১৯২৯-৩০ ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল পূর্ব-নির্ধারিত সময়সূচী মোতাবেক জানুয়ারি থেকে এপ্রিল, ১৯৩০ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করে। এ সফরে দলটি চারটি টেস্ট স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়। সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। ইংল্যান্ডের পক্ষে ফ্রেডি ক্যালথর্প অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত প্রত্যেক মাঠে পৃথক পৃথক অধিনায়ক নিযুক্ত করা হয়েছিল।[১] এগুলোই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলা ছিল।

একই সময়ে হ্যারল্ড জিলিগানের নেতৃত্বাধীন অপর একটি ইংরেজ দল নিউজিল্যান্ড গমন করে। সেখানে সফরকারী দলটি নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট সিরিজে অংশ নেয়।[২]

ইংল্যান্ড দল[সম্পাদনা]

বয়সের দিক দিয়ে ইংল্যান্ড দল সর্বাপেক্ষা সর্বকালের বয়ষ্ক টেস্ট দল হিসেবে পরিচিতি পেয়ে আসছে। দলে সদস্যদের গড় বয়স ছিল প্রায় ৩৮ বছর।[৩] সুপরিচিত প্রশাসক হ্যারি মলেট দলের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন।[৪]

সংক্ষিপ্ত বিবরণী[সম্পাদনা]

প্রথম টেস্ট[সম্পাদনা]

১১-১৬ জানুয়ারি, ১৯৩০
(৫-দিনের খেলা)
স্কোরকার্ড
৩৬৯ (১১৪.১ ওভার)
সিএ রোচ ১২২
জিটিএস স্টিভেন্স ৫/১০৫ (২৭ ওভার)
৪৬৭ (১৫৩ ওভার)
এ স্যান্ডহাম ১৫২
এলএন কনস্ট্যান্টাইন ৩/১২১ (৩৯ ওভার)
৩৮৪ (১৫২.৪ ওভার)
জিএ হ্যাডলি ১৭৬
জিটিএস স্টিভেন্স ৫/৯০ (২৬.৪ ওভার)
১৬৭/৩ (৬৫ ওভার)
এ স্যান্ডহাম ৫১
এইচসি গ্রিফিথ ২/৩৭ (১৫ ওভার)
খেলা ড্র
কেনসিংটন ওভাল, ব্রিজটাউন, বার্বাডোস
আম্পায়ার: ডব্লিউ ব্যাডলি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও জে হার্ডস্টাফ (ইংল্যান্ড)

দ্বিতীয় টেস্ট[সম্পাদনা]

১-৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০
(৫-দিনের খেলা)
স্কোরকার্ড
২০৮ (৭২.১ ওভার)
ইএইচ হেনড্রেন ৭৭
এইচসি গ্রিফিথ ৫/৬৩ (২২ ওভার)
২৫৪ (৮৭.২ ওভার)
ইএসি হান্ট ৫৮
ডব্লিউই অ্যাসটিল ৪/৫৮ (২৪.২ ওভার)
৪২৫/৮ডি. (১২৫ ওভার)
ইএইচ হেনড্রেন ২০৫*
এলএন কনস্ট্যান্টাইন ৪/১৬৫ (৪০ ওভার)
২১২ (১১২.২ ওভার)
এফআই ডি কেয়ার্স ৪৫
ডব্লিউ ভোস ৭/৭০ (৩৭.২ ওভার)
ইংল্যান্ড ১৬৭ রানে বিজয়ী
কুইন্স পার্ক ওভাল, পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ
আম্পায়ার: কেএল গ্র্যান্ট (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও জে হার্ডস্টাফ (ইংল্যান্ড)

তৃতীয় টেস্ট[সম্পাদনা]

২১-২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০
(৫-দিনের খেলা)
স্কোরকার্ড
৪৭১ (১৪৮ ওভার)
সিএ রোচ ২০৯
এলএফ টাউনসেন্ড ২/৪৮ (১৬ ওভার)
১৪৫ (৬১.৩ ওভার)
ইএইচ হেনড্রেন ৫৬
এলএন কনস্ট্যান্টাইন ৪/৩৫ (১৬.৩ ওভার)
২৯০ (১২৭.৩ ওভার)
জিএ হ্যাডলি ১১২
ডব্লিউই অ্যাসটিল ৪/৭০ (৪৩ ওভার)
৩২৭ (১৫৮.৫ ওভার)
ইএইচ হেনড্রেন ১২৩
এলএন কনস্ট্যান্টাইন ৫/৮৭ (৪০ ওভার)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৮৯ রানে বিজয়ী
বোর্দা, জর্জটাউন, ব্রিটিশ গায়ানা
আম্পায়ার: জে হার্ডস্টাফ (ইংল্যান্ড) ও আরডিআর হিল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জয়লাভ করে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্রামবার ছিল।
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সিইএল জোন্স ও ইংল্যান্ডের পক্ষে এলএফ টাউনসেন্ডের অভিষেক ঘটে।

চতুর্থ টেস্ট[সম্পাদনা]

৩-১২ এপ্রিল, ১৯৩০
(অসীম সময়ের খেলা)
স্কোরকার্ড
৮৪৯ (২৫৮.২ ওভার)
এ স্যান্ডহাম ৩২৫
ওসি স্কট ৫/২৬৬ (৮০.২ ওভার)
২৮৬ (১১১.৫ ওভার)
আরকে নুনেস ৬৬
এনই হেইগ ৩/৭৩ (৩০ ওভার)
ডব্লিউই অ্যাসটিল ৩/৭৩ (৩৩ ওভার)
২৭২/৯ডি. (৭৯.১ ওভার)
ইএইচ হেনড্রেন ৫৫
ওসি স্কট ৪/১০৮ (২৫ ওভার)
৪০৮/৫ (১৬৪.৩ ওভার)
জিএ হ্যাডলি ২২৩
আরইএস ওয়াট ২/৫৮ (২৪.৩ ওভার)
খেলা ড্র
সাবিনা পার্ক, কিংস্টন, জ্যামাইকা
আম্পায়ার: জে হার্ডস্টাফ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও ই নিবস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
  • ইংল্যান্ড টসে জয়লাভ করে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • ৬ এপ্রিল বিশ্রামবার ছিল।
  • অষ্টম কিংবা নবম দিনে কোন খেলা হয়নি।
  • দেশে প্রত্যাবর্তনকল্পে জাহাজের প্রস্তুতি থাকায় নবম দিনে খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়।[৫]
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সিসি পাসাইলাইগু, আইএম ব্যারো, ওসি দা কস্তাজিজি মোরাইজের একযোগে টেস্ট অভিষেক ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "England in the West Indies 1929–30"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৪ 
  2. "New Zealand v England – statistical quirks"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৮ 
  3. "England to West Indies 1929-30"Test Cricket Tours। ৩০ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৮ 
  4. "R. H. Mallett", The Cricketer, Spring Annual 1940, p. 35.
  5. Test Cricket Tours - England to West Indies 1929-30 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে, test-cricket-tours.co.uk, retrieved 18 September 2016.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]