বিষয়বস্তুতে চলুন

ডেরেক সিলি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডেরেক সিলি
১৯৩০ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ডেরেক সিলি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
জেমস এডওয়ার্ড ডেরিক সিলি
জন্ম(১৯১২-০৯-১১)১১ সেপ্টেম্বর ১৯১২
কলিমোর রক, সেন্ট মাইকেল, বার্বাডোস
মৃত্যু৩ জানুয়ারি ১৯৮২(1982-01-03) (বয়স ৬৯)
পালো সেকো, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম পেস
ভূমিকামাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২০)
১১ জানুয়ারি ১৯৩০ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৯ আগস্ট ১৯৩৯ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯২৮–১৯৪৩বার্বাডোস
১৯৩৫–১৯৪৯ত্রিনিদাদ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১১ ৮০
রানের সংখ্যা ৪৭৮ ৩,৮৩১
ব্যাটিং গড় ২৮.১১ ৩০.৪০
১০০/৫০ ০/৩ ৮/১৬
সর্বোচ্চ রান ৯২ ১৮১
বল করেছে ১৫৬ ৩,৯৩২
উইকেট ৬৩
বোলিং গড় ৩১.৩৩ ২৮.৬০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৭ ৮/৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৬/১ ৬৭/১৩
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৩ মে ২০১৯

জেমস এডওয়ার্ড ডেরিক সিলি (ইংরেজি: Derek Sealy; জন্ম: ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯১২ - মৃত্যু: ৩ জানুয়ারি, ১৯৮২) বার্বাডোসের সেন্ট মাইকেল এলাকার কলিমোর রকে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩০ থেকে ১৯৩৯ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস ও ত্রিনিদাদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, উইকেট-রক্ষণের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন ডেরেক সিলি

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯২৮-২৯ মৌসুম থেকে ১৯৪৮-৪৯ মৌসুম পর্যন্ত ডেরেক সিলি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দ্রুত পায়ের কারুকাজে দক্ষ ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে তিনি তার মিডিয়াম পেস বোলিংয়ের কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছেন। সামগ্রিকভাবে সকল প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ৩০.৪০ গড়ে ৩,৮৪১ রান ও ২৮.৬০ গড়ে ৬৩ উইকেট পেয়েছিলেন।

১৯২৮-২৯ মৌসুম থেকে ১৯৪২-৪৩ মৌসুম পর্যন্ত বার্বাডোস এবং ১৯৪৩-৪৪ মৌসুম থেকে ১৯৪৮-৪৯ মৌসুম পর্যন্ত ত্রিনিদাদের পক্ষে খেলেন। ১৯৪১-৪২ মৌসুমে ব্রিজটাউনে ত্রিনিদাদের বিপক্ষে স্মরণীয় খেলা উপহার দেন তিনি। বার্বাডোসের সদস্য থাকা অবস্থায় ত্রিনিদাদের বিপক্ষে ৮/৮ পেয়েছিলেন। এরফলে পোতানো উইকেটে ত্রিনিদাদ দল মাত্র ১৬ রানে তাদের ইনিংস গুটিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়।[]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১১টি টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন ডেরেক সিলি। ১৭ বছর ১২২ দিন বয়সে ১১ জানুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে ব্রিজটাউনে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরফলে অদ্যাবধি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করে আসছেন।[][] একই দলের বিপক্ষে ১৯ আগস্ট, ১৯৩৯ তারিখে সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।

প্রথম টেস্টে হ্যাডলিকনস্ট্যান্টাইনের মাঝামাঝি অবস্থানে ব্যাটিংয়ে নামেন। ভোস, রোডসস্টিভেন্স সমৃদ্ধ ইংরেজ তারকা বোলারদের মোকাবেলা করে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। ১৯৩০-৩১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। কিন্তু ঐ সফরে ব্যর্থ হওয়ায় ১৯৩৩ সালে ইংল্যান্ড গমন করা থেকে বঞ্চিত হন। ১৯৩৪-৩৫ মৌসুমে বব ওয়াটের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের বিপক্ষে চার টেস্টে অংশ নিয়ে ৪৫ গড়ে রান তুলেন। এ সময়ে তার বয়স ছিল ২২ বছর। কেবলমাত্র হ্যাডলি তারচেয়ে এগিয়ে ছিলেন। কিংস্টনের চতুর্থ টেস্টে তৃতীয় উইকেটে হ্যাডলির সাথে ২০২ রানের জুটি গড়েন। ১৯৩৪-৩৫ মৌসুমে পোর্ট অব স্পেনে সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৯২ রান তুলেন। এছাড়াও, ৩/৯৪ পেয়েছিলেন। সর্বমোট ১১ টেস্টে ২৮.১১ গড়ে ৪৭৮ রান তুলেছিলেন।

ইংল্যান্ড গমন, ১৯৩৯

[সম্পাদনা]
১৯৩০-৩১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া গমনকালে ডেরেক সিলি
১৯৩০-৩১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া গমনকালে ডেরেক সিলি

১৯৩৯ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১৯৩৯ সালে দুইবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হয়েছিলেন। সেখানেই লর্ডসে অনুষ্ঠিত খেলায় মিডলসেক্সের বিপক্ষে সাড়ে তিন ঘণ্টা ক্রিজে অবস্থান করে ১৮১ রান তুলেন। এটিই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল। তবে, ক্রিকেটবোদ্ধারা ব্যাটসম্যান হিসেবে তার কাছ থেকে আরও অধিক প্রত্যাশা করেছিলেন। উইজডেনে তার সম্পর্কে মন্তব্য করা হয় যে, তিনি হ্যাডলির ন্যায় উইকেটে খেলতে পারেননি। তবে অনেকক্ষেত্রে জোরপূর্বক কৌশল অবলম্বন করে তার ন্যায় অগ্রসর হতে দেখা যেতো। দলের প্রয়োজনেন তিনি কিছুটা গুটিয়ে যেতেন। তাসত্ত্বেও, তিনি বেশকিছু দর্শনীয় খেলা প্রদর্শন করেছিলেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনি ত্রিনিদাদে চলে যান। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে তাকে খেলতে দেখা যায়নি। তাসত্ত্বেও তিনি খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। ৩ জানুয়ারি, ১৯৮২ তারিখে ৭০ বছর বয়সে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পালো সেকো এলাকায় ডেরেক সিলি’র দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Barbados v Trinidad 1942
  2. Wisden 2012, p. 1314.
  3. "The original Indian hero"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]