরব | ১ (১৯৮৯) | ১ | ||||
ফ্রান্স | ১ (২০০১) | ১ (২০১৯) | ২ | |||
সুইজারল্যান্ড | ১ (২০০৯) | ১ | ||||
ইংল্যান্ড | ১ (২০১৭) | ১ | ||||
১০ | স্পেন | ৪ (১৯৯১, ২০০৩, ২০০৭, ২০১৭) | ২ (১৯৯৭, ২০০৯) | ৬ | ||
১১ | জার্মানি | ১ (১৯৯৫) | ২ (২০০৭, ২০১১) | ১ (১৯৯৭) | ৩ | |
১২ | মালি | ১ (২০১৫) | ১ (২০১৭) | ১ | ||
১৩ | স্কটল্যান্ড | ১ (১৯৮৯) | ১ | |||
অস্ট্রেলিয়া | ১ (১৯৯৯) | 1 | ||||
উরুগুয়ে | ১ (২০১১) | ১ | ||||
১৬ | আর্জেন্টিনা | ৩ (১৯৯১, ১৯৯৫, ২০০৩) | ২ (২০০১, ২০১৩) | ৩ | ||
১৭ | কোত দিভোয়ার | ১ (১৯৮৭) | ১ | |||
পর্তুগাল | ১ (১৯৮৯) | ১ | ||||
চিলি | ১ (১৯৯৩) | ১ | ||||
বুর্কিনা ফাসো | ১ (২০০১) | ১ | ||||
নেদারল্যান্ডস | ১ (২০০৫) | ১ (২০১৯) | ১ | |||
সুইডেন | ১ (২০১৩) | ১ | ||||
বেলজিয়াম | ১ (২০১৫) | ১ | ||||
২৪ | কলম্বিয়া | ২ (২০০৩, ২০০৯) | – | |||
২৫ | গিনি | ১ (১৯৮৫) | – | |||
ইতালি | ১ (১৯৮৭) | – | ||||
বাহরাইন | ১ (১৯৮৯) | – | ||||
কাতার | ১ (১৯৯১) | – | ||||
পোল্যান্ড | ১ (১৯৯৩) | – | ||||
ওমান | ১ (১৯৯৫) | – | ||||
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ১ (১৯৯৯) | – | ||||
তুরস্ক | ১ (২০০৫) | – |
মহাদেশীয় সফলতা[সম্পাদনা]
৭ টি শিরোপা নিয়ে সবচেয়ে সফল মহাদেশ আফ্রিকা।
কনফেডারেশন (মহাদেশ) |
কৃতি | |||
---|---|---|---|---|
বিজয়ী | রানার-আপ | তৃতীয় | চতুর্থ | |
কাফ (আফ্রিকা) | ৭ বার: নাইজেরিয়া (৫), ঘানা (২) | ৬ বার: নাইজেরিয়া (৩), ঘানা (২), মালি (১) | ৩ বার: ঘানা (১), আইভরি কোস্ট (১), বুরকিনা ফাসো (১) | ৩ বার: ঘানা (১), গিনি (১), মালি (১) |
উয়েফা (ইউরোপ) | ৪ বার: ফ্রান্স (১), সোভিয়েত ইউনিয়ন (১), সুইজারল্যান্ড (১), ইংল্যান্ড (১) | ৬ বার: স্পেন (৪), জার্মানি (১), স্কটল্যান্ড (১) | ৮ বার: জার্মানি (২), স্পেন (২), বেলজিয়াম (১), নেদারল্যান্ডস (১), পর্তুগাল (১), সুইডেন (১) | ৪ বার: জার্মানি (১), ইতালি (১), পোল্যান্ড (১), তুরস্ক (১) |
কনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকা) | ৩ বার: ব্রাজিল (৩) | ৩ বার: ব্রাজিল (২), উরুগুয়ে (১) | ৬ বার: আর্জেন্টিনা (৩), ব্রাজিল (২), চিলি (১) | ৫ বার: ব্রাজিল (১), আর্জেন্টিনা (২), কলম্বিয়া (২) |
কনকাকাফ (উত্তর,মধ্য ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল) | ২ বার: মেক্সিকো (২) | ১ বার: মেক্সিকো (১) | নাই | ২ বার: মেক্সিকো (১), যুক্তরাষ্ট্র (১) |
এএফসি (এশিয়া) | ১ বার: সৌদি আরব (১) | নাই | নাই | ৩ বার: বাহরাইন (১), কাতার (১), ওমান (১) |
ওএফসি (ওশেনিয়া) | নাই | ১ বার: অস্ট্রেলিয়া (১) | নাই | নাই |
পুরস্কার[সম্পাদনা]
- সবচেয়ে ভালো খেলোয়াড়কে দেওয়া হয় গোল্ডেন বল পুরস্কার।
- সবচেয়ে বেশি গোলদাতা খেলোয়াড়কে দেওয়া হয় গোল্ডেন বুট পুরস্কার।
- সবচেয়ে ভালো গোলকিপারকে দেওয়া হয় গোল্ডেন গ্লোভস পুরস্কার।
- সবচেয়ে বেশি নিয়মানুবর্তী দলকে দেওয়া হয় ফেয়ার প্লে পুরস্কার।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Youth Cup revived"। eresources। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "India could shatter Under 17 World Cup attendance record - Times of India"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ২০ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৮।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি ভাষায়)
- World Championship for U-16/U-17 Teams at the RSSSF.com
- FIFA U17 WC (archived)