বিষয়বস্তুতে চলুন

ফ্রাঙ্ক ডি কেয়ার্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফ্রাঙ্ক ডি কেয়ার্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ফ্রান্সিস ইগনাটিয়াস ডি কেয়ার্স
জন্ম(১৯০৯-০৫-১২)১২ মে ১৯০৯
ব্রিটিশ গায়ানা
মৃত্যু২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৯(1959-02-02) (বয়স ৪৯)
ব্রিটিশ গায়ানা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কডেভিড ডি কেয়ার্স (পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৬)
১১ জানুয়ারি ১৯৩০ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৩ এপ্রিল ১৯৩০ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯২৮ - ১৯৩৮ব্রিটিশ গায়ানা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৮
রানের সংখ্যা ২৩২ ৯৪৫
ব্যাটিং গড় ৩৮.৬৬ ২৮.৬৩
১০০/৫০ ০/২ ১/৭
সর্বোচ্চ রান ৮০ ১৩৩
বল করেছে ১২ ৬৬
উইকেট
বোলিং গড় ৪৮.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ০/৯ ১/২০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ৭/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৭ মার্চ ২০২০

ফ্রান্সিস ইগনাটিয়াস ফ্রাঙ্ক ডি কেয়ার্স (ইংরেজি: Frank De Caires; জন্ম: ১২ মে, ১৯০৯ - মৃত্যু: ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৯) ব্রিটিশ গায়ানায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩০-এর দশকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ব্রিটিশ গায়ানা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ফ্রাঙ্ক ডি কেয়ার্স

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯২৮-২৯ মৌসুম থেকে ১৯৩৮-৩৯ মৌসুম পর্যন্ত ফ্রাঙ্ক ডি কেয়ার্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।

ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ফ্রাঙ্ক ডি কেয়ার্সের যথেষ্ট সুনাম ছিল। ১৯২৮-২৯ মৌসুমে পোর্ট অব স্পেনে ব্রিটিশ গায়ানা দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। আন্তঃঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতায় দলের প্রতিপক্ষ ছিল ত্রিনিদাদ দল। স্বাগতিক দলের বিপক্ষে দলের পক্ষে প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন। তাসত্ত্বেও, ত্রিনিদাদ দল খেলায় বেশ সহজে জয়লাভ করতে সমর্থ হয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ফ্রাঙ্ক ডি কেয়ার্স। ১১ জানুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে ব্রিজটাউনে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩ এপ্রিল, ১৯৩০ তারিখে কিংস্টনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯২৯-৩০ মৌসুমে এমসিসি দল ক্যারিবীয় অঞ্চলে সফর করে। এ সিরিজের চারটি টেস্টের মধ্যে তিনটিতে তার অংশগ্রহণ ছিল। তন্মধ্যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রথম অনুষ্ঠিত হওয়া উদ্বোধনী টেস্টে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। জানুয়ারি, ১৯৩০ সালে বার্বাডোসের ব্রিজটাউনে প্রথম ইনিংসে ৮০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ রান তুলে খেলাটিকে ড্রয়ের দিকে নিয়ে আসেন।[] ঐ বছরের শেষদিকে ১৯৩০-৩১ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া গমন করে। তবে, পাঁচ টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের কোন টেস্টেই তাকে খেলানো হয়নি।

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

পারিবারিক প্রতিষ্ঠান ডি কেয়ার্স ব্রাদার্স লিমিটেডের পরিচালক ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। তার সন্তান ডেভিড ডি কেয়ার্স পেশায় আইনজীবী ও সংবাদপত্রের সত্ত্বাধিকারী ছিলেন।[] ফ্রাঙ্কের নাতনী ইসাবেলকে ইংরেজ টেস্ট অধিনায়ক মাইক অ্যাথারটন বিয়ে করেন।[]

২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৯ তারিখে ৪৯ বছর বয়সে ব্রিটিশ গায়ানায় ফ্রাঙ্ক ডি কেয়ার্সের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "1st Test, England tour of West Indies at Bridgetown, Jan 11-16 1930"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  2. "Obituary"Stabroek News। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  3. Haynes, Andre (৮ নভেম্বর ২০০৮)। "David de Caires remembered as man who touched many lives"Stabroek News। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]
  • Martin-Jenkins, C. (1996) World Cricketers - A Biographical Dictionary, Oxford University Press: Oxford.
  • Frindall, B. (ed.) (1995) The Wisden Book of Test Cricket, Volume 1 (1877–1977), Headline Book Publishing.
  • Lawrence, B. & Goble, R. (1991) The Complete Record of West Indian Test Cricketers, ACL & Polar Publishing (UK) Ltd.